গাজীপুর
গাজীপুরে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পিস্তল ঠেকানো বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পিস্তল বিএনপির সেই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার ওই সংঘের্ষের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল হামলার আগে ‘মানুষকে আতঙ্কিত করা’।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাহিদুল ইসলাম আটক করে তার কাছ থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাভার্ডভ্যান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
জানা গেছে, শনিবার গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় জাহিদুলকে পিস্তল ঠেকাতে দেখা গেছে।
এদিকে, শনিবার সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় চলমান ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও তিনটি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, আ.লীগ নেতাকর্মীরা যখন শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মিটিং করছিল তখন বিএনপির মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দোষারোপ করার জন্য এবং তৃণমূল পর্যায়ে তাদের কর্মীদের এই ধরনের হামলার বিষয়ে নীরব থেকে জাতিসংঘকে ‘বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টির’ জন্য বিএনপি-জামায়াত কর্মী এবং মিত্রদের পোস্ট এবং টুইটগুলো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন: যুবকের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরে এক পোশাক কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোসাদ্দেক হোসেন অপু (৩২), নাঈম ইসলাম (১৮) ও হৃদয় (২০)। তাদের সকলের বাড়ি নগরের গজারিয়া পাড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর মহানগরের গজারিয়া পাড়া এলাকা দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় এক যুবক ভুক্তভোগীকে ছুরি দেখিয়ে রাস্তা থেকে পাশের গজারি বনে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে।
এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এবং ভিডিওর আলামত জব্দ করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
গাজীপুরে পৃথক গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে পৃথক গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় এক নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বাসন থানাধীন পালের মাঠ এলাকার মৃত্তিকা ভবনের সপ্তম তলায় সার্জেন্ট শাহানেওয়াজের ভাড়া বাসার রান্না ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার স্ত্রী ফারজানা (৩০) মারা যান। তিন বছরের ছেলে সন্তানসহ ওই বাসায় বসবাস করছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় রান্না করার জন্য তিনি রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় গ্যাসের পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। সার্জেন্ট শাহনেওয়াজের স্ত্রী ফারজানার শরীর সঙ্গে সঙ্গে আগুনে ঝলসে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
অন্যদিকে, সকালে ঝালাই দেয়ার গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলের আঘাতে অনুমানিক আড়াই বছর বয়সী আয়েশা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু
বাসন থানাধীন ইটাহাঁটা এলাকায় আবুলের বাড়ির পিছনে নির্মাণাধীন কারখানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে ঝালাই দেয়ার গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলের আঘাতে আয়েশা মাথা এবং মুখে আঘাত পায়।
পরে আত্মীয়-স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আয়েশার বাবা রাশেদুলের গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার কান্দুলি গ্রামে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান জানান, এ দুটি মৃত্যুর ঘটনা তিনি শুনেছেন এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এসব বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২
গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ২ বোনের মৃত্যু!
গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরেক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে সালনার ইপসা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো-শেরপুরের বাসিন্দা আশরাফুলের মেয়ে আশামনি (৬) ও আলিফা (দেড় বছর)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
আশরাফুল স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সালনার ইপসা গেট এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।
মৃত শিশুদের বাবা আশরাফুল বলেন, রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে তিনি দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়ের ছেলেকে প্যাটিস ও কেক কিনে দিয়েছিলেন।
ওই কেক ও প্যাটিস খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই সময় অন্য শিশু সিয়াম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, বিষক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে। আরেক শিশু সিয়াম চিকিৎসাধীন। শিশুটির অবস্থাও গুরুতর।
এছাড়া মৃত শিশু দুটির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এহতেশাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে-বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডি'র টিমসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কাজ করছে।
এ ব্যাপারে মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১০ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে গেছে।
রবিবার ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আরজিনা এলাইচ লিজা (৩০) টাঙ্গাইলের গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার মো. মাসুদ রানার স্ত্রী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার শুপু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ রানার সঙ্গে একই থানার আনছার আলীর মেয়ে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ীর বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মাসুদ রং মিস্ত্রী ও লিজা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তবে অভিযুক্ত মাসুদ প্রায়ই কোনো কাজ-কর্ম করতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই জেরে রবিবার ভোরে ধারালো চাকু দিয়ে লিজার গলা কেটে তার স্বামী মাসুদ পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
তারা আরও জানান, এ সময় ওই ভাড়া বাসার অন্যান্য লোকজন লিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, সিআইডি ও পিবিআই-এর উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
বগুড়ায় টাকার জন্য স্কুল শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষার্থী খুন
মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সাত বছর পর মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুল আহাদ ওরফে লিমন ওরফে ভিপি লিমন (৩৪) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মধ্যরাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে কাশিমপুরে অভিযান চালিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লিমনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা করা হয়।
ফজলুল বলেন, তিনি দুই বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি তার পরিচয় জাল করে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, লিমনের সহযোগীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তাকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আসামির নাম শুক্কুর আলী। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার লালনগর গ্রামের খায়ের উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির ‘আত্মহত্যা’
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শুকুর আলীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা ছিল। ওই মামলায় কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট তাকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর শুকুর আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ওই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করেন। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল কোড অনুসারে রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজয়ান আহামেদ, সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, ৩ জনের ফাঁসি
গাজীপুরে মোটরসাইকেল উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে মোটরসাইকেল উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ডুমনী পাগলা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম (১৮) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের সোলায়মান হোসেনের ছেলে এবং শাকিল হোসেনের (১৮) বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায়। তারা দু’জনেই গাজীপুর বিজিএমইএ কলেজে শিক্ষার্থী।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ডুমনী পাগলা ব্রিজ এলাকায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল ব্রিজে উঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিং এর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে পড়ে। এতে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দু’টি উদ্ধার করেছে।
এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হাইমচরে কাভার্ডভ্যান চাপায় শিশু নিহত, চালক গ্রেপ্তার
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৪ জন নিহত
গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু: আইনানুগ ব্যবস্থা ও তদন্তের দাবি এমএসএফের
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
গাজীপুর শহরের পেয়ারা বাগানের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (৪০) পুলিশ হেফাজতে মারা যান বলে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বুধবার বিষয়টি সবাই জানতে পারেন।
এমএসএফের বিবৃতি অনুযায়ী, এ ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সংগঠনটি মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত, ময়নাতদন্ত ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু: এমএসএফের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি
১৪ জানুয়ারি জুয়া খেলার অভিযোগে রবিউলসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
১৭ জানুয়ারি পুলিশের একটি দল রবিউলের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেয়। এরপর রবিউলের স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামী মারা গেছেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মালেক খসরু বলেন, দুই উপপরিদর্শক রবিউলকে থানায় নিয়ে গেলে ১৭ জানুয়ারি তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বাড়ি ফেরার পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় রবিউল ছিটকে পড়েন। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল আটকে রাখে।
মৃত্যুর ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের দুই পুলিশ সদস্যকে বুধবার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন- মাহবুব ও নুরুল ইসলাম। দুজনই বাসন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।
বিষয়টি ইউএনবিকে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান
তিনি আরও বলেন, ঘটনা তদন্তে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে: এমএসএফের প্রতিবেদন
গাজীপুরে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বদনী ভাঙ্গা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের বদনী ভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার বদনী ভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস ছোবহানের স্ত্রী বাছিরন (৫০), মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মেয়ে নুসরাত (৭)।
জেলার মাওনা হাইওয়ে থানা ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক খোরশেদ আলম জানান, বাবুল মিয়া তার শাশুড়ি বাছিরন ও মেয়ে নুসরাতকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বদনীভাঙ্গা গ্রাম থেকে বেতঝুড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বদনীভাঙ্গা চুক্কাবাড়ি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা লাকড়িবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বাছিরন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর তার নাতি ও জামাতা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে নুসরাতের মৃত্যু হয়। পরে বাবুল মিয়াও মারা যান।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত