ডিএসসিসি
নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নলগোলা বহুব্রীহির উন্নয়ন ও নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: লালে নয়, হকাররা হলুদ-সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করবে: মেয়র তাপস
মেয়র বলেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এ জায়গাটায় অত্যন্ত ভঙ্গুর ও ছোট একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র ছিল। আমরা এটাকে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। এখানে তিনতলা বিশিষ্ট একটি অবকাঠামো হবে। অত্যন্ত নান্দনিক একটি নকশা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে শরীরচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং তরুণরা যেন বসতে পারেন, নদী উপভোগ করতে পারেন ও চা-কফি খেতে খেতে যেন নদীর পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তরুণ সমাজের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা চাই, আমাদের তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে। সেজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি।
এছাড়া আমরা ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জন্য আমাদের কার্যক্রম, আমাদের সেবাগুলো পৌঁছে দিতে চাই। যেন ঢাকা শহর একটি বাসযোগ্য নগরী হয়, একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ সময় মুক্তাঙ্গন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঢাকা শহর একটি দখলের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এই মুক্তাঙ্গন দখল অবস্থায় ছিল। সেখানে একটি বাস্কেটবল কোর্টসহ যেন ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে, সেভাবেই আমরা মাঠটা উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। হয়তোবা আগামী মাসের মধ্যেই আমরা সেটা উদ্বোধন করতে পারব।
সুতরাং কোনোভাবেই অবৈধ উপায়ে কেউ সড়ক, হাঁটার পথ দখল করে রাখতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসেনর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজি সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সামসুন নাহার ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাতুয়াইল নিমতলা কলেজ রোড ৬০ ফুটে উন্নীত করা হবে: তাপস
নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কাজের সামান্য অগ্রগতি
গত আট মাসে কামরাঙ্গীরচরের কাছে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও প্রাথমিক কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম, উচ্ছেদ অভিযান, পুনঃখনন ও বর্জ্য অপসারণ।
দূষণ ও দখলের কারণে গৌরব হারানো আদি চ্যানেলটির অবস্থান বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পুরান ঢাকার শহীদনগর-হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ আর কামরাঙ্গীরচরের মাঝ বরাবর।
গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দূষণ আর দখলের থাবায় প্রাণ হারিয়েছে নদীর চিরচেনা রূপ। প্রায় ৭ কিলোমিটার জায়গার দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা।
তবে আদি বুড়িগঙ্গার গৌরব ফিরিয়ে আনতে ডিএসসিসি গত বছরের জুন মাসে দখলদারদের কাছ থেকে চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে চ্যানেলটি উদ্ধারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন ও অবস্থার পরিবর্তন
ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ধাপে রাজধানীর লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তারা বলেন, চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের ফলে ঢাকার হাজারীবাগ, লালবাগ, ধানমন্ডি ও কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি ঢাকাবাসীর জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে তুরাগ নদীতে যাতায়াত সহজ করবে এবং খরচ কমার কারণে পণ্য পরিবহনও সহজ হবে।
ডিএসসিসি জানায়, নান্দনিক ডিজাইনের পাশাপাশি চ্যানেলের দুই পাশে গড়ে তোলা হবে ওয়াকওয়ে ও আলাদা সাইকেল লেনসহ আধুনিক নানান সুযোগ-সুবিধা।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখলকারীদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে নির্দেশও দেন তিনি।
বিস্তারিত পরিকল্পনার পর ডিএসসিসি চ্যানেলটিকে দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রকল্প হাতে নেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চ্যানেলের দুই পাশে ১৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ ও সাইকেল লেন নির্মাণ করা হবে। রাজধানীর বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সেতু নির্মাণ করা হবে।
ডিএসসিসি জানায়, এ বিষয়ে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই ও পরিকল্পনা শেষে ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ডিএসসিসি। প্রথম পর্বের কাজ বর্তমানে চলমান।
তিনটি প্যাকেজের মধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় আদি বুড়িগঙ্গার প্রান্ত স্লুইস গেট থেকে ইসলামবাগ পর্যন্ত পলি, রাবিশ ও আবর্জনা অপসারণ করা হবে। এখানে ১২০০ মিটার খনন কাজ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান ইউএনবিকে বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল রক্ষায় শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) রেকর্ড অনুযায়ী উদ্ধার ও খনন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৮টি বিমানবন্দরের অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই: বেবিচক প্রধান
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল ও ভরাট করে নির্মাণ করা কারখানা ও বাড়িঘরের পানি বিদ্যুৎ গ্যাসসহ সব নাগরিক সুযোগ এখনই বন্ধ করে দেয়া এবং অবিলম্বে সব দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। সিএস রের্কড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ইউএনবিকে জানান, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখল করে অবৈধভাবে যেসব ভবন ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যে ডিএসসিসি, রাজউক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, জরিপ অধিদপ্তর চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত করা সেসব ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলতে মেয়র আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা অংশে আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ইউএনবিকে বলেন, ‘দখলদারদের নানাবিধ বাধা উপেক্ষা করেই বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখানে অনেক বাধা ছিল, অনেকগুলো মামলাও করা হয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশনে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি চলমান উদ্ধারকাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর।’
মেয়র বলেন, ‘মাত্র অর্ধশতাধিক বছরে আদি বুড়িগঙ্গা ভরাট হয়েছে ময়লা-বর্জ্য দিয়ে। এই প্রথম আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কাজটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দুরূহ। চারপাশ দখল করে এটাকে সংর্কীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা এটার প্রশস্ততা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান।’
শেখ তাপস বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। সেটার আওতায় আমরা কাজ আরম্ভ করেছি। এছাড়াও এরই মাঝে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি এবং নতুন করে প্রকল্প প্রাক্কলনের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নদীটাকে পুনরুদ্ধার করা এবং স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা। যাতে আর কেউ এটা দখল করতে না পারে এবং ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুযোগ না পায়। তাছাড়া নদীর দুই পাশ দিয়ে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর ব্যবস্থা করা হবে, যাতে করে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যাতে করে পর্যটকরা এখানে আসতে পারেন এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা
সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি’।
সোমবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীনের নেতৃত্বাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি শিরিন ম্যানশনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ইতোমধ্যে সেখানে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে।
আঞ্চলিক কমিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’-কে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটি এ ভবন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে বিস্ফোরণ একটি বড় দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, বিস্ফোরণে ভবনটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেজন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আঞ্চলিক কমিটি কর্তৃক ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা এবং 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' চিহ্নিত করে ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পুলিশ ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম ও আলামত সংগ্রহ চলছে। আলামত সংগ্রহ ও তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে ভবনটি নিয়ে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’- পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পুরানা মোগলটুলী স্কুল: ডিএসসিসি মেয়র
তাপস বলেন, প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘন্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি এবং সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র নয়টি জায়গায় ব্যতীত আর কোথাও পানি জমে থাকেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো, অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।
বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়ার পর থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী প্রত্যেক বছরই সকল নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। সে কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি। আমরা লক্ষ্য করি, এই নর্দমাগুলো প্রত্যেক বছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমনি বিভিন্ন ধরনের (গৃহস্থালি) সামগ্রী পাওয়া যায় তেমনি পয়:প্রণালী সামগ্রী-বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা মেয়র বলেন, আমাদের নর্দমাগুলোতে আমরা কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা পাওয়া যায় না। আমাদের নর্দমাগুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য। আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা দয়া করে এসব বস্তু আমাদের নর্দমায় ফেলবেন না।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি ১৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকার এক হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩’- উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় এক হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে তিন হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী এক লাখ ৯ হাজার ৫০০ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ (এক লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী পাঁচ লাখ ২০ হাজার জন শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ (দুই লাখ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান ডা. শামসুল কবির।
সভায় জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) লাইন ডিরেক্টরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গালর্স গাইড-রোভার স্কাউট-রোটারি ক্লাব, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প (ইউপিএইচসিএসডিপি), আবু মিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, মা ও শিশু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এনএইচএসডিপি) এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
৪০ বছর পর ১৫ একর জমি উদ্ধার করলো ডিএসসিসি
ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাস্তবায়িত জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টাদশ বোর্ড সভায় তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আবারও বর্ষা মৌসুম সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছর আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। যার যার এলাকায় খাল আছে-আপনারা দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে, একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে। কিন্তু কিছু সময় হয়তো অবহেলা হয়। ঠিকাদাররা এক থেকে দুই দিন কাজ করলো আবার হয়তো পরের দিন কাজ করলো না-এ ধরনের বিষয়ও মাঝে মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং আপনাদেরকে একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: দিনে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধে ডিএসসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে তাপস বলেন, আমরা সকল নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। কোথায় কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে তা আপনাদের নখদর্পনে আছে। অবশ্যই সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
খাল ও নর্দমা পরিষ্কার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে চলমান সকল উন্নয়ন কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য সব কাউন্সিলরকে সজাগ থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করিয়ে নেয়ার তাগাদা দিয়ে মেয়র বলেন, এতে করে ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার যেন মহত ব্রত আমাদের রয়েছে, তা পূর্ণতা পাবে।
এছাড়াও আজকের বোর্ড সভায় দুই বছর ছয় মাসের মেয়াদকাল অতিক্রম করায় স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশনের আইন, ২০০৯ এর ৫০(১) ধারা অনুযায়ী অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সভায় মেয়র সাধারণ আসনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমকে সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল সরদার এবং সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৪ নম্বর আসনের লাভলী চৌধুরী, ২০ নম্বর আসনের নাছরিন আহমেদ ও ১৭ নম্বর আসনের সাথী আক্তারকে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করলে কাউন্সিলররা তা একযোগে অনুমোদন দেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
রাজধানীর খাল-কালভার্ট পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত দুরূহ: ডিএসসিসি মেয়র
৪০ বছর পর ১৫ একর জমি উদ্ধার করলো ডিএসসিসি
বিগত ৪০ বছর ধরে বেদখলে থাকা ১৫ একর জমি উদ্ধার করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি ও সিটি পল্লীর এসব জমি বিগত ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভোগদখল করে আসছিল।
সেসব জমি উদ্ধারে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি ও সিটি পল্লীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এ সময় উচ্ছেদ অভিযান সার্বিক তদারকি করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
অভিযানে সিটি পল্লীর সম্মুখ ভাগ, তেলেগু কলোনির সম্মুখভাগ, ক্লিনার কলোনির প্রায় ৫০টি বাড়িসহ সব মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক অবৈধ স্থাপনা ও বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযানের এক পর্যায়ে কলোনিতে বসবাসরত বাসিন্দারাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মেয়রের নির্দেশনার আলোকে বেদখলে থাকা করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
এ ১৫ একর জমির মধ্যে কিছু অংশে তেলেগু সম্প্রদায়ের যেসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
বাকি অংশে করপোরেশনের জন্য অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে।
বর্তমানে উচ্ছেদকৃত অংশের বর্জ্য অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও মো. মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন।
অভিযানে অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার, করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসিতে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব
নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, এমআরটি'র সঙ্গে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন দুই যাত্রাপথ গুলো হলো- যাত্রাপথ-২৪ ও যাত্রাপথ-২৫।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘এরই মাঝেই এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটি'র সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দু’টি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন দু’টি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
মেয়র বলেন, ‘কিছু ব্যত্যয় আমরা লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে টিকিট না কেটে বাসে ওঠার একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেটা কোনভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে করা যাবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছে, তাদেরকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো। তারা যেন গাড়ি চালকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যে নিয়ম, যাত্রী ছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে উঠেন।
সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদেরকে সেবা দেবে। সেটা আজকের এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।
নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্সসিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় দিবো। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করব। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করব।’
২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথসমূহের গতিপথ:
২৪ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন আব্দুল্লাহপুর।
২৫ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর-বসিলা মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেইট-শাহিন স্কুল-মহাখালি (নিচ দিয়ে, ফ্লাইওভার হয়ে নয়)-কাকলি-বনানী উড়ালসেতু হয়ে রিজেন্সি-এয়ারপোর্ট - জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
নাগরিক ব্যবস্থাপনায় ধারণা বিনিময়ে ডেট্রয়েটের সঙ্গে ডিএনসিসি’র এমওইউ সই
উন্নত শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
এখন থেকে ডিএনসিসিকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। অন্য দিকে বাংলাদেশেরও উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারবে ডিএনসিসি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ডেট্রয়েট সিটি ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান ডিএনসিসি’র সঙ্গে ডেট্রয়েট নগরীর সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স কাউসার খান প্রমুখ।চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এই চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। শিগগিরই ডেট্রয়েটের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির সঙ্গে সমঝোতা সিস্টার সিটির স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'ডেট্রয়েট ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এই চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কিভাবে আমরা অধিক জনঘনত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘনত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ।'ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলোর খারাপ অবস্থা ছিল। তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা কিভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র কথা দিয়েছেন তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আসবেন। তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সময় সময় কথা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।'
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিনে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন আমাদের কাজকে ব্যাহত করছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ভূমিদস্যুদের খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারছি না। দখল এবং ভূমিদস্যুদের যে আগ্রাসন, এসব কার্যক্রম আমাদেরকে ব্যাহত করছে।
তিনি বলেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: সকল ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন খালের বাৎসরিক পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে নর্দমাগুলো গ্রহণের পর বার্ষিক সূচি করে বছরের প্রথম থেকেই (জানুয়ারি মাস থেকে) আমরা খালগুলো পরিস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকি। এ বছরে সে কার্যক্রম আজ হতে এখান থেকে আমরা শুরু করছি।
এছাড়া আমরা প্রতিনিয়তই এর বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, আমরা তো যথাযথ জরিমানা করছি। কিন্তু তারপরও আসলে যারা ভূমিদস্যু তারা নিবৃত্ত হয় না। যেখানেই যেটা অবৈধ দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
এছাড়া দখলমুক্ত করছি এবং জরিমানাও করছি।
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখানকার দখলদারিত্ব সম্পর্কে আমরা পত্রিকার দেখেছিলাম। পত্রিকায় দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিন্তু পুরোটাই দখলমুক্ত করেছি। দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ আমরা নিশ্চিত করেছিলাম।
কিন্তু আজকে যখন আবার মাত্র ছয় মাস পরে আমরা এখানে আসলাম, তখন দেখছি তারা এখানে স্থায়ীভাবে দখল করেছে। সুতরাং এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এটাকে আবারও দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেটা নিশ্চিত করার কথাও জানান মেয়র তাপস।
এরপরে মেয়র ৩৯ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গণশৌচাগার, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিউলেক্স মশক নিধন কার্যক্রম এবং ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা এলাকায় প্রান্তিক জনগণের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এবং ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস