ডিএসসিসি
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী রোগীর বাড়ির আঙ্গিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ (রবিবার) থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬০
প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি ও স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিস মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকাল বেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকালে আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।’
আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। শনিবার নতুন করে আরও ৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ৫৪ জন ঢাকা বিভাগের এবং বাকি ছয়জন ঢাকার বাইরের।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পর ঢাকা শহরে এডিস মশার আতঙ্ক বেড়েছে
সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২০ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৬ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৭০ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪৪৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের
রাজধানীর বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে নগরীর বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের কালুনগর স্লুইসগেট ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
পরিদর্শনকালে খালের ওপর একটি ১০ তলা ভবনের অংশবিশেষ এবং অন্যান্য বহুতল ভবন, দেয়াল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তাপস।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপস
নবনির্মিত ১০ তলা ভবনের শিয়ার ওয়াল খালে নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালে শিয়ার ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। খালে কোনো শিয়ার ওয়াল থাকবে না।’
অবিলম্বে দেয়াল ভেঙে ফেলার নির্দেশও দেন তিনি।
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে ডিএসসিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের পরিচালিত সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে আকস্মিক পরিদর্শনে যান তাপস।
৩ দিনে প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ
বিগত তিনদিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে অপসারণ করেছে।৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৮০টি ট্রিপের মাধ্যমে মোট ২০ হাজার ৬২৬.৩৪ মেট্রিক টন কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তরপূর্বক অপসারণ করেছে।এদিকে মঙ্গলবারও ডিএসসিসি এলাকার ৫৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে ৪, ৬, ৯-১১, ১৮, ২১, ৫২, ৫৯-৬১, ৬৩, ৬৬, ৬৭, ৭১, ৭২ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকী ৫৮টি ওয়ার্ডে ৯৩৫টি কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব পশু জবাই করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.১০মিনিট নাগাদ সকল ওয়ার্ড থেকে ঈদের তৃতীয় দিনে জবাই করা কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম দিনে মাত্র সোয়া ১১ ঘন্টায় সকল ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
পবিত্র ঈদুল আযহায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণ ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তর করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মোট ২ হাজার ৩৭০টি ট্রিপের মাধ্যমে এ বর্জ্য স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
এতে বলা হয়, দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে গত রাত সোয়া ১টার মধ্যে প্রথম দিনের কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান তাপসের
ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করি যে, অনেকেই ঈদের তৃতীয় দিনে কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। আমরা বিনীতভাবে নিবেদন করছি -তৃতীয় দিনের অপেক্ষায় যাতে কেউ না থাকেন। ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই যেন সকলেই কোরবানি সম্পন্ন করেন। কারণ বর্জ্য অপসারণে আমরা একটানা দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা কাজ করব। সেজন্য তাদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে, ঈদের ছুটির প্রয়োজন রয়েছে।’
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ঢাকাবাসীকে এই আহ্বান জানান মেয়র।
কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বরাবরের মতোই এবারও বিশাল কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘কোরবানির পশুর বর্জ্য এবং হাটের বর্জ্য -- সবমিলিয়ে আমরা বিশাল এক কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থাকি। সেই প্রস্তুতি আমরা এরই মাঝে সম্পন্ন করেছি। ’
তিনি বলেন, আজ রাত ১১টা থেকে হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আরম্ভ হবে। আগামীকাল কোরবানির পর দুপুর ২টা থেকে আমরা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আশাবাদী, পূর্বের ন্যায় এবারও সকল বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে সক্ষম হবো।
মেয়র বলেন, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামীকাল সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
এ সময় তিনি ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের অনুরোধ করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির পরিবহন মহাব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিথুন চন্দ্র শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
ঢাকাকে স্মার্ট সিটি করতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ডিএসসিসি: তাজুল
ঢাকাকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট সিটিতে পরিণত করার লক্ষ্যে ৩০ বছর মেয়াদী সমন্বিত মহাপরিকল্পনা (২০২০-২০৫০) প্রণয়ন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার সংসদে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় মহাখালী বাস টার্মিনাল ভেঙে তা পুনর্নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিআরটি লাইন-৩ এর করিডোর সড়কও উন্নত করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আবারও 'অস্বাস্থ্যকর'
আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পুরাতন চ্যানেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রকল্প নেয়া হবে।
ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার উভয় সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার।
অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা: প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নেপিদোকে আহ্বান ঢাকার
তাই ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশি এবং চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান এলজিআরডি মন্ত্রী।
সকল ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে একটি গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
এসময় মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল; বিশেষ করে যে সকল জায়গায় গণপরিসর ও মানুষের আনাগোনা বেশি সে সকল স্থানে যেন পর্যাপ্ত গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। সেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ে ন্যূনতম যেন একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যায়। পরবর্তীতে আমরা জরিপ করে আরও চাহিদা অনুযায়ী সেটাকে বৃদ্ধি করব। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।’
অর্থ অপচয় না করেই ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে পুরুষ ও নারী আলাদা আলাদাভাবেই গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারবে। এটি অত্যন্ত নিয়ম ও শৃঙ্খলা অনুযায়ী পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমাদের চলমান একটি প্রকল্প হতে অর্থ সাশ্রয় করে আমরা এই কাজটি করেছি। সুতরাং অর্থের অপচয় রোধ করেই যেন সঠিকভাবে জনগণের কল্যাণ হয়…সে দিকটা আমরা নজর দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা প্রদান নির্বিঘ্ন রাখতেও সজাগ রয়েছি।’
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
নগরে ছিন্নমূল মানুষদের সুবিধা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেটা র্যাব দখল করে আছে। আমরা অনুরোধ করেছি সেটা ছেড়ে দিতে। কিন্তু এখনও তারা দখল ছাড়েনি। এছাড়াও ভবঘুরে এবং ছিন্নমূলদের পূর্নবাসনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এর আগে মেয়র রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ও পরে নগরীর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫ জন নারীর প্রত্যেকের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো ও অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে মো. সুলতান মিয়া, মাসুম মোল্লা, মো. খায়রুজ্জামান খাইরুল, শফিকুল আলম শামীম, মো. জিয়াউল হক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্য মিনু রহমান, নাজমা বেগম, সেলিনা খাঁন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালকুঠি-রূপলাল হাউজ পর্যন্ত লঞ্চ টার্মিনাল সরানোর আহ্বান তাপসের
ঢাকার নতুন তিন রুটে ২২৫টি বাস চালু করা হবে: মেয়র তাপস
এবারের বর্ষায়ও ঢাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, নেই কোনো স্থায়ী সমাধান
বর্ষা আসার সাথে সাথে ঢাকাবাসী প্রতিবছরই জলাবদ্ধতার সমস্যায় পড়ে। মেগা সিটির দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এখনও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের রাস্তা থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা নেয়া উচিত ছিল।
দুই সিটি করপোরেশনের দাবি, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন, বক্স কালভার্ট নির্মাণ ও খাল ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বছর জলাবদ্ধতা কম হবে।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে কয়েকজন নগরবাসী আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. রহিমুল্লাহ বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এই রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়বে কারণ বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এগুলো জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।’
মালিবাগ এলাকার গৃহবধূ মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে তেজগাঁও যেতে হবে। সেখানে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে এবং নির্মাণ কাজের কারণে পুরো এলাকাটি দুর্গম হয়ে পড়েছে।’
জলাবদ্ধতার কারণে আসন্ন বর্ষায় সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনর পদক্ষেপ
এবারের বর্ষায় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪৬টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০৪ ও উত্তরের ৪২টি। এসব স্থানে বিগত বছরগুলোয় বৃষ্টির পানি জমেছিল। তার আলোকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানায়, জলাবদ্ধপ্রবণ ১০৪টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯টির বেশি স্থানের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে কিছু অংশের কাজ চলছে। এছাড়া জলজট নিরসনে ড্রেন, বক্স কালভার্ট ও খাল পরিষ্কারের কার্যক্রম চলছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির অতিরিক্ত জলাবদ্ধতাপ্রবণ ৩২টির বেশি এলাকা মতো। পল্টন, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল,গোপীবাগ, কমলাপুর, টিকাতলী, আগাসাদেক রোড, আগামাসি লেন, আব্দুল হাদি লেন, ইস্কাটন রোড, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা, বাংলাদেশ সচিবালয়, ইস্কাটন রোড, নিউমার্কেট, বাটা মোড়, ধানমন্ডি ঈদগাহ রোড, ঝিগাতলা, নাজিম উদ্দিন রোড, নবাবগঞ্জ পার্ক, আজিমপুর, কে এম দাস লেন সংলগ্ন রাস্তা, আরকে মিশন রোড ও অভয়দাস লেন গোপীবাগ বাজার রোড ও পুরান ঢাকার কিছু এলাকা।
অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা যায়, গত বছর জলাবদ্ধপ্রবণ ১০৩টি স্থান ছিল। এবার এসব স্থানের মধ্যে ৬১টির সংস্কার করা হয়েছে। বাকি ৪২টি স্থান সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ড্রেন ও খালের পরিষ্কারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত জলাবদ্ধ এলাকা প্রায় ৩০টির মতো- মিরপুর-১০, মিরপুর-১৩, মিরপুর সাংবাদিক কলোনি এলাকা, মিরপুর কালশী, বিমানবন্দর সড়কের আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী পর্যন্ত, শহীদ আব্দুর ওয়াব রোড, মিরপুর শেওরা পাড়া, কাজী পাড়া, মনিপুর, মধুবাগ, বাংলামোটর, মালিবাগ, মোহাম্মদপুর লালমাটিয়, কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবন সংলগ্ন এফডিসি এলাকা পর্যন্ত, নাখালপাড়া, নিকুঞ্জ-১, ২, গ্রীন রোড, তে বসুন্ধরা সিটির পিছনে তেজতুরি বাজার, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কুড়িল, বাড্ডা ও কুড়িল নতুন বাজার এলাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ (অতিরিক্ত সচিব) ইউএনবিকে বলেন, গত বছর দক্ষিণ সিটিতে ১০৪টি স্পটে পানি জমাট থাকতো। এই জায়গা গুলো চিহ্নিত করে এবার সংস্কার কাজ করেছি। ১০৪টির মধ্য ৫টি স্পট বাকি আছে। এই স্পট ১৯ মের মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া ১৫ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার করেছি। আমরা আশা করছি এবার বর্ষায় গতবারের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
পড়ুন: কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে আরও বিস্তৃত পরিসরে বাজার তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নির্দেশনা দেন।তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এরই মাঝে আইন অনুযায়ী প্রথমবারের মতো 'বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ' বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করেছে। এই স্থায়ী কমিটি ইতোমধ্যে অনেকগুলো মার্কেট ও কাঁচা বাজার পর্যবেক্ষণ এবং অভিযান পরিচালনা করেছে। সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঢাকা জেলা প্রশাসনসহ যে সকল সংস্থা বাজার মূল্য ও কার্যক্রম তদারকি করে থাকে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের স্থায়ী কমিটি পবিত্র রমজান মাসে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বাজার মূল্য তদারকি কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীমূল্য তালিকা অনুসারে দ্রব্যমূল্যের বিক্রয় নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর হতে বাজারগুলোতে পণ্যের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে মানা হয় না। এছাড়াও কোনও ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়াই হঠাৎ দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম কাম্য হতে পারে না।’ব্যারিস্টার তাপস এ সময় স্থায়ী কমিটিকে তালিকা অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য বিক্রয় নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।সভায় মৌলভীবাজার কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ দক্ষিণ সিটির আওতাধীন বিভিন্ন কাঁচা বাজার/ মাছ-মাংসের বাজার সমিতি, বাংলাদেশ চিনি ব্যাবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডাল ব্যাবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ পাইকারী ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ মাংস ব্যাবসায়ী সমিতি, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যাবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিবরা অংশ নেন।মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ' বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিভাগ ও জেলা প্রশাসন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাজার মনিটরিং বিষয়ক দক্ষিণ সিটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পথচারীবান্ধব শহর উপহার দিতে কাজ করছে ডিএসসিসি: মেয়র তাপস
ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে প্রায় এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা আয়ের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত শেষে রবিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অনুসন্ধানে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে দুদকে জমা দেয়া হিসাব বিবরণীতে ইউসুফ সরদার এক কোটি ৯৫ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত