ডিএসসিসি
সব সংস্থাকে নিয়ে উন্নত ঢাকা গড়বো: মেয়র তাপস
সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর সমন্বিত মহাপরকিল্পনা (২০২০-২০৫০) প্রণয়ন র্শীষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় ও র্কমশালায় ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, এরই মাঝে বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সংস্থা যে সকল পরিকল্পনা নিয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটি উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্ন পূরণে সকলে সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, ৩০ বছর মেয়াদী একটা রূপরেখা প্রণয়ন করা। যে সকল মহাপরিকল্পনা এরই মাঝে গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে এবং সেই রূপরেখার আওতায় আমরা পথ চলব। একসাথে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে।
এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারো সাথে কোন সংঘর্ষ নেই জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সকলের সাথে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যাবো। আমাদের সকলেরই অভীষ্ট লক্ষ্য একটি। সেটি হলো - জনকল্যাণমূলক কাজ করা, জনগণকে সেবা দেয়া এবং ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে রূপকল্প দিয়েছেন তার আলোকে উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতেই এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা এখন বিশ্বাস করি যে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব এবং সেই লক্ষ্যে কাজগুলো এগিয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা যখন ঢাকা শহরের দিকে তাকায়, তখন আমরা লক্ষ্য করি সেই তুলনায়, সেই গতিতে ঢাকা শহর এগিয়ে যেতে পারেনি।
শেখ তাপস বলেন, আপনাদের সুচিন্তিত প্রাথমিক মতামত এসেছে। সেটি অত্যন্ত জ্ঞান-গর্ভ, আমাদেরকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা প্রত্যেকটি সংস্থার সাথে আলাদা আলাদাভাবে বসব। একটি আধুনিক শহরের অনেকগুলো উপাদান আছে। সেগুলো হয়তো আজকে উপস্থাপন করা হয়নি কিংবা আলোচনায় আসেনি। কিন্তু তারপরও সে সকল উপাদান সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সুচারুরূপে আলাপ করব।
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাশিদুর রহমান, বিটিসিএল মহাপরিচালক ড. রফিকুল মতিয়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদশে রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ
ডিএসসিসি’র ৩ কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র নির্বাচিত
এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৩ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটির ১১ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বোম্বে সুইটসসহ ২৩ ভবনকে তিন লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর সিদ্ধেশ্বরীতে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর খিঁলগাওয়ে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর আজিমপুরে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর মানিকনগরে মুহাম্মদ হাসানাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৬ এর ইমামবাগ ও জোরভিটায় শাহীন রেজা, অঞ্চল-৮ এর ডগাইর পশ্চিম পাড়ায় কাজী হাফিজুল আমিন, অঞ্চল-৯ এর মাতুয়াইলে বিকাশ বিশ্বাস এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর এলিফ্যান্ট রোডে মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৪ এর ইমামগঞ্জে মো. হায়দার আলী এবং অঞ্চল-১০ এর কদমতলি এলাকায় মো. মামুন মিয়া এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো এ সময় ৩৯৪টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং বম্বে সুইটসসহ মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে সর্বমোট তিন লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘আজকের অভিযানে আমরা বোম্বে সুইটসের কারখানার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পেয়েছি। তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৪৩আগামীকালও ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।অভিযানের পাশাপাশি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজকের মধ্যেই কোরবানি শেষ করুন: মেয়র তাপস
আজকের(বৃহস্পতিবার) মধ্যেই কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার দুপুরে 'কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি' বিষয়ে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এই অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা আজকের মধ্যেই কোরবানি দেওয়া বা পশু জবাই শেষ করুন। আমাদের বিশাল জনবল নিরবিচ্ছিণ্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদেরকে একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।’
আরও পড়ুনঃ কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
তিনি আরও বলেন, ‘নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসুন। বাস্তবতা হলো - আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি - বিভিন্ন জায়গায় নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়।’
এ সময় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন কোরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে মেয়র জানান। মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর প্রতি নিবেদন করব, আপনারা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন, কোরবানি দেবেন। আমাদের পরিচ্ছন্ন-কর্মী, বর্জ্য সংগ্রহকারীর বিশাল জনবল আজ থেকে কাজ করবে। আপনাদের কোরবানির বর্জ্য তাদের হাতে দেবেন, যাতে করে আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহর থেকে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারি। একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী যেন ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র ৩ কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র নির্বাচিত
মেয়র বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় আজ দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক!’
উল্লেখ্য, নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের খতিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ অগাস্ট কাল রাতে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জাতীয় মসজিদের খতিব এ সময় করোনা ভাইরাসের কবল থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনায় প্রার্থনা এবং দেশবাসীর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান এবং ডিএসসিসির মেয়রের দুই ছেলে শেখ ফজলে নাওয়াল ও শেখ ফজলে নাশওয়ান প্রমুখ মেয়রের সঙ্গে ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে আবার এলো ঈদ
যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিগগরই দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। মানুষকে বার বার এসব বিষয়ে সচেতন করার পরও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি করপোরেশন ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে এবং তারা অভিযান পরিচালনা করবে।’
তাজুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত অথবা ব্যবহার করা ভবন যেখানেই হোক পানি জমিয়ে রেখে এডিস মশা প্রজননে ভূমিকা রাখলে আইন আনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোন অধিকার আমার, আপনার কারোরই নেই।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব, ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোন অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ তিন দিনের বেশি জমানে পানিতে মশা প্রজনন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
‘নির্মাণাধীন এবং পরিত্যক্ত ভবনই হচ্ছে এডিস মশার প্রধান ঊর্বর জায়গা । এসব জায়গায় জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা দশ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় আড়াই শো গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর মারাত্মক ভয়াবতার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এ বছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হবে।
তিনি বলেন , সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
উভয় সিটি করপোরেশনের মেয়র অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, এখন দরকার মানুষের সচেতনতা। সচেতন না হলে প্রতিরোধ করা কঠিন হবে। শুধু অভিযান চালিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে । নগরীর বাসীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগ আতঙ্ক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে ৪৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ মাসের ৭ জুলাইয়ের পর্যন্ত সর্বমোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরবাসীকে সচেতন এবং এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিনব্যাপী মশক নিধন চিরুনী অভিযান পরিচলনা করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তারকে রোধ করতে হবে।’
এ দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ইউএনবিকে বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হবে । কারণ বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখছি, হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সুতরাং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমাদের তদারকি আরও বৃদ্ধি করা হবে । আপনাদের নেতৃত্বে গতবারের ন্যায় ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও সফল হব।’
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
তাপস বলেন, দু'টো বাসার মাঝখানে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে দেখা যায় ,এসব জায়গায় বিভিন্ন পাত্র-সামগ্রীর মধ্যে পানি জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের কাছে একটি ডাটা বেজ আছে কাদের বাড়িতে গত বছর লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। এসব বাড়ির মালিককে আমরা এসএমএস দিয়ে সতর্ক করেছি।
এদিকে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন ৪৮ ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৭৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭৮ এবং ঢাকার বাইরে একজন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও তার মা, স্ত্রী, বোনের আটটি ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল
রোববার তদন্তের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপ পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের অবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত এই নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
সোমবার দুদকের এক সূত্র জানান, দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবেসাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনটি ব্যাংক হিসাবসহতার মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফেরআটটি ব্যাংক জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘সরকার আগামীকাল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আমাদের ওপর কিছু দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে আমরা আগামীকাল থেকে মাঠে নামব।’
রবিবার সন্ধ্যায় ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ‘শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
করপোরশেনের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো চলমান থাকবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘যেহেতু সিটি করপোরেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজই অত্যাবশ্যকীয়, সুতরাং, আমাদের কাজ চলমান রাখতে হবে।’
বৈঠকে ডিএসসিসি'র কাউন্সিলররা অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে নিজ নিজ করণীয় সম্পর্কে অবগত হন।
এ সময় তাপস বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, আমাদের অনেক কাউন্সিলর এরই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুতরাং, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দূরত্ব বজায় রেখে আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।’
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মাঠ পর্যায়ে সরকারের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আমরা সবাই মিলে ধৈর্য সহকারে কষ্টের এই সময়টা অতিক্রম করব। এতেই সকলের মঙ্গল নিহিত আছে, সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে, ইনশাআল্লাহ।’
বৈঠকে সরকার ঘোষিত শর্ত সাপেক্ষে স্বাভাবিক কার্যাবলি- চলাচল নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা রাখা, শপিং মল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আগামীকাল থেকে ডিএসসিসি'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ ডিএসসিসি'র ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো মাঠে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন দোকান বন্ধে তাপসের আহ্বান
বৈঠকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, গত বছর আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সফলতা পেয়েছি। সেই সফলতা ধরে রাখতে এ বছর আমাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য আপনাদেরকে এ বছর আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ হতে মুক্তি দিতে তদারকি বাড়াতে হবে। তাই, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করুন।’
রবিবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিয়মিত সাপ্তাহিক মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় ডিএসসিসি মেয়র সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।
মেয়র তাপস এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত প্রাক-বর্ষার (প্রি-মনসুন) জরিপ অনুসরণপূর্বক যেসকল ওয়ার্ড ও এলাকায় মশার ঘনত্ব বেশি রয়েছে, সেসব এলাকাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ডিএসসিসি মেয়র ব্যক্তিগত স্থাপনা হতে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদারের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: তাপস
ঢাকাবাসীকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন। কারণ এই মশার প্রজননস্থল আমাদের সকলের নিজ আবাসস্থল ও বসতবাড়ির চারপাশ। তাই নিজেদের আবাসস্থলের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। একই সাথে কোন পাত্রে দীর্ঘদিন ধরে যাতে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করবেন। পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাও এ বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন দোকান বন্ধে তাপসের আহ্বান
সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
সাম্প্রদায়িক শক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এখনো বিরাজমান। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। সুতারাং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।'
শুক্রবার সকালে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের সংগ্রাম-স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুফলও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। কিন্তু আমাদের সেই মুক্তির সংগ্রাম এখনো চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: তাপস
আজকের দিনটি পুরো জাতির জন্য আনন্দের দিন উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, 'আজ আমাদের অত্যন্ত আনন্দের দিন। আজ দেশব্যাপী সবাই খুব আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। এই দিনটি আমরা অত্যন্ত আনন্দঘন মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছি।'
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ বীর শহীদ ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করা ২ লাভ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাপস বলেন, 'আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা এখনো জীবিত আছেন, যারা সেদিন রণাঙ্গণে নিজেদের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, আজকের দিনে আমি তাদের প্রতি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, সম্মান প্রদর্শন করছি।'
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা দখলমুক্ত করা হবে: মেয়র তাপস
পরে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের চেয়ারম্যান হিসেবে নগর ভবনে এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ বিভিন্ন করপোরশেনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতারা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জমি অধিগ্রহণ করে হলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ হবে: মেয়র তাপস
রাত ৮টার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন দোকান বন্ধে তাপসের আহ্বান
করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে দুটো নিবেদন করব। যেহেতু করোনা মহামারিতে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সুতরাং, রাত ৮টার মধ্যে অবশ্যই সকল দোকানপাট, সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন।’
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: তাপস
সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার নগরীর গোপীবাগস্থ বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে ফ্লাইওভারের নিচের জায়গা দখলমুক্ত করা হবে: মেয়র তাপস
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, ‘আমরা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমরা চাই, রাত ৮টার মধ্যে সব বন্ধ হলে সংক্রমণও কমে আসবে এবং আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মো. খায়রুল বাকের উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জমি অধিগ্রহণ করে হলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ হবে: মেয়র তাপস