শেরপুর
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কীটনাশক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার মো. গোলাম হোসেনের ছেলে মো. তছলিম উদ্দিন ওরফে তছু।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মো. ফারুক হোসেন ও উপজেলার ছোট টুনিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মো. আব্দুল আলিম।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাসিমুল করিম হলি জানান, গত ২০১৭ সালের ১২ জুন জেলার শেরপুর উপজেলার আলতাদিঘী এলাকার বোডের হাট তিন মাথা মোড়ে মেসার্স আঁখি ও রাফি ট্রেডার্সের কীটনাশক ব্যবসায়ী চণ্ডেশ্বর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমানকে চাকু ও স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে আনিছুর মারা যান।
নিহত আনিছুরের মা আনোয়ারা বেওয়া বাদী হয়ে বগুড়ার শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই ঘটনার পরদিন ১৩ জুন আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
বাদী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের একটি কাঠের গাছের বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিক মিয়া (৬০) ওই ইউনিয়নের প্রতাবিয়া গ্রামের মৃত শাহ ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের চারদিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে রফিক মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। রফিক মিয়ার প্রতিবেশি ওমেদ আলী ও আঙ্গুর মিয়া গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে নিহতের পরিবার।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহতের মাথায়, গলায় ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ফসলের খেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেরপুর- বনগাঁও সড়কের সদর উপজেলার তাতালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের দোকান কর্মচারী রফিক মিয়া ও তার ছেলে রাব্বি মিয়ার পরিচয় জানা গেলেও অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আহত তিনজনকে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হতাহতরা সবাই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাব্বিকে ডাক্তার দেখিয়ে শেরপুর থেকে নালিতাবাড়ীগামী একটি সিএনজি অটোরিক্সায় নালিতাবাড়ীর দোহালিয়া এলাকায় যাচ্ছিলেন রফিক মিয়া। সেই সিএনজিতে চালকসহ ছয়জন ছিলেন। সদর উপজেলার তাতালপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘষে সিএনজি যাত্রী ছয়জনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনার পথে তিনজনের মৃত্যু হয়। অপর তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় আরও তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল দুর্ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের সহকারী নিহত, আহত ৩
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি-দাওধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল আলম (৩০) নয়াবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাটাবাড়ি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে বলে জানা যায়।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থানরত বন্য হাতির দল দেখতে যান শফিকুল আলম। সেসময় তারা হাতির কাছাকাছি চলে গেলে দলের একটি হাতি তাদের তাড়া করে। একপর্যায়ে শফিকুলকে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে হাতিটি আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে বন্যহাতির দল ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন থেকে বন্য হাতির একটি দল নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ি টিলায় অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, গত আট মাসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত জনপদে বন্যহাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে নালিতাবাড়ী সীমান্তেই মারা গেছেন তিনজন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুরে জয়িতা সম্মাননা পেলেন ১০ নারী
‘সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি’-এমন শ্লোগানে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে শেরপুরে ১০জন সফল নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবসে শেরপুরে জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ে ১০ কৃতি নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা
জেলা পর্যায়ে সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ফারজানা ববি, শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী রেনিতা নকরেক, সফল জননী আশরাফুন্নিসা মুসলিমা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা দিলশাত জাহান ডালিয়া এবং সমাজসেবায় অবদান রাখা স্বেচ্ছাসেবী সোহাগী আক্তার।
এছাড়া সদর উপজেলায় একইভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননাপ্রাপ্ত পাঁচ জয়িতা হলেন, শারমিন রিমা, মঞ্জুয়ারা বেগম, রেশমা বেগম, দিলশাত জাহান ডালিয়া ও সোহাগী আক্তার।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফল কবীর-এর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম ফাতেমা, নারী নেত্রী আইরিন পারভীন, ব্র্যাক প্রতিনিধি ফারহানা মিল্কি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় জেলা পর্যায়ে জয়িতা সম্মাননা পেলেন ৫ নারী
জয়িতা ফাউন্ডেশন চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এর পর্দা নামল
শেরপুরে ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়িসহ আটক ৩
শেরপুরে নিখোঁজের চারদিন পর ভাড়াবাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়া থেকে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গৃহবধূ রোকসানা বেগম (৩৫) এবং তার ছেলে রাফিদ (১১)। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী মাসেক আলী ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের নবীনগর পানাইতাপাড়া এলাকার মাদকাসক্ত অটোচালক মাসেক আলী তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের সিংপাড়া এলাকার বাসেদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। বাসেদ মিয়া ঢাকায় চালের ব্যবসা করেন। গত ৪ ডিসেম্বর মাসেকের স্ত্রী রোকসানা বেগম ও বড় ছেলে রাফিদ নিখোঁজ হন। এ নিখোঁজের ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম ৭ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
এদিকে, মাসেক মাদকাসক্ত হওয়ায় স্ত্রী-ছেলে নিখোঁজের দুই দিন পর রহস্যজনকভাবে শহরের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় ভর্তি হন। এদিকে, সদর থানা পুলিশ ওই সাধারণ ডায়রির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার মাসেক মিয়াকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের সিংপাড়া এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে বাড়ির ল্যাট্রিনের কুয়ার ট্যাংকি থেকে পুলিশ মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মৃত রোকসানার স্বামী মাসেক, শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, মাদকের নেশার টাকা নিয়ে ঝগড়ার ফলেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শেরপুর সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া জানিয়েছেন, মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের পুরো বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রোকসানা বেগম একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নার্সের কাজ করতেন। তার বাবার বাড়ি শহরের খরমপুর টিক্কাপাড়া মহল্লায়। রোকসানা বেগম তার স্বামী, দুই ছেলে রাফিদ ও অর্নবসহ দীর্ঘদিন যাবত শহরের সিংপাড়া মহল্লার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসেক আলী স্ত্রী-পুত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করায় মা-ছেলের লাশ ওই ল্যাট্রিনের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ও কেনো হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার বাগান থেকে ২ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
শেরপুরে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা, যুবজাগরণে শেরপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জন উদ্যোগ যুব ফোরাম।
শুক্রবার(২৫নভেম্বর)রাতে শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলায় বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়ের মাধ্যমে দেশপ্রেম, যুব শক্তির বিকাশ এবং পারষ্পারিক সহমর্মিতার বার্তা দেয়। সেইসঙ্গে মাদক মুক্ত সমাজ গঠন, বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বক্তব্য দেয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুসালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরো এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন । জন উদ্যোগ যুব ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে পৌরমেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, অতিরিক্তপুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, জন উদ্যোগ আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন। অন্যদের মাঝে জেলা জাসদসভা পতি মনিরুল ইসলাম লিটন, কবি-লেখক জ্যোতি পোদ্দার, কবি সাংবাদিক রফিক মজিদ, জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদিকা আইরীন পারভীন, উদীচী জেলা কমিটিরসহ-সভাপতি মো. এসএম আবু হান্নান, মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আজ রাধারমণ সংগীত উৎসব
শেরপুরে বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশের মামলা
শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০-২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গ্রেপ্তারদের ২৩ নভেম্বর বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশ সহ অন্তত ২১ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের লাশ দাফনে কবরস্থান নির্মাণের ঘোষণা শেরপুরের এসপির
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ফেনীতে পুলিশের গায়েবি মামলায় সাংবাদিকের কোমরে রশি!
ফেনীর পুলিশের দেয়া গায়েবি মামলায় এস এম ইউসুফ আলী নামে এক সাংবাদিককে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা হয়। এ নিয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
আদালত জানায়, ইউসুফ আলীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ইউসুফ দৈনিক অধিকারের ফেনী ব্যুরো চিফ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফেনী রিপোর্ট এর সম্পাদক।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার গাঁজার গাছসহ আটক ১
তিনি দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ইউসুফ আলীর মামলার কৌঁসুলি এম শাহজাহান সাজু জানান, ফেনীর সাবেক পুলিশ সুপার প্রতিহিংসাবশত ২০১৯ সালে সাংবাদিক ইউসুফ আলীসহ চারজন সাংবাদিককে জেলার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় হয়রানিমূলকভাবে চার্জশিটে যুক্ত করেন। এসব মামলার এজাহারে তাদের কারোই নাম ছিল না। পরবর্তীতে সবকটি মামলায় তারা জামিন লাভ করে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।
ছাগলনাইয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় ভুলক্রমে হাজিরা দিতে না পারায় ইউসুফ আলীর জামিন বাতিল হয়। পুলিশ সোমবার রাত দেড়টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়।
এদিকে ইউসুফ আলীর গ্রেপ্তারের খবরে ফেনীতে গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
দাগনভূঞা থানা পুলিশ তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসায় সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে এভাবে ধরে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা ন্যাক্কারজনক। এটা সাংবাদিকতা পেশার প্রতি অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জসিম মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণির অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এ ধরনের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ফেনী শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট লক্ষণ বণিক বলেন, ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশে সাংবাদিকদেরকে মামলায় জড়িয়েছেন।
একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে এভাবে অপদস্ত করা কোনভাবেই আইনসম্মত নয়।
সাংবাদিক ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে রশি বেঁধে আদালতে পাঠানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, কোমরে রশি বেঁধে আনার বিষয়টি তার অগোচরে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়মানুযায়ী গ্রেপ্তার সাংবাদিককে আদালতে পাঠিয়েছে বলে তিনি জানান।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, অতিরিক্ত সতর্কতা স্বরূপ আসামির কোমরে রশি লাগানো হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সাংবাদিক জানা ছিল না। যখন জেনেছি, তখন রশি সরিয়ে নিতে বলেছি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি কর্মী আটক
পাসপোর্ট অফিসে নারীকে রুমে আটকে সাদা কাগজে সই, পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে শনিবার রাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত রবিজল মিয়া (৬১) টিলাপাড়া গ্রামের সমর শেখের ছেলে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে উপজেলার তাওয়াকুচা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, রবিজল গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতির পাল তাড়াতে গেলে বন্য হাতি আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে কি না তা নির্ভর করবে নিহতের পরিবারের ওপর।
আরও পড়ুন: শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১