শেরপুর
শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
শেরপুরের শ্রীবরদীতে শুক্রবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
নিহত ইসমাইল হোসেন শ্রীবর্দী উপজেলার বাবরচর বলদিয়াপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ ঘর ভস্মীভূত!
শ্রীবর্দী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, রাত ৮টার দিকে ইসাহাক আলীর গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর আগুনের টিবি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে এবং আশপাশে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্পিনিং মিলে আগুন, দগ্ধ ১
তিনি জানান, এ সময় বাড়ির লোকজন বের হতে পারলেও শিশুটি ঘরের ভেতর আটকা পড়ে। আগুন নেভানোর পর দমকল বাহিনীর কর্মীরা বাড়ির থেকে দগ্ধ ছেলেটির লাশ উদ্ধার করে।
পুকুর থেকে ফুটবল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শেরপুরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় মাঠের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যাওয়া বল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুনায়েম ইসলাম মিশুক পাশ্ববর্তী গণই মমিনাকান্দা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। সে শেরপুর সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে নিজাম উদ্দিন আহমেদ কলেজ মাঠে মুনায়েম ইসলাম মিশুক বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় ফুটবলটি মাঠের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ফুটবলটি পুকুর থেকে তুলতে গিয়ে মিশুক পানিতে লাফ দেয়। কিন্তু অনেকক্ষণ পরও পুকুর থেকে সে না ওঠায় স্থানীয়রা পুকুরে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে শেরপুর দমকল বিভাগে খবর দেয়। পরে দমকল বিভাগের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুকুর থেকে মিশুকের লাশ উদ্ধার করে।
শেরপুর দমকল বিভাগের স্টাফ অফিসার এএসএম মহসিন জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টার পর পুকুর থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মো. নাহিদ হাসান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু
গোসল করতে নেমে কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
নকলায় ‘প্রেমিকে’র ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রী খুন, বাবা আহত
শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা এলাকায় কথিত প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে সোহাগী আক্তার (২২) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে এ ঘটনায় তার বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত শহিদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর পরই স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ আরিফুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে।
আটক আরিফুর রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনের জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নকলা সরকারি হাজী জালমামুম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী আক্তারের সঙ্গে গত রমজান মাসের দিকে মোবাইল ফোনের কথোপকথনে নারায়ণগঞ্জের ছেলে আরিফুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আরিফুল নারায়ণগঞ্জ থেকে রবিবার রাতে শেরপুরে নকলার কায়দা এলাকায় আসে এবং সোহাগী আক্তারদের বাড়ির রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকে। সোমবার ভোরে সোহাগীর বাবা শহিদুল ইসলাম ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হলে আরিফুল ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতারিভাবে আঘাত করে। এসময় চিৎকারে সোহাগী আক্তার এগিয়ে গিয়ে বাঁধা দিলে তাকেও আরিফুল ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে। বাবা-মেয়ের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটি যায় এবং বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক সোহাগী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা শহীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আরিফুলকে আটক করে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘দেবরের হাতে’ ভাবি খুন
বন্যা: আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪
শেরপুর ও হবিগঞ্জে বন্যার কারণে ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল পর্যন্ত) আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তারা দুজনই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
১৭ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে রবিবার ১১টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
বন্যা কবলিত মোট ৭০টি উপজেলার মধ্যে সিলেট বিভাগে ৩৩টি, রংপুর বিভাগে ১৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ১০ ও ৯টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
মোট এক হাজার ৯৪৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং দুই হাজার ৫১টি মেডিকেল টিম বন্যার্ত মানুষজনকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে সিলেটে কিশোরের মৃত্যু
বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ৩ জনকে হত্যা: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
শেরপুরে শ্রীবরদীতে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিন জনকে হত্যার ঘটনার দা-চাকুসহ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মিন্টু মিয়া একই উপজেলার গেরামারা গ্রামের হাই উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষ, গেটম্যান গ্রেপ্তার
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইতোপূর্বে ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহৃত বোরকাটিও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে মিন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ছয় জনকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত অপর তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা, স্ত্রীসহ নিহত ৩
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বৃহস্পতিবার বোরকা পরা এক ব্যক্তির শ্বশুড় বাড়িতে হামলা চালালে তিন জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুতল গ্রামের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই গ্রামে মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগম (৪০), স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০) এবং মৃত নুর জামালের ছেলে মাহমুদ হাজী (৬৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী জানান, স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বোরকা পরে মিন্টু মিয়া শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন জনকে গলা কেটে এবং আরও তিন জনকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে মিন্টু মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১৩
গুরুতর আহত অপর তিন জনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এখনও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসপি নাহিদ।
বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে শুক্রবার বজ্রপাতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরে একদিনে বজ্রপাতে নিহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলার কাঁকরহাটি গ্রামের সৈয়দ মিয়া (১২), স্বাধীন (১১) ও শাওন (৭) ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া ময়মনসিংহ সদরের বালাপাড়ায় একটি জলাশয়ে মাছ ধরারকালে বজ্রপাতে দুই জেলে নিহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতরা হলেন- একই এলাকার আবু বক্কর (৪০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
আরও পড়ুন: রূপসা নদীতে বজ্রপাতে ট্রলার মাঝি নিখোঁজ, আহত ৭
এছাড়া একই দিনে সকালে ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামে বজ্রপাতে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, মুষলধারে বৃষ্টির সময় চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আহত হয় গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীতে বজ্রপাতে এক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৫০) সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের কাটাঙ্গার চরের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে। আহতরা হলেন-শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল (২৮) ও শামীম (৩২)।’
কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত সজিব সরকার (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।
লালমনিরহাটে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে হাতীবান্ধা উপজেলার আব্দুল মতিন (৫২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তালুকদার।
বগুড়ায় ধানখেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তোজবেল হোসেন (৭০) ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বলে জানিয়েছেন এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় শুক্রবার ভোররাতে বজ্রপাতে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শওকত আলী একই এলাকার এবং কায়দা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শওকত তার ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে নিয়ে পুকুরের পাড় মেরামত করতে যায় যাতে পানিতে থাকা মাছ ভেসে না যায়। এ সময় শওকতের ওপর বজ্রপাত হয়।
তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর নবম শ্রেণির ছাত্র শাকিলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পাহাড়ি ঢল: ঝিনাইগাতীতে নতুন এলাকা প্লাবিত, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের পানি উজান থেকে নেমে গেলেও ভাটি অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ঢলের পানিতে ডুবে শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের সারি কালিনগর (বালুর চর) এলাকায় ১৪ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত দিয়ামনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, দিয়া মনি বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় হঠাৎ তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশেই ঢলের পানিতে দিয়ামনিকে ভাসতে দেখা যায়। পরিবারের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ঢলের পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া।
এদিকে, ঢলের পানির তোড়ে অনেক এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। মহারশি নদীর দিঘিরপার, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। শুক্রবার উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে ভাটি এলাকায় চারটি ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে শতাধিক পুকুরের কয়েক লাখ টাকা মূল্যের মাছ ভেসে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ধানশাইল-পানবর রাস্তার সূতিপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আহাম্মদনগর-মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদরে মহারশি নদীর পূর্বপাড় থেকে নলকুড়া রাস্তা, ডাকাবর থেকে শালচূড়া রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি। ঢলের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় সামান্য কিছু শাক সবজির ক্ষতি সাধিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন জিআর এর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
বন্যায় সুনামগঞ্জে শত কোটি টাকার ক্ষতি
শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
শেরপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এমদাদুল হক লালু (৪৫) সদর উপজেলার চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণে বিচারক নিশ্চিত হন যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকসানাকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করেছে স্বামী এমদাদুল হক লালু। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের দন্ডবিধি (১১ক) ধারায় লালুকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন বিচারক।
মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত ২০১০ সালে সদর উপজেলার ছয়ঘড়িপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে রোখসানা খাতুনের বিয়ে হয় চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী এমদাদুল হক লালুর সাথে। বিয়ের পর রোখসানার বাবা আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর রোখসানার স্বামী এমদাদুল হক চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন এবং আরও যৌতুক এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন। ওই টাকা না পেয়ে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রীকে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করেন লালু। মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারালে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে স্বামী লালু প্রচার করেন রোকসানা বিষ খেয়েছে। পরে তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রোকসানা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় এমদাদুলের ভাই ও ভাবিসহ ৯ জনের নামোল্লেখ সহ এবং আরও ২-৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভিসেরা প্রতিবেদনে নিশ্চিত হয় বিষক্রিয়ায় মারা যাননি গৃহবধূ রোকসানা। মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাতেই তিনি মারা গেছেন এবং তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হলেও তা মুখেই ছিল পেটে যায়নি।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সদর থানার তৎকালীণ ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বামী এমদাদুল হক লালুকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি এমদাদুল হককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ভোগাই নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, অভিযুক্ত ছেলে আটক
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আড়াইআনি বাজারের জেলখানা এলাকায় ভোগাই নদী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নূরভানু (৫৫) নালিতাবাড়ী শহরের নিজপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং পেশায় দিনমজুর।
আটক ফারুক আহমদকে (৩৫) অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে ফারুক আহমদকে আটক করা হয়েছে।