খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। স্থায়ী মুক্তি মানে বুঝলাম না। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? আজ ফাইল হাতে পেয়েছি। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) কী অনুরোধ করেছে, তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আগামীকালের মধ্যে তা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে আমি আইনে বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তারপরও প্রতিবারই দেখছি তারা প্রথমে যেভাবে আবেদন করেছিল সেভাবেই আবেদন করছে।’
তিনি আরও বলেন, তার বিদেশ যেতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না এটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। আমরা বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকদের তার চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’
সরকার প্রধানের ইচ্ছায় খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনের বাইরে গিয়ে মানবিকতা দেখাতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবার আগে মানবিকতা দেখিয়েছেন। মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।’
এর আগে রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজার মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাতেই বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটের দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে আসেন এবং সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে হাসপাতাল ছেড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বাসায় পৌঁছান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এর আগে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, রিপোর্ট পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিকাল ৪টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কিছু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দলের অসুস্থ চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের কোনো হুমকি থাকলে এ দেশের জনগণ এই ঘৃণ্য লুটেরা সরকারকে কখনো ক্ষমা করবে না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এক সমাবেশে বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ এতটা বোকা নয় যে তারা বুঝতে পারবে না যে সরকার তার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে এবং ক্ষমতা নিশ্চিত করতে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বসবাসের অযোগ্য কক্ষে আটকে রেখে সরকার তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে।
খালেদাকে বিদেশে যেতে দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে টোকেন অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আগের দিন, খালেদার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে অবিলম্বে বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করেছিল। কারণ বাংলাদেশে এখন তার জন্য কোনো চিকিৎসার বিকল্প নেই।
বোর্ড আরও বলেছে, ৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ তার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং তার লিভার সিরোসিস সমস্যার কারণে সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যভস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি
ফখরুল বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখন খালেদাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানায়, তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার বলছে, তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যারা দমন-পীড়নে লিপ্ত আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং কিছু ব্যবসায়ী যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত।
তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে খালেদাকে দোষী সাব্যস্ত করে আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট নয়, কারণ তারা এখন রাজপথে আন্দোলনকারী বিএনপি নেতাদের জেলে ও গ্রেপ্তার করছে।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকায় দায়ের করা ‘মিথ্যা’ নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে সাজা দিয়ে নিম্ন আদালতের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ করেন ফখরুল।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ও দমন-পীড়ন করে প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা ভেবেছিল আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার পর বিএনপি আর থাকবে না। তবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জেগে উঠেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা উত্তর মহানগর দলের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বিএনপির অনেক নেতাকে সাজা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরিয়ে থামব না এবং আমরা অবশ্যই এই সরকারকে পরাজিত করব।’
তিনি বলেন, ডলারের সংকটের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘মজুদ যেভাবে কমছে, কয়েকদিন পর পণ্য আমদানির আর টাকা থাকবে না… সরকার এখনও বুঝতে পারছে না কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এভাবে কেউ দেশ চালাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন সিইসি: খসরু
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বেশ কয়েকটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন এবং তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য তার ভাই আবেদন করলেও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তার ঢাকার বাসভবন থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার বিকালে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সপ্তাহে তাকে দুইবার কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
অন্যদিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থায়ী জামিনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে, এতে শর্ত থাকে যে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাকে কখনো কাঁদতে দেখিনি। তিনি এতটাই পাতলা হয়ে গেছেন যে তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। চিকিৎসক বলেছেন আপনার যদি কিছু করার থাকে তবে করুন, তিনি ভালো নেই।’
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তার কিছু হলে তা শুধু বিএনপির নয়, জনগণ, গণতন্ত্র ও দেশের জন্যও বড় ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এটা দেশের জন্য সম্মানের নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এমন একজন নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য, দেশের প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছিলেন এবং এরশাদকে হটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ছাড়াই বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিনের হরতাল পালন করেছে এবং খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন বলছে সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং গণতন্ত্রপন্থী কোনো দলই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু করার নেই, কারণ এটি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীই ভালো জানেন।’
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার কথা নয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা পড়লে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদি আইন মন্ত্রণালয় মনে করে বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, তাহলে তা আদালতে পাঠানো হয়।’
খালেদা জিয়ার ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো আবেদন মুলতুবি থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন পাইনি। এরকম আবেদন আসলে কি হতে পারে সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির আগের আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা যতবার আবেদন করেছে, আমরা সাধ্যমত অনুমোদন দিয়েছি। এর বাইরেও তাদের আদালতে যেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, কারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে ঘোষণা শুনেছি, কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা জানি না কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। যেহেতু আমাদের কাছে এই তথ্যের অভাব রয়েছে, তাই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তাদের প্রণয়ন করা ভিসা নীতি এবং কারা তাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের উপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দীন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে