কক্সবাজার
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এটি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দ্রীভূত ছিল বলে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রারম্ভিক প্রভাব পড়বে।
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় তা বেড়ে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিজিএইচএস
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের থেকে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজারের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা সরকারের নেই।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে জলোচ্ছ্বাসের কোনো ভয় নেই। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এটি মাথায় রেখে, আমি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান ইউএনবিকে বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ২ দিন ইউএস-বাংলার সব ফ্লাইট বন্ধ
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। ফলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সকল ফ্লাইট শনিবার ও রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
শনিবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যাবস্থাপক (গণসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদেরকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যেকোনো সেলস অফিসে যোগাযোগ করে পরবর্তী যাত্রার তারিখ নির্ধারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আরও জানানো হয়েছে, কোনো যাত্রী পূর্বনির্ধারিত শনি ও রবিবারের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাত্রা বাতিল করে টিকেটের সমপরিমাণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল যাত্রীর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রার তারিখ নির্ধারিত ছিলো, তাদেরকে ফ্লাইট সূচির কমপক্ষে চার ঘন্টা আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
যাত্রীদের সকল অসুবিধার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের টিকেট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্যে ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলা বহরে যুক্ত হচ্ছে ওয়াইড বডি এয়ারবাস ৩৩০
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পাঁচটি জেলায় ভূমিধসের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার পালংখালীর জামতলি ক্যাম্প-১৫ এর ব্লক জি/৪ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কুর রহমান (২২) ওই এলাকার ফয়জুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার ১৫ নম্বর ক্যাম্প জামতলি ব্লক ই/৩-তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ও আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে শুক্কুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সসবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি থাকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে,মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কাল শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ১৬০৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ১৬০৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এক হাজার ৬০৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসনের সব স্তরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুল, কলেজগুলোকে বন্যার আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে: মাউশি
এর অংশ হিসেবে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, পৌর ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলায় ২০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ৫৯০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক, ২০ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৪০ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) অংশ হিসেবে আট হাজার ৬০০ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯ জনের ধারণক্ষমতা রয়েছে।
অপরদিকে চট্টগ্রামে নগদ ১৪ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৬০৮ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে তিন মেট্রিক টন টোস্টবিস্কুট, তিন মেট্রিক টন ড্রাইকেক ও ৩০ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে ৬০ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও।
জেলাটিতে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলোর ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন।
এরইমধ্যে সিপিপির আট হাজার ৮৮০ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা আবহাওয়ার বার্তা প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, বেড়েছে ঘূর্ণন
ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, বেড়েছে ঘূর্ণন
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে এবং রবিবার বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও তীব্র হতে পারে এবং এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে।
১২ মে সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রাবন্দর থেকে এক হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত হয়।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে
এদিকে, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই ভূমিধসের আগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, কারণ জেলাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এই অঞ্চলে আঘাত হানার আগে সম্ভাব্য প্রাণহানির কথা বিবেচনা করে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি বলেন, পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯০জনকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং একটি জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগের সময় মানবিক সহায়তার জন্য ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ টন চাল ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তাছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ টাকা, ৫০ টন চাল, ৭ টন শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
খুলনায় স্থানীয় প্রশাসন দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ৪০৯টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছে এবং বাগেরহাট জেলায় কমপক্ষে ৪৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করা হয়েছে, যাতে জনগণের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জেলায় ৯৮ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় তিন ধাপে প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ভোলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
তিনি জানান, ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে প্রায় পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। এছাড়াও, ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি এবং পাঁচ হাজার রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছেন।
সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের প্রায় ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যেই তীরে ফিরে এসেছে এবং বাকি জেলেদের ফিরিয়ে আনতে মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড কাজ করছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র সময় ও পরবর্তী প্রভাব মোকাবিলায় জনগণকে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করতে এবং তাদের প্রস্তুত করতে নদী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে চাঁদপুর স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখা: শিক্ষা বোর্ডগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান
ঘূর্ণিঝড় মোখা: এখনো শান্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সহ কক্সবাজারের এলাকাগুলোকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি।
সমুদ্র শান্ত আছে এখনও। পাড়ে আছড়ে পড়ছেনা বড় বড় ঢেউ, কিংবা এখনও পানির উচ্চতাও বাড়েনি। সকালে থেকেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজ করা সি সেইফ লাইফ কর্মী মোহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বর্তমানে গোসলের জন্য নিরাপদ। জেলা প্রশাসন বা সি সেইফ থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখ হয়েছে যেখানে ৫ লাখ ৫ হাজার ৯৯০ জন মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়া সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলার রিজার্ভে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।
সেইসঙ্গে নতুন করে কক্সবাজার জেলার জন্যে ১০ লাখ নগদ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নির্ধারণ, খুব ঝুঁকিপূর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ-কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা, গবাদী পশু সংরক্ষণ ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী যাতে দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারি ছুটির দিনে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক, ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে ৪ বনকর্মী আহত
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে চার বনকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ মে) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রির্জাভ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গোলাম জিলানী মিয়াজী, সূর্য কুমার সিংহ, শাহিদুল মোস্তফা, রহিম উদ্দিন। আহতরা সবাই মালুমঘাট বন বিভাগের গার্ড সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
তিনি জানান, একদল সশস্ত্র দস্যু মালুমঘাট বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কাঠ ও ঘর নির্মান করছিল। সংবাদ পেয়ে মালুমঘাট বনবিটের একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় সশস্ত্র দস্যুরা বনকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কর্মীদের এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। বনকর্মীরাও পাল্টা গুলি চালায়। বনদস্যুদের গুলিতে চারজন বনকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় দুই দস্যু গ্রুপের গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৫