কক্সবাজার
কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৩ কেজি কোকেন জব্দ
কক্সবাজারে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৩ কেজি ৪৮৫ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: খুলনায় কোকেনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
শনিবার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে কোকেন জব্দ করা হয়।
কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে কোকেনের একটি চালান কক্সবাজারে পাচার করা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৪৮৫ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১৮০০ গ্রাম কোকেন জব্দ, ভারতীয় নারী আটক
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মামলার চার্জ গঠন ১০ নভেম্বর
গোপনে টাকা নিয়ে কক্সবাজার দেখতে যাওয়া ৩ স্কুল শিক্ষার্থী উদ্ধার
বাড়ি থেকে গোপনে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যায় পঞ্চম শ্রেণির তিন স্কুল শিক্ষার্থী।
চার দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ১৬ নভেম্বর তিন স্কুল শিক্ষার্থীকে কক্সবাজারের ডলফিন মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই তিন শিক্ষার্থী হলো- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ফরহাদ হোসেন, তার অপর দুই সহপাঠী মিম খাতুন ও তানিয়া খাতুন।
জানা যায়, পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ১৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে তারা বের হয়। এরপর নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের লোকজন ভূরুঙ্গামারী থানায় তিনটি পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আরও পড়ুন: লুডু খেলার ঝগড়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের হারানোর বিষয়ে জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কক্সবাজার সদরের ডলফিন মোড় এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন।
তিনি জানান, জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানায়- তানিয়ার দীর্ঘদীনের শখ সে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যাবে। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় তার সহপাঠী ফরহাদ হোসেন ও মিম খাতুনের শরণাপন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে তারা তিন সহপাঠী মিলে পরিকল্পনা করে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রায় ২৮ হাজার টাকা নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
ওসি রুহুল আমিন বলেন, তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতে নারী ও শিশু কর্মকর্তার সহায়তায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরার শ্রীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত
ট্রাকচাপায় ফরিদপুরে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
কক্সবাজার চকরিয়ার ডুলাহাজারা পাগলিরবিলে মাইক্রোবাস ও মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডুলহাজারা ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোয়াদুল ওমাম (৩৩) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার শাহাজান চৌধুরীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ছিলেন।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানায়, কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও চট্টগ্রামমুখী মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে সোয়াদুল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
হোসেনপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু
কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত একটি চোখ ধাঁধানো রেলস্টেশন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিনোদনের গন্তব্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল রেললাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দরনগরীকে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করার লক্ষ্যে শনিবার এই স্টেশনটির উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়।
১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটের রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, যেখানে একটি ৬তলা ভবন এবং একটি বড় ঝিনুক আকৃতির ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী আইকনিক স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেশনটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩টি বড় জায়গা রয়েছে। স্টেশনটিতে যে সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে- টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিং মল, রেস্তোঁরা, লাগেজ লকার, শিশু যত্ন কেন্দ্র, মসজিদ, এসকেলেটর, এটিএম বুথ, আবাসিক হোটেল, পোস্ট অফিস এবং পর্যটন তথ্য বুথ।
পর্যটন শহরে লাগেজ লকার একটি আকর্ষণীয় সেবা, কারণ যে কেউ স্টেশনে পণ্য রেখে একদিনের জন্য সমুদ্র সৈকত বা অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও, স্টেশনটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ। ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথের (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত) উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে নয়টি স্টেশন রয়েছে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপকূলীয় শহর কক্সবাজারের প্রধান প্রধান পয়েন্ট এবং রাস্তার দুই পাশ এখন ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে সজ্জিত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিন দুপুর আড়াইটায় মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ঝিনুক আকৃতির এই রেলস্টেশন উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ দিন প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এই ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টি বড় প্রকল্প এবং ৬টি ছোট প্রকল্প।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল, বাকখালী নদীর ওপর সেতু, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা, উখিয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, মহেশখালীর কুতুবদিয়া থান্ডা চৌকিদার পাড়া আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতাবাজার সড়ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী ইউনুসখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া রত্না এবং মরিচিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন।
এছাড়া মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের ১ম টার্মিনাল, টেকনাফ বহুমুখী দুর্যোগ সহনশীল আশ্রয় কেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার, রামুর নন্দখালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
এ আয়োজন সফল করতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, এই জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হবে। পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন ইমরান কক্সবাজারে সব ধরনের বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সিরাজ-উদ-দৌলা খান ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ নভেম্বর করার একটা সম্ভাব্য সময় থাকলেও একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ উদ্বোধন করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তার একদিন আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ রেলপথ।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, যা আরও পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আজ রাত নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
অধিদপ্তর বলেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯ টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
আরও বলা হয়েছে- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চাল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
কক্সবাজারে ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ, 'মিয়ানমার নাগরিক' আটক: বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ এবং এ সময় মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটকের দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তির নাম মো. রফিক (৩২)।
বিজিবি-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, ইয়াবার একটি বড় চালান ওই এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর একটি দল রাত সোয়া ১২টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ৪ জনকে সীমান্ত এলাকার জিরো লাইন অতিক্রম করতে দেখে।
তিনির আরও জানান, চ্যালেঞ্জের মুখে তিনজন 'চোরাকারবারি' ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে মো. রফিককে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, আটক ১: বিজিবি
সেপ্টেম্বরে বিজিবি ১৯২ কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে: বিজিবি
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৮অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ইনানী হোটেল রয়েল টিউলিপের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সড়কের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি দেখে মনে হচ্ছে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটি জানা যায়নি।
লাশটি উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
এবার কক্সবাজার প্লাস্টিক মুক্ত করার ঘোষণা স্পিকারের