কক্সবাজার
ওআইসি মহাসচিবের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা’র (ওআইসি) মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।
তিনি সোমবার (২৯ মে) সকালে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছে সেখান থেকে উখিয়ার কুতুপালং ফোর এক্সটেনশন ক্যাম্পে যান। এছাড়াও আরও কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
সেখানে ক্যাম্পে ব্র্যাকের ইয়ুৎ সেন্টার, ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সংন্থার কার্যক্রমগুলো পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও শরণার্থী বিষয়ক কমিশন, রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, এনজিও আইএনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদৌজ্জা জানান, পরিদর্শনকালে ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যার কথা শুনেছেন।
এদিন বিকালে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান তিনি।
ওআইসি প্রধানের সফরকে ঘিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প জুড়ে জোরদার ছিলো এপিবিএনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ফিরলেই রোহিঙ্গারা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে: মোমেন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করছে ঢাকা ও বেইজিং
গানে গানে মানবপাচার প্রতিরোধের ডাক দিলেন মমতাজ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শ্রোতাদের সুরের মূর্চ্ছনায় ভাসালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম। একইসঙ্গে ডাক দিলেন মানবপাচার প্রতিরোধের। তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শ্রোতারাও নিলেন মানবপাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ।
সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায়, জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও উইনরক ইন্টারন্যাশনাল-এর আয়োজনে ২৭ মে (শনিবার) কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এই কনসার্টে মমতাজ ছাড়াও গান পরিবেশন করে ব্যান্ড ‘মাদল’।
অনুষ্ঠানে মানবপাচার বিরোধী একটি ‘পট গান’ এবং মানবপাচার প্রতিরোধে সচেতনতা, সমাজে মানবপাচারের শিকার সারভাইভারদের অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ‘আগুনপাখি’ প্রদর্শন করা হয়।
মানবপাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার এমন অভিনব উদ্যোগ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান শ্রোতারা।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত ‘আশ্বাস: মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য’ প্রকল্পের মাসব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে এই ‘সচেতনতামূলক কনসার্ট ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন’ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহায়তা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৭ মে কক্সবাজারে মানবপাচার বিরোধী কনসার্টে গাইবেন মমতাজ
এই আয়োজনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এবং উইনরক ইন্টারন্যাশানালের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও আশ্বাস প্রকল্পের টিম লিডার, দীপ্তা রক্ষিত।
স্বাগত বক্তব্যে দীপ্তা রক্ষিত মানব পাচারের ভয়বহতা তুলে ধরে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। কনসার্ট আয়োজনে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
নিজের বক্তব্যে মানবপাচার প্রতিরোধে সরকার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মুহাম্মদ শাহীন ইমরান সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য উইনরক ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল সুইজারল্যান্ড-এর সহায়তায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও সারভাইভারদের সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ‘আশ্বাস’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে দেশের মানবপাচারের ঝুঁকিপ্রবণ পাঁচটি জেলা তথা কক্সবাজার, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম-এর ১৫টি উপজেলায় মানবপাচার বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ কনসার্টে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৯ মিয়ানমারের নাগরিক ও পাঁচ বাংলাদেশি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে আটক করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ মে) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার আমিন শরীফের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। ১৯ জনের মধ্যে ছিল ছয়জন নারী, ছয়জন পুরুষ ও সাত শিশু। এর আগে তারা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২ জন আটক, ১৩ লাখ টাকার গাঁজা জব্দ
আটক পাঁচ মানবপাচারকারী হলেন- টেকনাফ নাইট্যংপাড়ার সেলিমের ছেলে জাহিদ (৩০), মো. হাশেমের ছেলে জামাল (৩৮), আমিন শরীফের স্ত্রী হাজেরা (৫০) ও বরইতলীর আলী জোহরের ছেলে ইউনুছ (২৪) এবং মোহাম্মদ শাহ’র ছেলে দ্বীন ইসলাম।
ওসি জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড নাইট্যংপাড়ার আমিন শরীফের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৯ জন মিয়ানমারের নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাল রুপি ও নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ, আটক ১
বিজিবি-বিজিপির দুই দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন সম্পন্ন
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালী পাড়ার সেন্ট্রাল রিসোর্ট হল রুমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২: বিজিবি
এই সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব বলেন, সম্মেলনে মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত নিরাপত্তা, তথ্য বিনিময়, সমন্বিত টহল, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে দু’টি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার ধারা অব্যাহত এবং প্রতিবেশি এই দুই বাহিনীর সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ও পারস্পারিক সহযোগিতায় ভূমিকা রাখবে।
প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশের তালিকা যাচাইয়ে টেকনাফ এসেছেন মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে নাফ নদ হয়ে টেকনাফ জেটিতে এসে পৌঁছায় প্রতিনিধি দলটি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যে তালিকাটি পাঠিয়েছিল তা যাচাই করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিনিধি দলটি আরআরআরসির (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়) সঙ্গে বৈঠক করবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবে।’
প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম তালিকার যাচাই-বাছাই করতে মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম গেল ১৫ মার্চ সকালে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিঘাট হয়ে বাংলাদেশে আসে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১ টার দিকে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে সেখানে যান র্যাব ও পুলিশের দুটি দল।
নিহতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে আসে। পথিমধ্যে সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম গভীর পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত অপহরণকারীর দেখানো মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এফবি সাগর নামক একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটিতে মাঝিসহ ১৪ জেলে ছিল বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
নিহত বিশ্বনাথ চন্দ্র দাশ হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রলারের মাঝি হিরা আহমদ জানান, ট্রলারে কেবিনে আটকে পড়েন।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে সাড়ে ৩ হাজার বস্তা চিনিবোঝাই ট্রলার ডুবি
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে আলী আকবর ডেইল মৎস্য ঘাট থেকে ১৪ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ শিকারের জন্য যায় ট্রলারটি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারটি হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে বাতাসের তোড়ে উল্টে যায়। এ সময় অপর জেলেরা সাগরে ছিটকে পড়লেও ট্রলারে আটকে যান জেলে বিশ্বনাথ চন্দ্র দাশ। ট্রলার ডুবির সময় আশেপাশে থাকা মাছ ধরার ট্রলার এসে ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এ সময় জেলে বিশ্বনাথের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বিশ্বনাথের লাশ ভাসমান অবস্থায় সাগরে দেখতে পাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল সিকদার জানান, একজনের লাশ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে, ট্রলারটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারের অন্য ১৩ জন মাঝিমাল্লা সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের রত্নসেন দাশের মালিকানাধীন একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় একজন জেলের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান
সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন ভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেলকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক করে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুইটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
প্রকল্পের দুইটি হলো-
১) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ।
২) দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য প্রকল্প দুইটি ভাগে বিভক্ত। এছাড়া আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরে তা উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং, যেটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই।
ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতু কোনো সমস্যা তৈরি করবে কি না-জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম সুজন জানান, কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
তিনি জানান, তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।
কক্সবাজার ট্রেন চালু হলে টুরিস্ট ট্রেন চালু করা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে আধুনিক মানের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ বলে মন্ত্রী জানান।
অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পের এখন কোন চ্যালেঞ্জ নেই। বিদেশ থেকে সমস্ত মালামাল এসে গেছে এখন শুধু ফিটিং এর কাজ চলমান, আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের উত্তরের দিকে ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। বিষয়টি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির মুঠোফোনে ইউএনবিকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করে (সময় উল্লেখ করা হয়নি)।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পুরোপুরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
বুলেটিনে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হচ্ছে। রবিবার সকাল ৬টার দিকে ‘মোখা’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে এরই মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এর আগে সকালে অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এর বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করতে পারি।’
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিজিএইচএস
ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' আজ (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার অতিক্রম করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে) বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ