ফেনী
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- মাইন উদ্দিন (২৫), বিকাশ চন্দ্র দাস (৩৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই মাস আগে ওই এলাকার শহিদুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। শুক্রবার ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের বাঁশ কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী খুলতে নামেন আকাশ ও মাইন উদ্দিন।
এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শ্রমিকদের স্বজনরা ঠিকাদারকে বিষয়টি জানায়। পরে শনিবার সকালে ঠিকাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য নিচে নামলে সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আরেকজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করার জন্য নামলেই সেও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরও জানান, তারপরেও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। পাশাপাশি ময়না তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।
তিনি বলেন, সেফটি ট্যাংক ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
সাভারে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে নিহত ৩
ছাগলনাইয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ সমিতির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা আবু তাহের (৫৯) ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার (৪৮) ও অটোরিকশার চালক মনা মিয়া (৩০)।
নিহতের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন জানান, তার ভাই ও ভাবি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মুহুরীগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেইনের পাশে সিএনজি পাম্প থেকে বের হয়ে একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নিয়ে ঢাকামুখী লেনে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী শ্যামলী পরিবহন একটি গাড়ি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি কয়েকবার উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
তাৎক্ষণিক পুলিশ ও আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
খড়ের গাদায় চাপা পড়ে দুই শিশুসহ মা নিহত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাটে খড়ের গাদায় চাপা পড়ে মা ও দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল দিকে উপজেলার ধর্মপুর এলাকার ফকির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে খড়ের গাদা থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার বাহরাইন প্রবাসী টিপু আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার এবং তার দুই শিশুসন্তান শাহিদ ও সিয়াম।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সুমি বুধবার সকালে গবাদিপশুর জন্য খড় কাটছিলেন। এ সময় তার দুই সন্তান পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ খড়ের গাদা ভেঙে পড়লে দুই সন্তানসহ সুমি খড়ের নিচে চাপা পড়েন।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে লাশ ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক মিথিলা কানন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজন মারা গেছেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম জানান, তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে খড়ের গাদা থেকে মাজার খাদেমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ফেনীতে ছেলের ধাক্কায় বাবার মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নে ছেলে বোরহান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির ধাক্কায় তার বাবা রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
এ ঘটনায় পুলিশ রুহুল আমীনের ছেলে বোরহান উদ্দিনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ঘোপাল ইউনিয়নের দৌলতপুর শেখজি পাড়ায় রুহুল আমিনের সঙ্গে তার ছেলের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রুহুল হাতে দা নিয়ে তার ছেলে বোরহানকে তাড়া করেন। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় পলাশ বলেন, এ ঘটনায় বোরহানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রুহুল আমীনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ৮ গ্রাম প্লাবিত
ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
ফেনী বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ
সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় জমায়েত হওয়া ফেনীর অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির জনসভায় অংশগ্রহণের জন্য ফেনী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ঢাকা নয়াপল্টনের মিডওয়ে আবাসিক হোটেলে ছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ পুলিশ হোটেল মিডওয়েতে হানা দিয়ে সেখান থেকে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, এর মধ্যে ফেনী জেলা বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই, তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ফেনী বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে এমন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। যদি সেখানে কেউ গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে তাহলে ঢাকা থেকে প্রসেসিং শেষে আমাদের জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের অধিকাংশই নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
পরে সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগও। এতে শহরের খেঁজুর চত্তর থেকে শহীদ শহিদুল্লহ কায়সার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহে মোহনা টিভি ও স্থানীয় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, মুস্তাফিজ মুরাদ, ফেনীর তালাস প্রতিনিধি আকাশ, মানবজমিন ফেনী প্রতিনিধি নাজমুর হক শামীম আহত হন।
আহত সংবাদকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে শহরের প্রবেশ পথের দাউদপুর এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ভিপি জয়নালের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু করে জেলা বিএনপি। পদযাত্রাটি শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খেঁজুর চত্তর হয়ে ইসলামপুর রেডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়।
সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ।
একই সময় খেঁজুর চত্তর এলাকার ফেনী শহিদ মিনারের সামনে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা করছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে এক পর্যায়ে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে শহরে তৈরি হয় রণক্ষেত্র। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে টিআর শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাটি ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিত টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের একটি মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা পারভিন আক্তারের দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ জুন) সকালে শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কিশোরের নাম- শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এফসিবি’ নামের কিশোর গ্যাং হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে (১৪) পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
ভিডিওটি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাতে ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আমিরুল হুদা ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে সে ফেনীর পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বৌবাজারে ভাড়া বাসায় থাকে।
মামলার আসামিরা হলো- শহরের ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬), আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জয় (১৫), প্রিয়ম (১৫), ইফাত (১৫), পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পিছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)। তারা শহরের ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, সেন্ট্রাল হাই স্কুল ও ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর। যেসব ঘটনায় মামলা হয় সে মামলায় এজহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলকে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
ফেনীতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
ফেনীতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আরোহী দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরেক বন্ধু। রবিবার (১৮ জুন) সকাল ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার বিসিক সড়কের মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বনকোট এলাকার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. তারেক (২০) এবং একই এলাকার আবদুল আওয়ালের ছেলে মো. সজীব (১৯)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
আহত বাবু (২১) একই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তিন বন্ধু শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীতে বন্ধুদের আমন্ত্রণে বেড়াতে আসেন। রাতে তারা ফেনীতে অবস্থান করেন। রবিবার সকালে তিন বন্ধু একই মোটরসাইকেলে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে নিজ এলাকায় ফিরছিলেন।
ফেনী সদর উপজেলার বিসিক সড়কের মাথা এলাকায় পৌঁছালে চালক মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে মোটরসাইকলটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসময় তিন বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে।
খবর পেয়ে ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানা-পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তারেককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সজীব ও বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর সজীবেরও মৃত্যু হয়।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহত বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
রাজধানীর বসিলায় সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
ফেনীর একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা আদনান আহমেদ নামে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও অ্যানেস্থেসিয়ার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে লাশের সঙ্গে অপারেশান থিয়েটার রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কাঁচা তরকারির আড়তের সামনে অবস্থিত আল মদিনা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপুর সমঝোতায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মৃত ওসমান গনি (৫) ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
এছাড়া, রবিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এবং আইন লঙ্ঘন করে পরিচালনা করায় মেডিকেল প্রাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স ১৯৮২ মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুভল চাকমা। এসময় জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষে চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) আশিকুদ্দোলা, ফেনী সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ছিলেন চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) যোবায়ের ইবনে খায়ের। ফেনী মডেল থানা–পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করে।
শিশুটির মা আসমা খাতুন বলেন, ‘আমার জ্যান্ত ছেলের কিডনি কেটে ডাক্তার মেরে ফেলেছে। আমার সন্তান চাই। আর কিছু চাই না, আমার সন্তানকে বুকে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
ওসমানের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হার্নিয়া রোগের অপারেশন করার জন্য শনিবার বিকাল ৪টায় আমি আমার ছেলেকে নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করি। কথা ছিল সন্ধ্যার পর অপারেশন হবে। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৪টায় ডাক্তার এসে ইনজেকশন পুশ করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ছেলের মৃত্যুর খবর আসে। আমরা এর বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।’
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগী আমাদের আত্মীয় হয়। অপারেশন শেষ হওয়ার পর তার জ্ঞান ফিরেনি। অপারেশন থিয়েটারে তার সার্জারিতে কোনো ভুল হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।’
থিয়েটারে অ্যানেস্থেসিয়া দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। পরে তার জ্ঞান ফিরে না আসায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। এক পর্যায়ে দেখি সে বেঁচে নেই। সম্ভবত সে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে।’
থিয়েটারে সার্জারি চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা আদনান আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম মোতাবেক অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আমি তার অপারেশন শেষ করি। রোগীর জ্ঞান ফিরে আসা না আসাটা মূলত অ্যানেস্থেসিয়ার ওপর নির্ভর করে।’
বিষয়টি নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত হলে মূল সমস্যা বের হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের সঙ্গে সমস্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালটি পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মো. শিহাব উদ্দিন জানান, ভুল অপারেশানে শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এবং আইন লঙ্ঘন করে পরিচালনা করায় মেডিকেল প্র্যাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স ১৯৮২ মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে 'ভুল চিকিৎসায়' শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
মনপুরায় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
ফেনীর সদরে কাভার্ডভ্যান-পিকআপের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরিগঞ্জ কাজির দিঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার সোয়ারামপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে শিমুল (৩০) ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন (২৮) এবং কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের বাকের মিয়ার ছেলে পিকআপ চালক আবু সাঈদ (২৯)।
আহতরা হলেন- পিকআপে থাকা শিমুলের শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন (৬৫) ও পিকআপ চালকের সহকারী কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকার মো. সাগর (২২)।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কমলাপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
জেলার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর লিডার উজ্জ্বল বড়ুয়া জানান, বাসা পরিবর্তনের জন্য মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক দম্পতি ও পিকআপ চালক। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের বড়পোল থেকে পিকআপে বাসার মালামাল নিয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার যাচ্ছিলেন শিমুল ও ইয়াসমিন দম্পতি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরতর আহত হয়েছেন দুইজন। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত