খাগড়াছড়ি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় খাগড়াছড়ির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।
খাগড়াছড়ির জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা জানান,‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সর্তক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা বলেন,‘ঘটনার পর ব্যাংকে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ ত্রিপুরা বলেন,‘আমাদের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু জেলা শহরে আছি তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন আশঙ্কা করছি না। কিন্তু সর্তক আছি। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এখন দুই জন গানম্যান দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোন সংকট আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে।’
ডাচ বাংলা ব্যাংক খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো.নুরুউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারিভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান,‘আমরা সবাইকে বার্তা দিয়েছি তারা যেন সর্তক থাকে। পুরো জেলায় পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির প্রেক্ষাপটে খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন,‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘কোর কমিটি’র মিটিংয়েও ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
চুরি যাওয়া ও হারানো ৩৩ মোবাইল উদ্ধার
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে ও চুরি যাওয়া ৩৩টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে আনন্দিত মোবাইল মালিকেরা।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
জেলার রামগড় এলাকার বাসিন্দা দাউদুল ইসলাম মোবাইল ফোন হারিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন।
মোবাইল ফেরত পেয়ে তিনি জানান, ফোন চুরি কিংবা হারিয়ে গেলে পুলিশের সহযোগিতা নিতে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, মোবাইল ফোন হারিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীরা।
তিনি আরও জানান, পুলিশের সাইবার ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের সদস্যরা প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইলের আইএমই নম্বর শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি জানান, দিনাজপুর, নওগা, কক্সবাজার, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইলগুলো উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মোবাইল হারিয়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন হয়তো আর খুঁজে পাবেন না সখের কেনা প্রিয় মোবাইল ফোনটি। পুলিশের আন্তরিক পদক্ষেপে ফিরে পেয়েছেন হারিয়ে যাওয়া এসব মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখবাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা দর্শনীয় স্থানগুলোতে নান্দনিকতার পাশাপাশি থাকে মৌলিকতার ছোঁয়া। তার অকৃত্রিমতা অপরিবর্তিত রেখে কিছু মানবসৃষ্ট অবকাঠামোর সংযোজন জায়গাটির সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া, বা হাতি মাথা ঠিক এমনি একটি জায়গা, যার প্রাচীনতায় লেশমাত্র দাগ ফেলেনি মনুষ্য সৃষ্টকর্ম। উল্টো প্রকৃতির এই অপার বিস্ময়কে সাজিয়ে তুলেছে শৈল্পিক অলঙ্করণে। অদ্ভূত আকৃতির এই পাহাড় নিয়েই এবারের ভ্রমণকথা।
এমন মজার নামের রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি চলুন জেনে নেয়া যাক- কোন কোন বিষয়গুলো জায়গাটির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে।
হাতিমুড়া বা মায়ুং কপালের অবস্থান ও বিশেষত্ব
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্রগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম পাহাড় ঘেরা অন্যতম ইউনিয়ন পেরাছড়া। এই ইউনিয়নেরই সবচেয়ে দর্শনীয় পাহাড়টির নাম হাতি মাথা বা মায়ুং কপাল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০৮ ফুট উচু এই পাহাড় নানা জনগোষ্ঠীর মোট ১৫টি গ্রামকে সযত্নে আগলে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাঙ্গামুড়া, মাখন তাইসা পাড়া, বদলছড়া, হাজা পাড়া, কিনাপা পাড়া, কাপ্তালপাড়া, বাগড়া পাড়া, সাধুপাড়া, ও কেশব মহাজনপাড়া।
হাতি মাথার খাড়া পাহাড় বেয়ে পাহাড়ি জনগণের উঠানামার সুবিধার্থে ২০১৫ সালের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় ৩০৮ ফুট দীর্ঘ লোহার সিঁড়ি। এই সিঁড়ি পথ দিয়ে পাহাড় চূড়ায় যেতে ৩০০টি ধাপ পেরোতে হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মায়ুং কপাল বা হাতি মাথা নামের উৎপত্তি
অদ্ভূত আকৃতির এই পাহাড় প্রাকৃতিকভাবেই গঠন পেয়েছে হাতির মাথার মত আর এ কারণেই ‘হাতি মাথা’ বা 'হাতিমুড়া' নামকরণ। ‘মায়ুং কপাল’ নামের উৎপত্তি এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের কাছ থেকে। তারা ‘হাতি’ বোঝাতে ‘মায়ুং’ এবং ‘মাথা’ বোঝাতে ‘কপাল’ শব্দ ব্যবহার করে, আর এ দুয়ে মিলেই পাহাড়ের নাম হয়েছে হাতি মাথা।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত এই পাহাড়টি। স্থানীয়দের অনেকে একে হাতি মুড়া বলে ডাকে। চাকমাদের কাছে এটি ‘এঁদো সিরে মোন’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন:তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
মায়ুং কপাল পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পাহাড়ি বনের মাঝ দিয়ে নির্মিত সিঁড়ির নিচ থেকে উপরের দিকে সিঁড়ির প্রান্ত দেখা যায় না। দেখে মনে হয় যেন সিঁড়ির ধাপগুলো আকাশেরও উপরে উঠে গেছে। আর তাই সিঁড়ি নির্মাণের পর থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে পাহাড়ের দারুণ একটি নাম প্রচলিত হয়, আর সেটি হচ্ছে- ‘স্বর্গের সিঁড়ি’। এরকম নাম এবং সিঁড়ির অনিন্দ্য দৃশ্যের জন্যই গত কয়েক বছর ধরে পাহাড় ট্রেকারদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাতি মুড়া
হাতি মুড়া পৌঁছার দীর্ঘ ট্রেইলপথের একঘেয়েমিতা দূর করেছে খরস্রোতা চেঙ্গি নদী। নদীর ওপর দিয়ে পাড়াপাড়ের জন্য রয়েছে কাঠের সাঁকো। এর পরে বিস্তৃত সমতল ভূমির দু’পাশে কোথাও জুম ক্ষেত, কোথাও বা ধু ধু প্রান্তর। এমন মাঠ পেরোতেই দেখা মিলবে অদ্ভূত নামের এক পাহাড়ি গ্রামের। ‘বানতৈসা’ নামের এই গ্রামে ত্রিপুরাদের বসবাস।
বানতৈসার পর স্বর্গের সিঁড়ির আগ পর্যন্ত আর কোনও জনপদ নেই। তবে উঁচু-নিচু রাস্তা ধরে এগোনোর সময় পাহাড়ের আনাচে-কানাচে চোখে পড়বে ছোট ছোট মাচাঘর। দীর্ঘ পায়ে হাঁটা পথে এখানকার কুয়া থেকে বরফ ঠান্ডা পানিতে গলা ভিজিয়ে নেয়া যায়।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
হাতিমাথা পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছতেই সামনে দেখা যাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি কোণ করে বেঁকে উপরের দিকে উঠে গেছে স্বর্গের সিঁড়ি। কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা লাগবে এই সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় পৌঁছতে।
স্বর্গে নিয়ে না গেলেও এই সিঁড়ির শেষ প্রান্ত পর্যটকদের পৌঁছে দেয় নয়নাভিরাম সুন্দর এক গ্রামে। সেই চূড়া থেকে প্রায় পুরো খাগড়াছড়ি শহরটাই দেখা যায়। মনে হয় যেন নেপাল বা ভুটানের কোনও পর্যটন স্পট।
খাগড়াছড়িতে জাল ভোট: ৪ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বড় পানছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার দায়ে চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার সকালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই সাজা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহিদ হোসেন, শওকত মিয়া, ফুল মিয়া ও হালিম।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাস জানান, তারা সবাই পানছড়ির ফাতেমা নগর এলাকার বাসিন্দা।
বড় পানছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে ৩৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
খাগড়াছড়িতে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য, বিজিবি 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' এর অধীনে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সারা দেশে ১১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১২তম অবরোধ: সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১১ দফায় অবরোধ: সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে গত ১৭ অক্টোবর গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পিচ্চি মনির।
লালবাগ ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, লালবাগ জোনের ডিবি পুলিশের একটি দল বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদশেষে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নভেম্বর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৭ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরে নিজ বাসার সামনে রমজান আলী ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চুরি যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র ও মাদক বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে পিচি মনিরের সঙ্গে রমজানের শত্রুতা ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি থেকে অপহৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত গ্রুপ) ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের প্রত্যন্ত অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এ অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে অপহৃতদের হাত বাঁধা ও মুখ ঢেকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। উদ্ধার অভিযান শেষে অপহৃত ৩ জনকে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণকারীরা উদ্ধারকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
খাগড়াছড়িতে ৭ বাসে ভাঙচুর
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাইলাছড়িতে সাতটি বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে সোমবার (২০ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রবি এক্সপ্রেস, শ্যামলী পরিবহন, শান্তি পরিবহনসহ ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের সাতটি বাসে ভাঙচুর চালায় একদল দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হয়েছেন। হামলার সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকার মিরপুরে বিআরটিসির দোতলা বাসে আগুন
হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
খাগড়াছড়িতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে রাজধানীর মালিবাগে বাসে আগুন
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ওসি বলেন, অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
তিনি আরও বলেন, শহর ও শহরতলিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার কারণে কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাকও শহরে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে ঢাবি কর্মীদের বহনকারী বিআরটিসি বাসে আগুন
অবরোধ: চট্টগ্রামে চলছে পিকেটিং, দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৪ জনকে উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যদের হাতে অপহৃত’ দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালকসহ চারজনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের যৌথ বাহিনীর একটি দল তাদের উদ্ধার করে। এর আগে রবিবার রাতে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের ইউপিডিএফ অপরহরণ করেছিল বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- দুটি কাভার্ড ভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন ও মনির মিয়া এবং তাদের সহকারী হান্নান মিয়া ও জায়েদ খান।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে রামগড় উপজেলা থেকে ইউপিডিএফ সদস্যরা বেলায়েতের মালিকানাধীন ‘জয়েন্টফার্ম’থেকে দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ চারজনকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি যৌথ দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার