ওবায়দুল কাদের
মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই: ওবায়দুল কাদের
মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ঘরমুখো মানুষের জন্য আমরা আজ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২(এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়ক) এর আওতায় নির্মিত ৫টি ফ্লাইওভার চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
অনুষ্ঠানে মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ই টি সি কার্যক্রম, এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও ২টি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে।
ঈদযাত্রায় সহজ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা আপনারা জানেন। এখন আমরা ঘরের ভেতর করছি, কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পুরো সেশনটিই উন্মুক্ত ছিল। যে যা বলেছেন, সবই আপনারা পেয়েছেন। যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ, তাও আপনাদের জানানো হয়েছে পরিষ্কারভাবে।
তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈদের পরে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, এটা আপনারা ঈদের পরে প্রশ্ন করতে পারেন। গাড়ির চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই, এটা আমি বলতে পারব।
ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পর্কে ধারণা নেই: কাদের
আগামী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের গুঞ্জনের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
তিনি বলেন, 'হঠাৎ এমন ঘোষণা দিল কে? আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মৎস্যজীবী লীগ আয়োজিত ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মেট্রোরেলকে সেবাধর্মী পরিবহন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ভ্যাট আরোপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ এর সুফল পাচ্ছে। আর এ বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্তের আগে তাড়াহুড়ো করে কারা এ ঘোষণা দিয়েছে তা তারা জানেন না। সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত ছিল।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট মওকুফ করা রয়েছে। এর মেয়াদ বাড়াতে ডিএমটিসিএল অনুরোধ জানালেও রাজস্ব বোর্ড অনীহা প্রকাশ করে।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছেন এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি।
চিঠিতে বলা হয়, মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন।
চিঠিতে রাজস্ব বোর্ড জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান।
মূলত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের মাধ্যমে আদায় করা এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সরকারকে প্রতিনিয়ত অর্থের যোগান দিতে হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশীয় শিল্পের বিকাশ, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এজন্য বিভিন্ন খাত থেকে ধীরে ধীরে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনামূল্যে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড়ে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এই ধরনের সিন্ডিকেট সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের তার সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানেও পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সময় দিচ্ছেন। এখানে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। গ্যাস, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির মুখে গোটা বিশ্ব। এই সংকট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও চলছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেদের যেন অক্ষত ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা করুন: এমভি আবদুল্লাহ’র সিও আতিকের মা
সম্প্রতি সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও ক্রুদের ছিনতাইয়ের বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২৬ জন ক্রু সদস্যের বীমা করা আছে এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে। যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকেরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ বন্ধু: মুখপাত্র
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকার উদ্দেশে শনিবার (৯ মার্চ) সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করবে বলে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার (৩ মার্চ) সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস- এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিরোধী দলের যে রাজনীতি, এর মূল ইস্যুই হচ্ছে যত দোষ নন্দ ঘোষ সরকারের। সরকারই সব অপরাধে অপরাধী। তারা নালিশ করতে যায় যুক্তরাষ্ট্রকে।’
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মঈন খান মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে নালিশ করেছেন- দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এ হচ্ছে আমাদের প্রধান বিরোধী দলের অবস্থা।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার হব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং সেখানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বহির্বিশ্বের একটি অংশ এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, “আজও এই সংকটকালে বাংলাদেশের আমন্ত্রিত হওয়া এবং নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন’- এমন জোরালো বিবৃতি দেওয়ার সাহস আগে কোনো নেতাই দেখাতে পারেননি।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আঘাত এবং মুক্তিযুদ্ধে আঘাত করার অভিযোগের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবেক আছে- এমন কেউ এটা উচ্চারণ করতে পারে না। এ যেন পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ।
বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যা চিরন্তন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।
দ্রব্যমূল্য বাড়ছে- সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি তাদের কোনো নেতা-কর্মীও নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কথা বলার চেষ্টা করছেন তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, আবার কিছু পণ্যের দাম কমছে। বাজারের ওঠানামা সবসময়ই থাকে।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় সজাগ। মিয়ানমারে বিরাজমান অস্থিতিশীলতার ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
‘আমরা এজন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে’ বলে আশ্বস্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) দেশে উগ্রবাদের প্রধান উৎস বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি উগ্রবাদকে লালন করছে এবং বেপরোয়া রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশে উগ্রবাদের উৎপত্তি বিএনপির মাধ্যমে। বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন বাগাড়ম্বর করে না, দায়িত্বশীল আলোচনায় লিপ্ত হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে 'বেপরোয়া চালকের' সঙ্গে তুলনা করে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায়, যা তারা ঐতিহাসিকভাবে করে আসছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাককে দায়ী করেন। এ ধরনের ঐতিহাসিক নৃশংসতার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর বিএনপির চেষ্টার সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বারবার সমালোচনা বাস্তব ইস্যুর অভাব এবং হতাশা ও পরাজয় থেকে তাদের ভিত্তি তৈরির অপচেষ্টা।
মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সব পক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সংঘাত এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে বাংলাদেশ তার অবস্থার শক্তিশালী করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্ত খুলে দেওয়ার পক্ষে নই এবং আমরা কাউকে এই সুযোগ দিতে দেব না। মিয়ানমার সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশ তাদের উদ্বেগের কথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘে চিঠি দেবে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্য, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিল এবং তারা তাদের ফিরিয়ে নেবে এবং অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের ফিরিয়ে না নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’
কাদের বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্তে আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে পারি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং জাতিসংঘে চিঠি দেবে। ভারতের সঙ্গেও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন ভারতে আছেন। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে মায়ানমার সীমান্ত ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’
বিরোধী দল বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা বলায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বার্তা দিয়েছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টও একটি বার্তা দিয়েছেন। এখন বিএনপির সব আশা শেষ। তারা ভেবেছিল বিদেশি বন্ধুরা তাদের পাশে দাঁড়াবে। তাদের আশা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সংঘাত ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যা বললেন কাদের
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ও অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম ক্ষমতায় থাকাকালে রোহিঙ্গাদের এখানে আসার অনুমতি দিয়েছিল। ‘তারা কি তাদের অতীত ইতিহাস ভুলে গেছে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন, জাতিসংঘসহ সবাই তার প্রশংসা করেছেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত তিন দিনে মোট ১ হাজার ৫৪৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রবেশের ক্ষেত্রে উদারতার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
আন্তর্জাতিক কূটনীতির তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
এই চিঠি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্দেশে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন কী বলবে?’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি 'গণবিরোধী': কাদের
এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ও কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি জনগণ কেন আস্থা রাখবে।
কাদের বলেন, ‘জনগণ ইতোমধ্যে আপনাদের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। আপনাদের বিদেশি মিত্ররাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন শেখ হাসিনার সরকারের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় ফেরার আশা কী?’
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওবায়দুল কাদের।
সেখানে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামের নাগরিকদের সরে যেতে বাধ্য হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেনি তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল পড়ার কারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে আতঙ্ক যেন প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে।’
মিয়ানমারের অব্যাহত অস্থিরতার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে মন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ আর শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখাবে না। আমরা আর এই বোঝা বহন করতে পারছি না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের জিরো টলারেন্স নীতির উপর জোর দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দলের সবাই সৎ হতে পারে না, কিন্তু আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অপরাধ করে কেউ রেহাই পায়নি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা।