সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে ৩ ভাইবোন নিহত
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা এলাকায় বাস-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের জোড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে থানায় পাঠান। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ থানার লক্ষীর হাট গ্রামের মানিক উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান (৪০), আব্দুল বাতেন (৪০) এবং মেয়ে রানু আক্তার (২২)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের ২ চালক নিহত
রায়গঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আশিকুর রহমান জানান, যাত্রীবাহী বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারসহ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাশগুলো হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবির জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী একটি যাত্রীবাহী বাস উপজেলার রয়হাটি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার তাজুরপাড়া রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, ভোরে অজ্ঞাত এক ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে থানায় খবর দেন।
তিনি বলেন, দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়েসহ নিহত ৪
চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহত কৃষক জামাল উদ্দিন (৩৮) একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুকুরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষ ওই পুকুরে মাছ ধরতে এলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উপভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে মাছ ধরতে বাধাদানকারী জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৯ জনকে জনকে আটক করে।
এদিকে আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিঠামইনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, নারীসহ আহত ৩০
সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৃথক দু’টি স্থান থেকে নারীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলো-ওই উপজেলার পলাশী গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও একই এলাকার চরকুশাবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের ওসমান প্রামানিকের স্ত্রী জোসনা (৪৮)।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থেকে রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে, বুধবার দুপুরে শহিদুল নিজ ঘরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে জোসনা দীর্ঘদিন ধরে পেট ব্যথায় অসুস্থ ছিল। এ ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ওইদিন বিকালে সে নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং কোন অভিযোগ না থাকায় ওইদিন রাতেই তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৪
জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার কান্তা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ইসমাইল হোসেন (১৪) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে। এবং গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ (২২) একই উপজেলার শ্রীপুর দিয়ারপাড়ার গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভারতীয় নাগরিক আটক
তিনি জানান, ইসমাইল শনিবার সকালে অটোরিকশায় আব্দুল্লাহকে ভাড়া নিয়ে তাড়াশের উদ্দেশে রওনা হয়। ওইদিন দুপুরের দিকে তাড়াশ-কুন্দইল আঞ্চলিক সড়কের দিঘি নামক স্থানে পৌঁছালে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তার লাশ ধানখেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় আব্দুল্লাহ।
তিনি আর জানান, ওইদিন সন্ধ্যার দিকে অটোরিকশাটি কান্তা বাজারে বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং চোর সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মাধাইনগর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। পুলিশ ওইদিন মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে ইসমাইলকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধানখেত থেকে ইসমাইলের লাশ ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, রবিবার সকালে তার লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবার কাঁচা মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে এ লাভজনক মরিচের চাষ বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। ফলন ভাল হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ায় এ মরিচ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ মরিচ চাষাবাদ বেশি হয়েছে।
চরাঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তীতে চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের চাষ শুরু করা হয়। পলিমাটির উর্বরতার কারণে কম খরচে মরিচ চাষাবাদে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফলন ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলার বুকে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছে পটল চাষ
তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এ মরিচ উত্তোলনে নারী-পুরুষেরা ব্যস্ত সময় পার করছে এবং খেত থেকেই ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এ মরিচ কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। আর বর্তমানে স্থানীয় হাট-বাজারে এ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং এ কাঁচা মরিচের দাম ওঠা-নামা করলেও লোকসান নেই কৃষকের। চরাঞ্চলের হাটবারের দিনগুলোতে কৃষক ও ব্যবসায়ীর অবস্থান জমজমাট। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে।
বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মরিচের ব্যবসা করতে চরাঞ্চলে এসেছেন তারা। মরিচের বাজার মূল্য এখন ভালো থাকায় কৃষকের পাশাপাশি তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবার ১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০৫ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখেও হাসি ফুটেছে।
আগামীতে এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষ, ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে
উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উপজেলার সলঙ্গার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের নলকা সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর রক্তদাতাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু
নিহত নজরুল ইসলাম (৩০) উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ এম বদরুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নজরুল হেঁটে নির্মাণাধীন নলকা সেতু পার হচ্ছিলেন। এসময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় কলেজ শিক্ষক নিহত
সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের সংস্কার কাজ ঈদের আগে শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জে ঈদের আগে মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ না করা হলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে এবার ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর মহাসড়কের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করেছে জেলা পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল হয়ে চান্দাইকোনা মহাসড়কের প্রায় ৫১ কিলোমিটার জুড়ে ২০টি স্থান সংস্কারে জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
তবে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছর উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সব কয়টি জেলার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ কারণে বাড়তি চাপ পড়ে এ সংযোগ মহাসড়কে। তবে এ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করা হবে।
বিশেষ করে বাস ও ট্রাক চালকরা বলছেন যে মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন করা হলে ঈদ যাত্রায় স্বস্তি ফিরবে। উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা থেকে ফিরতে ব্যবহার করে এ মহাসড়ক। প্রতিদিন এ মহাসড়কে ১৬ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করছে এবং ঈদে ৩০ থেকে ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়ক চারলেনে প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এতে ইতোমধ্যেই মহাসড়কে যানজট ও ধীরগতি দেখা দিচ্ছে। এছাড়া নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দিলেও ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবহন। এ কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যানজটে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী
এ বিষয়ে আকতার জেভি প্রকল্পের ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। মহাসড়কের যেসব স্থানে খানাখন্দ রয়েছে সেসব স্থান দ্রুত মেরামত করা হবে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ১৫ রমজানের মধ্যে চারলেনের নতুন সড়ক খুলে দেওয়া হবে। স্থানীয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের আগে মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সংস্কার কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবির বলেন, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) এর কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা পুলিশের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে চান্দাইকোনো পর্যন্ত ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুকিপূর্ণ স্থান দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে ১০টি মোবাইল টিম, ১৬টি পিকেট টিম কাজ করবে। সেই সঙ্গে মাইকিং ও জিডিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হবে। এবার ঈদে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ১৪৪ জন পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে অংশ নিচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান বলেন, ঈদ উপলক্ষে যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মহাসড়কে ১৫ থেকে ১৮টি মোবাইল টিম থাকবে। ইতোমধ্যেই যানজট নিরসনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, মহাসড়কে প্রায় ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সাসেক-২’র কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। সেসব স্থান তারা দ্রুত সংস্কার করে দিবে। ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন: আশপাশের সড়ক বন্ধ হওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি
সিরাজগঞ্জে ঈদের জামা কেনার টাকা না দেওয়ায় কিশোরের ‘আত্মহত্যা’
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নতুন জামা কেনার টাকা না পেয়ে এক কিশোরের ‘আত্মহত্যা’র খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শরীফ (১৫) ওই গ্রামের প্রবাসী মাসুদ মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মোবাইলে গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
তিনি জানান, রবিবার সকালে শরীফ ঈদের কেনাকাটা করার জন্য তার মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল। এ টাকা না পেয়ে অভিমান করে সোমবার সন্ধ্যায় সে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় রাতেই তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' স্ট্যাটাস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা!
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী খট খট শব্দে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছে তাঁত শ্রমিকেরা। দিনরাত তাঁতের মাকুর শব্দে মুখরিত তাঁত এলাকা।
বর্তমানে বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁতমালিকরা।
জানা যায়, পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁত কারখানায় তৈরি হচ্ছে বেনারসি, সিল্ক, রেশমী, কটন, জামদানি ও কাতান শাড়ি।
এতে আধুনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাহারি নকশা এবং বিভিন্ন সাইজের গামছা ও লুঙ্গিও তৈরি হচ্ছে।
বিশেষ করে জেলার তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁতপল্লীতে বাহারী নকশার শাড়ি তৈরি জমে উঠেছে।
এছাড়া বৈশাখের আবহে শাড়িতে ঢাক-ঢোল ও ইলিশসহ বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিকাড়া ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী তাঁত-বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা শুরু
তবে স্থানীয় তাঁত মালিকেরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কাপড়ের বাজার তেমন জমে ওঠেনি। এমনকি উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রং ও সুতার বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।
এদিকে এ জেলায় তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।
প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা-পার্বণে কাপড়ের চাহিদা বাড়ে। এ কারণে তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই ফরিয়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে।
এনায়েতপুরের শাড়ি তৈরির অনেক ব্যবসায়ী জানান, শাড়ি তৈরির জন্য নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে গজ হিসেবে সাদা কাপড় কিনে আনা হয়। পরে ওই কাপড়ে প্রিন্টিংয়ের কাজ করে বাজারে তোলা হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়তি আয় করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। এজন্য দিনপ্রতি নির্ধারিত পারিশ্রমিকও পেয়ে থাকি এবং এ পারিশ্রমিক এখন বাড়তি আয় বলেও দাবি করেন।
বৈশাখের শাড়ি ও তাঁত ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে পহেলা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত চলে প্রিন্টিংয়ের কাজ। ঢাকার গাউছিয়া, ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের করটিয়া, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও পাবনার আতাইকুলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কারখানা থেকে শাড়ি নিয়ে যায়।
বর্তমানে বাজারে বৈশাখী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন, রং ও অন্যান্য খরচ শেষে শাড়িপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে।
তাঁত মালিকরা বলছেন, বর্তমানে করোনা না থাকায় আবারো তাঁতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন লোকসানের মুখে থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অধিকাংশ তাঁত মালিক।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে নতুন করে কাজ শুরু করলেও রং-সুতা সহ সব উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক।
সরকার কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিলেও বস্ত্র শিল্পে ভর্তুকির এখনও কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’: মন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে বন্যায় তাঁত শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি