খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে মঙ্গলবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১টায় এ সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সমাবেশ করার জন্য তারা পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে আছেন। গতকাল (রবিবার) তাঁর মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা উদ্বেগজনক। তাঁর জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে।’
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো জরুরি। এ সময় তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার জন্য যেতে দিচ্ছে না।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে কোনো বিদেশি চিকিৎসক আনা যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে যে কোনো চিকিৎসক আনার অনুমতি রয়েছে এবং তিনি দেশের যেকোনো স্থানে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে ড. মোমেন বলেন,সরকার দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে চায়।
এর আগে তিনি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্ব শান্তি সম্মেলনসহ বর্তমান বেশ কিছু বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সাথে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মারা গেলে জনগণ মেনে নেবে না: বিএনপি
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মারা গেলে জনগণ মেনে নেবে না: বিএনপি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার সাথে খারাপ কোনো কিছু ঘটলে গণঅভ্যুত্থান হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে যদি আপনারা (সরকার) বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলেন তাহলে জনগণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিপক্ষে সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না যেমন অতীতে তারা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা মেনে নেয়নি। ‘গণঅভ্যুত্থান হবে এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে এ আন্দোলন পরিচালনা করা হবে।’
শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিএনপির বর্তমান আন্দোলন আরও জোরদার করতে জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন খালেদা জিয়ার কিছু জটিলতা রয়েছে যা দেশে চিকিৎসা করা যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোয় আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সরকার যারা জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় তারা আমাদের নেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছেন না। যেখানি আইনি বাধা নেই সেখানে মানবতা প্রয়োজন হয়। তাকে (বিদেশে যেতে না দেয়ার) যুক্তি কী?’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশব্যাপী বিএনপির দোয়া মাহফিল
সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মহাসচিবের মতবিনিময় মঙ্গলবার
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার যকৃত থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে অবিলম্বে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অনেক রোগে ভুগলেও এখন প্রধান সমস্যা তার লিভারে। লিভার থেকে রক্তক্ষরণ তার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের সেরা চিকিৎসকরা কয়েকদিন ধরে তার লিভারে রক্তক্ষরণের উৎস শনাক্ত করতে নানাভাবে কাজ করছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির অভাবে তারা কোনো অগ্রগতি করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশব্যাপী বিএনপির দোয়া মাহফিল
বিএনপি নেতা বলেন, এ কারণেই ডাক্তাররা বারবার বলছেন তাকে একটি উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে যেখানে তার সমস্যা এবং রক্তপাতের উৎস শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও ডিভাইস আছে।
শহীদ ডক্টর মিলন দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং নব্বই দশকের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এর বিএনপিপন্থী ছাত্রনেতারা।
এসময় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ‘অপমানজনক’ মন্তব্যের জন্য ফখরুল ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বা মানবিক মূল্যবোধ নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা এতই ‘উদ্ধত’ যে তারা খালেদা জিয়াসহ কারও বিরুদ্ধে ‘অশোভন’ মন্তব্য করতে দ্বিধা করেন না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
তারা বলেন, খালেদার অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কারণ তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের জটিল সমস্যা, উচ্চ রক্তে শর্করা এবং নিম্ন হিমোগ্লোবিনের মাত্রায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ফরিদপুরে ডিসি অফিসে বিএনপির স্মারকলিপি
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফেরার পর নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর কথা ভেবে দেখা হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা অনুধাবনে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে এবং এ কারণে খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না সেটি ভেবে দেখা হবে।
শুক্রবার একদিনের সফরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি আদালতে জামিন পাননি। তার সাজা মওকুফ হয়নি। এসত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনে প্রদত্ত প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে কারাগারের বাইরে পরিবার-পরিজনের সাথে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বৃহস্পতিবার যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, বেগম জিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা প্রদর্শন করেছেন, সেটি তারা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এখন প্রধানমন্ত্রী তাঁর আদেশ পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না তা আমাদের ভাবতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে হয়ত ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছে: ফখরুল
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার সময় হয়ত ধীরগতির বিষক্রিয়ার শিকার হতে পারেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশব্যাপী বিএনপির দোয়া মাহফিল
খালেদা জিয়াকে হয়ত ‘স্লো পয়জনিং’ করা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার সময় হয়ত ধীরগতির বিষক্রিয়ার শিকার হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। এ সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ পালাবদলের সময় একটি চক্রান্তের অংশ হিসাবে, তাকে (খালেদা) মিথ্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রাখা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের এমন পরিত্যক্ত স্যাঁতসেঁতে ভবনে রাখা হয়েছিল, যেখানে সারা ঘরে ইঁদুর ঘুরে বেড়াত।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে পরে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে ২৫০০ সাংবাদিকের আহ্বান
ফখরুল বলেন, এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন,কারাগারে খালেদা জিয়াকে বিষ দেয়ায় সরকারের হাত থাকবে কিভাবে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, তাদের (সরকার) পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ করে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের গুলি করে হত্যা ও পঙ্গু করে, প্রায় ৫০০ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে গুম করে যে সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে,তাদের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ক্রিটিক্যাল কার্ডিয়াক, কিডনি, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন। তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে গেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অবশ্য সম্প্রতি বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে প্রথমে কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে ২৫০০ সাংবাদিকের আহ্বান
মানবিক কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে বুধবার সরকারের কাছে আড়াই হাজারের বেশি সাংবাদিক আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপিপন্থী ২ হাজার ৫৮২ জন সাংবাদিকের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি (খালেদা) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মত অবস্থানে চলে গেছেন। দেশে তাকে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।’
তারা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক কারণে অবিলম্বে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
সাংবাদিকরা বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধানের বক্তব্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একজন প্রবীণ নাগরিক, একজন নারী উপরন্তু একজন কারাবন্দীর যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ।
সাংবাদিকরা বলেন, ‘জাতি হিসেবে তার মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে স্থায়ী জামিনে মুক্ত করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সার্বিক অবদান এবং তার বার্ধক্যের এই কঠিন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকরা বলেন, সরকার খালেদার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিলে দেশবাসী তা ইতিবাচক হিসেবেই দেখবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আমানউল্লাহ, আবুল আসাদ, শওকত মাহমুদ, রেজওয়ান সিদ্দিকী, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সৈয়দ মেসবাহ উদ্দিন, আবদুল হাই সিকদার, এরশাদ মজুমদার, আমিনুর রহমান সরকার, আল মুজাহিদি, এম আবদুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কাদের গনি চৌধুরী, কামালউদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মাসুমুর রহমান খলিলি, ইলিয়াস খান, মুরসালিন নোমানী, কাজী রওনক হোসেন, বদিউল আলম, বখতিয়ার রানা ও নুরুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
বুধবার সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন গুজবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এগুলো একেবারেই গুজব এবং ভিত্তিহীন। আপনি যদি সরাসরি আমাকে ফোন করেন তাহলে আমি আপনাকে ম্যাডামের (খালেদা) অবস্থা সম্পর্কে জানাব।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দলের প্রধানের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করার পরও কিছু গুজব রয়েছে। আমি মনে করি, একটি মহল কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো ছড়াচ্ছে।’
মঙ্গলবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে খালেদার অবস্থা গুরুতরভাবে অবনতি হয়েছে, যা অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল অবশ্য বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনও ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকরা তার অবস্থা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা করছেন। তারা তাদের সেরাটা করছেন।’
খালেদার অবস্থার খারাপ খবরে দেশব্যাপী 'রেড অ্যালার্ট' জারি নিয়ে আরেকটি গুজব সম্পর্কে জানতে চাইলে, বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাননি। কারণ সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা’ মামলায় তাকে (খালেদা) কারাগারে পাঠানোর পর কোনো চিকিৎসা না দিয়ে সরকার তাদের দলীয় প্রধানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
দেশ ও জনগণের প্রতি খালেদার অনেক অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সরকার এমন একজন নেতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। বিদেশে তার (খালেদা) চিকিৎসার খুব প্রয়োজন…আমাদের নেত্রীকে বিদেশে যেতে দিতে সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে যে কোনো সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। দেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করে, সরকার চায় না খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক। এ কারণে তারা দেশের বাইরে তার চিকিৎসার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
উল্লেখ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ায় সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই বলে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন,তারা স্মারকলিপিটি বিবেচনা করে দেখবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে বাধ্য করতে আট দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও মৌন মিছিল। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল ও মহিলা দল।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয়দিন পর ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ফরিদপুরে ডিসি অফিসে বিএনপির স্মারকলিপি
তারা বলেন, খালেদার অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কারণ তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের জটিল সমস্যা, উচ্চ রক্তে শর্করা এবং নিম্ন হিমোগ্লোবিনের মাত্রায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন: চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ফরিদপুরে ডিসি অফিসে বিএনপির স্মারকলিপি
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে দলটির নেতারা।
বুধবার বেলা ১১টার সময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপি শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানো না হলে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
বক্তরা বলেন, সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতেই দেশ নেত্রীর প্রতি এমন মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে। মানবিক বিবেচনায় বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান তারা।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী