খালেদা জিয়া
খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে দলটি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকা বাদে সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের তহবিল বন্ধের চেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসসহ দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার শামিল। অনির্বাচিত সরকার প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ নির্বাহী শাখার প্রধান যখন কাউকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের মধ্যে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন যা ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত’, ‘অশালীন’ ও ‘অসম্মানজনক’। সভা এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই জানে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। আমাদের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদের দেখতে পাচ্ছেন না কে হবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চলমান সংকট নিরসনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম গণতন্ত্র ফোরাম।
আরও পড়ুন: তীব্র সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি নন।
এ প্রসঙ্গে তিনি ওবায়দুল কাদেরকে আগামী নির্বাচনে বা ১০ বছর পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে বলতে বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজয় বরণ করবে। কারণ দলটি ইতোমধ্যেই তাদের সব অপকৌশল ব্যবহার করেছে। ভবিষ্যতে দেশে কোনো অশুভ নকশা কাজ করবে না।
তিনি সরকারকে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানান।
ইচ্ছাকৃতভাবে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের দিকে ঠেলে দিলে তার সব দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মোশাররফ।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাদের জনগণের টাকা লুটপাট ‘ঐতিহাসিক সত্য’: বিএনপি
সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: জয়নুল আবেদীন
নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানসহ সকল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পর নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাট শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাঠে বাইসাইকেল র্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাছাড়া ছয় লাখের বেশি মানুষ খুন ও গুমের শিকার হয়েছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির র্যালি প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে আমি সাইকেল র্যালি বলতে চাই না। আমি এটাকে গণতন্ত্রের র্যালি বলে অভিহিত করতে চাই। আজকের এই র্যালির মধ্য দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হলো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, যে চেতনার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই চেতনা, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আজ লালমনিরহাট থেকে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হলো।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুর হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ক্রীড়া কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সদর বিএনপির আহ্বায়ক একেএম মমিনুল হকসহ রংপুর বিভাগের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পরিণতি রাজাপাকসের চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল
১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের করা পৃথক দুটি রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির জন্য উঠছে। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও্র পড়ুন: আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা ও এর অধীনে মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে প্রাথমিক মুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।
এর প্রায় ১৫ বছর পর রিট মামলাগুলো চূড়ান্ত শুনানির জন্য মেনশন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আরও্র পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে ডা. জোবায়দাকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন ডা. জোবায়দা। যেটি গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়ে যায়।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ মে ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
উল্লেখ্য এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার বলেছেন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো তিনি (খালেদা) অসুস্থ। তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্লিজ, আপনারা সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। তিনি নিজেই দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহিদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের অসুস্থতা নিয়ে কেউ কেউ মজা করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা কেবল তাদের বিষয়টি বোঝার ক্ষমতা দেন। যদি সে এখন অসুস্থ না হতো, তাহলে কেন তার মেডিকেল চেকআপের প্রয়োজন হতো?’
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আলিয়া মাদরাসা মাঠে যেতেন, তিনি এখন হুইলচেয়ারে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি কতটা ভাল আছেন যখন তাকে হুইলচেয়ারে করে যেতে হয়?’
ডা: জাহিদ বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড মনে করছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে। কিন্তু সরকার তাকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে পৌঁছান এবং সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন বলে জানিয়েছেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতালে তার কিডনি, হার্ট ও লিভারের একাধিক পরীক্ষা করান। তারপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বাসায় ফিরে আসেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন পেয়েছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
বুধবার সচিবালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীএ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ওনাদের (খালেদা জিয়ার পরিবারের) একটা পত্র আমরা পেয়েছি। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আমরা পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হবে সেখানে প্রেরণ করবো আমরা।’
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
দুটি দিবস উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও পুস্পস্তবক অর্পণ এবং প্রত্যাবর্তনকালীন সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কূটনৈতিকদের সাভার স্মৃতিসৌধে আনা-নেয়ার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণের পুস্পস্তবক অর্পণ কালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভাগ-জেলা পর্যায়ে পুস্পস্তবক অর্পণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সব আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের প্রয়োজনীয় মেরামত ২৫ ও ২৫ মার্চ আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজনীয় জনবলসহ অগ্নিনির্বাপক গাড়ি-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফায়ার সার্ভিস জরুরি সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য মেডিকেল টিমও প্রস্তুত থাকবে।
২৫ ও ২৬ মার্চের সব আয়োজনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে বলে মন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছেন মন্ত্রীরা: বিএনপি
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ১২ এপ্রিল
আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি নিজেও শারিরীকভাবে অসুস্থ্য সেকারণে আজকের মত মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি মুলতবি রাখা হোক। বিচারক শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আরও পড়ুন: বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তার ভয়ে ভীত হয়ে সরকার তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তাকে (বাড়ি থেকে) বের হতে দিন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় অত্যন্ত ভীত। তারা জানে যদি খালেদা জিয়া রাস্তায় তার গাড়ি থেকে হাত নাড়ে, তাহলে কেউ মানুষকে আটকাতে পারবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু’ নিশ্চিত করে ক্ষমতায় থাকার ‘বাধা’ দূর করার লক্ষ্যে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তিন বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে এবং তাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার মুখোমুখি।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ মিথ্যাবাদী ও প্রতারকদের দল।
ফখরুল বলেন, খালেদা, মজনুসহ দলের নেতা-কর্মীদের জেল থেকে মুক্ত করতে তুমুল আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অবশ্যই একটি শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করতে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে হবে।
তিনি একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারকে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করতে সকল রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী
‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি ফাইজার টিকার বুস্টার ডোজ নেন।
খালেদা জিয়ার গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র শায়রুল কবির খান জানান, টিকা নেয়ার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে বিকাল ৩টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে বের হন।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য এসএমএস পেয়েছেন। বিকালে যাতে তিনি সহজেই টিকা নিতে পারেন, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ১৯ জুলাই করোনার মডার্না টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৮ আগস্ট টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন খালেদা জিয়া।
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে: বিএনপি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের