খালেদা জিয়া
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আমি মনে করি, এখন যারা আপিল বিভাগে আছেন তারা সবাই এ পদের জন্য যোগ্য।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার আওতায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা তত্ত্ববধায়ক সরকার করেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তার মুক্তির আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং আবার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে মতামত দিয়েছেন। সেটা নিয়ে এখন আইনগত আরও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তাকে বিদেশে পাঠাতে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তাদের পর্যালোচনা শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিএনপির চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বিএনপিই দায়ী থাকবে।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হওয়ার কথা। কিন্তু বেগম খালেদা অনেকটা মুক্তভাবে থাকছেন। বিএনপির চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কোনো অবনতি ঘটলে দায় তাদেরই নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা জানান।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবার দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আমরা দেখছি বেশিরভাগ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরপরের অবস্থানের আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। এরপরে আছেন বিএনপি। তারা দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে তাদের প্রার্থী ছিল। তাদের হাতে গোনা কয়েক জন জয় পেয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক এই মামলা করেন।
জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে তিনি এই মামলার আবেদন করেন।
এ মামলার আরেক আসামি হলেন,অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেয়া ইউটিউবার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদ হাসান ইউটিউবার নাহিদ হেলালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দৌহিত্রী জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য ও উপস্থাপকের আচরণ অশালীন, নারীবিদ্বেষী ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক। তাদের সেই সাক্ষাৎকার ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও অবমাননাকর কাজ করার অপরাধে এ মামলা করা হয়েছে।
জাইমা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ফলে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিরা তার বিরুদ্ধে মানহানিকর,অপমানজনক বক্তব্য ভিডিও ছেড়ে দিয়ে গর্হিত অপরাধ করেছেন বলে আইনজীবী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহে যেভাবে বদলে গেলো মুরাদের জীবন!
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রিট শুনানি হতে পারে বুধবার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মঙ্গলবার রিটটি শুনানির জন্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত বলেছেন, আগামীকাল বুধবার এটি (২২ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) থাকবে।
এর আগে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওইদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
রিটকারী এই আইনজীবী জানান, জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণার আর্টিকেল ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুসারে উন্নত চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেয়ার অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমি নিজের দায়িত্ব থেকে একজন অসুস্থ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছি। কারও প্ররোচনায় বা কারও স্বার্থে এ রিট দায়ের করিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
সংবিধান, ফৌজদারি কার্যবিধি ও জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে রিটে। রিটে কেবিনেট সেক্রেটারি, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিবসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমি নিজের দায়িত্ব থেকে একজন অসুস্থ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ রিট দায়ের করেছি। কারও প্ররোচনায় বা কারও স্বার্থে এ রিট দায়ের করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, এ রিট দায়েরের সাথে বিএনপির দলীয় ও আইনজীবীদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইউনুছ আলী আকন্দ হয়তো ব্যক্তিগতভাবে করেছেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
এর আগে গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। টানা ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাকে।
রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণকে জাগিয়ে তোলার’ নব অঙ্গীকার নিয়ে ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার রাজধানীতে বর্ণাঢ্য এক বিজয় র্যালি করেছে বিএনপি।
দুপুর থেকেই দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এতে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে দলের অনুসারীরা জাতীয় পতাকা,প্ল্যাকার্ড,ব্যানার ও শীর্ষ নেতাদের ছবি নিয়ে র্যালিতে যোগ দেন।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর র্যালির উদ্বোধন করেন।
কড়া নিরাপত্তায় র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগরের দিকে যায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী হতে পারে: বিএনপি
স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র -একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ‘
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, বর্তমান ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে বিরোধী দলকে নির্মূল করছে।
বৃহস্পতিবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
ফখরুল অভিযোগ করেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়া হয়েছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
তিনি বলেন, এই বিজয় দিবসে আমাদের শপথ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো।
পরে বিএনপির মহাসচিব দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান।
৫১তম বিজয় দিবসে জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদার) স্বাস্থ্যের অবস্থা আবার খারাপ হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, খালেদার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমের দিকে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত খালেদার কোনো অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়নি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার না থাকায় সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।
ফখরুল বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলে দেশের সর্বত্র গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, কোনো দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে মানুষ মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ভোগ করতে পারে না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের বাধা তার সর্বশেষ উদাহরণ।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে: ফখরুল
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
এদিকে, চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি'র ১৫ জন আইনজীবী তাঁর সাথে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোন আদালতে কোন নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল