লালমনিরহাট
হাতীবান্ধায় ধানখেত থেকে অজগর সাপ উদ্ধার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধানখেত থেকে একটি বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার করেছে স্থানীয় কৃষকেরা।শনিবার দুপুরে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের মঠেড় গোর এলাকার ধানখেত থেকে অজগর সাপটি উদ্ধার করা হয়। সাপটি প্রায় ৮ফিট লম্বা বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সুমন চন্দ্র বলেন, শনিবার দুপুরে ওই এলাকার কৃষক হাবীবুর রহমান তার জমিতে ধান কাটাতে যান। এ সময় তিনি অজগর সাপটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় আরও কয়েক জন কৃষক মিলে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে হেফাজতে রাখা হয়েছে৷ বন বিভাগের লোক গিয়ে সাপ নিয়ে বনে ছেড়ে দিবেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় এবং সাপটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়। বন বিভাগের লোক এলে সাপটিকে নিয়ে স্থানীয় শালবনে ছেড়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে সাপ উপহার দিয়ে ধরা!
বরিশালে ৭ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার
সাপের কামড়ে লালমনিরহাটে নারীর মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সাপের কামড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিনা বেগম (৫৭) ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মফিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই নারী তার বাড়িতে মুরগি রাখার খাঁচায় হাত দিলে তাকে সাপ কামড় দেয়। প্রথমে তাকে হাতীবান্ধা হাসপাতালে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৪ শিক্ষার্থীর মাথায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ল!
লালমনিরহাটে ৪ শিক্ষার্থীর মাথায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ল!
লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন শ্রেণিকক্ষের ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো- ওই শ্রেণির শিক্ষার্থী হিতৈষী রায়, সাবিহা, জাহান এরিনা ও সিফা।
তিস্তায় ধরা পড়লো ১৭ কেজি ওজনের বোয়াল
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীতে এবার জেলেদের খোঁচার আঘাতে ধরা পড়েছে ১৭ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব ডাউয়াবাড়ি এলাকায় তিস্তা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছটি মুহূর্তেই এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: লাখ টাকায় বিক্রি হলো ১৩৭ কেজি ওজনের মাছ!
জানা গেছে, সোমবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব ডাউয়াবাড়ি গ্রামের জেলে সাজু মিয়া তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় তার খোঁচার আঘাতে ১৭ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়ে। মাছটি পাওয়ার পর বিক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঘুন্টি বাজারে নিয়ে এলে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
জেলে সাজু মিয়া বলেন, গত দুইদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর বোয়াল মাছটি উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করলে আমার খোঁচার আঘাতে মাছটি আটক হয়। পরে ঘুন্টি বাজারে নিয়ে এলে ১৭ কেজি ১৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করি।
ঘুন্টি বাজারের দোকান মালিক সমিতির সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, বোয়াল মাছটি জেলে সাজু মিয়ার কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকায় কিনে ১৫ জন মিলে ভাগাভাগি করে নিয়েছি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩৫ কেজির বাগাড় মাছ
ঘুন্টি বাজারের তবারক হোসেন জানান, তিস্তা নদীতে এত বড় বোয়াল মাছ কোনো দিন দেখিনি। এটিই প্রথম।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ি ঢল ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তিস্তা নদীতে উজানে বিভিন্ন জাতের মাছও বেড়েছে। এরমধ্যে তিস্তা নদীতে বৈরালি, ইলিশ, কালীবাইস, গুলশা, টেংরাসহ বিভিন্ন মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
লালমনিরহাটে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদকব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহানী আলী ও মমতাজ উদ্দিন এবং ইশোরকোল এলাকার দুই স্থানীয় বাসিন্দা মজমুল ইসলাম (৩২) ও আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আহত স্কুলছাত্র
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাকিনা-মহিপুর বাইপাস সড়কের সিরাজুল মার্কেট এলাকায় পুলিশের একটি দল তল্লাশি অভিযানে একটি প্রাইভেটকার থামায়।
ওসি বলেন, তারা গাড়িটি তল্লাশির চেষ্টা করলে চালক ও তার সহকারী তাদের ছুরিকাঘাত করেন এবং স্থানীয় দুই পথচারী এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। পরে গাড়িটি তল্লাশি করে ১৮০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়। এরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর অধীনে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাটে যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা: ৩৮ আসামি কারাগারে
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক সাহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৩৮ পলাতক আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার (১১ মে) বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক আমলি আদালত-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লালমনিরহাটের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জুয়েল হত্যা মামলায় পলাতক ৩৮ আসামি আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন। তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবে শুনানি শেষে তা নাকচ করেন বিচারক। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পড়ুন: যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরও গ্রেপ্তার ৬
পুলিশ জানায়, জুয়েল হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে হামলা মামলায় এজাহারভুক্ত ৩৮ আসামি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। তারা বেশ কিছু দিন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। বুধবার সকালে তারা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি মো. রুমেল মিয়াকে আটকের পর ৩৭ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। জামিন পেতে জেলা জজ আদালতে আমরা আপিল করব।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
পড়ুন: লালমনিরহাটে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা: খাদেমের পর মুয়াজ্জিনও গ্রেপ্তার
ছেলের জন্মদিনে বন্ধুদের জন্য ফেনসিডিল এনে আটক বাবা
লালমনিরহাটে ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বন্ধুদের জন্য ফেনসিডিল নিয়ে এসে পুলিশের হাতে আটক হলেন বাবা জিতু ইসলাম ও তার বন্ধু আশরাফুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ঘুটিয়ামঙ্গল এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ঘুটিয়ামঙ্গল এলাকায় জয়নাল আবেদীনের পুত্র জিতু ইসলামের (৩১) বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ জিতু ইসলাম ও তার বন্ধু আশরাফুজ্জামানকে আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, জিতু ইসলামের ছেলের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জিতু তার কয়েকজন বন্ধুকে দাওয়াত দেন। জন্মদিনের কেকের সঙ্গে বন্ধুদের ফেনসিডিল খাওয়াতে চান তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই ফেনসিডিল কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক হওয়া দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পড়ুন: সিলেটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের ৩ ইউনিয়নে ঈদ উদযাপন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিন ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ করেন এসব গ্রামের মুসল্লিরা।
সোমবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার কাকিনা ও তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট ও একই ইউনিয়নের বোতলা এলাকায় এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে কিছু মানুষ। এবার সুন্দ্রাহবিতে প্রায় ১৬০ জন, পানি খাওয়ার ঘাটে প্রায় ১২০ জন ও বোতলা এলাকায় প্রায় ৬০ জন মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
একদিন আগে ঈদের বিষয়ে মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদ বলেন, কোরআন থেকে জেনে শুনে এই ঈদ আমরা পালন করে আসছি, এখানে কোনো ভুল নেই। আমাদের মত দেশের সকল মানুষের ঈদ পালন করা উচিত। তাহলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দ্রাহবি, বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। বিষয়টি নজরদারি করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।
লালমনিরহাটে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
লালমনিরহাটের বত্রিশ হাজারী এলাকায় বুধবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরারা সময় ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আইয়ুব আলী মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কালীগঞ্জ উপজেলার হরিশ্বর এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বত্রিশ হাজারী গ্রামের ধনঞ্জয় কেচুর বাড়িসংলগ্ন জনশূন্য সড়কে কিছু লোক আইয়ুবের মোরসাইকেলটি আটকে দেয়।
ওসি বলেন, ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এসময় তারা তাকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে, ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যা
অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাটে ‘পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু’: মানবাধিকার সংগঠনের বিচার দাবি
লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংগঠনটি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার এমএসএফের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,‘পুলিশ হেফাজতে অকথ্য অত্যাচারে ব্যক্তির মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের হেফাজতে থাকা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। এমএসএফ সুষ্ঠু তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি করেছে।’
এর আগে লালমনিরহাটে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত রবিউল ইসলাম খান (২৫) সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজিচওড়া গ্রামের দুলাল খানের ছেলে।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রবিউল ইসলাম বলেন, জুয়া খেলার খবর পেয়ে পুলিশ সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাংলা বাজার এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করে। থানায় আসার পথে রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রংপুর হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই প্রত্যাহার
তবে রবিউলের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, রবিউল জুয়া খেলেননি, তাই পুলিশ ভ্যানে উঠতে রাজি হচ্ছিল না। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। রবিউল কীভাবে মারা গেছেন চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। তাই তাদের কাছে খোঁজ-খবর নিন। আমি এ বিষয় বলতে চাচ্ছি না।’
এদিকে রবিউলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরাতেই মহেন্দ্রনগর বাজারে লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে অভিযুক্ত সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হালিমের শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ ভ্যানে হামলা ও ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
পুলিশভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, কনস্টেবল নিহত