লালমনিরহাট
বিয়ের ৩ মাসের মাথায় সড়কে প্রাণ গেল নববধূর
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়ে তার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দলগ্রাম তুষভান্ডার বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নববধূ আশা মনি (২১) উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি গ্রামের জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের পশুরাম পাড়া এলাকার অহেদুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তিন মাস আগে জাকারিয়ার সঙ্গে আশা মনির বিয়ে হয়। সোমবার রাতে স্বামীসহ মোটরসাইকেল যোগে বাবার বাড়ি দলগ্রামে যাচ্ছিলেন আশা মনি। এ সময় বুকসুলা ব্রীজ এলাকায় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই আশা মনির মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত স্বামী জাকারিয়াকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা!
৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
লালমনিরহাট সদরের কালিবাড়ি খাদ্য গুদামের সামনে থেকে রাস্তায় ফেলে যাওয়া এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় এক ব্যক্তি কালিবাড়ি খাদ্য গুদামের সামনে থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল করে জানান, সেখানে রাস্তার ওপর একটি নবজাতক শিশুকে কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে। ঠান্ডায় শিশুটির শরীর নীল হয়ে গেলেও শিশুটি বেঁচে আছে।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সজীব দাশ । কনস্টেবল সজীব তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে লালমনিরহাট সদর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রাজধানীতে বন্ধ ঘরে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) রফিকুল ইসলাম ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা একদিন বয়সী (আনুমানিক) নবজাতক মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহা আলম জানান, ক্রিটিকাল কন্ডিশন হওয়ায় বাচ্চাটি সদর হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২২ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ১৯৯৯ সালের আফজাল হোসেন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহুবর রহমান (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর শহরের বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন। দণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
গ্রেপ্তার মহুবর রহমান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চর গোবর্দ্ধন গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, গরু খেত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১৯৯৯ সালের ২৭ মে স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে একজনকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাচু শেখ বাদি হয়ে এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৮) দায়ের করেন। এ মামলায় মহুবর রহমানকে প্রধান ও তার বাবা মনসুর আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়। ঘটনার দিনই এলাকা থেকে পালিয়ে যান প্রধান আসামি মহুবর রহমান। একই সালের ২ সেপ্টেম্বর তাদের বাবা ছেলেকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক। এ মামলায় ২০০৩ সালে প্রধান আসামি মহুবর রহমান ও তার বাবাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। বাবা মনসুর আলী গ্রেপ্তার থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১৪ বছর সাজা ভোগ করলে সরকার তার বাকি সাজা মওকুফ করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি মহুবর রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ঘটনার দিন থেকে পলাতক থাকা মহুবর রহমান দীর্ঘ ২২ বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ছদ্মবেশে দিনমজুরের কাজ করে আত্মগোপনে থাকেন। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
৬ মাস আগে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন তাকে গ্রেপ্তার অনুসন্ধান চালান। কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা এসআই জয়নাল আবেদীন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সোর্স নিয়োগ করে আসামি মহুবর রহমানের অবস্থান জানতে পারেন। পুলিশের অভিযান বুঝতে পেয়ে গত মাসে কুমিল্লা শহর ছেড়ে আবারও ছদ্মবেশ নিয়ে রংপুর শহরের বস্তিতে বসতি গড়ে তোলেন আসামি মহুবর রহমান। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রংপুরের পুলিশের সহায়তা নিয়ে মহুবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন এসআই জয়নাল আবেদীন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার মহুবর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুপড়ি ঘরে থাকা সেই লাজলী পেল টিনের ‘ঘর’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সেই অসহায় শীতার্ত খুপড়ি ঘরে বসবাস করা লাজলী খাতুন পেল টিনের ঘর। মানুষ মানুষের জন্য (মামাজ) নামে একটি সামাজিক সংগঠনের কয়েকজন যুবক নিজ অর্থায়নে তাকে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলায় চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামে লাজলীকে এই টিন শেড ঘর নির্মাণ করে দেন ওই সংগঠনের কয়েকজন যুবক। লাজলী খাতুন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামের মৃত আব্দুল সালামের মেয়ে।
এর আগে (১১ ডিসেম্বর ) ইউএনবিতে ‘লাজলী যেন আরেক আসমানী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে মানুষ মানুষের জন্য (মামাজ) নামে একটি সামাজিক সংগঠনের কয়েকজন যুবক এসে আসহায় লাজলীর পাশে দাঁড়িয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দেন।
মানুষ মানুষের জন্য (মামাজ) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির আহম্মেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই লাজলী নামে একটি মেয়ে এক চালা খুপড়ি ঘরে এই শীতে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। পরবর্তীতে আমাদের এই সংগঠনের নিজ অর্থায়নে তার থাকার জন্য একটি টিন শেড ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। এর আগে সংগঠনের উদ্যোগে শীত নিবারণের জন্য লাজলী খাতুনকে লেপ বালিশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
এ সময় সংগঠনের সদস্য ওয়ারেসুল হামিদ সুজন, জাওয়াদ হোসেন, হুমাউন কবির, মুজাহীদ, মানিক, মিলন, আবু বক্কর, হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
লাজলী খাতুনের মা আয়শা বেগম বলেন, আগে ঢাকা ছিলাম এখন আর কাম কাজ করতে পারি না তাই গ্রামের বাড়িতে চলে আসছি। আসার পর থাকার কোন ঘর ছিল না। মানুষের বাড়িতে ছিলাম। আজ নিজের ঘরে মেয়েসহ থাকতে পারব।
ঘর পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশী হয়ে বলেন, বাবা আল্লাহ তোমাদের ভাল করবে।
লাজলীকে নিয়ে ইউএনবিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর লাজলী খাতুনের অসহায় অবস্থা দেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান সরকারি পাকা ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামের ইউপি সদস্য শাহিনুর ইসলাম লাল বলেন, নিঃসন্দেহে এটি মহতী কাজ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ড্রাগন ফল চাষে ‘আবু তালেবের’ সাফল্য
ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, ভোজ্য তেল ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়। তাই সেখানে দাম বাড়লে দেশে ভোজ্য তেলের দাম আরও বাড়তে পারে।
শনিবার বিকেলে লালমনিরহাট শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজে রোটারী ক্লাবের আয়োজনে ছিন্নমুল শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম প্রায় সময় বাড়ে। এ বারের আসন্ন রমজানকে ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার কাজ চলছে। খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির পরিমান বাড়ানো হবে। টিসিবি'র পণ্য বিক্রির পরিমানও ডাবল করা হবে রমজানে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে রমজানের নিত্যপণ্যের বাজার। এ জন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, লালমনিরহাটের ব্রান্ডিং ফসল ভুট্টার চাষাবাদ ব্যাপক। তাই এ জেলায় ভুট্টাজাত শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার কাজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ জেলায় অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজও চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দর চালু হলে উভয় দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বন্ধ থাকা এ স্থলবন্দর চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়াও বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সচল করে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সরকারের রেলপথ মন্ত্রনালয়কে বলা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুন্সি আরও বলেন, তিস্তা নদীকে ঘিরে সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবানের পরিকল্প নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড় তথা রংপুর বিভাগের উন্নতি হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
‘মৃত’ ব্যক্তিকে ৩ বছর পর জীবিত উদ্ধার!
লালমনিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিন বছর ধরে মৃত জেনে আসা অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) তিন বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে নিখোঁজ হন শাজাহান আলী ওরফে নাহিদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ঈশ্বরকুল গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে শাজাহান আলী নাহিদ নিখোঁজ হন। তাঁকে স্ত্রী ও স্বজনরা খুঁজে পায়নি। পরে ওই বছরের ৮ এপ্রিল স্ত্রী মতিয়া বেগম লালমনিরহাট সদর থানায় স্বামী নিখোঁজের সাধারন ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের বলে শনাক্ত করে তার স্ত্রী। এর সূত্র ধরে শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে হত্যা মামলা করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, তিন বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শাজাহান আলী নাহিদকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৬ লাখ টাকা উদ্ধার
কালীগঞ্জে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর সোমবার রাতেই তাদের ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় দুই জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হররাম গ্রামের আঞ্জু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৮) এবং একই এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে মনির উদ্দিন (১৮)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রিপন মিয়া ও মনির উদ্দিন তাদের প্রতিবেশী সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কৌশলে রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে উঠিয়ে ওই এলাকার পরিত্যক্ত একটি বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে ওই ছাত্রীকে তারা সারারাত আটক রেখে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পাশের সতি নদীর ধারে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে অসুস্থ ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়া ও মনির উদ্দিনকে আটক করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
আর পড়ুন: কালীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাড়ি থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
শিবচরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পাওনা টাকার জন্য নির্যাতনে আহত যুবকের মৃত্যু, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পাওনা টাকার জন্য তিনদিন ধরে শারীরিক নির্যাতনে আহত আনোয়ারুল ইসলামের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবক মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের বাড়ির পাশে ঝুঁপড়ি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আনোয়ারুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার মদনপুর গ্রামে মজিবরের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ধলাই নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ : আহত যুবকের মৃত্যু
গ্রেপ্তরা হলেন- জেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের চলবলা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মোজাম্মেল হক (৪৬), তার ছোট ভাই মোশারফ হোসেন ভুট্টু (৩০)। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তের ছেলে সুজনও (২৪) জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কালীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল জানান, আনোয়ারুল ইসলামের কাছে টাকা পাওনা ছিল কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মোজাম্মেল হকের। পাওনা টাকা চাইতে আনোয়ারুলের বাড়িতে যান ইউপি সদস্য, তার ভাই ও ছেলে। টাকা না পেয়ে তারা আনোয়ারুলকে ধরে নিয়ে আসে। তিন দিন আটকে রাখে।
এ সময় তাকে উদ্ধার করতে প্রতিবেশী কুদ্দুসের ছেলে রোকনুজ্জামান এগিয়ে গেলে তাকেও আটকে রাখে তারা। আনোয়ারুল চিৎকার-চেঁচামেচি করলে এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক তার বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে দেন।
পরের দিন আনোয়ারুল আত্মীয়-স্বজনরা আটকে রাখার খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে তাদের ধাওয়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে উপায় না পেয়ে তারা ৯৯৯ ফোন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু
খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পাঁচজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক ও তার ভাই মোশারফ হোসেন ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
লালমনিরহাটে হেফাজতে মৃত্যু: পুলিশের তদন্ত কমিটি
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর থানায় পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাট পুলিশের এ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম ও কোর্ট ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুতে আটক, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু
তিনি জানান, ওই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হিমাংশু রায়ের আত্মহত্যার কারণ জানতে ও ওই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা ছিল কি না তা দেখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর লালমনিরহাট জেলায় ৩৪ বছর বয়সী হিমাংশু রায় পুলিশ হেফাজতে মারা যান। তবে পুলিশের দাবি, বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু চন্দ্র থানার ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্ত্রীর মৃত্যুতে আটক, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু
স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার লালমনিরহাট জেলায় ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন।
তবে পুলিশের দাবি, বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু চন্দ্র থানার ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, শুক্রবার সকালে হিমাংশু রায়ের বাড়িতে তার স্ত্রী ছবিতা রানীর (৩০) লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে তাকে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হিমাংশুর বড় ভাই সুধীর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সুস্থ ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। থানা হেফাজতে কীভাবে মারা গেল আমাদের জানা নেই। আমাদের ধারণা তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সাতক্ষীরায় দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. হিরনর্ময়ন বর্মন সাগর জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।