পঞ্চগড়
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
দেশের কয়েকটি জেলা পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার ও কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার সকালে ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, যখন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম হয় এবং তা কিছু সময় ধরে চলতে থাকে, তখন শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের বিভিন্ন অংশে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতায় পার্থক্য দেখা যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ অনুভব করা হচ্ছে। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, নদী অববাহিকা ও দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়াও, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগরে তার ঘূর্ণাবর্ত প্রসারিত করা হয়েছে। এদিকে, উপমহাদেশীয় উচ্চতার শৈলশিরা বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ হ্রাস পেলে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে
শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড় এবং শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে উপমহাদেশীয় উচ্চতার শৈলশিরা বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী নিম্নচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
চলতি সপ্তাহে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
শনিবার পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা প্রায় দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, রবিবার পঞ্চগড় সদর থানার পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ শনিবার রাতে এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আট বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীকে আটক করেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে নিহত ময়না দীঘি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ আরেফিনের (৫০) লাশ রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের ভাই মারা গেছেন। আরেফিনের দাফনের পর পরিবার ও দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেব।’
শনিবার দুপুরে বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে দলটির পঞ্চগড়ভিত্তিক নেতাকর্মীরা স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো মিছিল বের করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
বিএনপি কর্মীরা শেষ পর্যন্ত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং তারপর প্রায় ৯০ মিনিট ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সন্ধ্যায় অতিরিক্ত বাহিনী আসার পরই পুলিশ শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টার পর পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরেফিনের মৃত্যু হয়েছে।
আরেফিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত নেতাকর্মী।
শনিবার দুপুরের পর পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল করার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি নেতার নাম আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০)। তিনি জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে।
তিনি ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তার লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে পঞ্চগড়ে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করার আগেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক থেকে দেড় ঘন্টার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
বন্ধ হয়ে যায় প্রধান সড়ক ও দোকানপাট। সাইকেল রিকশা ভ্যান চললেও অন্য কোন যানবাহন চলাচল করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিক আহামেদ জানান, আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে কিভাবে বা কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা পোস্ট মর্টেম ছাড়া বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শুরু করেছিল। এসময় পুলিশ আমাদের বাঁধা দেয়। তারা কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে লাঠিচার্জ করতে থাকে। বিএনপির একজন নেতা নিহত ও প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিলে পুলিশ হামলা করে একজনকে হত্যা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের গণমিছিল থেকে আটক ১৬
পঞ্চগড়ে শীতের আগাম আভাস, তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শরতেই শীতের দেখা মিলেছে পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হেমন্তের আগেই পঞ্চগড়ে আগাম শীতের দেখা মিলেছে।
শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পুরো জেলা কুয়াশায় ঢাকা ছিল। এই দিনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেনো বেশি ঘুম পায়?
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলা বেশ গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। কিন্তু শেষ রাতের দিকে হালকা হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কেউ কেউ কাঁথা কম্বল গায়ে নিচ্ছেন। মধ্যরাতের পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৮টা পর্যন্ত মাঠঘাট, ঘাসের ডগা, গাছপালা, ধানের পাতায় শিশির পড়ে মাকড়সার জালের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরম শেষে শীতের আগমনে এখানকার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনেছে।
পথচারীরা জানান, পঞ্চগড়ে বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে এটি খুবই রোমাঞ্চকর। বর্তমান আবহাওয়া উপভোগ করার মত। এক কথায় অসাধারণ। দেশের আর অন্য কোনো জেলায় এমন আবহাওয়া দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার এ মৌসুমে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর কুয়াশার দেখা মিলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণেও আগাম কুয়াশা হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে কুয়াশা ও শীতের পরিমাণ বাড়বে।
করতোয়ায় নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ৬৯
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বুধবার আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত হিমালয় চন্দ্র বোদা উপজেলার বীরেন চন্দ্রের ছেলে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উপজেলার আউলিয়া ঘাটের কাছে করতোয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ জন নারী, ২১ শিশু এবং ১৮ জন পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের তথ্য মতে, আরও তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
এদিকে, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে পঞ্চম দিনের মত অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল ৬টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অভিযান শুরু করে। পরে স্থানীয়রাও তাদের সাথে যোগ দেয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন তিনজন হলেন-দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদন চন্দ্রের ছেলে ভুপেন ওরফে পানিয়া, বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথের ছেলে সুরেন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়া রানী।
এদিকে আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মৃতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আসবেন। প্রত্যেক মৃতের স্বজনদের কাছে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করবেন বলে জেলা তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫
করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
করতোয়ায় নৌকা ট্র্যাজেডি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আরও নয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার আত্রাই নদী থেকে দুটি ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে দুটি এবং বাকিগুলো দুর্ঘটনার স্থানের আশপাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫
তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে এবং নিখোঁজ আরও ২০ জন যাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে তারা নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
এদিকে, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
রবিবার মহালয়া উপলক্ষে প্রায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা বধেশ্বর মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় দুপুর আড়াইটার দিকে করতোয়া নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
ওইদিনই নদী থেকে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং বেশ কয়েক জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে রবিবার নৌকাডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত ও প্রায় ২৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট থেকে বধেশ্বর মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় নারী ও শিশুসহ ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
নদী থেকে ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তরের সময় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে দুই জেলার সব উপজেলায়ই এখন সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষমুক্ত হয়েছে। ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে আজ এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে’।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৪৩টি উপজেলাও একই মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বড় অর্জন। আমি আশা করি বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলা একদিন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হবে। ‘দেশের প্রতিটি মানুষের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা থাকবে।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে ৪ হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন লোক খুঁজে পেয়েছে সরকার এবং তাদের সবার জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা জেলায় ৬৭৮টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ৫২টি উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৭৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, দুই জেলা ও ৫২টি উপজেলায় কাউকে ভূমিহীন পাওয়া গেলে দ্রুত তাদের জমিসহ ঘর দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভূমিহীন ৫২ উপজেলা হলো ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ, ফেনীতে ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেতুলিয়া ও বোদা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রানীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও পটুয়াখালীর দশমিনা।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ণ-২-এর তৃতীয় প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ২১ জুলাই হস্তান্তর করা হয়েছে ২৬ হাজার ২২৯টি এবং বাকি ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ২০ জুন প্রথম দুই দফায় দেশে গৃহহীনদের মধ্যে ভূমিসহ এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ ঘরের জন্য প্রায় ৪ হাজার ২৯কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সরকার সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার করে। এই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য সরকার ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। আর এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সংগৃহীত জমিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই আবাসন প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও সরকার আশ্রয়-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন চালিয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
চলতি সপ্তাহে পঞ্চগড় ও মাগুরাকে ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা
জেলার সব ভূমিহীন পরিবারকে আধুনিক আবাস ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করায় চলতি সপ্তাহে পঞ্চগড় ও মাগুরাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকারের গৃহীত অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরার আটটি উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার মোট ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তার মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস জানান, আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর বিতরণের সময় এ ঘোষণা দেবেন।
কায়কাউস বলেন, ৫২টি উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৭৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ‘পুরো পঞ্চগড় ও মাগুরায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা শূন্য। এটি একটি বিশাল অর্জন।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, দুই জেলা ও ৫২টি উপজেলায় কাউকে ভূমিহীন হিসেবে পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জমিসহ বাড়ি দেয়া হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার
৫২টি উপজেলা হলো-ঢাকার নবাবগঞ্জ; মাদারীপুর সদর; শরীয়তপুরের ডামুড্যা; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; টাঙ্গাইলের গোপালপুর; মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী; ফরিদপুরের নগরকান্দা; নেত্রকোণার মদন; ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া; জামালপুরের বকশীগঞ্জ; চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ; ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ; পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেতুলিয়া ও বোদা; দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী; নীলফামারীর ডিমলা; নওগাঁর রাণীনগর; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা; বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া; নাটোরের বাগাতিপাড়া; পাবনার ঈশ্বরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ; ঝিনাইদহে হরিণাকুন্ডু; সাতক্ষীরার তালা; মাগুরায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা; ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও পটুয়াখালীর দশমিনা।
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর তৃতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রায় ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে; আগামী ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে এবং বাকি আট হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণের কাজ এখনও চলছে।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ও ২০ জুন প্রথম দুই ধাপে দেশে গৃহহীনদের মধ্যে দুই শতাংশ জমিসহ এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি আধা-পাকা বাড়ি বিতরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
২০২১-২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রায় চার হাজার ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সরকার সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার করেছে এবং এই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য দুই হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকার ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি কিনেছে। আর এ পর্যন্ত আট হাজার ৪৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সংগৃহীত জমিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
কায়কাউস বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও সরকার আশ্রয়-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে। কারণ সঙ্কটের মধ্যেও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে আবাসন প্রকল্প অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক জনশুমারি অনুযায়ী সারাদেশে ভাসমান লোকের সংখ্যা মাত্র ২২ হাজার।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আশ্রয়ণ-২ এর প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আশ্রয়ণের সুবিধা ভোগীদের অন্যরকম ঈদ