বাগেরহাট
বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৮ জুলাই) সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বজয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত পূণ্যচন্দ্র মণ্ডলের ছেলে বীরেন মণ্ডল (৬০) এবং তার স্ত্রী রীতা রানী মণ্ডল (৫৫)।
জানা যায়, এই দম্পতির দুটি ছেলে রয়েছে। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী, আরেক ছেলে বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে থেকে পিসি কলেজে পড়াশুনা করেন। ঘটনার সময় তাদের ছেলেরা বাড়িতে ছিলনা।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
অন্যদিকে, এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ-এর গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, বৃষ্টিতে সুপারি গাছ পরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অনিতা হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বীরেন মণ্ডলের ঘরের ওপর থেকে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন গেছে। সকালে গাছের ডাল পরে বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে একটি তার বীরেন মণ্ডলের ঘরের সামনে পরে। ওই তার সরাতে গিয়ে বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হন। এসময় তার স্ত্রী রীতা রানী নিজ ঘরের মেইন সুইচ অফ করতে গেলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অনিতা আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতেই এই দুটি প্রাণ গেল। তারা যদি পাইপ দিয়ে বিদ্যুতের তার ঘরের ওপর দিয়ে নিত, তাহলে এই মৃত্যু হত না।
নিহতের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল বলেন, ‘আগুন ধরে একটা তার ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে, তারপরও ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাহলে ট্রান্সফরমারে কাটআউট কেন লাগাবে, এটাতো মানুষের জীবন বাঁচাতে লাগানো হয়। পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতেই আমার বাবা-মা মারা গেছেন।’
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায় বলেন, সঞ্চালন লাইনের খুব কাছেই বীরেন মণ্ডলের একটি সুপারি গাছ ছিল। গাছটি তারের ওপর পরার ঝুঁকিতে ছিল, যার কারণে আমাদের কর্মীরা ওই গাছটি কেটে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বীরেন মণ্ডল ওই গাছ কাটতে না দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
শনিবার সকালে বৃষ্টি ও বাতাসে সুপারি গাছ বাঁধা রশিটি ছিড়ে যায়। এতে গাছটি তারের ওপর পরে এবং তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে। ওই তার ওঠাতে গিয়েই বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রীও মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় চিতলমারী জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মূল ঘটনা জানা যাবে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে নিয়মিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বন্ধ থাকা প্রথম ইউনিট কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু আছে।
ইতোমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৮ জুন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সফলভাবে যুক্ত হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়মিত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
বিআইএফপিসিএল-এর প্রকল্প পরিচালক অতনু দত্ত বলেন, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং প্রকল্পে কর্মরত সদস্যদের সার্বক্ষণিক কঠোর পরিশ্রমের ফলে রেকর্ড সময়ের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখন দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জনগণ এই ইউনিটের বিদ্যুৎ পাবেন।
বিআইএফপিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আকরাম উল্লাহ বলেন, মৈত্রী প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় বন্ধনের প্রতীক। দেশ-বিদেশের কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞদের প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
কয়লার সংকট কাটতে না কাটতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্স কাজের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার (০২ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি’র (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটি, ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। চার-পাঁচ অথবা ছয় জুনের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে।
কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৫ জুন আরও একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ কয়লা আসবে। কেন্দ্রে কোনো কয়লা সংকট নেই।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লি. এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশলা কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। এরপরে কয়লা সংকট ও কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকবার উৎপাদন বন্ধ হলো এই কেন্দ্রটির।
এছাড়া ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
বাগেরহাটে কাচাঁ মরিচের কেজি ৮০০ টাকা!
বাগেরহাটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ৪০০ টাকা থেকে এক লাফে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাচাঁ মরিচ।
প্রত্যাশা অনুয়ায়ী, কাচাঁ মরিচ কিনতে না পেরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। অনেকে আবার ১০০ গ্রাম ও ২০০ গ্রাম কাচাঁ মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে কাচাঁ মরিচের সংকট থাকায় আড়তে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেশি দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শনিবার (১জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট শহরের বড় বাজারে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
ক্রেতা শেখ আফসার আলী বলেন, খাবার হোটেলের জন্য আধা কেজি কাচাঁ মরিচ কিনতে এসে দেখলাম ৮০০ টাকা এক কেজি মরিচের দাম। তাই ১০০ গ্রাম ৮০ টাকায় কিনে নিলাম। এর আগে কখনও এত টাকা দাম শুনেনি ও দেখিও নাই।
অপর ক্রেতা সাইমন হাওলাদার বলেন, কাচাঁ মরিচ এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। আমার বয়সে কোনোদিন দেখেনি ৮০০ টাকা কেজি। ঈদের দুদিন আগে ৩০০ টাকা কেজি ছিল। আজ তা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। সকালে নাকি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সংকট থাকতেই পারে কিন্তু দাম বাড়বে কেন?।
সরকারি মনিটরিং থাকা প্রয়োজন বলে জানান ওই ক্রেতা।
বাগেরহাট শহরের খুচরা সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, ‘আড়ৎ থেকে সাড়ে ছয়-সাতশ’ টাকা দরে পাইকারি কিনে, ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কেজিপ্রতি এত লাভ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ক্রেতারা এখন ১০০ গ্রামের চেয়ে বেশি কিনে না। অনেকে আবার দাম শুনে চলে যায়। এখন ২ থেকে ৩ কেজি কাচাঁ মরিচ বিক্রি করতে দুদিন সময় লাগে।এই সময়ে অনেক কাচাঁ মরিচ নষ্ট হয়ে যায়’।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
শহরের কাচাঁ বাজারের অলিগলি ঘুরে মাত্র তিনটি দোকানে কাচাঁ মরিচ দেখা যায়। জীবনে এরকম কাচাঁ মরিচের দাম দেখা যায়নি। কাচাঁ মরিচের সংকট থাকলে দাম বাড়ার যুক্তি কোথায় এমন প্রশ্ন অনেকের।
বাগেরহাট শহরের কাচাঁ বাজারের বাণিজ্যালয়ের আড়ৎদার শেখ আসাদ বলেন, ‘আমরা খুলনা থেকে পাইকারি দরে কিনে এনে আড়তে রাখি। এরপর এখান থেকে আমরা খুচরা বাজারের পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে কাচাঁ মরিচ সরবরাহ কম থাকায় খুলনার পাইকারি হাটে না পাওয়ায় মাত্র দুই বস্তা কাচাঁ মরিচ আনা হয়।’
তিনি অবশ্য বলেন, ‘৮০০ টাকা নয়, সকাল থেকে আমরা বাজারে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি’।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি
বাগেরহাটে সুন্দরবনের ২ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে সুন্দরবনের একটি জলদস্যু বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এই তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট ও খুলনা থেকে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আশরাফ আলী মুন্সির ছেলে রেজাউল মুন্সি (৩২) এবং একই উপজেলার জয়নাল সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫)। তারা সুন্দরবনের কথিত জলদস্যু ‘নয়ন বাহিনী’র সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, সুন্দরবনের জলদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আটকের ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশ সোমবার গভীর রাতে প্রথমে খুলনার জেলাখানা ঘাট এলাকা থেকে এসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে শরণখোলা থেকে রেজাউল মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সুন্দরবনের মধ্যে অস্ত্র লুকানো রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তাদের দেখানো মতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের পাথুরিয়া নদীর পূর্বপাড়ের গভীর নলবোনের মধ্যে থেকে তিনটি একনালা বন্দুক, ১০ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, দু’টি দা, একটি হাতুড়ি, একটি বাজিফুটানো যন্ত্র এবং জেলেদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় কাজে ব্যবহৃত একটি খাতা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শরণখোলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক আরও জানান, এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর সুন্দরবনে দস্যুদের আস্থানা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জলদস্যু বাহিনীর তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
গত ৬ মাসে সুন্দরবনের জলদস্যু নয়ন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এখনো বাহিনী প্রধান নয়নসহ চারজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে বাগেরহাট পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ দস্যুর আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রক্রিয়া।
এরপর কয়েক দফায় ৩২টি দস্যু বাহিনী প্রধানসহ ৩২৮ জলদস্যু আত্নসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। ওই সব দস্যুদের আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনে জলদস্যু অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে।
তবে সুন্দরবনে আবারও দস্যুদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে মেয়ে সংক্রান্ত বিরোধ: ব্লেডের আঘাতে ৩ সহপাঠী আহত, আটক ১
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মেয়ে সংক্রান্ত বিরোধে এক সহপাঠীর ব্লেডের আঘাতে তিন সহপাঠী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের কাছে মূলঘর ইউনিয়নের শান্তিগঞ্জ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করা শিক্ষার্থী নাসির সরদারকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
আহতরা হলেন- ফকিরহাট উপজেলার সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার একাদশ শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া হাওলাদার (১৭), জয়ন্ত রাহা (১৭) এবং এইক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্র মুসা আব্দুল্লাহ (১৬)।
আহতদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আটক নাছির সরদার ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ফকিরহাট উপজেলার আড়–য়াডাঙ্গা গ্রামের জাহান আলীর ছেলে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় নাছিরের সঙ্গে তাদের গায়ে ধাক্কা লাগে। এসময় নাছির হঠাৎ করে ধারালো কিছু দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে জখম করে।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ শেখ সাংবাদিকদের জানান, আহত অবস্থায় তিনজন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারারো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাছির সরদার নামে ওই শিক্ষার্থী তার তিন শিক্ষার্থীকে ব্লেড দিয়ে পোচ দিয়ে আহত করে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে আনারুল শেখ (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদরের বৈটপুর এলাকার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে হামলার শিকার হন আনারুল।
হামালাকারিরা লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আনারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন বিকালে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মাছের ঘের নিয়ে বাচ্চু শেখের সঙ্গে কালাম বয়াতির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে আনারুল শেখকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের কাছে আনারুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছে তার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত থানায় এজাহার পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
সাংবাদিক রব্বানীর খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: এমএসএফ
বাগেরহাটে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবকের ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আহত ৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার (১১ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাটরপাড়া স্টিল ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সম্রাট শেখ (২২) চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্ণি গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
নিহত রফিক খান (৪০) বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের গাউস খানের ছেলে এবং পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক।
আহতেরা হলেন- রায়হান শেখ (২৭), আমিনুর রহমান (৩৬), আবু সাঈদ (২৪) ও তানভীর (২৪)।
আহতদের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক সৈয়দ বাবুল আকতার জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক হঠাৎ করে ধারালো ছুরি দিয়ে চিতলমারী উপজেলা সদরে স্টিল ব্রিজের পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এসময় তার ছুরিকাঘাতে পাঁচজন গুরুতর জখম হয়।
আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রফিক খানকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর চারজনকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রায়হান শেখের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানান।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। এঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বাগেরহাট সদরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অজয় ভট্টচার্য (৪২) বাগেরহাট সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মানিক লাল ভট্টচার্যের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ট্রাক চাপায় নারী এনজিও কর্মী নিহত
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসানুর রহমান জানান, সকাল ৭টার দিকে অজয় ভট্টচার্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সিএন্ডবি বাজারের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা দূরপাল্লার একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসটি জব্দ ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১