বাগেরহাট
বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে শহরে পদযাত্রা বের করলে তাদের আটক করা হয়।
কর্মসূচিতে প্রথমে পুলিশ বাধা দেন এবং পদযাত্রা শেষ করে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। তবে বিএপির দাবি আটকের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।
পুলিশ বলছে, পদযাত্রার নামে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছি গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে। আটকৃতদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম এবং শাহেদ আলী রবিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপিএদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা এবং নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয়য় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ড. ওবায়দুল ইসলাম।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেন এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে কেন্দ্রিয় ও জেলা পর্যায়ের ৪০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করে।
সারা দেশে পদযাত্রায় বাধা এবং নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে ৪ মার্চ সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম ড. ওবায়দুল ইসলাম। আটক বিএনপির সকল নেতার্মীর মুক্তির দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, পদযাত্রার নামে নাশকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে গোপন সূত্রে-এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের বিষয়ে যাচাই বাছাই চলছে।আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটের ফকিরহাটে পরিবহনের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার বেলা ২টার দিকে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের সরদার মোজাহার আলীর ছেলে সাকির সরদার (২০) এবং একই গ্রামের মোহর আলীর ছেলে সাদিক (২০)। এদের মধ্যে সাকির মৎস্যঘের ব্যবসায়ী এবং সাদিক বোতলজাত পানির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত, চালক আটক
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলী মুজ্জামান জানান, একটি মোটরসাইকেল যোগে ওই দুই বন্ধু খুলনার রুপসার দিকে যাচ্ছিল। পথে কাকডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি পরিবহন ওই মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন নিহত হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরার শ্রীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে আরও একটি জাহাজ।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত ‘এপিজে কাইস’ জাহাজে করে এই কয়লা আসে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি ১৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে আসার কথা থাকলেও শিডিউল জটিলতার কারণে দুদিন পর রবিবার মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় জাহাজটি নোঙর করে। বিকালে ছোট লাইটার জাহাজে খালাস প্রক্রিয়া শুরু করা হবে এবং এই কয়লা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দরের হারবার সূত্র জানায়, এপিজে কাইস জাহাজটি ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকলের বাল্ক কার্গো। এই কার্গোটি বিশেষভাবে শস্য, কয়লা এবং সিমেন্টের মত পণ্য পরিবহনের জন্য তৈরি করা।
এতে পণ্য বোঝাইয়ের জটিলতায় পরিবর্তিত, পণ্যসম্ভার জাহাজে তোলা এবং খালাস করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগে।
এদিকে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার ১০ বছর পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
কিন্তু কয়লার অভাবে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। মূলত ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আমদানিতে জটিলতা দেখা দেয়।
এর জেরে কয়লার অভাব দেখা দেয়। পরে এই সমস্যার সমাধান হলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে এইটি জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
উল্লেখ, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগে ২০১০ সালে সুন্দরবনের অদুরে বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১২ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কোম্পানি গঠিত হয়।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মালিকানাধীন রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট গত বছরের আগস্টে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের মালামাল নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
বাগেরহাটের সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া গৃহপালিত গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক কৃষক। পরে আহতাবস্থায় ৬২ বছর বয়সী মো. ফজলু গাজীকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
ফজলু গাজীর বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে।
তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, বনে প্রবেশের অনুমতি ছিলো না। তাই ‘ভয়ে’ দুদিন কাউকে কিছু জানায়নি তারা।
ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের একদম কাছেই। একটা বেড়িবাঁধ, তারপর ছোট নদীর অপর পাশে বন।
মঙ্গলবার সকালে তাদের একটি গরু ছাড়া পেয়ে শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে।
বেলা ১১টার দিকে গরু আনতে নদীর ওপারে সুন্দরবনের ভেতরে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তার স্বামী।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে বাঘের আক্রমণে কৃষক আহত হওয়ার বিষয়টি শনিবার সে জানতে পারেন। ওই কৃষক অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। একারণে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছিল। অবৈধভাবে যেন কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এজন্য বনসংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই মাকিং করা হচ্ছে। এর পরেও মানুষ অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে।
এসিএফ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার আরও জানান, ওই কৃষক কি উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাঘের চামড়াসহ ২ চোরা শিকারী আটক
সুন্দরবনের ফরেস্ট অফিসের কাছে ৩ বাঘ, আতঙ্কিত বনরক্ষীরা
প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
খুলনার বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখলেন ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ প্রমোদতরিতে করে বাংলাদেশে আসা ২৫জন বিদেশি পর্যটকের একটি দল। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ওই পর্যটকেরা ষাট গুম্বুজ মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তী এক ঘন্টা ধরে তারা মসজিদের ভিতর এবং বাইরের অংশ ঘুরে দেখেন।
২৫জন বিদেশি পর্যটকের মধ্যে ২৪ জন সুইজারল্যান্ড এবং একজন জার্মান নাগরিক।
প্রথমে তারা ষাট গম্বুজ মসজিদ চত্বরের জাদুঘরে গিয়ে খানজাহানের সময়ের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব দেখেন। এরপর তারা ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখেন। এসময় তাদের অনেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে মসজিদের ছবি ধারণ করেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদের অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং লাল পোড়া ইটের উপরে নয়নাভিরাম কারুকার্য ও ইটের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা দেখে মুগ্ধতার কথা জানান বিদেশি পর্যটকরা।
তারা জানান, বহুপুরাতন এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলী অসাধারণ, যা তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা মসজিদের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদে তাদেরকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানান বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজ আল-আসাদ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাট যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান যায়েদ, ষাট গম্বুজ মসজিদের ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন এবং ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান।
আরও পড়ুন: গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরি বাংলাদেশ ও ভারতকে সংযুক্ত করতে নদীর শক্তি প্রদর্শন করেছে: প্রণয় ভার্মা
বাগেরহাটে ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার মেশিন উদ্ধার, আটক ৪
বাগেরহাটের রামপাল কলয়াভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চুরি হওয়া ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার থানা পুলিশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা থেকে মেশিন চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার যুবককে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
আট ব্যক্তিরা হলেন, পিরোজপুর জেলার নরখালী গ্রামের নূরল আলম শেখের ছেলে রাব্বী ইসলাম ওরফে গোলাম রাব্বী (২৪), বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার খাজুড়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল কারীম (২৭), জেলার রামপাল উপজেলার চিত্রা গ্রামের প্রকাশ চন্দ্র শীলের ছেলে কার্তিক শীল (২৫) এবং একই উপজেলার বর্ণি গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে বাদশা শেখ (২৩)।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন জানান, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গত ১৪ জানুয়ারি ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার ওই মেশিনটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর ১৬ জানুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা থেকে চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করে।
এরপর তাদের থানা রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমতে ঢাকার ডেমরা এলাকার কোনাবাড়ী থেকে চোর চক্রের এক সদস্যের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের ওই মেশিনটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাবাবাদে আটক যুবকরা রামপাল কলয়াভিত্তিকি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে মেশিন চুরির কথা স্বীকার করেছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলায় পুলিশের অভিযান, ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটকের দাবি
ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, চালক আটক
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে একটি জুট মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার লখপুর খাজুড়া এলাকায় এম এম জুট মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, অভিযান চলাকালে চালবোঝাই ওই মিলটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া ওই মিলের সহকারী ম্যানেজার অলোক চক্রবর্তীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান এবং খুলনা র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার বদরুদ্দোজা।
আরও পড়ুন: খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ২
রুবাইয়া বিনতে কাশেম বলেন, খবর পেয়ে ওই জুট মিলে ভ্রাম্যমাণ আদলাতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চাল জব্দ করে মিলটি সীলগালা করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন আইনে মিলের সহকারী ম্যানেজারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, জুট মিলের এই গুদামে সরকারিভাবে আমদানি করা চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। মিলের কর্মকর্তাদের দাবি সরকারিভাবে বাতিল করা এক হাজার ১৮৯ মেট্রিকটন চাল এখানে রাখা হয়। তবে তাদের ধারণা এই মিলে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুত রয়েছে। মজুত করা অধিকাংশ চাল খাবারের উপযোগী। জব্দ করা ওই চালের বিষয়ে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার বদরুদ্দোজা জানান, খবর পেয়ে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অংশ নেয়। জুট মিলের মধ্যে হাজার হাজার বস্তায় প্রায় ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। নষ্ট চালের কথা বলা হলেও এখানে খাবার উপযোগী অনেক চাল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর পূজা মণ্ডপের বরাদ্দকৃত ২০০ বস্তা চাল জব্দ, আটক ১
সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩
মোংলা ইপিজেডের আগুন ২৪ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিসের আটটি টিমের ২৪ ঘন্টার নিরলস প্রচেষ্টার পর বুধবার বিকালে বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের একটি ভারতীয় লাগেজ কারখানায় লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিকাল ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ জানান, বিকাল ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং তারা কারখানায় ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মোংলা ইপিজেডে ভিআইপি কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ভিআইপি-১ লাগেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তখনও কারখানার ভেতরের বিভিন্ন জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় কর্তৃপক্ষ কারখানা থেকে ৭৭৫ জন শ্রমিককে বের করে আনতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় বসুন্ধরা গ্যাস ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
বাগেরহাটে আগুনে ৭ দোকান পুড়ে ছাই
বাগেরহাটে মৎস্য ঘের থেকে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিখোঁজের সাতদিন পর মাছের ঘের থেকে অনিক অধিকারী নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের পতিত অধিকারীর মাছের ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অনিক অধিকারী (১৭) বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কুমারখালী গ্রামের অতুল অধিকারীর ছেলে।
সে স্থানীয় টাউন নওয়াপাড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ নিহত ৩
এছাড়া ওই কলেজছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ মৎস্যঘের ফেলে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান,
পরিবারের বরাত দিয়ে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, অনিক গত ২২ জানুয়ারি স্থানীয় বেতাগা মাছের আড়তে মাছ বিক্রি করতে যায়। এসময় আড়তে মাছ বিক্রি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এর পর সে আর বাড়ি ফিরে যায়নি।
সেই থেকে অনিক নিখোঁজ ছিল। স্থানীয় লোকজন রবিবার বিঘা গ্রামে একটি মৎস্যঘেরে লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
তিনি আরও জানান, অনিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই মৎস্যঘেরে মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। অনিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং তার পরিধানের জামা-কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারীদের আটক এবং হত্যার কারণ উদঘাটন করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি রপ্তানি শিল্পে। কারণ, বিশ্ববাজারে দেশের গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাহিদা কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে, চিংড়ির মূল্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি পতন দেখা গেছে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি জাতের চিংড়ি।
তুলনামূলক কম দামের কারণে বিদেশের বাজার অনেকটাই দখল করেছে ভেনামি জাতের চিংড়ি। সেজন্য দেশের বাজারে অস্বাভাবিক হারে চিংড়ির দরপতন ঘটেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বাগেরহাটের হাট-বাজারে কেজিতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কমেছে। ঠিক এ কারণেই এই মাছ চাষের সঙ্গে জড়িতরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। সেজন্য হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারকরা বিশ্ববাজার ধরে রাখতে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের কথা বলছেন।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে চিংড়ি চাষে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে চিংড়ি মারা যাচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাষের তাড়াও রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারে চিংড়ির চাষ বেশি হয়। এর মধ্যে বাগেরহাটে বেশি পরিমাণ ঘেরে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ করা হয়। কখনো জলোচ্ছ্বাসে ঘের ডুবে চিংড়ি ভেসে যাচ্ছে। আবার কখনো বা অনাবৃষ্টি আর ভাইরাসের কারণে ঘেরে চিংড়ি মারা যাচ্ছে। নানা কারণে একের পর এক বিপর্যয় লেগেই আছে চিংড়ি শিল্পে। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চিংড়ি রপ্তানিতেও পড়েছে প্রভাব।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর পাইকারি মৎস্য আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ১২টি চিংড়ি ধরে এমন আকারের বাগদা কেজি প্রতি এক হাজার ১০০ টাকা, ১৫টির ক্ষেত্রে ৯০০ টাকা ও ২০টির ক্ষেত্রে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গলদা চিংড়ির ক্ষেত্রে ৮টি ধরে এমন আকারের কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
উৎপাদন খরচের তুলনায় কম মূল্যে বিক্রি করার কারণে লোকসানের মুখে অনেক চাষি বিকল্প পেশা খুঁজছেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে সুদিন ফেরাতে পারে ভেনামি চিংড়ি, বাণিজ্যিক চাষ দাবি