বাগেরহাট
দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বাগেরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জেলায় এবছর ৬৪২টি মন্দিরে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়া, আর রং তুলিতে প্রতিমা সাজানো হচ্ছে। মাটির প্রতিমায় জীবন্ত রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
অন্যদিকে, এসব মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, নিরাত্তা ব্যবস্থা এবং পূজা চলাকালীন আযান ও নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। সভায় জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম,পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, পূজার এই পাঁচদিন জেলার সব মসজিদে একই সময়ে আযান ও নামাজ হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
বাগেরহাট শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার জানান,এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এপর্যন্ত প্রশাসনের সবগুলো সভাতেই দুর্গোৎসবকে ঘিরে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, দুর্গোৎসব শুধু হিন্দুদের নয়, বাঙালীর সংস্কৃতিরও অংশ।
আর তাই দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগীতার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুই স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। স্টাটিক ডিউটির পাশাপাশি, পর্যাপ্ত মোবাইল টিম রাখা হবে।
তিনি জানান, দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে। শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আর কদিন বাদে সনাতনধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শরৎকালের কাশফুলের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসছেন।
মহামারি করোনার কারণে গেল দুই বছর দুর্গাপূজায় উৎসবের কিছুটা কমতি ছিল। এবছর করোনার প্রভাব কমে আসায় আড়ম্বরসহকারে পূজার আয়োজন চলছে। দর্শনার্থী আর ভক্তদের ঢল নামবে এমন আশায় মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে নানা ভাবে। ভক্তরাও অপেক্ষায় রয়েছে দেবী দুর্গাকে বরণ করতে।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবদেবীর প্রতিমায় রঙের কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীরা অপরূপ সাজে প্রতিমা সাজাচ্ছেন। এই সঙ্গে পূজামণ্ডপগুলোতে সাজসজ্জা আর আলোক সজ্জার কাজ চলছে।
বাগেরহাট শহরের শালতলা শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে,শিল্পীরা রং তুলিতে দেবদেবীর প্রতিমা সাজাচ্ছেন। সেই সঙ্গে চলছে সাজসজ্জা আর লাইটিংয়ের কাজ। এই অঞ্চলের মধ্যে এই প্রথম শতবছরের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী হরিসভা মন্দিরের থিমের ওপর ভিত্তি করে সাজসজ্জা করা হচ্ছে। ডেকরেশনে অনটাইম প্লেট ও বাটি ও বাঁশের তৈরি কুলার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া নানা ধরণের উপকরণ ব্যবহার করে সাজসজ্জায় নানা বৈচিত্র আনা হয়েছে। এই পূজামন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ও ভক্তদের ঢল নামবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা হাতিতে (গজে) চড়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন। মহাসপ্তমী,মহাঅষ্টমী,মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
সুন্দরবনে আরও ৪ ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হচ্ছে
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাতায়াত সহজ হওয়ায় সুন্দরবন ও ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান ভিড় নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনে আরও চারটি ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার খুলতে যাচ্ছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শেষ পর্যায়ে বৃষ্টি: বাগেরহাটে আমন চাষে আশার আলো
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। ভিড় সামলাতে নতুন করে আলীবান্দা, আন্দারমানিক, শেখেরটেক এবং কালাবগিতে আরও চারটি ইকোট্যুরিজম সেন্টার চালু করা হচ্ছে। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সুন্দরবনের করমজল, হারবারিয়া, কলাগাছিয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলা এবং হিরোনপয়েন্ট এলাকায় সাতটি ইকোট্যুরিজম সেন্টার রয়েছে।
মৌসুমের শেষ পর্যায়ে বৃষ্টি: বাগেরহাটে আমন চাষে আশার আলো
চলতি বছর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল আবাদ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও মৌসুমের শেষ পর্যায়ে টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটে আমন ধান চাষে আশার আলো জাগিয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমের শেষ পর্যায়ে কৃষকরা জমিতে ধানের চারা রোপণ করছে। পানির অভাবে দুই সপ্তাহ আগেও লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ জমি ফাঁকা পড়েছিল। প্রচণ্ড খরায় ধানের জমি ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়। তবে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর টানা ছয় দিনে বৃষ্টি হওয়ায় আমন রোপণের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে।
সদর উপজেলার পুটিমারী এবং কচুয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামে সরজমিনে দেখা গেছে, প্রচণ্ড খরায় ফেঁটে চৌচির থাকা জমিতে পানির দেখা মিলেছে। আর ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা শুকনা জমিতে ১২ থেকে ১৫ ইঞ্চি পানি জমে আছে। এই পানির অভাবে ধানের যেসব চারা শুকিয়ে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছিল সেসব ধানের পাতা সবুজ বর্ণে রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ২০২১ সালে বাগেরহাটে মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত চার মাসে তিন হাজার ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়। আর চলতি বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দুই হাজার ৫৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সেই হিসাবে ৪৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৭৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার ৭০৩ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ জমি রোপণ করা হয়েছে। এ বছর দুই লাখ ৬৬ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় দুই লাখ ৪৪ হাজার ৩২৮টি কৃষক পরিবার রয়েছে।
কয়লা নিয়ে আরও ২টি জাহাজ মোংলায় ভিড়ল
বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড় করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এবং বুধবার সকাল ৯টার দিকে কয়লাবোঝাই বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙ্গর করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাহাজ দুটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৬২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে। গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটিতে ৩০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন এবং হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটিতে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা এটি কয়লার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় চালান।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজ দুটির মধ্যে এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটি বন্দরের পশুর চ্যনেলের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এবং এমভি সানিয়া নামে জাহাজটি ১৩ নম্বরে নোঙ্গর করে। মঙ্গলবার রাত থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে কয়লা বোঝাই করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হবে।
তিনি জানান, গ্রিক পতাকাবাহী এমভি মাগদা-পি নামে ওই জাহাজটির গভীরতা আট দশমিক সাত মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১৯০ মিটার। এছাড়া হংকং পতাকাবাহী এমভি সানিয়া নামে জাহাজটির গভীরতা ৯ দশমিক এক মিটার এবং দৈর্ঘ ১৯০ মিটার।
আরও পড়ুন: গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকের ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, গত ২৯ আগস্ট ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার তারাকান বন্দর থেকে এমভি মাগদা-পি নামে জাহাজটি ছেড়ে আসে। ১৬ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। পরে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
তিনি জানান, এমভি সানিয়া নামে আরও একটি জাহাজ ৫৪ হাজার ৬৮৪ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ৩১ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার মাওরাপান্তাই বন্দর ছেড়ে আসে। ১৫ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এবং সেখানে ২২ হাজার ৬৮৪ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করার পর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এই জাহাজে ৩২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। ওই জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস করার পর লাইটার কার্গোতে বোঝাই করে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেয়া হবে।
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে জাহাজ দুটি থেকে কয়লা খালাস কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এর আগে ৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রথম চালানে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভিড়ে।
বিদেশের বাজার ধরার স্বপ্ন দেখছে বাগেরহাটের ফল চাষিরা
বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি নানা জাতের ফল চাষ করে সাড়া ফেলেছে বাগেরহাটের কচুয়ার শিয়ালকাঠি গ্রামের কামরুল হাসান (৪০) নামের এক ব্যক্তি। তার ২১ বিঘার বাগানে দেশি-বিদেশি নানা ফল চাষ করে, মাত্র একবছরে তিনি ২৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তিনি তার বাগানের ফল বিদেশে রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন।
কামরুল হাসান জানান, মাত্র ৪ বছর আগে শখের বসে বাড়িতে ১০টি ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছর ভাল ফলন না পেলেও হাল ছাড়েননি তিনি।
পরের বছর ড্রাগনের ভাল ফলন মেলে। এর পর একে একে ড্রাগন চাষ বাড়াতে থাকেন। সেইসঙ্গে আমেরিকা, জাপান,ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের নানা জাতের ফলগাছ লাগাতে থাকেন। কয়েকটি প্লটে বিভক্ত করে ২১ বিঘা জমিতে দেশি-বিদেশি নানা ফল লাগিয়ে গড়ে তোলেন এই ফলবাগান।
পরবর্তীতে কামরুলের দেখাদেখি ওই এলাকার অনেক যুবক বিদেশি ফল চাষে ঝুঁকেছে।
কামরুলের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে বিদেশি নানা জাতের ফলের সমারোহ। গাছে গাছে বিভিন্ন দেশের নানা জাতের ফল ঝুলছে, আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। বাগানে ড্রাগন, মাল্টা, আম, পেয়ারা, বাতাবিলেবু (জাম্বুরা), কমলা, আনারস,বেল,আতা,শরিফাসহ বিভিন্ন জাতের বিদেশি ফল দেখা গেছে। আবার কোন গাছে ফুল ধরেছে।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
বাগেরহাটে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের ছাত্রাবাস থেকে থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজের হিন্দু হোস্টেল থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুব্রত তরফদার (২৬) সরকারি পিসি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাসাবুনিয়া কাটাখালী গ্রামের নির্মল তরফদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সুব্রত কলেজের হিন্দু ছাত্রাবাসের ৪০৮ নম্বর ঘরে থাকতেন। ওই ঘরের অপর দুই শিক্ষার্থী দুইদিন আগে বাড়ি চলে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অন্য শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভূক্ত করে তদন্ত চলছে।
ওসি আরও জানান, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৮ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত
বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে আট হাজারেরও বেশি মাছের ঘের ডুবে গেছে এবং তিন কোটি টাকার চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ঘেরের বাঁধ ভেঙ্গে পানি মৎস্য ঘেরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। অনেকে ঘেরের পাড় মাটি দিয়ে উঁচু করে আর জাল দিয়েও শেষ পর্যন্ত চিংড়ি রক্ষা করতে পারেনি। এছাড়া বিভিন্ন ঘের ডুবে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
এদিকে ঘেরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঘের ডুবে তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ষার শেষ সময়ের বৃষ্টিতে রাজধানীর জনজীবন বিপর্যস্ত
তবে মৎস্য চাষিদের তথ্য মতে, তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নœচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে পাঁচদিন ধরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোংলা, শরণখোলা, কচুয়া এবং মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের সময় নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে।
এছাড়া বৃষ্টিতে নিম্নœ আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মোংলায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করেছে।
অন্যদিকে সুন্দরবনের মধ্যে থেকে জোয়ারের পানি নেমে গেছে। শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিন জোয়ারের সময় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বনের মধ্যে দিয়ে সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
পানির কারণে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে পড়ে। তবে পানিতে বন্যপ্রাণীর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। সুন্দরবনের মধ্যে থেকে জোয়ারের পানি নেমে গেছে।
এছাড়া বুধবার জোয়ারের সময় পানি সুন্দরবনে প্রবেশ করেনি বলে বন বিভাগ জানায়।
অপর দিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনসহ উপক‚লে আশ্রয় নেয়া জেলেরা মাছ ধরতে আবারও সাগরে ফিরে যাচ্ছে।
বুধবার ভোর থেকে জেলেদের তাদের ট্রলার নিয়ে সাগরে রওনা হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আট সহস্রাধিক মৎস্য ঘের ডুবে গেছে।
এর মধ্যে বাগেরহাট সদরে ৫০০টি, মোংলায় দুইহাজার, রামপালে দুইহাজার, মোড়েলগঞ্জে দুইহাজার, কচুয়ায ৫০০টি এবং শরণখোলায় এক হাজার মৎস্য ঘের ডুবে যায়।
ক্ষয়ক্ষতির পূণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোংলার মৎস্য চাষি ফণিভুষণ বিশ্বাস জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে তার এবং তাদের আশেপাশে অধিকাংশ মৎস্যঘের ডুবে গেছে। বিভিন্ন ঘের ডুবে মিশে গেছে। এসব ঘেরের ওপর দিয়ে এক ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। তাদের কয়েক লাখ টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ ভেসে গেছে।
জেলা মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি সুমন ফকির জানান, বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে জেলায় কয়েক হাজার মৎস্যঘের ডুবে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
চিংড়ি শিল্প বাঁচাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৬৯ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে ৭৭ হাজার ৬৫৭টি মৎস্যঘের রয়েছে। মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত চাষির সংখ্যা ৬২ হাজার।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলারচর ফরেস্ট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ মজুমদার জানান, বুধবার জোয়ারের সময় সুন্দরবনে পানি প্রবেশ করেনি। এর আগে তিন দিন সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে। আশ্রয় নেয়া জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে আবারও সাগরে মাছ ধরতে ফিরে যাচ্ছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারত প্রদেশের মধ্যে অঞ্চল ও পাশ^বর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এছাড়া এটি আরও দুর্বল হতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে পারে ।
আরও পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
ইতিহাসে এই প্রথম মোংলা বন্দর জেটিতে সবচেয়ে বেশি গভীরতার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে চায়না থেকে আসা এমভি এমসিসি টোকিও নামে এই জাহাজটি বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে সাত হাজার ২৪১ মেট্টিক টন ওজনের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ২৮৯টি কন্টেইনার রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
বিদেশি এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, এমসিসি টোকিও নাম আট মিটার গভীরতা সম্পর্ণ বিদেশি এই জাহাজটি মোংলা বন্দররের জেটিতে ভিড়েছে। ১৯৮৫ সালের পর এটিই জেটিতে ভিড়া অধিক গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজের নতুন রেকর্ড। সাংহাই বন্দর থেকে কন্টেইনার বোঝাই এ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর তাইওয়ন ও মালয়েশিয়া হয়ে সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে। ১৮৬ মিটার লম্বা এ জাহাজটির গভীরতা আট ফুট।
সোমবার বন্দর জেটিতে ভিড়া এই জাহাজটি বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। আর এটা বন্দরের জন্য বিশাল অর্জন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, ১৯৮৫ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার পণ্য বোঝাই-খালাস শুরু হয়। কিন্ত ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজের আগে কোনদিন বন্দরের নিজস্ব জেটিতে ভিড়েনি। আর আগে যা এসেছে তার সবই ছিল সাত মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। বন্দর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ড্রাফটের জাহাজই হলো এমভি এমসিসি টোকিও। এ জাহাজটিতে আসা আমদানি পণ্য বোঝাই এ কন্টেইনার খালাস শেষে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিয়ে বুধবার আবারো চায়নার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মূলত বন্দর চ্যানেলের আউটারবারের ড্রেজিং সম্পন্ন ও ইনারবারে ড্রেজিং চলার কারণেই আট মিটার গভীরতার এ জাহাজটি সরাসরি বন্দর জেটিতে আসতে পেরেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দুপুরে এম ভি এমসিসি টোকিও বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে ভিড়ে বন্দরের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটা অধিক গভীরতার জাহাজ যা জেটিতে ভিড়ে নতুন ইতিহাসের রেকর্ড করেছে। আর এটি মুলত সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি আউটারবার ড্রেজিং সম্পন্ন করতে পারায় এবং ইনারবার ড্রেজিং চলমান রাখার কারণে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
এখন থেকে এ বন্দরে বড় বড় অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে আসা ও যাওয়া করতে পারবে। এখানে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার কারণে দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের মালামাল এ বন্দর দিয়ে আমদানি ও নতুন নতুন বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানিও বেড়ে গেছে।
জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা বৃষ্টি, নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
সোমবার দুপুরে ভৈরব, বলেশ্বর, পানগুছি, পশুরসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলার রামপাল ও মোংলায় জোয়ারে আর এক ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে প্রায় দুই হাজার চিংড়িঘের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে ওঠায় কয়েকশ’ ট্রলার নিয়ে জেলেরা বাগেরহাটের সুন্দরবনের দুবলারচর, নারিকেলবাড়িয়া ও কটকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশে ও এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পূর্ণিমা ও স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সমূহের নিম্নাঞ্চল এক থেকে দুই ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাগেরহাটে ‘ছিনতাইকারী’ চক্রের ৪ সদস্য আটক
বাগেরহাটে ‘ছিনতাইকারী’ চক্রের চার সদস্যকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রবিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার রুহুল আমিন (২৬) ও আব্দুল আহাদ (২০) এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বিবেক বৈরাগী (৪২) ও আলিম শেখ (২২)।
আরও পড়ুুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
র্যাব জানায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রুহুল আমিন ‘ছিনতাইকারী’ চক্রের মুলহোতা।
খুলনা র্যাব ৬ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট পৌরসভারহরিণখানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলেকরে আসা দুইজন ছিনতাইকারীর এক নারীর গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে র্যাব সদস্যরা অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে।
রবিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ওই চার সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ছুরি, ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন, একটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ও নগদ ৪১ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের বাগেরহাট সদর এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুুন:পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,অভিযুক্ত আটক
মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক