শেখ হাসিনা
জনগণের নিরাপত্তার শেষ অবলম্বন হিসেবে আস্থা অর্জন করুন, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
জীবন ও মর্যাদার সুরক্ষার জন্য পুলিশের কাছে আসা মানুষের শেষ অবলম্বন হিসেবে বাহিনীটিকে গড়ে উঠতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পুলিশকেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে যাতে জনগণ তাদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় এই বাহিনীকেই তাদের শেষ অবলম্বন বলে মনে করে। জনগণ তাদের আশ্রয় পেতে পারে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশকে বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার, সাইবার অপরাধ, অর্থপাচার, গুজব ছড়ানো, মানব পাচার এবং জনগণ ও দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সমাজে এ ধরনের অপরাধ রোধে বিশেষ নজর দিতে বলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।’
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা রোধে পুলিশ চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে শান্তি চাই। যদি একটি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে, আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হব।’
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জন ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা ঠেকাতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ও মূল্যস্ফীতির হার সারা বিশ্বে বাড়ছে এবং তা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
উদ্বোধন করা অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
বহুমুখী রেল-সড়ক সেতু ও এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশের দীর্ঘতম ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে দুটি আধুনিক থানা নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
উদ্বোধন করা অন্য তিনটি প্রকল্প হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
বন্যায় দুর্ভোগ কমাতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
চলমান বন্যার প্রকোপ মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এবার (বন্যার) প্রকোপ কিছুটা তীব্র। এটি কিছু সময়ের জন্য থাকতে পারে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার সব কিছু করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রকৃতির সঙ্গেই বাঁচতে হবে। বন্যা দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে জাপান উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে।
দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন ধরে সেনানিবাসে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা (সামরিক শাসকরা) শাসন করেছে। সেখান থেকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি।
তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন। বাংলাদেশে ৩৩টি টিভি চ্যানেল চালু আছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে শুধু রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনই কাজ করত।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের ৪ জুলাই তিনি প্রথম সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কাজটি এগোয়নি।
কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত থাকায় তার সরকার কক্সবাজারকে পর্যটনের জন্য উন্নত করতে চায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এই বছরের নভেম্বরের কোনো সময় জাপানে সফর করেন তাহলে তারা খুশি হবেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি
আগামী বছর থেকে জাপানি কোম্পানি আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ শুরু করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
এ সময় মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা ভারতের
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। যা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা এনেছে৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুদৃঢ় হওয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থার ওপর নির্ভর করে এবং ভারতের বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ উভয় দেশই যৌথ ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে সম্পৃক্ত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈঠকের জন্য সময় দেয়ার জন্য উপ-রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় পররষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে বিবেচনা করে এবং দুই দেশ অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো খাতে সহযোগিতার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ গত এক দশকে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য ভেঙ্কাইয়া নাইডু বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’
রাজধানীতে ১৪ দলের সমাবেশ শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের অশালীন মন্তব্য ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন জোটের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
১৪ দল সংহত করতে নাসিমের ভূমিকা ছিল অনন্য: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার হিসেবে এক মেট্রিক টন আম্রপালি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আম পাঠানো হয়েছে।
গত বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীদের উপহার হিসেবে আম পাঠিয়েছিলেন।
উন্নত দেশে পরিণত হতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার রূপকল্প বাস্তবায়নে জাপান ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে জাপান ও জাইকা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
বাংলাদেশ ও জাইকার মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে স্নাতক হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে আমরা ‘জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত অংশীদারিত্ব’ চালু করেছি। আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব এখন অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান সেই মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আন্তরিকতা, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান মানদণ্ড।’
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাপান ও দেশটির জনগণের অমূল্য সমর্থন ও অবদানের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে টোকিওতে তার প্রথম সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী।’
মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে দেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সংসদে বলেন, ‘মেগা প্রকল্প নেয়ার আগে যথাযথ আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অধিকাংশ মেগা প্রকল্প বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানে হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো তুলনামূলকভাবে খুব কম সুদের হার, দীর্ঘ পরিশোধের মেয়াদ ও ঋণ পরিশোধের বাড়তি সময়ের উল্লেখসহ নেয়া সহজ ঋণ।
তাছাড়া উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ঋণ তহবিল ছাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো জটিলতা লক্ষ্য করা যায়নি বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পসহ ১৬টি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেন।
অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ।
বাকি মেগা প্রকল্পগুলো হলো- পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে পায়রা বন্দর এবং কুয়াকাটা হয়ে বরিশাল পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেললাইন নির্মাণ, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাল্টি-লেন সড়ক টানেল প্রকল্প এবং এসএএসইসি ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
আরও পড়ুন: আ’লীগ সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সময় বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্প ও ব্যবসা গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘তাই, প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে দেশের অগ্রগতি সরাসরি ত্বরান্বিত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এছাড়া যেহেতু প্রকল্পগুলো (পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প ব্যতীত) বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন পাচ্ছে, তাই প্রকল্প সম্পর্কিত আমদানি ব্যয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।’
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হচ্ছে।
অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ মজুদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে:
ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর (ঢাকা-১১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ ও যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি দেশে অবৈধ মজুদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো কিছু অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগ নিয়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অবৈধ মজুদ ও মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধি, অবৈধ মজুতদারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের (লক্ষ্মীপুর-২) এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ৮৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সার্কুলার রোড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আইন প্রণয়ন, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পের জন্য কর্তৃপক্ষ গঠন চলছে:
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন ও আইনের অধীনে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি টেকসই ও সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থিক অনুমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রাক-কোভিড স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে:
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্সের প্রবাহ কোভিড-পূর্ব পরিস্থিতির স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা কমে ১৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-১১৮ অর্থবছরের প্রথম মাসে গড় রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রাক-কোভিড তিন অর্থবছরের একই সময়ে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের গড় প্রবাহের তুলনায় ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। তাই বলা যায়, রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমেনি, বরং কোভিড-পূর্ব সময়ের স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ান কারাম্বুসহ সাত সদস্যের ফিফা প্রতিনিধিদল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ছিল। ট্রফিটি বাংলাদেশে ৩৬ ঘণ্টার ভ্রমণে বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পাকিস্তান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে দেয়া এক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি এখন বাংলাদেশে
তার পিতামহ, পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাই, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও অত্যন্ত খেলাধুলাপ্রিয় ও ক্রীড়াবিদ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।
ফিফা, কোকা-কোলা ও বাফুফে কর্তৃপক্ষকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আসল ট্রফি বাংলাদেশে আনার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশে ফিফা ট্রফির আগমন দেশের ক্রীড়া অনুরাগীদের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ‘আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ভবিষ্যতের জরুরি পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে অতিরিক্ত এক হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সকলকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর