শেখ হাসিনা
খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিকল্পনা বিএনপির
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে দলটি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকা বাদে সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ‘অশালীন’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা।
গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের তহবিল বন্ধের চেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসসহ দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু আজ
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার শামিল। অনির্বাচিত সরকার প্রধানের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ নির্বাহী শাখার প্রধান যখন কাউকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের মধ্যে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন যা ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত’, ‘অশালীন’ ও ‘অসম্মানজনক’। সভা এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া এলিজাবেথ বর্নিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩০ বছরের মধ্যে দেশটির প্রথম নারী হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এলিজাবেথ বর্নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি অভিনন্দন পত্রে নতুন ফরাসি প্রতিপক্ষের প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক হিসাবে আপনার অভিজ্ঞতা দায়িত্বগুলো কার্যকরভাবে পালনে আপনাকে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্বের বিষয়বস্তুকে আরও বৈচিত্র্যময় করতে আমি আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি নতুন ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্য এবং ফরাসি প্রজাতন্ত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় রবিবার হান ডাক-সুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যে যৌথ মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন আকাঙ্খার ভিত্তিতে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি নতুন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীরতা এবং মাত্রায় অসাধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এখন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ প্রত্যক্ষ করেছে, যার ফলে বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানি এবং সংস্থাগুলোর উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে’।
তিনি উল্লেখ করেন,দুই দেশের বর্তমান উন্নয়নের গতিপথ আমাদের দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য গভীর ও বিস্তৃত অংশীদারিত্বের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা প্রদান করে।
তিনি বলেন, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশে এখন কোরিয়ার মতো তার অন্যান্য অংশীদারদের জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দেশের আধুনিকায়ন ও অর্থনীতির প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অনেক উদ্যোগ ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি তার গভীর আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে হান ডাক-সুর দায়িত্বে থাকাকালীন দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার বন্ধন বিদ্যমান, তা আরও দৃঢ় হবে।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে এবং অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিন্ন অগ্রাধিকারগুলো যৌথভাবে চিহ্নিত করার সুযোগ গ্রহণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মূল্যায়নের আহ্বান মন্ত্রিসভার
মন্ত্রিসভা আগামী তিন দিনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে একটি বিস্তৃত চিত্র দেবে।
মন্ত্রিসভা নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিবেদনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে করণীয় ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিশেষ করে ‘কীভাবে বিষয়টি পরিচালনা করতে হবে, কোথায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে এবং কোথায় শিথিল করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন ডলারের দামের বিষয়টিও ওই সমন্বিত প্রতিবেদনে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২২-কে নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে; যাতে এটি সময় উপযোগী করার জন্য ১৯৫৯ সালের একটি অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কোনো এলাকায় অননুমোদিত হাট-বাজার গড়ে উঠলে সরকার খাস জমি হিসেবে দখল করবে।
জেলা প্রশাসন ও সরকার হাট-বাজারের জমি পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইনে কেউ বা একদল লোক অবৈধভাবে কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২ মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে যা ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ ১৯৭৬ প্রতিস্থাপন করবে।
আইন অনুযায়ী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমি ভূমি উন্নয়ন করমুক্ত থাকবে, বঙ্গবন্ধু যা করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে পুরো জমির জন্য কর দিতে হবে।
কোনো জমি একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন হলে সে ক্ষেত্রে ওই জমির মালিকদের নির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণের জন্য শুনানি হবে এবং এরপর ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচনে কারচুপির ইতিহাস রয়েছে বিএনপির: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কলুষিত নির্বাচনের ইতিহাস থাকায় এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার তাদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচনের ইতিহাস এতটাই কলুষিত... তাদের এই নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকারই নাই।’
১৯৮১ সালে ভারতে নির্বাসন শেষে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বুধবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠানটি হয় এবং এতে তিনি ভার্চুয়ালি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তার দলের প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নিতে ১৯৯৪ সালের মাগুরা সংসদীয় উপ-নির্বাচনে বিএনপি সরকার কীভাবে কারচুপি করেছিল তা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নির্লজ্জ কারচুপি খালেদা জিয়ার সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে জনপ্রিয় আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত খালেদার সংসদ নির্বাচনের-- যা বিরোধী দলগুলো বর্জন করে এবং ভোটাররা এড়িয়ে যান-- কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একইভাবে ১৯৮১ সালে বিএনপি এবং ১৯৭৭, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান নির্বাচনে কারচুপি করেছিল।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে বড় পরাজয় বরণ করবে ভালোভাবে জেনে এখন এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েও বিস্মিত শেখ হাসিনা।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে তার প্রশ্ন আছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই; সবাই সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী। সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের দিয়ে কোনো নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব নয়।
তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মানুষ যদি তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেয় তবে এর জন্য কে দায়ী হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন আওয়ামী লীগের চিন্তা-চেতনার বাস্তবায়ন। তিনি ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ইভিএমের কথা উল্লেখ করেন।
‘আমরা ভোটারদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই তাদের (বিএনপি) উদ্বেগ অর্থহীন’, তিনি বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই এর সবচেয়ে বড় শক্তি এবং সেই শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় থাকায় জনগণের জন্য কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন আওয়ামী লীগের কাছে ঋণী। কেননা দলটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
১৭ মে শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি ভারতে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসেন।
আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম) কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে রাজপথে মারামারি হতো।’
২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে জনগণের অর্থ ব্যয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এগুলোর প্রভাব আমাদের ওপরও দৃশ্যমান হবে। আমদানি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। যেখানে যুদ্ধ চলছে সেখানে পরিবহন খরচ (নৌযান ভাড়া) বাড়ানো হয়েছে, উৎপাদন কমেছে।
তিনি আবারও জনগণকে সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে, এটা জনগণকে জানাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সরকার দেশের উর্বর জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা অর্থনীতির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ এড়াতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা কর্মকর্তাদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য খুন হওয়ার প্রায় ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
ওই সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মঙ্গলবার উদযাপন করবে আ’লীগ
১৯৮১ সালের ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে অনুপস্থিত থাকলেও শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শেখ হাসিনার জন্য দেশব্যাপী মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ৯টায় মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর-১০ এর ওয়াইএমসিএ চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কর্মসূচি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ওপর ডকুমেন্টারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষের আলোচনা
সফররত ভারতীয় জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ ও প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যম রায় চৌধুরী সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তার সংগ্রামের ওপর গৌতম ঘোষের নির্মিত ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে জাতির পিতার কনিষ্ঠ মেয়ে শেখ রেহানা ও তার নাতি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা গৌতম ও সত্যমের সামনে ডকুমেন্টারিটির রূপরেখা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী
কলকাতায় ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও কষ্টের দিনগুলো বর্ণনা করেন তারা।
১৫ আগস্টের গণহত্যা থেকে রক্ষা পাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাও আলোচনায় মহান নেতার রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন তুলে ধরেন।
বৈঠকে গৌতম ও সত্যম জানান, তারা রাজধানীর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাদুঘরের প্রতিটি কোণায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক নিদর্শন দেখেন।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র উল্লেখ করে তারা বই দুটিকে ইতিহাসের মহান অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন।
গৌতম ঘোষ ও সত্যম চৌধুরী বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ নেতার জীবন ও কর্মের ওপর ডকুমেন্টারি তৈরি করে তারা গর্বিত।
আরও পড়ুন: ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
পরে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি কলকাতায় থাকাকালীন তার সংগ্রামের বিষয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
গৌতম ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি ফিল্মটি নির্মাণ করছেন।
৪ এপ্রিল গৌতম কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে শুটিংয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির কাজ শুরু করেন। ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে বঙ্গবন্ধুর অধ্যয়নকালে কলেজটিকে ইসলামিয়া কলেজ নামে ডাকা হত।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মঙ্গলবার উদযাপন করবে আ’লীগ
আওয়ামী লীগ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪২তম বার্ষিকী আলোচনা সভা, দোয়া ও ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে।
১৯৮১ সালের এই দিনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ এবং দলকে বিজয়ী করে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ২১ বছরের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন শুরু করতে ভারতের নয়াদিল্লিতে ছয় বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন এবং এ দিনই তাদের পিতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ এর বাসভবনে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
এরপর থেকে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত না হওয়া এবং লাখো উল্লাসিত সমর্থকদের স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক দিনে দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত দুই বোনকে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল।
১৭ মে বৃষ্টি ভেজা বিকালে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণের পর শেখ হাসিনা মানিক মিয়া এভিনিউতে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন এবং সেখানে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার জীবন উৎসর্গ করার এবং বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ পূরণ করার অঙ্গীকার করেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন তার প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য ও কীভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ও উন্নয়নের দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন তা তুলে ধরে আলোচনা ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান খান নিখিল।
আরও পড়ুন: দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
এছাড়া সংগঠনটি কর্মসূচি চলাকালীন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পোশাক, হুইল চেয়ার ও সাদা ছড়ি বিতরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেশব্যাপী মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়, সকাল সাড়ে ৯টায় মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার মন্দিরে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতার ওয়াইএমসি গির্জায় খ্রিস্টান সম্প্রদায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ঈদ, দুর্গাপূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ ধর্মীয় উৎসবগুলো এদেশে সার্বজনীন আনন্দের। যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, তাদের দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৌদি আরবে মুসলিমরা উলুধ্বনি দেয়, সেটি তাদের সংস্কৃতির অংশ অথচ এই দেশে কোনো মুসলিম উলুধ্বনি দিলে একটি পক্ষ বলবে, এরা সবাই হিন্দু হয়ে গেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টা করা হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আবার সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছেন।'
আরও পড়ুন: সুব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, একইসঙ্গে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও মূর্ত প্রতীক। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, সংস্কৃতিকে ধর্মের সঙ্গে মেলানো উচিত নয়।
মন্ত্রী বলেন,'রামু, কুমিল্লা, নাসিরাবাদসহ বিভিন্ন জায়গার ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারাই এগুলো ঘটিয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা এর পেছনে ছিল। এদেরকে দমন করতে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'