শেখ হাসিনা
এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও ভাষাসৈনিক এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান মুহিত।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য মুহিত ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিত: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের স্থপতি আর নেই
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সফল এ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ তাঁর স্ব কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শেখ হাসিনার আগ্রহে তৈরি হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় স্থায়ী ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি এই ট্রাস্ট করে দেন। বর্তমানে এটি সাংবাদিকদের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে এপর্যন্ত সাংবাদিকদের মাঝে ২২ কোটি টাকা দেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার গঠন করা ট্রাস্ট সব দলমতের সাংবাদিকদের জন্য অবারিত।
শুক্রবার বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবের শহিদ শেখ আবু নাসের ব্যাংকুয়েট হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকের দৃষ্টিতে তাদের সমস্যাগুলো দেখার চেষ্টা করি। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড যারা বাস্তবায়ন করবেন না, তারা সরকারি ক্রোড়পত্র পাবেন না।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনাই কাজ করেছেন। অন্যান্য সরকারের আমলে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন বাস্তবে রূপ পেলে সাংবাদিকরা সত্যিকার সুরক্ষা পাবেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনাদের লেখনি দেশ ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। বিশ্বে আয়তনে ৯২তম ও অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা প্রতিরোধে এপর্যন্ত দেশে ২৫ কোটি ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষে লাখো ভূমিহীন-গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রী জমিসহ পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন। করোনায় দেশে হাহাকার হয়নি, কেউ অভুক্ত থাকেনি, বরং এ সময়ে মাথাপিছু আয়ে আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। এই কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, বিএফইউজের মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট হতে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৩২ জনকে এবং করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার অংশ হিসেবে ৮৬ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘যদি যোগাযোগ বাড়ানো যায় তাহলে আসাম ও ত্রিপুরার মতো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমোদন পেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আন্তঃসীমান্ত রুটগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তারা উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।
জয়শঙ্কর বলেন, (এ সফরে) দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং এটি (আলোচনা) ভালোভাবে এগোচ্ছে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
জয়শঙ্কর এক দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ মেয়াদে কাতার থেকে এলএনজি কিনতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে: অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়
সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ জোরদারে কাজ করছে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন- যেটি নির্বাচন পরিচালনা করে- তা সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।’
সোমবার সফররত নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ড গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘তারা (সামরিক শাসক) বন্দুক ব্যবহার করে ক্ষমতায় আরোহণ করেছিল এবং তারপরে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে নেমেছিল।’
বৈঠকের শুরুতে তারা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা জানি এটা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক চাপ।
অ্যানিকেন হুইটফেল্ড বলেন, দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের সমর্থনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা-উত্তর দেশ গঠনের কাজে নরওয়ে এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘নরওয়ে তখন থেকে আমাদের ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সেভেনডসেন উপস্থিত ছিলেন।
যাত্রাবাড়ীতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে আহত দম্পতির মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রীবাড়ী এলাকায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে আহত এক দম্পতি সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- আব্দুল করিম (৩০) ও খাদিজা আক্তার (২৫)।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী এলাকার কোনাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ী ইউএনও কার্যালয়ে আগুন, নথিপত্র পুড়ে ছাই
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ খাদিজা ভোর ৪টার দিকে এবং ৫৪ শতাংশ দগ্ধ করিম ভোর ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
তিনি জানান,নিহতদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২) ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
করিমের ভাই কামাল হোসেন জানান, ২০ এপ্রিল সেহেরি করার সময় করিম ও খাদিজার বাড়ির রান্নাঘরে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর লালবাগে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
পানি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পানি সম্পর্কিত অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালো অনুশীলন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নিতে শক্তি একত্রিত করতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার জাপানের কুমামোটোতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটে প্রদর্শিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অববাহিকা ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনসহ আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিই।’
তিনি বলেন, আজকের মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে দায়বদ্ধ। এর মধ্যে পানি সম্পর্কিত এসডিজিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের অবশ্যই ক্ষমতায়ন করতে হবে যাতে তারা পানির অন্তর্ভুক্তি, দক্ষতা ও স্থায়িত্বের জন্য দায়িত্বশীল অংশগ্রহণকারী হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক এবং এটি টেকসই উন্নয়ন ও শান্তির সংস্কৃতি প্রচারের জন্য মৌলিক।
তিনি বলেন, “চলমান কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ‘ভালোভাবে ফিরে আসার’ জন্য আমাদের সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’
২০১৬ সালে তিনি পানি সম্পর্কিত জাতিসংঘের উচ্চ-স্তরের প্যানেলের সদস্য ছিলেন যেটি একটি ‘কল টু অ্যাকশন’ গ্রহণ করেছিল বলেও স্মরণ করেন তিনি।
আগামী বছরের ওয়াটার অ্যাকশন দশকের মধ্য-মেয়াদী পর্যালোচনা আমাদের অ্যাকশন এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে। কুমামোটো ঘোষণা সেই প্রক্রিয়ায় একটি কার্যকর অবদান হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে, তিনি বলেন, সরকার পানি ব্যবস্থাপনায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, পুরো সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে যেখানে এর ৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের নিরাপদ পানীয় পানি এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার প্রবেশ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খোলামেলা মলত্যাগের বিষয় প্রায় শেষ করে ফেলেছি। পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি নিরন্তর প্রচেষ্টা। আগামী মাস থেকে আমরা রাজধানীতে ২৩ লাখ কলেরা টিকা প্রদান করবো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে বন্যার বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় পোল্ডার, গ্রিন বেল্ট, ভাসমান কৃষি, নদী খনন, শহুরে ঝড়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাংলাদেশের সহনশীলতা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা এবং গোষ্ঠী ভিত্তিক হস্তক্ষেপের বিকাশ থেকে উপকৃত হয়েছি। আমাদের প্লাবনভূমি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য পানির প্রাপ্যতার ঋতুগত বৈচিত্র্য পরিচালনা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সহনশীল ও সমৃদ্ধ ব-দ্বীপের দিকে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পনার আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহের জন্য আগামী মাসে একটি আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনের আয়োজন করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ সচেতন।
জাপানের কুমামোটো সিটি ও এশিয়া-প্যাসিফিক ওয়াটার ফোরাম (এপিডব্লিউএফ) যৌথভাবে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি- সর্বোত্তম অনুশীলন ও পরবর্তী প্রজন্ম’ শীর্ষক এই সামিটের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ সিঙ্গাপুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় মুগ্ধ সিঙ্গাপুর।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি ভবন ইস্তানায় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুবের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সৌজন্য সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবটি আসিয়ান-এর শীর্ষ পর্যায়ের সভায় উপস্থাপনসহ ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্যে তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। উভয় ক্ষেত্রেই সিঙ্গাপুর সরকারের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি হালিমাহ্ ইয়াকুব বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বন্ধুপ্রতীম দু'দেশের সহযোগিতা ও যোগাযোগ আরও গভীর হবে বলে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণ ও স্বাক্ষর, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, প্রবাসী শ্রমজীবীদের স্বার্থসংরক্ষণ, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্বালানি ও আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ড. মোমেন বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাতকালে ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর সরকারের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তিন দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান
শেখ হাসিনা নকশিপল্লী প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার সুপারিশ
‘শেখ হাসিনা নকশিপল্লী, জামালপুর (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রবিবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি সাংসদ মির্জা আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বাদশ সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
সংসদীয় ওয়াচডগ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মূল সময়সীমা শেষ হওয়ায় একটি যৌক্তিক সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করে শিগগির প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে।
আরও পড়ুন: থমকে আছে দর্শনা-দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর প্রকল্প
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নকশি উদ্যোক্তা, তাঁত ও হস্তশিল্প শ্রমিকদের সুবিধা বৃদ্ধি, নকশি ও তাঁত শ্রমিকদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং তাদের জীবিকার অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ৭২২ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করে।
জামালপুরে ৩০০ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড।
এছাড়া সংসদীয় কমিটি ‘শেখ হাসিনা সোনালি আঁশ ভবন’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) জনবল সংক্রান্ত সমস্যা, কৃষিপণ্য হিসেবে পাটজাত পণ্য তালিকাভুক্তির অগ্রগতি, বেসরকারি পাটকলের ব্যাংক ঋণ মওকুফসহ পাট খাতের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং বাধ্যতামূলক পাট প্যাকেজিং আইন-২০১০ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভায় কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিৎ কুমার রায়, নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও শাহিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: নিখিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে নব দিগন্তে, দুর্বার গতিতে, এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে শ্রবন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আগামী জাতীয় নির্বাচনে শ্রবন প্রতিবন্ধীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস খান রিপনসহ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিরোধীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে: বিএনপি
পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া সামরিক শাসকদের দ্বারা গঠিত দুটি প্রধান বিরোধী দলের জনগণের মধ্যে ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। দেশের মানুষের মধ্যে তাদের অবস্থান নেই।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, দুটিই সামরিক স্বৈরশাসকদের তৈরি যারা সংবিধানকে অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
আরও পড়ুন: সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী