শেখ হাসিনা
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের কাছে এসব দ্রব্য হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
এদিকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে- তা জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ বা পহেলা বৈশাখ যাই হোক- তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার নেতৃত্বে দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন দেশের জনগণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করছে আওয়ামী লীগ সরকার যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতা ও বাসস্থান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবনও পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো টাইগারদের ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়ে শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের হারিয়ে দ. আফ্রিকায় ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
এছাড়া এটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ক্রিকেটের যে কোনো সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ মিনিটের ফোনালাপে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এ প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের কাছ থেকে একটি ফোন কল পেয়েছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী মিতসোতাকিস দেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের অর্থনীতি ও সমাজের কাছে গ্রিসে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উভয় দেশের মধ্যে মাইগ্রেশন ও গতিশীলতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
দুই নেতা বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় একে অপরের প্রার্থীতাকে সমর্থন করতেও সম্মত হয়েছেন।
এসময় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবিধাজনক সময়ে এথেন্স সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে তার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। আমি এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার চট্টগ্রাম ওয়াসার নবনির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-২ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেভাবেই হোক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে এবং বর্ষায় নদীর পানি সংরক্ষণ করতে হবে যাতে আমরা পানির সঠিক ব্যবহার করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (পর্যায়-২) এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত পানি শোধনাগার চালুর ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক পানি সরবরাহ ক্ষমতা এখন১৪ দশমিক ৩০ কোটি লিটার বেড়ে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও বর্ষাকালে নদীর পানি সংরক্ষণের জন্য যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে পানির সংরক্ষণাগার রাখতে হবে, তা আবাসন বা শিল্প যাই হোক না কেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।এর আগে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীর দৈনিক চাহিদার ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালের জুনে এটি চালু হওয়ার প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হলেও করোনার কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। পরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলে কাজে গতি আসে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এ প্রকল্পের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা মেটাতে ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার এ মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ায় ওয়াসার পানি সরবরাহ ক্ষমতা বাড়বে দৈনিক আরও ১৪ দশমিক তিন কোটি লিটার। বর্তমানে দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ প্রকল্প চালুর ফলে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা তিন হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, এ প্রকল্প চালুর ফলে নগরীতে আর পানির সংকট থাকবে না। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নগরে পানির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। পানি সরবরাহের দিক থেকে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মতো সেবা মিলবে। এরপর সমস্ত গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল বাড়বে। ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবেন ১ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
ভালো পরিকল্পনা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশ্বের বিখ্যাত ইনোভেশনস (প্রযুক্তি, গভর্ন্যান্স ও বিশ্বায়ন) সাময়িকীর সম্পাদক মার্কিন অর্থনীতিবিদ ফিলিপ অয়ারসওয়াল্ড ও ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
ইনোভেশনস সাময়িকীটি এমআইটি প্রেস থেকে প্রকাশিত এবং প্রতিষ্ঠানটি কেমব্রিজের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধিভুক্ত।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী লেখক এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইনোভেশনস সাময়িকীর সম্পাদকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘৫০ এ বাংলাদেশ’ শিরোনামের দ্বাদশ ভলিউম, সংখ্যা ১-২ হস্তান্তর করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখে থাকতে দেখতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
ইনোভেশনস সাময়িকীর বর্তমান ভলিউমে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি প্রবন্ধ রয়েছে যার শিরোনাম ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়ালাইজ দ্য আইডিয়ালস অব মাই ফাদার’।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক কশিক বোস ও ইনভেশনস সাময়িকীর সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ সাতজন বিখ্যাত লেখকও এই সংখ্যায় প্রবন্ধ লিখেছেন।
শেখ হাসিনা তার প্রবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, তার প্রবাসের দিন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও গণমানুষের নেতা হয়ে ওঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।
এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
আগামী দিনগুলোতে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করুন, যা শতবর্ষ ধরে যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে।’
রবিবার গণভবনে এফএওর মহাপরিচালক কু ডংইউ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসময় শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি ডিজিটাইজেশন এবং উদ্ভাবনের প্রকল্প গ্রহণের জন্য একটি সমন্বিত তহবিল গঠনের জন্য এফএও’র মহাপরিচালককে বলেন, বাংলাদেশ সেখানে অবদান রাখতে প্রস্তুত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন। তখন বাংলাদেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, তারপর থেকে মাত্র দুই বছর পর তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম হয়ে উঠেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা তার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল। কারণ বিপুল জনসংখ্যার দেশটি চাষযোগ্য জমির অভাবের কারণে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল।
শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে প্রশংসা করেন বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া- লবণ, খরা, জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির জাত উদ্ভাবনের মতো অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি বলেন,‘খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পর, তার সরকার এখন সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।’
চলমান করোনা মহামারির মতো আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি খাদ্য সংরক্ষণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী