শেখ হাসিনা
দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন মেলা, উৎসব প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতে দেশের প্রত্যেক জেলা বা মহকুমায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সহিত্য চর্চা, সাহিত্য সম্মেলন, আলোচনা হোত যে চর্চাটা এখন অনেকটা কমে গেছে। এটাকে আবার একটু চালু করা দরকার।’
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম আবার চালু করা গেলে অনেক তৃণমূল প্রতিভাবান কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মী তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং একই সঙ্গে মানুষ তাদের শারীরিক চাহিদাও পূরণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধন করেছেন।মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা চলবে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
বইমেলা সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে তিন লাখ টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
কবিতার জন্য আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, উপন্যাসের জন্য ঝর্ণা রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণার জন্য হোসেনউদ্দিন হোসেন এবং অনুবাদের জন্য আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ডিএমপি
বিএফডিসি’র নতুন ভবনের নকশা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নতুন ভবনের নকশা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ নকশা দেখেন বলে জানান তার উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন।
শেখ হাসিনা ভবনের নকশায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন ও বিএফডিসি’র মহাপরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এছাড়া গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য: শেখ হাসিনা
দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ৪২তম জাতীয় সমাবেশ-২০২২-এ বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। দেশে যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।‘
গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। আমরা চাই প্রতিটি পরিবার সচ্ছ্বলভাবে জীবনযাপন করুক। এই কারণেই এটি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা ও ধর্মান্ধতা নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আট ক্যাটাগরিতে ১৬২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে বিশেষ পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আক্তার হোসেন বক্তব্য দেন।
পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখে।
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের ম্যান্ডেট দেবে এবং দেশের শাসন অব্যাহত রাখার অনুমতি দেবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক দশকেরও বেশি সময়ের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশকে বদলে দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ দিয়ে করোনা মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এখন ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যেখানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং সারাদেশে শতভাগ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সকল সুযোগ-সুবিধা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে আর কেউ গৃহহীন থাকবে না এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে বলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়া বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি না করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মন্ত্রিসভার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এসব নির্দেশনা দেন। সভায় সংশ্লিষ্ট অন্যরা সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
সভাশেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য প্রক্রিয়া ভেরি প্রিসাইজ ও ট্রান্সপারেন্ট করে দিতে বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়ক হবে চট্টগ্রামে
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে প্রকৃত কর্তৃপক্ষ, কত টাকা খরচ হবে, টাকার প্রয়োজন হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া যাবে- এসব বিষয়ে অবহিত করতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাকরির নিশ্চয়তা পত্র ছাড়া ব্যাংক ঋণ দেয় না। তাই তারা নিরাপদ থাকবেন...। প্রতারিত হবেন না।’
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি শিল্প পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এসব জায়গায় কয়েক হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। এ বিষয়টিও যেন প্রচার করা হয় সে ব্যাপারেও সভায় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে ভালো বেতনে চাকরি পেতে চাকরিপ্রার্থীদের তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং শিল্প পার্কের চাহিদা জেনে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
শেখ হাসিনার কারণে উত্তরবঙ্গে 'মঙ্গা' শব্দটি নিশ্চিহ্ন: পরশ
কোন এক অজানা কারণে কখনোই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় নি অতীতের কোন সরকার। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারই উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা চিন্তা করেন, তাদের সুখ-শান্তি ও জীবনমান উন্নয়নের কথা ভাবেন। একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা শব্দটি আজ নিশ্চিহ্ন।
শুক্রবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।
এসময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে রংপুর অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় ১০০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ।
তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে রংপুরকে বাংলাদেশে ৭ম প্রশাসনিক বিভাগ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছেন। ৮টি জেলা, মোট ৩৩টি নির্বাচনী আসন নিয়ে আমাদের রংপুর বিভাগ। রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রতিবন্দ্বী সাধারণ জনগণ অনন্য সেবা পাচ্ছেন। একেই বলে মানবিকতা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় ‘পরশ’
তিনি বলেন, রংপুর বিভাগকে এক সময় মঙ্গা কবলিত ও পশ্চাদপদ ভাবলেও গত ১৩ বছরে সে অবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। রংপুর বিভাগ এখন খাদ্য-শষ্য উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনার ফলে আজ এই বিভাগের অভাব দূর হয়েছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইন এর কাজ চলছে। এই সকল কাজ রংপুর বিভাগের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
পরশ বলেন, রংপুর বিভাগ বিগত ১৩ বছরে পেয়েছে এক অনন্যরূপ। উন্নয়নের জয়যাত্রায় সমৃদ্ধ হয়েছে রংপুর বিভাগবাসী। আপনাদের এই কথাগুলো জনগণকে বলতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক সময়ের মঙ্গা-পীড়িত উত্তরাঞ্চল এখন সমৃদ্ধ জনপদ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রংপুরে কোন মঙ্গা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে আর মঙ্গা দেখা দেয় নাই, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় নাই, মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে রংপুর। যেখানে এক সময় খাবারের অভাবে মানুষ মারা যেত। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নও হয়েছে।
এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উন্নয়ন করলে শত্রু ও চাপ বাড়ে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি যে টাকা খরচ করেছে তার প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আজ নির্বাচনকে সামনে রেখে লবিস্ট নিয়োগে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিটি পয়সার হিসাব চাই। তাদের প্রতিটি পয়সার হিসাব দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং ষোড়শ অধিবেশনের সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে, নির্বাচন বানচাল করা, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, জঙ্গি ও জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি রোধ করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে; ভালো কোনো উদ্দেশ্যে নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘তারা কোথা থেকে এই অর্থ পেল? তারা এই বৈদেশিক মুদ্রা কোথা থেকে পেল? তারা কীভাবে এটি খরচ করেছে?’
সরকারের পিআর ফার্ম নিয়োগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ, রপ্তানি ও উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশ ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিএনপির উদ্দেশ্য কী ছিল? উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ধ্বংস করা এবং মিথ্যা অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’
আরও পড়ুন: লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আইনানুগ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘মানুষের কল্যাণের জন্য সব ধরনের ভয়-লোভের ঊর্ধ্বে উঠে বৈধ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলন ২০২২-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে সক্ষম করাই তার সরকারের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের পক্ষে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মাঠ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন কিনা তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা করে জীবন যাপন করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। ‘অন্তত, যতদিন আমি ক্ষমতায় আছি, আমি তা দেখতে চাই না।’
আরও পড়ুন: জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন দূরদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন,‘এখন আমাদের দায়িত্ব অনেকগুণ বেড়েছে। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে কেননা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ দ্রুত এগোচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে উন্নয়ন যাত্রায় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রামীণ এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার এবং তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি একটি জেলার সার্বিক উন্নয়নে জেলা প্রশাসকদের তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর