শেখ হাসিনা
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটকে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে তার দলের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি তেজগাঁওয়ে তার দলের ঢাকা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে ছয়টি জেলায় জনসভায় ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে ব্যাখ্যা করেন, কেন আওয়ামী লীগ এবার দলের টিকিট পেতে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থীদেরও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর কারণ হলো আমরা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ চাই এবং তারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।
তিনি দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীকে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোটে জিতবে তারাই এমপি হবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশগুলো আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জেলা স্টেডিয়াম, রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সম্প্রচারিত হয়।
তিনি আবারও বলেন, তিনি চান শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যেখানে ভোটাররা তাদের ভোটাঅধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করবে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে নিরাপদ করতে চাই, কারণ কোনো দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করলে সে দেশ দ্রুত এগিয়ে যায় এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।
তিনি জানান, তার দল জনগণের কল্যাণে দেশের উন্নয়নের গতিকে ধরে রাখতে চায়।
হাসিনা বিএনপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসে না কিন্তু প্রতিহত করার নামে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে আগুন ও রেল ট্র্যাক উপড়ে ফেলার সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এত অসুস্থ হলেও তার ছেলে তারেক তাকে দেখতে আসেনি।
তিনি বলেন, তিনি সেখান থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত সাহস থাকলে তাকে দেশে আসতে দিন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এসব হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
বিএনপি সন্ত্রাসী দল আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মোটেও রাজনৈতিক দল নয়,এর মিত্র জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের দল।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দেশকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীমুক্ত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই আমি দেশ ও জাতিকে এসব বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকায় গত ১৫ বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী বাছাই করবে এবং গণতন্ত্র থাকবে বাধাহীন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। ‘এটা মনে রাখতে হবে।’
ঢাকা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং ছয় জেলা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো সংঘাতে জড়ালে তার নিজের দলের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে, এমনকি আমার দলের কর্মীরাও এমন কিছুতে জড়িত থাকলে তাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এটা মনে রাখবেন।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি- পাঁচটি জেলায় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে কারণ এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। তারা যাতে যাকে খুশি তাকে বেছে নিতে এবং ভোট দিতে পারে। যারা তাদের (জনগণের) ভোট পাবে, সেউ বিজয়ী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন করেছে তা ভেস্তে যাবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখানে 'নৌকা' প্রতীকের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ও অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। যেসব প্রার্থী ভোট পাবেন তারাই নির্বাচিত হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, এই প্রতীকে ভোট দিয়ে মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এখন জনগণ অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগকেই সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছেন, যাতে কেউ ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ তুলতে না পারে এবং ভোটকেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ও ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কোনো দল নির্বাচনে যোগ দিলো বা যোগ দিলো না তাতে কিছু যায় আসে না। বিএনপি একটি কারণে নির্বাচনে অংশ নেয় না, কারণ এখানে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ২০০৮ সালে বিএনপি তা করতে পারবে না (ভোট কারচুপি), তাই তারা সব সময়ই নির্বাচন বানচাল ও বয়কট করতে চায়। এটা তাদের ইচ্ছা এবং এটা নিজ নিজ দলের বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিন। সবাইকে (প্রার্থী) অবাধে প্রচারণা চালাতে হবে এবং জনগণকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এবং বাছাই করতে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জনগণ ১৯৯৬ সালে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভোট কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে এবং তারপর ২০০৬ সালে ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করে আবারও ভোট চুরির চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা এখন তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে পাচ্ছি, যারা ভোট কারচুপির অভিযোগে দুই দফায় বহিষ্কৃত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগই এটা (সুষ্ঠু নির্বাচন) করেছে। জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিয়ে জনগণের ক্ষতি করতে না পারে। আমি সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশব্যাপী পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ভোটে আসতে চায় না কারণ তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে, তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যারা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত জনগণকে তাদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর কাছে পাঠানো তার সই করা এক চিঠিতে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি কুয়েতের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি যেন তাকে জান্নাতের সর্বোত্তম স্থান দান করেন।’
তিনি আরও বলেন, শেখ নওয়াফ ছিলেন এই সময়ের বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন প্রতিশ্রুতিশীল, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতা।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি আরব ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একজন গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশের একজন বিশ্বস্ত ও উদার বন্ধু ছিলেন।’
তিনি কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে আমিরের অপরিসীম অবদানের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তার উৎসাহ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কথাও আমি স্মরণ করি। আমি বিশ্বাস করি মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও প্রয়াত আমিরকে তার দীর্ঘস্থায়ী মানবিক প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের জন্য স্মরণ করা হবে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত মঙ্গল ও সুখ কামনা করেন এবং কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও কুয়েতের দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দৃঢ় সহযোগিতা অর্জনের লক্ষ্যে শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর রবিবার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে তারা ভুলে যাচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়।
নির্বাচনের আগে যে সব নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভয় দেখালেই যে আমি (বাংলাদেশ) ভয় পাব, তা ভাবা ঠিক হবে না।’
বিশিষ্ট এই লেখক-সাংবাদিক ও পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কিছু মনোযোগের কারণ হলো দেশটির প্রাসঙ্গিকতা।
ভারতের এই সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি।’
এম জে আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার থেকে 'জাতির দ্বিতীয় মুক্তির নেতা ও বিজয়ী' হিসেবে সম্মানিত করা এবং তা উদযাপন করা উচিৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বহিরাগত শক্তিকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বিষয়টি এখন আর কাজ করে না।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে '৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এ অঞ্চল ও বাইরে এর অবস্থান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বরং সম্ভাবনাময় দেশ।
মোমেন বাংলাদেশ অর্জিত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু উন্নয়নের দিকেই নয়, আধুনিকতার দিকে নিয়ে গেছেন, যার ৪টি মাত্রা রয়েছে। তিনি চারটি মাত্রাতেই কাজ করেছেন।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশই আধুনিক জাতি হতে পারে না। প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কাগজে-কলমের অধিকারকে বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। তিনি লিঙ্গ সমতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি সমালোচনামূলক। দারিদ্র্য দূরীকরণ ছাড়া আধুনিক জাতি হতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করেছে।’
তিনি গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টাকারী শক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
আকবর বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, বরং বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ। যা সমগ্র বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।’
আকবর বলেন, বাংলাদেশের উচিৎ নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের পক্ষ নেওয়া।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
দলীয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর সকালে তিনি সিলেট যাবেন। সেখানে হযরত শাহজালালের মাজার এবং এরপর হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত করবেন।
বিকালে তিনি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভা করবেন। যেটি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার প্রথম জনসভা।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর)।
৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হয় এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত) নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে।
নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।’
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে, খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না, দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে সবেমাত্র ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সহকারী প্রেস সচিব জানান, সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গোপালগঞ্জে যান এবং সফরকালে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়াননি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
গোপালগঞ্জে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমাধিতে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাজার থেকে পায়ে হেঁটে তার টুঙ্গিপাড়ার বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বেগম রোকেয়া পদক- ২০২৩ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালের বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারীর নাম ঘোষণা করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়া দিবস নারীর অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস। নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারুশিল্পীদের হাতে লোক ও কারুশিল্প বিষয়ক পদক ২০২৩ তুলে দিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদকদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।
পদকপ্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেকে চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ পেলেন ৪ নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দল
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে পদ্মা সেতু পার হয়ে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছান।
আজ রাত টুঙ্গিপাড়ার বাসায় কাটিয়ে আগামীকাল তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী