শেখ হাসিনা
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মালদ্বীপে আগামী ২২-২৩ ডিসেম্বর দুই দিনের সরকারি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২২ ডিসেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে মালে অবতরণ করবেন এবং বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ খলিল তাকে স্বাগত জানাবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন এবং এরপর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
গার্ড অব অনার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরেই মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান,বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে চারটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হলো- দ্বৈত কর পরিহার এবং আয়ের ওপর করের ক্ষেত্রে আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যোগ্যদের নিয়োগের বিষয়ে এমওইউ। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সমঝোতা স্মারক (নবায়ন)।
এরপর মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেয়া ১৩টি সামরিক যান মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, দুই দেশ ‘দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের বিনিময়’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করছে কিন্তু প্রত্যর্পণ চুক্তি নয়।
মালদ্বীপ অবশ্য তাদের কাজ শেষ করতে পারেনি কারণ তাদের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপের সঙ্গে কানেক্টিভিটির ওপর অনেক জোর দিচ্ছে এবং এয়ার কানেকটিভিটি ফ্রন্টে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স সফর খুবই সফল ছিল: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বেসরকারি বিমান সংস্থা – ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শিগগিরই একই রুটে ফ্লাইট চালু করবে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফর করেন এবং ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এরপর গত নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমও বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরেই মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। রবিবার মন্ত্রীসভায় ‘এগ্রিমেন্ট বিটুইন দি গভর্নমেন্ট অব দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ এন্ড দি গভর্নমেন্ট অব দি রিপাবলিক অব মালডিভস অন ট্রান্সফার অফ প্রিজনারস’ শিরোনামের একটি খসড়া চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই চুক্তি অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক মালদ্বীপে কারাবন্দী আছেন, তাই এই চুক্তি করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর আগামী সফরেই এই চুক্তি হওয়ার আশা করছি।
তিনি জানান, বর্তমানে মালদ্বীপের জেলে সাজাপ্রাপ্ত ৪৩ বাংলাদেশি কারাবন্দী আছেন। এবং বিভিন্ন মামলা বিচারাধীন ৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক আছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো: রাষ্ট্রদূত
মন্ত্রীপরিষদ সচিব আরও জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপ সফরে যাবেন। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় করা যাবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যকার স্বাস্থ্য সহযোগিতা সংক্রান্ত আরও একটি চুক্তির খসড়া এদিন মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাক্ষরিত মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) এর আওতায় বাংলাদেশের অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দিতে মালদ্বীপে যাচ্ছেন। মালদ্বীপ এখন এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে এবং এমওইউ এর পরিবর্তে পূর্ণকালীন একটি চুক্তি করতে আগ্রহী।
তিনি জানান, মালদ্বীপ আমাদের দেশ থেকে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, দন্ত্য চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের নিতে আগ্রহী। তাই তারা এই চুক্তিটি করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ আমাদের আলোকিত করে: মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
ফ্রান্স সফর খুবই সফল ছিল: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক ফ্রান্স সফরের আলোচনা ও ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আগামী দিনে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক আরও টেকসই হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন শুহ সাক্ষাৎ করলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ফ্রান্স সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় দেশটির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ দেন শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশে ফলপ্রসূ মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফরাসি রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। কেননা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফরাসি জনগণ সহযোগিতা করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরাসি সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথা তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির কারণে সব দেশ ভুগছে। ‘আমাদের বিশাল জনসংখ্যা। তাও আমরা আমাদের অর্থনৈতক কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছি।’
আফগানিস্তানে ফ্রান্সের বিশেষ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-মারিন শুহকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মারিন শুহ তার মেয়াদকালে সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং গতবছর করোনার সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চমৎকার ছিল বলেও জানান।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে এবং একই মাসে দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে। সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানাবে বলেও জানান তিনি।
মহামারি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্স থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ করোনার টিকা পাবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০ লাখ ৬০ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিল ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার
বনানীতে পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা '৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতে শহিদ জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এসময় তারা পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নাজিরাবাজারে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: আহত ৩
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার এলাকায় সোমবার রাতে রান্নার গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। রাত পৌনে ১টার দিকে ওসমান গণি রোডের (আলুবাজার) পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,কমল (৩৫), সেলিনা (৩০) ও বন্যা (৭)। তারা নিচতলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার (মিডিয়া), রাফি আল ফারুক জানান, দমকলকর্মীরা আহতদের উদ্ধারের পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ১১
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ভোর ৩টা ৫৭ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিউটি অফিসার আরও জানান, বিস্ফোরণের সময় ওই তলার একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভবনের অন্য বাসিন্দারা নিরাপদে আছেন এবং ভবনেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আরকে টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৩
করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় কাজ করার নির্দেশ
বাংলাদেশে করোনার বুস্টার ডোজ কর্মসূচি নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ভিত্তিতে কাজ করতে সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্রুত সংক্রমক ধরন ওমিক্রন বিস্তারের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের এক ভার্চুয়াল সভা থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অন্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা সচিবালয় থেকে এ সভায় যোগ দেন।
সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘কারিগরি কমিটি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তারা বুস্টার ডোজ বিনামূল্যে না অর্থ প্রদান করে দেয়া হবে এ জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে এবং আলোচনার পর একটি নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সবাইকে করোনার ওমিক্রন ধরন নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বার বার নির্দেশ দিয়েছেন যে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
দেশে দুজনের করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তারা দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য। তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা বিমানবন্দরে কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে আসেননি। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য বা অন্য কারও সঙ্গেও না।
তিনি বলেন, তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ওমিক্রনের ওপর একটি সম্পূর্ণ প্রোটোকল পেয়েছেন।
প্রোটোকলে বলা হয়, করোনার এই ধরনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এর প্রভাব ডেল্টা ধরনের মতো বিপজ্জনক নয়।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজের অনুমোদন চায় সিরাম ইনস্টিটিউট
ষাটোর্ধ্বদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠিত
তৃণমূল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে সভাপতি রেখে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করেছে সরকার।
কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর ৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পরবর্তী তিন বছরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তাঁর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে চেয়ারম্যান ও ডা. মাখদুমা নার্গিসকে ভাইস চেয়ারপার্সন করে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
শেখ হাসিনার সরকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে যা স্বাস্থ্য খাতের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
২০১৮ সালে সরকার সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ পরিষেবায় গ্রামীণ প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮ প্রণয়ন করে। এ আইনের অধীনে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন বছরের মেয়াদী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আগের ট্রাস্টি বোর্ডেও চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়ছে শার্শার ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক
যে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী ব্যস্ত বিজ্ঞাপন সংগ্রহে
সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের ‘সৈনিকেরা’ প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সৈনিকেরা প্রস্তুত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
রবিবার দুপুরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উদযাপন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি আজ বলতে পারি আমার আর কোনো দুশ্চিন্তা নাই। প্রযুক্তি শিক্ষায় এবং জ্ঞান ভিত্তিক যে সমাজ আমরা গড়তে চাই- আমাদের দেশটা সে পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের সৈনিকেরা প্রস্তুত হয়েছে।’
ডিজিটাল সেক্টরে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ২৪ জন ব্যক্তি, দল ও সংস্থা এই পুরস্কার পেয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ১২টি এবং জেলা পর্যায়ে ১২টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী যুবক ও অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করেছি: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল যন্ত্রপাতি রপ্তানি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিকভাবে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তা তৈরি পোশাকসহ অন্য সব খাতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে পোশাক রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ডিজিটাল ডিভাইসের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই খাতে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি মনে করি যদি আমরা এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো উৎপাদন এবং রপ্তানি করতে পারি। তবে এটা বাকি সব খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস খাতে রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাতে তরুণরা ঘরে বসে তাদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের জনগণকে যে সেবা দিতে চেয়েছিল, তা ইতোমধ্যে দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৪০০ টাকার নিচে নামিয়েছে, যা বিএনপি সরকারের সময় ছিল ৭৮ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, আমরা ৫জি চালু করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পাশাপাশি ১৮ দশমিক ১৩ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি ঘরে এখন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি বিষয়ক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪৩তম ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সব বিভাগে বিকেএসপির মতো ইনস্টিটিউট হবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুস্থ তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য খেলাধুলা ও শারীরিক ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি বলে সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপির মতো একটি করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে।
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সুস্থ মন ও দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলায় তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় নিয়মিত যুক্ত রাখতে পারি, তাহলে তাদের বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তারা কখনই মাদকে আসক্ত হবে না এবং জঙ্গিবাদে জড়াবে না। তারা পড়াশোনাও ছাড়বে না।’
সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া ইনস্টিটিউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,‘প্রতি বিভাগে বিকেএসপির মতো ইনস্টিটিউট থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে আরও দুটি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছি এবং অন্যান্য বিভাগের জন্যও এই জাতীয় প্রতিষ্ঠান অনুমোদন করব...খেলাধুলা এবং শারীরিক ব্যায়াম অপরিহার্য।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের মেয়েদের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দেখেন।
ফাইনাল খেলায় সিলেট বিভাগ রাজশাহী বিভাগকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়েছেন এবং রংপুর বিভাগ ময়মনসিংহ বিভাগকে ১-০ গোলে হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: সব বাধা ভেঙে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এ বছর দেশব্যাপী মেগা টুর্নামেন্টে মোট এক লাখ ১০ হাজার ৫৫৭ জন তরুণ ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছে।
টুর্নামেন্টের অংশ হিসেবে প্রায় চার হাজার ৮২৮টি দল –চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন এবং ২৫৭টি পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় এবং ৫৮১টি দল -৪৯২টি উপজেলা, ২৯টি শহর এবং ৬০টি পৌরসভা দল - জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীকালে, ৬৮টি দল - ৬৪টি জেলা দল এবং চারটি সিটি দল- বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং অবশেষে আটটি বিভাগীয় পর্যায়ের দল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এর শিরোপা জিতেছে সিলেট বিভাগ এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর শিরোপা জিতেছে রংপুর বিভাগ।
নগরীর কমলাপুর এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ট্রফি, পদক ও পুরস্কারের অর্থ বিতরণ করেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া (সিনিয়র) সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৪৩তম ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
উৎপাদন বাড়াতে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বের ৪৩তম ক্ষমতাধর নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৩তম অবস্থানে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
এ তালিকায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন ম্যাকেঞ্জি স্কট, কমলা হ্যারিস ও ক্রিস্টিন লাগার্ড। এছাড়া রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৭০তম অবস্থানে আছেন।
ফোর্বস জানায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। তিনি চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জয় পেলে তিনি চতুর্থ বারের মতো জয়ী হন। এটা তার টানা তৃতীয় জয়ও।
চতুর্থ বারের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকারের মতো বিষয়ের ওপর জোর দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলেও যোগ করে সাময়িকীটি।
বাংলাদেশে দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা শেখ হাসিনার জন্য চলমান সংগ্রাম বলেও উল্লেখ করে মার্কিন এ সাময়িকী।
প্রতিবছর ফোর্বস বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করে। এ বছর ১৮তম সংস্করণের তালিকায় ৪০ জন সিইও স্থান পেয়েছেন। এছাড়া এ তালিকায় ১৯ জন বিশ্ব নেতা ও একজন ইমিউনোলজিস্টও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি অনেক উদারতা দেখিয়েছি: শেখ হাসিনা
করোনা: জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর প্রভাব মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ৫ প্রস্তাব