শেখ হাসিনা
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-প্যারিস সম্মতিপত্র স্বাক্ষর
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ক সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেছেন,‘হ্যাঁ, আমরা করেছি (সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর)। এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিনিময়ের সাথে সম্পর্কিত।’
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সরকারি সফরে ফ্রান্সে যান। এসময় এক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা অনুভবে আহ্বান জানালে, নিজেদের সক্ষমতার ভিত্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া একে অন্যকে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমেও সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
দুই দেশই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে এবং বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ও জনগণের সমর্থনের কথা স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় উভয় পক্ষই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে। দুই দেশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে সকলের জন্য কল্যাণকর একটি মুক্ত, স্বাধীন, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ কামনা করেন।তারা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বজায় রাখতে এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সমুদ্র অর্থনীতিতে সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের কনভেনশন প্রণীত ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন পালনের পাশাপাশি সমুদ্র নিয়ে বিভ্ন্ন বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, হুমকি বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকা প্রভৃতি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেনি, এর বিকাশ এখনও অব্যাহত রয়েছে। বুধবার আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের সাথে রাজধানীর ‘নূর হোসেন চত্বরে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালের স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে আমাদের দেশের গণতন্ত্র মুক্ত হলেও এতদিনেও তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেনি।
কাদের আরও বলেন, আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করছেন: ওবায়দুল কাদের
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত গণতন্ত্রপন্থী নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
৮০’র দশকের শেষের দিকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তরুণ গণতন্ত্রপন্থী কর্মী নূর হোসেনের মৃত্যুর স্মরণে প্রতি বছর শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের নেতা নূর হোসেন গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্টে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএম এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
সেদিন বুকে ও পিঠে সাদা অক্ষরে লেখা ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই যুবক। তার মৃত্যুর পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এক গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়, যার মাধ্যমে অবশেষে এরশাদ সরকার উৎখাত হয়।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ওই যুবককে গুলি করে হত্যার পর জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয় ‘নূর হোসেন চত্বর’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: কাদের
গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে ঢাকা-প্যারিসের মতবিনিময়
দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা সংকট থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা তুলে ধরে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই সংকট নিরসনে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।
এসময় দুই দেশই বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিত করার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
নিজ দেশে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতাকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স।
উভয় দেশই রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ওপর সৃষ্ট চাপের কথা উল্লেখ করেছে। বিশেষ করে ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মানুষদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ নভেম্বর এক সরকারি সফরে ফ্রান্স যান। এসময় দুই দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটক ৩ রোহিঙ্গা, অস্ত্র জব্দ
এএফড‘র কার্যক্রমের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সমুদ্র অর্থনীতি, জ্বালানি ও পানি খাতে অব্যাহত সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফ্রান্স।
উভয় পক্ষই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং একটি পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য ক্রেডিট সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ এ অংশ নেয়ার পর ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য তাদের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ফ্রান্স ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামে’ বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। দুই দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
ফ্রান্স প্রাসঙ্গিক ফরাসি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও সামরিক পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ কোর্স প্রদানে সম্মত হয়েছে।
উভয় দেশই বাংলাদেশে ফরাসি ভাষা এবং ফ্রান্সে বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রচারে তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে।
উভয় পক্ষই নিশ্চিত যে এই সফর ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘কথিত’ আরসা নেতা হাসিমের লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০
ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
ফ্রান্স সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এলিসি প্রাসাদে এক জাকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শেখ হাসিনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশের পর প্রথমে প্রেসিডেন্টের গার্ড শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান। এরপর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। এরপর দুই রাষ্ট্রপ্রধান ফটো সেশনে অংশ নেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনার পর দুই নেতা মধ্যাহ্নভোজ করেন এবং এরপর তেতে-এ-তেতে যান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রিপাবলিকান গার্ড শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।
সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ম্যাটিগননে ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ম্যাটিগননে পৌঁছালে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানাবেন।
আরও পড়ুন:প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ইউনেস্কোর ৭৫তম বার্ষিকীতে যোগ দেবেন। প্রথমবারের মতো ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে যোগ দিয়ে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি বিজয়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে দেয়া হবে।
প্যারিস সফরে শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্সের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। পরে, তিনি ফরাসি সিনেট পরিদর্শন করবেন, সেখানে চলমান সিনেট অধিবেশনে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা গ্রহণ করবেন।
শেখ হাসিনা আগামী ১১ নভেম্বর প্যারিস শান্তি ফোরামে যোগ দেবেন। এরপর তিনি ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন। সেখান থেকে তিনি এলিসি প্যালেসে যাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতে।
১২ নভেম্বর হাসিনা প্যারিস শান্তি ফোরামে অংশ নেবেন। এছাড়া সাউথ-সাউথ ও ত্রিদেশীয় সহযোগিতার উপর একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন:ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে রক্তের হোলি খেলা দেখতে চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘কক্সবাজারে আর কোন সহিংসতা চাইনা । আমি শুনলাম কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। কক্সবাজারে আর কোন প্রাণহানি চাইনা। পুলিশকে কঠোর হতে কেউ মানা করেনি। আমরা সন্ত্রাসী চাইনা, আমরা হত্যা দেখতে চাইনা, আমরা রক্তের হোলি খেলা দেখতে চাই না। এটা ট্যুরিস্ট প্যালেস। এখানে ট্যুরিস্টরা আসবে, এখানে কোন ভয়ভীতি আর রক্তের কোন হোলি খেলা চলবে না।’
সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকালে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিহার করতে রোহিঙ্গাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন বলে আশ্রয় পেয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন, থাকছেন, ভালোভাবে থাকেন। রক্তপাতে মেতে উঠবেন না। ইয়াবা মাদকসহ অপরাধ কর্মকান্ড থেকে সরে যান, সহিংসতা বন্ধ করুন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিহার করুন, না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘বাংলাদেশ আগের মতো তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, এখন স্বপ্নের দেশ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন:নিয়ম অনুযায়ী হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, ‘একসময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাত কাটানো যেত না। পর্যটকরা ভয়ে থাকতো। সবসময় চুরি, ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সেই সমুদ্র সৈকতে রাত দিন নিঃসন্দেহ বসে থাকা যায়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে গঠন করেছেন বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ পর্যটন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে পর্যটন খাত থেকে ২.০০ জিডিপি আসতো আর এখন পর্যটক খাতে ৪.৪০ জিডিপি আসছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ।
এর আগে, বিকাল ৩টায় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন করা হয়। পরে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবনী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অংশ নেন।
আরও পড়ুন:জেল হত্যার রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সবাই চিহ্নিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনার মহাসংকটে শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহা দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতাদের কাছে তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।রবিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি আয়োজিত 'সিপিডি এশিয়া ফাউন্ডেশন ডায়লগ অন ‘কোভিড ইনডিসড স্টিমুলাস প্যাকেজ ফর এসএমই ফর এসএমইএস অ্যান্ড উইমেন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে প্রত্যেক দেশের সরকার প্রধান নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউনে যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। করোনাকালে ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। আর সে সময় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলীভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন:জোনভিত্তিক লকডাউন: মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
মো. তাজুল ইসলাম জানান, করোনাকালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকটা থমকে দাঁড়ায়। আমাদের প্রতিটা সেক্টরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নেন। গার্মেন্টস ব্যাংক কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ২৮টির বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে করে করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।মো. তাজুল ইসলাম জানান, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অধীনে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯ ডলার। পাকিস্তান সরকার ২৫ বছরে সেটা ১২৫ ডলারে উন্নীত করেছিল। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মাথাপিছু আয় ৮৯ থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ দুই হাজার ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে সাধারণ মানুষসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর স্বপ্নপূরণে শেখ হাসিনা এখন কাজ করে যাচ্ছেন।সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, সুইডেন এম্বাসেডর এইচ ই এলেক্সজান্ডরা বের্ড বন, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই এবং স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের সহ মহা ব্যবস্থাপক লিজা ফাহমিদা প্রমুখ।
আরও পড়ুন:করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও টিকা নেয়া যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তারাও টিকা নিতে পারবেন। যারা এখনো টিকা নেননি, তাদের সবার জন্যই টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন থাকুক বা না থাকুক ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেয়া যাবে।শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো দেশে করোনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে, লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক দিন ধরেই সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। আমেরিকা দুই হাজার, রাশিয়া ১২ থেকে ১৩শ, ইউরোপে চার থেকে পাঁচশ ও ভারতে দুই থেকে তিনশ’ জন প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন। আমাদের এখন টিকা নেয়ার পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই একদিন আমাদের দেশে করোনা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আরও পড়ুন:ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাদান লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চাশ ভাগ পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে বিরোধীতা করা। এই বিরোধীতাকারীদের কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
সারা দেশে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষজন একজন আরেকজনের সাথে কোলাকুলি করেন। এতে করোনা ঝুঁকি রয়ে যায়। ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ আমরা নই। আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা বিরোধীরা। এই বিরোধী শক্তি দুর্গাপূজার সময় তান্ডব চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছেন। তারা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির করার গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকরা।
আরও পড়ুন:কিছু দিনের মধ্যে শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী মার্চের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘গোপন নথি’ গবেষকদের জন্য মূল্যবান সম্পদ হতে পারে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রান্স অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের একটি সমৃদ্ধ উৎস হবে। কারণ এতে উন্মোচিত হয়েছে, কিভাবে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের ক্লারিজের হোটেলে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’ এবং ‘মুজিব অ্যান্ড ইন্ট্রোডাকশন’ শিরোনামের দুটি প্রকাশনার আন্তর্জাতিক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রকৃত ও সম্পূর্ণ ইতিহাস এখানে পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারবে।’
তিনি বলেন, সিক্রেট ডকুমেন্টস হল পাকিস্তান আমলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের উপর গোয়েন্দা শাখার প্রতিবেদনের একটি সংগ্রহ।
আরও পড়ুন:ডব্লিউটিও এর অধীনে দেশ অনেক বেশি বিকল্প সুবিধা পাবে: শেখ হাসিনা
এবারের প্রকাশিত গোপন নথির ভলিউম সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ভলিউমগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে দেশের তরুণ ও রাজনীতিবিদদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেবে।
এই প্রকাশনার সাতটি খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর পাকিস্তান গোয়েন্দা শাখার তৈরি নথি। পাকিস্তান গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা তার প্রতিটি আন্দোলন ও কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখেন। অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রের ২৪ বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৩ হাজার ৫৩ দিন কারাগারে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধুই নজরদারিতে ছিলেন না, আমার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও নজরদারিতে ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবি ঘোষণার পর থেকে তিনি নজরদারিতে ছিলেন।
তিনি বলেন, এই গোপন নথিগুলো শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সংগ্রামের একটি নথি নয়, এগুলি কীভাবে একটি স্বাধীন জাতির জন্ম হয়েছিল তার ঐতিহাসিক বিবরণ। বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের জন্য এই নথিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার: পরিকল্পনামন্ত্রী
এই নথিগুলির মাধ্যমে জানা যায়, কীভাবে বছরের পর বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হয়েছিল। এগুলোতে জাতির পিতার অপরিসীম দুর্ভোগ ও ত্যাগকেও তুলে ধরা হয়েছে। এসব তথ্য একজন জাতীয় নেতা, একজন রাষ্ট্রনায়ক এবং একজন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরির আখ্যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মূল্যবোধ ও নীতির বিপক্ষে ছিলেন যারা, তারা প্রথম দিন থেকেই তাকে টার্গেট করেছিল। এরাই ১৯৭৫ সালের আগস্টে তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা এই প্রকাশনায় বাংলাদেশের হাক্কানি পাবলিশার্সের সাথে অংশীদারিত্বে এগিয়ে আসার জন্য টেলর ও ফ্রান্সিস গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড ব্রিটেন: অ্যা সেনটেনারি কালেকশন’ শীর্ষক একটি শিল্প প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এটাই সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আবার নতুন করে স্থাপনের। যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক দেখি সেটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশ অ্যাট ৫০: দ্য রিজিল্যান্ট ডেল্টা’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক এখন সত্যিকার অর্থে কৌশলী হওয়া উচিত এবং শান্তিরক্ষা, জঙ্গীবাদ দমন, সমুদ্র, বিমান নিরাপত্তায় দু’দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দু’দেশের অংশীদারিত্বের কেন্দ্রে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি অভিবাসীদের রাখতে হবে। আমরা আমাদের অভিবাসীদের নিয়ে গর্বিত। ওয়েস্টমিনিস্টারে তাদের বাড়ন্ত নেতৃত্ব দেখে আমি খুশি। এই মুহূর্তে পাঁচজনের সবাই নারী! বৈচিত্রের এই মহৎ পার্লামেন্টে তাদের আরও অনেকে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অর্জন ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন গৃহীত কার্যক্রমও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু সহনশীলতা নির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার কপ-২৬ এর সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ বার্তা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।’
তিনি বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীই দু’দেশের মাঝে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারা প্রধানত জলবায়ু সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বিশেষ করে জলবায়ু সহনশীলতা গড়া ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ভালনারেবল দেশ এবং অস্ট্রেলিয়াও বিভিন্ন চরম জলবায়ু দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়তে উভয় দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে একটানা সহযোগিতা করে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পাম অয়েলের মূল্য সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী