শেখ হাসিনা
ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে সাংবাদিকরা : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকরা ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে, যে অব্যক্তদের পক্ষে আমাদের কথা বলা দরকার, সাংবাদিকরাই পারে তাদের কথা ব্যক্ত করতে, সমাজ যেদিকে তাকায়না সেদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করতে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
বর্তমানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো সাংবাদিক মারা গেলে তাঁর পরিবার তিন লাখ টাকা পাচ্ছে, কেউ অসুস্থ হলেও টাকা পাচ্ছে। সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের পড়ালেখার ক্ষেত্রেও অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন করোনাকালীন সহায়তার জন্য। ঈদুল আজহার আগেই সেগুলোর বিতরণ শুরু হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশটা যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটাও মানুষকে আমাদের জানাতে হবে। তাহলে মানুষ আরো স্বপ্ন দেখবে। দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম 'মাদার অব হিউম্যানিটি' আখ্যা দিয়েছে, তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। অথচ এটার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোন জোরালো দাবি ছিল না।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক বিষয় আছে সমাজ সেদিকে তাকায়না। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো পাগলেরও একটা গল্প আছে, ফ্যালফ্যাল করে তাকানো মানুষটার কিছু বেদনা আছে, সেই বেদনা শোনার সময় সমাজের নেই, সমাজ তাকে জিজ্ঞেস করেনা। কিন্তু একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেটি অনুসন্ধান করে সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারে।
তিনি বলেন, লেখনীর মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক হিসেবে কাজ করে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয় এবং সমাজকে সঠিক পথে প্রবাহিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে তথ্যমন্ত্রী: ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের আলোচনা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বহুমাত্রিক সমাজে বিতর্ক থাকবে, সমালোচনা থাকবে, কিন্তু এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও হতে হয়, নইলে যারা ভালো কাজ করে তারা কখনো উৎসাহ পাবে না' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপিসহ কেউ কেউ মনে করে, তারা সরকারে থাকলে সব ভাল, আমরা সরকারে থাকলে সব খারাপ, এটা ঠিক নয়। দেশটা কি এমনি এমনিতে এগিয়ে গেল ? গত সাড়ে বারো বছরে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনাতীত, আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
চট্টগ্রামের অন্যতম নান্দনিক ও ঐতিহাসিক স্থান সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং-সিআরবি'র পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিআরবি পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ‘চ্যাম্পিয়ন অভ দ্যা আর্থ’ পদকে ভূষিত বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোন কাজ হবেনা। সিআরবিতে পরিবেশ নষ্ট হোক, গাছপালা কাটা হোক সেটি আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাইনা। সরকার জনগণের বিপক্ষে কোন কাজ করবেনা। আমি বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করবো।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনার আম উপহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে উপহার হিসেবে আম প্রেরণ করেছেন।
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় হাড়িভাঙ্গা জাতের ৫০০ কেজি আম প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদির জন্য আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল নাজমুল হাসান মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চীফ অফ প্রটোকল আয়েশা শান সাকিরের নিকট উক্ত উপহার হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার আম উপহার
মালদ্বীপের চীফ অফ প্রটোকল মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহের পক্ষ হতে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই শুভেচ্ছা উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ভূক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বাংলাদেশ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নকে তরান্বিত করা সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্য হয়ে মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। করোনাকালে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির আহবান জানান তিনি।
বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ‘বেস্ট প্রাক্টিস ফর বিল্ডিং সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেমস ইন দ্য ওআইসি রিজিয়ন’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অর্জনসমূহ মাইলফলক। ১৯৭১ সালের তুলনায় দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ । বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার ২০১৬ থেকে ২০২০ মেয়াদে দ্বিতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কালেও বাংলাদেশে খাদ্যাভাব হয়নি বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে গাম্বিয়া রিপাবলিকের কৃষিমন্ত্রী অ্যামিই ফ্যাবুরেহ, গায়ানার কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী মুস্তাফা জুলফিকার,তাজিকিস্থানের কৃষিমন্ত্রী জিওজোডা সুলায়মন রিজই, মিশরের কৃষি ও ভূমি পুনরুদ্ধারমন্ত্রী মারজুক আল কাওসার, বেনিনের কৃষি, প্রাণি ও মৎস্য বিষয়কমন্ত্রী গাস্টন কোসি ডোসুহই, ওআইসির খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মহাপরিচালক আর্লান এ বাইদুলেত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, মারিয়ম আল মেহিরি, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর অর্থনীতি বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ড. আহমাদ কাবেসা সেনজেনডো এবং জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের ২০২১ ফুড সিস্টেম সামিট এর বিশেষ প্রতিনিধি ড. এগনেস কালিবাটা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কর্মহীনদের মাঝে আ’লীগের খাদ্য বিতরণ
অনুষ্ঠানে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সম্মেলনটি খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহ চেইন পরিচালন, কৃষির বিকাশ এবং জাতীয় খাদ্য সিস্টেমের সংলাপের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেওয়ার পাশাপাশি ওআইসি সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোতে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্সে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম অধিবেশন ‘খাদ্য সুরক্ষা প্রশাসন: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ উপস্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শহিদুজ্জামান ফারুকী। দ্বিতীয় অধিবেশনে "জাতীয় খাদ্য ব্যবস্থা সংলাপ: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আবদুল হান্নান। অনুষ্ঠানে ওআইসি সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা, কৃষি ও খাদ্য গবেষক এবং কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরে দেশে চালের উৎপাদন চার গুণেরও বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও দূরদর্শিতায় সরকারের কৃষিবান্ধব নীতিগ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ১৯৭১-৭২ সালে যেখানে চাল উৎপাদন ছিল মাত্র এক কোটি মেট্রিক টন, সেখানে ২০২০ সালে তা বেড়ে প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
বুধবার বিকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) আয়োজিত ‘কোভিড পরিস্থিতিতে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শুধু চালের মোট উৎপাদন নয়, চালের উৎপাদনশীলতায়ও দেশ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৯১ সালে হেক্টরপ্রতি চালের গড় উৎপাদন ছিল ১.৭১ টন। আর ২০২০ সালে হেক্টরপ্রতি চাল উৎপাদন হয়েছে গড়ে চার টনেরও বেশি।
তিনি বলেন, কৃষি গবেষণার মাধ্যমে ফসলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান ও সহজলভ্যকরণ, সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলেই এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
পড়ুন: এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে: কৃষিমন্ত্রী
ড. রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়ার কৃষিতে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্য ব্যবস্থা দুর্বল হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রতিকূলসহিষ্ণু উন্নতমানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরালভাবে চলছে বলে জানান মন্ত্রী।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, ইরির দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. নাফিস মিয়া ও গবেষণা পরিচালক ড. অজয় কোলিসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।
পড়ুন: অপ্রচলিত ফসল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাধা দূর করতে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় সবুজ পুনরুদ্ধারসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এই দেশগুলোকে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত সিভিএফ-ভি ২০ দেশেগুলোর সবুজ পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রথম ভি২০ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট-এ এই পাঁচ দফা প্রস্তাব দেন। বৃহস্পতিবার ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে চায় ঢাকা
প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশকে অবশ্যই বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ রোধে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত সিভিএফ-ভি ২০ দেশের সবুজ পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে মূলধন ব্যয় কমাতে এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে ঐকান্তিকভাবে সমর্থন করা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা নিরসনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, তহবিলের প্রবাহ অবশ্যই অনুমানযোগ্য, ভারসাম্যপূর্ণ, উদ্ভাবনী এবং বর্ধনশীল হতে হবে। উন্নয়নে অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর তহবিল বরাদ্দ ও বিতরণের একটি ব্যবহার-বান্ধব প্রক্রিয়া গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় রক্ষায় বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে সিভিএফ-ভি ২০ দেশগুলোকে সহায়তা করতে হবে। সিভিএফ দেশগুলোর জন্য স্মার্ট বীমা প্রিমিয়াম ভর্তুকি এবং বীমাকৃত পণ্যগুলোকে মূলধনে রূপান্তরের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন।
পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমাদের 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা'র মতো একটি 'জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা' গ্রহণের জন্য সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন: ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, পৃথিবী ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই আমাদের কাজে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে। আসুন আমরা একটি জলবায়ু সহনশীল বিশ্ব তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করি। তিনি জলবায়ু সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎস খুঁজতে অর্থমন্ত্রী, উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর প্রতি আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, মূলত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়মূলক প্রভাব বিশ্বজুড়ে প্রকটভাবে দৃশ্যমান। আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে হবে। সিভিএফের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সিভিএফ-ভি২০ গ্রুপের ৪৮ সদস্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক নিঃসরণের মাত্র ৫শতাংশ নির্গত হয়। কিন্তু এসব দেশের মানুষরাই মনুষ্যসৃষ্ট এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বুধবার সকালে ৭ টা ৩০ মিনিটে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যু হয়।
অবিভক্ত ভারতের পেশওয়ারে (বর্তমান পাকিস্তানে) ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করা এই অভিনেতা তার অভিনয় জীবনে ৬৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
এফএও’র আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি-৩৬) সফলভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
আরও পড়ুন: অপ্রচলিত ফসল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি খুবই আনন্দের ও সম্মানের। এ বৃহৎ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের সকল সক্ষমতা রয়েছে। এটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমরা সার্বিক পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
সোমবার বিকালে এ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক ও রিজিওনাল প্রতিনিধি জং-জিন কিমের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ও এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত এফএও’র আঞ্চলিক অফিস থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে এফএও’র সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় এফএওর সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনটি ২০২২ সালের মার্চের ৮-১১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
প্রতি দুই বছর পরপর এ আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে প্রথম ভারতে ও গত সম্মেলন ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টিরও বেশি সদস্য দেশ অংশগ্রহণ করে। সদস্য দেশসমূহের কৃষিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কৃষি ও খাদ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করেন। চার দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দুদিন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও পরের দুদিন মন্ত্রীরা আলোচনায় মিলিত হন।
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গবেষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আজকের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন ও উপসচিব আকবর আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, এফএও’র আঞ্চলিক অফিসের চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজুমি আইকেদা লারহেড, ৩৬তম এপিআরসি কনফারেন্স সেক্রেটারি ডেভিড দোয়ি, এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ এ সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
জিয়া ও খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শিষ্টাচার-বহির্ভূত: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও বিএনপি সম্পর্কে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে অপ্রত্যাশিত, অশালীন ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত বলে অভিহিত করেছেন।
রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য রুচিহীন ছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
ফখরুল অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শনিবার সংসদে তার ‘কাল্পনিক’ বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছোটো করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, জাতির নেতার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না। আমরা মনে করি, তিনি সংসদ নেতা হিসেবে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে দুর্নীতি জীবনকে মূল্যহীন করে তুলেছে: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের স্থায়ী কমিটি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। শনিবার সংসদে আইনমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে প্রথমে তার দুর্নীতির অপরাধের কথা স্বীকার করতে হবে এবং তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য দু:সাহসী এবং দু:খজনক।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ক্ষমা করার জন্য জাফরুল্লাহ'র দাবি বিএনপির বক্তব্য: তথ্যমন্ত্রী
ফখরুল জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে তাঁর গুলশানের বাসায় সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করা হয়। আইনে এমন কিছুই নেই যার কারণে সরকার তাকে (খালেদা) বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিতে পারে না।
আসন্ন নাসিক নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন চান আইভি
নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি সফলভাবে তৃতীয় বারের মতো দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন আইভি।
আরও পড়ুনঃ নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, অপেক্ষা ফলাফলের
রবিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইভি বলেন, ‘যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে হয়, তবে আমি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মনোনয়ন চাইব।'
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আইভি।
জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্যের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭ ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৪’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
আরও পড়ুন: জনগণের জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ৫টি স্বর্ণপদক, ৯টি রৌপ্যপদক এবং ১৮টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছেন কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য।
কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যতের জন্য বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই পুরস্কারের প্রচলন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে পরবর্তী সরকার এ পুরস্কার দেয়া বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তীত এই পুরষ্কারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ গঠন করে।
এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ কার্যকর করা হয়েছে।