ঝিনাইদহ
সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে ঝিনাইদহে শোক
ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে তার নিজ জেলা ঝিনাইদহে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শনিবার সকালে সাংবাদিকতার পথিকৃত এই সংবাদকর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক ও তার স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পর করোনায় চলে গেলেন সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন
মিজানুর রহমান তোতার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের চরমুরারীদহ গ্রামে। তিনি ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ঝিনাইদহের প্রথিতযশা সাংবাদিক কালী কিংকর মুন্টর হাত ধরে সাংবাদিকতায় আসেন। সে সময় তিনি দৈনিক গণকন্ঠের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
মিজানুর রহমান তোতা দীর্ঘ ৪৫ বছর সাংবাদিকতা করেছেন। এর মধ্যে একটানা ৩৫ বছরই তিনি কাজ করেছেন দৈনিক ইনকিলাবে। যশোরের গণমাধ্যম জগতে বিচরণ করে অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, যশোর প্রেসক্লাবের তিনবারের সভাপতি ও একবারের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় খুলনার সাংবাদিক মোস্তফা কামালের মৃত্যু
সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিমসহ বিভিন্ন সংগঠন মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরবে ইবি শিক্ষার্থীরা
করোনাকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পার্শ্ববর্তী এলাকা ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছিয়ে দিতে বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সব বাসে দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী জেলা থেকে আসা আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফিরতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) থেকে ৫টি রুটে (খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, গাবতলী (ঢাকা), ফরিদপুর) বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িযোগে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
গত ৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালমের নিকট করোনাকলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ণয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম ছাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনলাইনে দেশের দূরবর্তী জেলার প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী আবেদন করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাস দেয়ার সুপারিশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সম্মতিক্রমে দেশের মোট পাঁচটি রুটে যথাক্রমে গাবতলী (ঢাকা), খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও ফরিদপুর শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়ার জন্য বাসের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাসগুলো আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উদ্দেশে রওনা দিবে।
ওইদিন সকাল ৬ টায় কুষ্টিয়ার কাস্টমমোড় ও ঝিনাইদহের আরাপপুর হতে সকাল ৬ টায় বাস ছাড়বে। এছাড়া ১৮ জুলাই বাসগুলো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রওনা দিবে।
পড়ুন: ৬ মাসে কোরআন হিফজ করলেন ইবি শিক্ষার্থী জালাল
করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
পরিবহন প্রশাসন প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিসি মহোদয় শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। করোনাকালে বিপাকে পড়া বিভিন্ন দূরবর্তী জেলার শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে তিনি পাঁচটি রুটে গাড়ি দেয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।’
উদ্বোধনের দুই দিন পেরোতেই ধসে পড়ছে পানির পাম্প ভবন
প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানির পাম্পটি উদ্বোধনের দুই দিনের মধ্যে ধসে পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাম্প হাউজ ঘরের মেঝের অনেকটা অংশ ধসে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানির লাইন স্বাভাবিক থাকলেও ভবনের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি হওয়ায় লাইনটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা এলাকার নওদাগা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৪ জুলাই (রবিবার) দুপুরে পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিম এই পাম্পের পানি সরবরাহ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় পৌর মেয়রের সাথে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রকিব উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর দেখা গেলো পাম্প ভবনটি ধসে পড়ছে।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড নওদাগা ও কাশিপুর এলাকার নাগরিকদের জন্য গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হয়।
কোটচাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাম্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শেষ দিকে। পানির লাইনের কাজের জন্য প্রায় ৬০ লাখ আর ভবনের জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। কিন্তু কাজটি ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রকিব উদ্দিন জানান, পাম্পটি তার নির্বাচনী এলাকায় বসানো হয়েছে। এই পাম্পের মাধ্যমে নওদাগা, কাশিপুর ও শহরের কিছু অংশের গ্রাহকরা পানি পাবেন
তিনি জানান, পাম্পটি এলাকার মানুষের কল্যাণে নির্মিত হলেও উদ্বোধনের পরই ধসে পড়ে। এতে পাম্পটি মানুষের উপকারে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নওদাগা গ্রামের মাহাতাব আলী জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই পাম্পটি তৈরি করা হয়েছে। এরপর গত রবিবার দুপুরে চালু করার পরদিনই দেখা যায় পাম্প ভবনের নিচের অংশ থেকে মাটি ধসে পড়েছে। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে।
কোটচাঁদপুর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, কাজটি দেখভাল করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। তারা মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে তারা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভাগকে দ্রুত দেখার জন্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাড়ছে পানি, ফরিদপুরে নদী ভাঙন শুরু
পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিম জানিয়েছেন, ঠিকাদাররা এই কাজের বিল নিয়ে গেছেন। তারপরও তারা কাজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলেছেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের স্থানীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মো.জিল্লুর রহমান জানান, তারা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। মেরামত করে দিতে সম্মত হয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
করোনা মোকাবিলায় পাড়া-মহল্লা, গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মজিবর রহমান।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল মিটিং এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জেলার বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের পাড়া-মহল্লার দোকান-পাট খোলাসহ সার্বিক করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এই প্রতিরোধ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ সদরে করোনা রোগীর ভিড়, অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা
ভার্চুয়াল মিটিং-এ ডিসি মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অংশ নেন জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ, জেলা তথ্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ।
মিটিংয়ে ডিসি মজিবর রহমান বলেন, ‘দেশে করোনাকালীন যে সংকট চলছে তা আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে পারবো। খাদ্যের কোনও সংকট নেই। প্রয়োজনে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। কিন্তু সংক্রমণ কমাতে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। ’
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
তিনি সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাড়া, গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ভিত্তিক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, ইমাম, যুবক সমাজকে নিয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
এছাড়া মসজিদের মাইকে প্রতিবার আজানের পর করোনা সচেতনতা মূলক বক্তব্য প্রচারের ব্যবস্থা করতে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দেশ দেন। গ্রামের দোকান খুলে যাতে জনসমাগম না ঘটাতে পারে সেই তথ্য দিয়ে জেলা প্রশাসনকে কাজ করতে বলেন।
প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে ঝিনাইদহের নিম্নাঞ্চলুগলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকার ফলে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের ত্রিমোহনি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০ চাতাল ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
একই সাথে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকর ও চাতালে মালিক-শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
এদিকে, প্রায় দুই মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে চাল উৎপাদন কার্যক্রম। এতে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাতাল মালিকরা। এ অবস্থায় বেকার হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন চাতালগুলোতে কর্মরত প্রায় দুই শতাধীক শ্রমিক। এছাড়া সাধুহাটি ও সগান্না ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষার পানি নিষ্কাণের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা ফসলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা করছেন।
শনিবার সরেজমিনে ত্রিমোহনি চাতাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার চাতালগুলোর পাশে একটি বিল ছিল। এই বিল দিয়ে এসব নিচু এলাকার পানি নিষ্কাষণ হত। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে শুকনো মৌসুমে এই বিল এলাকায় পুকুর খনন করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। যার ফলে পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে কয়েকদফা বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
চাতাল শ্রমিক আবু তালেব জানান, চাতালে কাজ করে সংসার চলে। কিন্তু বৃষ্টিতে পানি জমে প্রায় দুই মাস চাতাল বন্ধ রয়েছে। ফলে রোজগার না থাকায় কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। কখনও কখনও তিন বেলাও খাবার জুটছে না।
জলাবদ্ধতার শিকার একটি বাড়ির মালিক ইমান আলী বলেন, ‘পাশেই পুকুর কেটে বাধ দেয়ার ফলে বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে গেছে। এই পানি বের হতে না পেরে আমাদের ঘরে ঢুকছে। খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনও কাজ হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণীরা এখন কৃষাণী
চাতাল মালিক ও ডাকবাংলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন ভান্ডারী বলেন, ‘আমাদের চাতালের পাশে প্রভাবশালীরা পুকুর খনন করায় চাতাল এলাকার পানি বের হচ্ছে না। এখন পানি নিষ্কাষণ না হওয়াই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কিছু বসত-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
তিনি জানান, প্রায় ২০টি চাতাল ক্ষতিগ্রস্থ, উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকার ফলে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরে অটো রাইস মিলের ভেতরেও পানি উঠে যাবে। ফলে আরও কয়েক কোটি টাকা লোকসানের ঝুঁকি বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যনদের নিয়ে তিনি এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৩১
অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় সোমবার ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ৩১ জনকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ৫৮ বিজিবির অধিনস্ত শ্যামকুড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মহেশপুর উপজেলার একাশিপাড়া গ্রামের একটি ইট ভাটার সামনে থেকে মোছা. লিপি খাতুন ও মোছা. সাথি খাতুনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দৌলতপুর সীমান্তে আটকের ৪ ঘণ্টা পর কৃষককে ফেরত দিল বিএসএফ
মহেশপুরের মাটিলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মাটিলা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানের মধ্যে থেকে ভারতে প্রবেশের সময় মো. আজিম, তার স্ত্রী মোছা. আজমিরা খাতুন ও মেয়ে মোছা. হালিমাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রৌমারী সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সোমবার ভোরে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ৫৮ বিজিবির বাঘাডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে আসলাদ শেখ, তার স্ত্রী মোছা. সুমি শেখ, মেয়ে মোছা. সুমনা আক্তার হাবিবা, মো.মোস্তাফিজুর রহমান, তার ছেলে মো. আলী মর্তুজা, শান্ত মোল্লা, হেনা খান, ছোয়া মজুমদার, মুসকান আহমেদ, সুমাইয়াকে আটক করা হয়।
ওই দিন জীবননগরের করিমপুর বাজার থেকে মো. আজিজুর খান, মো. সলেমান শেখ, মো. গাউছ শেখ, তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা, ছেলে মো. সাব্বির হোসেন শেখ, মো. শাহিন শেখ, মো.মুন্না, অজিফা খাতুনকে আটক করে বিজিবি।
আরও পড়ুন: বিএসএফ’র গুলিতে আহত ভারতীয় কিশোরকে হস্তান্তর
জীবনগর উপজেলার ইসলামী ব্যাংক এলাকা থেকে মো. মহিদ শেখ, মো. জিনায়েদ, তার স্ত্রী মোছা. মিম, মিনহাজুল ইসলাম, অভি মোল্লা, মো. কামরুল ফরাজি, মোসা.শিউলি শেখ ও মোসা.মনিরা বেগমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আটকতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মহেশপুর সীমান্ত থেকে সাড়ে ৫ মাসে ৯২৮ জন আটক
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাকোশপোতা গ্রাম থেকে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি। এই নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৯২৮ জনকে আটক করলো বিজিবি।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে ওই ৫ জনকে আটক করা হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার লাউতাড়া গ্রামের মৃত হাজু শীলের স্ত্রী ফুলমতি শীল (৬৫), একই গ্রামের সুরঞ্জন শীলের স্ত্রী মিতা শীল (৩২), তার ছেলে জয় শীল (০৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার পূর্ব ঝিলের ডাঙ্গা গ্রামের দেবাশীষ মন্ডলের স্ত্রী বনানী মন্ডল (২৭) ও তার ছেলে দেব মন্ডল (৮)।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে নারী, শিশুসহ আটক ৬
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত খোসালপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার নেপা গ্রামের বাকোশপোতা নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
আরও পড়ুন: ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও সীমান্তে অবৈধ পারাপার থেমে নেই। ওপারে কাটাতারের বেড়া না থাকায় দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে প্রায় প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে চার ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
অবৈধ পারাপারকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে বলে সীমান্তে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন।
খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৭৬৫
খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৭৬৫ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুস্থ হয়েছেন ২৮১ জন।
বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় চার, কুষ্টিয়ায় চার, যশোরে তিন, চুয়াডাঙ্গায় দুই, মেহেরপুরে দুই, বাগেরহাট, মাগুরা ও ঝিনাইদহে একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৬১১ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৭ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ হাজার ৮২৭ জন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ২ ব্যবসায়ীর করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলা ভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৮১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ২২৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৭০ জন।
বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ২ হাজার ৩৯০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৫ জন।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালের করোনায় ১২ মৃত্যু
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১১ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন।
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২০৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৫৩ জন। মারা গেছেন ৯৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪১ জন।
নড়াইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৪ জন। মারা গেছেন ২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৭ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে একদিনে আরও ৬০ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ৪ হাজার
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৫ জন। এ সময় মারা গেছেন ২৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২২০ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩২৮ জন। মারা গেছেন ৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ জন।
কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৬ জন। মারা গেছেন ১৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৫ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০৪ জন। মারা গেছেন ৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৪১ জন।
করোনা ফান্ড আত্মসাৎ: বহাল তবিয়তে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
করোনাকালীন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বরাদ্দের টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে আছেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)।
তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্তে টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে আবাসিক হোটেলে থাকা বাবদ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা ও হোটেলে খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নেন ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবিরকে প্রধান করে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: শ্রীপুর পৌরসভায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগমের দপ্তরে পাঠানো হয়। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন অফিস প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হাসান ইমামের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিছু সংশোধন ও সংযুক্তির জন্য পরিচালকের (প্রশাসন) দপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তা আটক
পরবর্তীতে গত ৪ এপ্রিল ২৫৩ নং স্মারকে ডা. শামীমা শিরিন লুবনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় প্রমাণাদিসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) দপ্তরে পড়ে আছে বলে জানা যায়।
তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, আমরা সাধ্যমতো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছি। করোনাকালীন সময়ে রহমানিয়া হোটেলের ভাড়া করা কক্ষগুলো বন্ধ ছিল। সেখানে কোনও ডাক্তার নার্স থাকেনি। কিন্তু ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে খাবার হোটেলে কেউ খাবার খাননি। রহমানিয়া হোটেলে রান্না বা খাবার বিক্রি করা হয় না বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান কারাগারে
তদন্ত কমিটির প্রধান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামীম কবির বলেন, আমরা তদন্তে যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। একই কথা জানান কমিটির আরেক সদস্য ডা. মিথিলা ইসলাম।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম তা ফেরত দিয়ে কিছুটা সংযুক্তি জুড়ে দিয়েছিল পরিচালকের দপ্তর। দ্বিতীয় দফায় আমরা আবার প্রতিবদেন পাঠিয়েছি। এখন ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) দপ্তরের।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ইউএনও'র স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনা আগেই জানিয়েছিলেন, হোটেলে থাকা নিয়ে রহমানিয়া হোটেলের ম্যানেজার সঠিক তথ্য দেন নি। ডাক্তাররা রোস্টার ডিউটি করেছেন। ওই সময় তারা হোটেলটিতে ছিলেন। কোনও টাকা আত্মসাৎ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তবে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাঝহারুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই তিনি কোভিড-১৯ এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনো হোটেলে থাকেননি।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
আরেক চিকিৎসক আর্জুবান নেছা বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় হোটেলে থেকেছেন। কিন্তু তারিখ বা কোন মাসে থেকেছেন সেটা তিনি জানাতে পারেননি। তবে তিনি প্রণোদনার টাকা পাননি।
এছাড়া হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত স্টাফরাও কোন প্রকার সরকারি প্রণোদনার টাকা পাননি বলে জানিয়েছিলেন।
কালীগঞ্জে লেদ মিস্ত্রিকে শ্বাসরোধে ‘হত্যা’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক লেদ মিস্ত্রিকে গলায় ফাঁস দিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা পালপাড়া এলাকায় একটি কলা বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাহিন (২৮) একই এলাকার বটতলা পাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত শাহিন হোসেন সম্প্রতি বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় একটি লেদ মেশিন বসিয়ে কাজ করতো। সকালে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ পাওয়ার পর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর তাদের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর তার ব্যবহৃত একটি জুতা পাওয়া যায়। এরপর রনজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তির কলা বাগানে তার মরহেদ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর মিয়া জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কি কারণে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ৮ দিনের শিশুকে হত্যার অভিযোগ মা আটক