ঝিনাইদহ
মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎচালিত কৃষি মটরের তারে জড়িয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোররাতে উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রহিদুল ইসলাম (৪৫) একই গ্রামের ছলেমান মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
প্রতিবেশিরা জানান, শনিবার রাতের কোন এক সময় মটরের সুইস বন্ধ করতে গেলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলের তার মৃত্যু হয়। পরে ভোররাতে পরিবারের লোকজন খোঁজা-খুঁজির একপর্যায়ে মটরের পাশের কেনালের মধ্যে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রহিদুলের মৃত্যুর ঘটনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কৈয়ারগাছি ও শৈলকুপা উপজেলার মুড়টোলায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটেছে।
নিহতরা হলেন-রবিউল ইসলাম মনিরের ছেলে শাকিল হোসেন (২২), মিতুল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন রকি (২১) এবং সোহরাব বিশ্বাসের ছেলে তুষার বিশ্বাস (৩৫)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সকালে শাকিল ও রাকিব মোটরসাইকেলে করে ঝিনাইদহ সদরে যাচ্ছিলেন। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কৈয়ারগাছি নামক স্থানে ইটবোঝাই একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল আরোহী তুষার বিশ্বাস গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২,আহত ৪
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
ঝিনাইদহে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন, দর্শকদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস
গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন এখন বিরল ঘটনা। একসময় দেশের আনাচে কানাচে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গানের তালে তালে আয়োজন করা হতো আনন্দময় এই উৎসবের। বেজে উঠতো কাসার ঘন্টা। তালে তালে চলতো লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাপিয়ে পড়তেন লাঠিয়ালরা। তবে সেই ঐতিহ্য এখনো হারিয়ে যায়নি ঝিনাইদের মানুষদের কাছে।
এমনি আয়োজন করেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপার বিনোদনেপ্রেমীরা। দর্শকরা খেলার দৃশ্য দেখে আনন্দে ফেটে পড়ছেন। সেই সঙ্গে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে লাঠিয়ালদের।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে এমন উৎসব হয়ে গেল ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল মাঠে।
যা দেখতে ভীড় করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাঠির এই কসরত দেখে মুগ্ধ হয় দর্শকরা।
শহরের কাঞ্চননগর থেকে রেখা দাস বলেন, আমি লাঠিখেলার কথা শুনেছি কিন্তু কোনোদিন দেখিনি। আজ দেখলাম অনেক ভালো লাগছে দেখতে।
শহরের উদয়পুর এলাকার বিজয় হোসেন বলেন, গ্রামে লাঠিখেলা হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু শহরে তো লাঠিখেলার আয়োজন করা হয় না। নতুন বছর উপলক্ষে রবিবার লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে শুনে এলাম। দেখতে অনেক ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
একই এলাকার রানা আহম্মেদ বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করা দরকার। আজ এখানে আয়োজন করা হয়েছে এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকা বলেন, বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠিখেলা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা চেষ্টা করছি এটি ধরে রাখতে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে এই এতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে আয়োজক ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, এ বছর থেকে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুরু করেছি হারানো এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আমরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সঙ্গে শহরের মানুষ যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
দিনভর খেলায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১৫টি লাঠিয়াল দলের ৬৫ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়।
খেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হচ্ছে পার্বত্য শান্তিচুক্তির রজত জয়ন্তী
১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
ঝিনাইদহে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
ঝিনাইদহে যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় রকিবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রকিবুল শৈলকুপা উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তিনি ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্র্যাক ব্যাংকে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রকিবুল ডিউটি শেষ করে সকালে বাইসাইকেলযোগে শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গড়াই পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌফিক হাসান বলেন, রকিবুল ইসলাম হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই বাসসহ চালক পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বিমানবন্দর সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মেহেরপুরের মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝিনাইদহে কীটনাশক প্রয়োগ করে পাখি হত্যা!
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলিয়ার বাকড়ি গ্রামের মাঠে গমখেতে কীটনাশক প্রয়োগ করে ৬০-৭০টি পাখি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বাকড়ি গ্রামের কৃষক মো. মুন্নু গেলো কয়েকদিনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হত্যার পর ওই পাখিগুলোকে তিনি লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলেও জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ দিন আগে নিজের ১৮ কাঠা জমিতে গমের বীজ বপন করেন স্থানীয় কৃষক মুন্নু। এরপর সেখানে শালিক, ঘুঘুসহ অন্য পাখি বসে অনেক বীজ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষক জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। ফলে কীটনাশক মেশানো গম খেয়ে একের পর এক পাখি মারা যেতে থাকে। এরপর মৃত পাখিগুলোকে রশি দিয়ে লাঠিতে বেঁধে ক্ষেতেই ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। অনেক পাখিই এরই মধ্যে পচে গেছে, কোনোটি আবার শেয়ালে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
এছাড়া নির্দয়ভাবে পাখি হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল ও এক লাখ টাকা জরিমনা। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ফসলের খেতে কীটনাশক দিয়ে পাখি হত্যা অবশ্যই অপরাধ। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হতে পারে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
‘২ সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যু কীটনাশক পানেই’
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও একজন। শুক্রবার মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও কোটচাঁদপুর পুড়াপাড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহেশপুর শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও যুগিহুদা গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২) এবং মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের রমিজ উদ্দীনের ছেলে স্থানীয় আজমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আল আমিন (৩৭)।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিল আরিফুল। তিনি মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে এক পথচারী বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ওসি বলেন, অপরদিকে কোটচাঁদপুর পুড়াপাড়া সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন সাবেক মেম্বর আল আমিন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ভর্তি করা হলে শুক্রবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন মারা যান।
এছাড়া তিনি এবং তার শিশু সন্তান খালিদ হাসান দুর্ঘটনায় আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আল আমিনকে আলামপুর গ্রামে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডুতে মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামি সজীব আহমেদ অপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজীব আহমেদ অপু হরিণাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ছাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে অপুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. রাসেল জানান, জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা বাজারে নিহত জনির মোবাইলের দোকান আছে। অপু কয়েকদিন আগে ওই দোকান থেকে ৬১ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল বাকিতে ক্রয় করে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে আসামি অপু দোকানে ঢুকে জনিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার পর থেকেই র্যাব আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে অপু কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি গ্রামে অবস্থান করছে।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে শীতের আমেজে ঘরে ঘরে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির হিড়িক
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শীতের আমেজে ঘরে ঘরে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিটি পরিবারে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারীরা।
চলছে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করছেন অনেকেই। আবার অনেকে শীতকালে কুমড়ো বড়ি বিক্রি করে সংসার চালান।
জানা গেছে, মাষকলাইয়ের ডাল করার পর তা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর সেই ডাল ভালো করে পরিষ্কার করে শিল-পাটায় বেটে কিংবা মেশিনে ভাঙিয়ে তার সঙ্গে চাল কুমড়োর পুর মিশিয়ে সুস্বাদু বড়ি তৈরি করা হয়। গ্রামীণ ৮০ ভাগ নারীরা পালা করে বড়ি দেয়ার কাজ করে থাকেন।
উপজেলার বহরমপুর গ্রামের গৃহবধূ পারভীনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকেন। তিনি কুমড়োর বড়ি খুব পছন্দ করেন। এই মাসের শেষের দিকে ছুটিতে বাড়িতে আসবে। তাই আগে থেকেই বড়ি তৈরি করে রাখতে হচ্ছে। বিদেশ থেকে ফোন করে জানিয়েছে বেশি করে তৈরি করতে, এক মাস পরে আবার যাওয়ার সময় বিদেশি বন্ধুদের জন্য নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
রুবিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী দুই বছর আগে মারা গেছেন। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এক ছেলে,এক মেয়ে। বাপ মারা যাওয়ার পারে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। ছেলে ছোট অন্যান্য সময় বিভিন্ন কাজ করি। শীতকালে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বিক্রি করি। চাল কুমড়ো পাওয়া না গেলে পেঁপে, লাউ ছাড়াও বিভিন্ন সবজি ও কলাই দিয়ে বড়ি তৈরি করি।
পৌর এলাকার স্বপ্না খাতুন বলেন, বড়ি তৈরির আগের দিন ডাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর চালকুমড়ো ছিলে ভেতরের নরম অংশ ফেলে মিহি করে রাখতে হয়। তারপর কুমড়ো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া হলে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সারা রাত ঝুলিয়ে রাখতে হয়। পরে ডালের পানি ছেঁকে শিল,পাটায় বেটে নিতে হয়। এরপর ডালের সঙ্গে কুমড়ো মেশাতে হবে। খুব ভালো করে মেশাতে হবে যতক্ষণ না ডাল-কুমড়োর মিশ্রণ হালকা হয়। তারপর কড়া রোদে চাটি বা কাপড় বিছিয়ে বড়ির আকার দিয়ে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে বসিয়ে শুকাতে হবে। বড়ি তিন থেকে চারদিন এভাবে রোদে শুকানোর পর তা অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়।
শাহিন নামে পৌর শহরের এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, মুদি ব্যবসার পাশাপাশি শীত এলেই কুমড়োর বড়ি বিক্রি করি। শীতকালে বড়ি তৈরির জন্য অনেকেই চাল কুমড়োর আবাদ করেন। গেল বছর একটু কম দামে বিক্রি হলেও এবার দাম বেড়েছে। বড়ি তৈরির উপকরণ ও শ্রমমূল্য বৃদ্ধির কারণে বড়ির দামও বেড়েছে।
সরকারি কে এম এইচ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আনিসুর রহমান বলেন, গ্রামীণ জনপদের ঐতিহ্যের মধ্যে কুমড়োর বড়ি অন্যতম। শীতকালে কুমড়োর বড়ি তৈরি না করলেই যেন নয়। এটি যেমন মুখরোচক তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। নারীরা পালা করে বড়ি তৈরি করে থাকে। এতে প্রতিবেশীদের মধ্যে যেমন সম্পর্ক দৃঢ় হয়। বড়ি তৈরি করে বিভিন্ন আত্মীয়র বাড়িতে পাঠিয়ে থাকে অনেকে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম বলেন, নারীরা বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। বিশেষ করে শীত এলেই এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে কুমড়ো বড়ি তৈরির উৎসব চলে। এক সময় পরিবারের প্রয়োজনে কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হলেও এখন বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। আবার এখন নারীরা অনলাইনের মাধ্যমে শহরে কুমড়ো বড়ির অর্ডারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বাড়ছে কক্সবাজারের সুপারির কদর, যাচ্ছে বিদেশেও
করোনা মহামারি এবং চড়া সুদের দাদনের কারণে বিপাকে পিরোজপুরের ভাসমান চাষীরা
ঝিনাইদহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে এক ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. নুরুন্নবী নজরুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
এস.এম. নুরুন্নবী জানান, শহরের নতুন হাটখোলায় খান ডেন্টালে ভুয়া এক দন্ত চিকিৎসক দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিয়ে আসছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালায়। এসময় আটক করা হয় নজরুল ইসলামকে।
তিনি বলেন, নিজের দোষ স্বীকার করায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, সে এসএসসি পাশ ও আগে একটি কারখানার স্টোর কিপারের কাজ করতো।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে 'ভুল চিকিৎসায়' শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ঝিনাইদহে ভুল চিকিৎসায় ইসরাত জাহান মাহেরা নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার নারায়নপুর ত্রিমোহনী এলাকায় ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
শিশু ইসরাত জাহান মাহেরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিক মালিক আবু সাঈদ মুন্সী ও অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করেছে। এছাড়া ক্লিনিকটির নার্স সহ স্টাফরা গা ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে পেটে ব্যথা নিয়ে ইসরাত জাহান মাহেরা নামে ছয় বছরের এক শিশু ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির পরে চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক শিশুটির শরীরে পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন পুশ করে নার্সরা। ফলে সন্ধ্যা নাগাদ শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির মুমূর্ষ অবস্থা দেখে মা শামীমা আক্তার ডিউটিরত অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনের শরণাপন্ন হলে তিনি ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাত আটটার দিকে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে অপচিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা ক্লিনিকে ঢুকে ডাক্তারের চেম্বার, অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল কক্ষসহ আসবাবপত্র তছনছ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্লিনিক মালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মুন্সী ও কথিত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অপচিকিৎসার কারণে ইতোপূর্বে ওই ক্লিনিকটি একাধিকবার সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোন চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই চলে আসছে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সু্প্রা রানী দেবনাথ জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা মোল্লা তৌহিদুর রহমান জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিক মালিক ও কথিত এক চিকিৎসককে নিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, আটক ২