ভোলা
ভোলায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
ভোলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বছর বয়সী এক শিশুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে শিশুটির বাবার করা মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মোসা. হালিমার (৩৫) বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চাচড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরিকালে নারী আটক
এর আগে রবিবার মধ্যরাতে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর উদ্ধার হওয়া শিশু রিহানকে তার বাবা- মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারের বাসিন্দা মো. হাছনাইন ও তামান্না দম্পতির এক বছর বয়সী শিশু রিহান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে রবিবার বিকালে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকে গ্রেপ্তার হালিমা শিশু রিহানের রুমের পাশে ঘোরাঘুরি করে এবং তার মায়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুর মাকে মৃত রোগীর লাশ দেখার কথা বলে কেবিনের বাইরে পাঠিয়ে রিহানকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। রিহানের মা ফিরে এসে ছেলেকে না পেয়ে চিৎকার করলে হাসপাতালকর্মীদের সহায়তায় পুরাতন ভবনের নিচতলা থেকে শিশু রিহানসহ হালিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চুরি হওয়া শিশুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হালিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং আদালতে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল থেকে ৩ দিন বয়সী শিশু চুরি, নারী আটক
ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরি
মেঘনায় বালুবাহী বলগেট ডুবে ১ শ্রমিকের মৃত্যু
ভোলার মেঘনা নদীতে বালুবাহী শারমিন নামে একটি বলগেট ডুবে গেছে। এতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে তিন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর গাজীপুর চর এলাকায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় ইটখোলায় আগুন, ঘুমন্ত নারী শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত শ্রমিকের নাম মো. হাফেজ (১৮)। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোটখালী গ্রামের মো. নুর আলমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় চার জন শ্রমিক নিয়ে বালুবাহী বলগেটটি হঠাৎ তলা ফেটে ডুবে যায়। তখন ডুবে যাওয়া বলগেট থেকে তিন জন শ্রমিক অন্য বলগেটের সহয়াতের তীরে উঠে আসে। কিন্তু বলগেটের একটি কক্ষে রান্নার কাজে থাকা মো. হাফেজ ভিতরে আটকের পরে নিখোঁজ হয়। পরে খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ডুবুরি দিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবে যাওয়া বলগেটের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ভোলার ইলিশা নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার হোসেন জানান, বিকালে ডুবে যাওয়া বলগেট থেকে হাফেজের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ডুবে যাওয়া বলগেটটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে নৌ-থানায় আনা হয়েছে। লাশ পরিবারে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ড্রেজার থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পবিপ্রবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৪
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৩
ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের দৌলতদিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বোরাক নামে তিন চাকার যানবাহনের সংঘর্ষে দুই স্কুল শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রিমা আক্তার (১৭), শিখা ও আব্দুল কালাম (৫৫)।
রিমা ও শিখা হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের চরফ্যাশনগামী একটি বাস উত্তর উদ্দিন এলাকায় বোরাককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, চালককে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
এ ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রমে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে চার জেলেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় জব্দ করা হয় একটি বেহুন্দি, পাঁচটি জালসহ দুই হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। আটককৃত জেলেরা পাশ্ববর্তী উপজেলা বোরহান উদ্দিনের হাসান নগর ইউনিয়ের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: হাওরে পানি আটকে মাছ শিকার, সুনামগঞ্জে বোরো আবাদে শঙ্কা
আটককৃত জেলেদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মরিয়ম বেগমের কার্যালয়ে হাজির করলে তিনি দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং অপ্রাপ্ত দুইজনকে তাদের অভিভাকের মুছলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া জব্দকৃত মালামাল শশীগঞ্জ সুইজঘাটে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকাগুলো মৎস অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা ফিশারিজ কর্মকর্তা আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় জানান, বৃহস্পতিবার রাতভর মেঘনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জেলেদের আটক, অবৈধ জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
চলন বিলে অবাধে মা বোয়াল মাছ শিকার, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন
ভোলায় সরিষা আবাদে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক
কৃষি কাজ করেই চলে মো. তাজুল ইসলামের সংসার। তিনি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তার দিগন্তজোড়া সরিষাখেতে দুলছে থোকায় থোকায় সরিষা। আর কিছুদিন পরই খেতের সরিষা ঘরে তুলবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে দুই কেজি বীজ পেয়েছেন এবং আরও দুই কেজি কিনে এ বছর দেড় একর জমিতে অগ্রহায়ণ মাসে সরিষা আবাদ করেন।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
এতে তার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার আশা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার হাজির হাট বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কৃষক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত বছর সরিষা আবাদ করে খুব অল্প সময়ে তার ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর আবারও সরিষার আবাদ করেছেন। আগামী বছর তিনি আশা করছেন দুই একর জমিতে আবাদ করবেন। তার মতো এলাকার আবদুল খালেকসহ বহু কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। কাঁচা সরিষা ফুলের মন জুড়ানো দৃশ্যে যেমন হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখে, তেমনি ভালো ফলন আসায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার দুইশ’কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার আট শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল আট হাজার ১২০ মেট্রিকটন।
লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার কৃষক সরিষা আবাদ করেছে। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার আটশ’হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানায়, ভোলা জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয় না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভোলার পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারভেজ মিজি তার সরিষা খেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, তিনি গত ৮/১০ বছর ধরে সরিষা আবাদ করছেন। এ বছর ৬ গন্ডা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাঁচ মণ সরিষা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছেন। তার ১০/১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
ভোলায় হোটেল থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার, ৫ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভোলাভোলা শহরের জাহান আবাসিক হোটেল থেকে মনোজ ভাট (৩৫) নামে ভারতীয় এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় তার সঙ্গী অপর পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ৬২ জনের একটি টিম ভারত থেকে এসেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন ভোলায় আসেন।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজস্থানের পলি জেলার মোজত রোডের বাসিন্দা মনোজ ভাট, রায় কিশান, ভুশন রাম,জয়পাল, নরেশ কুমার ও বাথ রাডি কুমারসহ ৬ জন ভোলা সদর উপজেলার জাহান হোটেলের ২টি ঘর ভাড়া নেন। হোটেলের ২০৬ নং ঘরে সোমবার রাতে মনোজ ভাট, জয় ও ভুশন ঘুমিয়েছিলেন। সকালে ওই ঘরে মনোজ ভাটের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তার লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, গত রাতে ঘুমানোর আগে মনোজ ভাট তার সঙ্গীদের তার বুকে ব্যাথার কথা বলেছিলেন, পরে ঘুমিয়ে যান। সকালে জয় ও ভুশন মনোজকে ডাকাডাকি করলে তারা তাকে মৃত দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার
জাহান হোটেলে ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল জানান, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ৬ জন তাদের হোটেলে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের একজন মারা গেছে বলে জানান। তারা বাংলা ভাষা বুঝে না। গত রাতে মৃত ব্যক্তির পেটে ব্যাথা হয়। সঙ্গে তার এক ভাই রয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ছবি আকাঁ শেখাতেন বলে তিনি জানান।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, তারা ভোলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ফেনসি আর্ট শিখাতেন এবং ৩০ টাকা করে বই বিক্রি করতেন।
ভোলা আবদুল মান্নান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম ছিদ্দিকুল্লাহ জানান, সোমবার ভারতীয় কিসান নামে এক ব্যক্তি ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাগজ দিয়ে কিভাবে ফুল বানানো হয় তা দেখান। তিনি নিজেকে ভারতের গুজরাট কলেজের আর্ট এবং সংস্কৃতির শিক্ষক পরিচয় দেন।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, তারা ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও ভারতীয় ৫ নাগরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তারা এজেন্সি বা কোন প্রক্রিয়ায় এখানে কাজ করেছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের কথা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভোলায় চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আটক ২
ভোলায় গরু চুরির অপবাদে এক যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও ৪ দিন পর নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ তাদের আটক করে।
ভুক্তভোগী যুবকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফেনুয়া গ্রামে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি এবং তার সহযোগী জাহাঙ্গীর কান্টু।
দুই মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক লোক ওই যুবকের ডান হাতে রশি দিয়ে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক মারধর করছে। এ সময় ওই যুবক চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বারবার তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান। এসময় সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ নির্যাতিত যুবককে না বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক সাংবাদিকদের জানান, বালুর বাল্কহেডের কাজ করার জন্য গত সোমবার তিনি বরিশালের শ্রীপুর থেকে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আসেন। সকাল ৭টা দিকে তিনি বান্দের পাড় এলাকায় নাস্তা করছিলেন। এ সময় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি পরিচয়ে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবককে প্রথমে পানির পাম্প চুরির অভিযোগে চড়-থাপ্পর মারে। পরে কান্টু নামে অপর এক ব্যক্তি চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে।
পরে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার ও বরিশালের শ্রীপুর এলাকার ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসির একুটি সেচ পাম্প চুরির ঘটনায় তিনি ভোলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি ও জাহাঙ্গীর কান্টু নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভোলায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত
ভোলায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে।
আজ (শনিবার) দুপুরের দিকে ভোলার মাদরাসা বাজার সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সোহেল হোসেন সোয়েব (২৫) সদরের আলীনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর সিপলী গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে নিহত সোয়েব মোটরসাইকেল চালিয়ে ভোলার শহরের দিকে আসছিলেন। এ সময় মাদরাসা বাজার সংলগ্ন এলাকায় আসলে একটি দ্রুতগামী অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে সোয়েব আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনার পরে অটোরিকশাসহ চালক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের আটককের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১
লক্ষ্মীপুরে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দাবি করছে তা কোন দিনই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ এটা বাস্তবসম্মত না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তারা নাকি ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন করবে না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোন দিন আসবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের জন্য কিছু করে। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পায়।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি। আমরা আশা করি ২০৪০ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।
তোফায়েল আহমেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আজকে বাংলাদেশে যে উন্নতি হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, ভোলায় অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হয়েছে এবং ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। ভোলাকে শিল্প নগরীতে পরিণত করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়াম লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদ হোসেন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
ভোলার গ্যাস আগামী মাসেই আসবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোলার গ্যাস আনা হবে।
তিনি বলেন, তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কনটেইনারে ভরে মূল ভূখণ্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস যুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজিত জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন, জেলাপ্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি বলব যে এই বছরটি আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতার। সব উন্নয়নের পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্নতা অপরিহার্য। এছাড়া আমাদের সেচ মৌসুম শুরু হচ্ছে। সামনে আমাদের রোজার মাস শুরু হবে। বৈশ্বিক জ্বালানির চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা ও বিভাগ অনুসারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুতের স্থগিত বিলগুলো, বিশেষ করে আমাদের জেলা পর্যায়ের সরকারি অফিসগুলোর বিলগুলো নিয়মিত করতে বলা হয়েছে। সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, তারা যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পেতে পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্ব স্ব জেলা ও বিভাগীয় কমিশনাররা যাতে আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন, সেই জন্য কমিটি করে দেয়া আছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে যদি চ্যালেঞ্জিং কিছু থাকে, কোনো ঘাটতি যদি থাকে, সেই বিষয়গুলো সুরাহা করার ব্যাপারে সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকারে রাখা হয়েছে। যেমন হাসপাতাল,শিল্পকারখানা ও কৃষি ইত্যাদি। এসব খাতগুলোতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের যেসব পরিত্যক্ত জমি আছে সেগুলো সোলারের আওতায় আনা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে যত সরকারি ভবন আছে সবগুলোর ছাদে এবং সরকারি স্কুলগুলোতেও সোলারের ব্যবস্থা করা যায়।
গরমে বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবিলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব কিছুটা গ্যাস বৃদ্ধি করেছি। এছাড়া স্পট থেকে কিছু কেনার ব্যবস্থা করেছি। আমরা শিল্পে গ্যাসের দামে সমন্বয় করেছি। শিল্পতে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখা চ্যালেঞ্জ। আমরা অন্য ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কীভাবে নিরাবচ্ছিন্ন করা যায়, তা নিয়ে ভাবছি।
দাম বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বলছি, প্রতি মাসে একটি সমন্বয়ে যাবো। সেটা নির্ভর করে জ্বালানির মূল্যের ওপর। সেভাবেই ব্যবস্থা নেব।
গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এখন বলতে পারছি না। দাম কমতেও পারে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সরকার: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালকদের ব্যর্থতার দায় মন্ত্রণালয় নেবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী