ভোলা
আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত নূরে আলম ও আবদুর রহিম হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সকলকে চোখের জল ফেলা বন্ধ করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতিকে বাঁচাতে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘আর কান্নাকাটি নয়, আমাদের এখনই কান্না ভুলে জেগে উঠতে হবে, কারণ এই ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের নিপীড়ন থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলা জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
রবিবার ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ নূরে আলম বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান, তার মৃত্যুতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুজন হয়েছে। এর আগে রবিবার ভোলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হন।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এবং তাদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৫ লাখ মামলা থেকে মুক্তির জন্য শোককে শক্তিতে পরিণত করে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
তিনি বলেন, তাদের দল বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমগ্র জাতিকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে শক্তিশালী আন্দোলন করবে। ‘আমরা আমাদের ছেলেদের, আমাদের ভাই নূরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যার প্রতিশোধ নেব গণআন্দোলনের মাধ্যমে।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বিএনপি নেতা বলেন, বাবার কাঁধে ছেলের লাশ বহন করার চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সামনে আমাদের ছেলে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের লাশ দেখছি। যিনি এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। আমাদের ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ১৯ জন ঢাকা ও বরিশালের হাসপাতালে বাঁচার জন্য লড়াই করছে।’
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের হাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা নতুন কিছু নয়। ‘আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে আমাদের এক হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৬০০ জনকে গুম করেছে স্বৈরাচারী শাসনকে মজবুত করার জন্য।’
সকাল ১১টায় নিহত ছাত্রদলের সভাপতি জানাজা হওয়ার কথা থাকায় সকাল থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিতে থাকে। সেসময় ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নূরে আলমের মরদেহ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে মরদেহ আসার পর অনেক ছাত্রদল নেতাকর্মীকে কাঁদতে দেখা যায়।
ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নূরে আলমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এবং দলীয় পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার নামাজের জানাজা শেষে লাশ দাফনের জন্য ভোলায় পাঠানো হয়।
বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপি’র দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রবিবার ভোলায় তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত এবং নূরে আলমসহ দল ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়।
তিন দিনের শোক
নূরে আলম ও আবদুর রহিমের স্মরণে শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, শোক পালনকালে সারাদেশে বিএনপির সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। নিহত দুই নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া তাদের হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৬, ৭ ও ৮ আগস্ট যথাক্রমে ছাত্রদল,কৃষকদল ও যুবদল সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শোপান বলেন, সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
আজ সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মিছিল করছে নেতা-কর্মীরা।
শহরের মহাজনট্টি সদর রোড, বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক বিএনপির
হরতালের কারণে জেলার সড়কে যান চলাচল কম করতে দেখা গেছে। তবে ভোলা-চরফ্যাশন রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের প্রধান কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন।
হুমায়ুন কবির জানান, ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নূরে আলম মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ভোলায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক বিএনপির
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের জেলা শাখার সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির ভোলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান ইউএনবিকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় হরতাল পালিত হবে।
তিনি জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ভোলায় জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন এবং দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) এক নেতা বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত নূরে আলম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বপন জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে এর নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ভোলা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান।
তিনি জানান, হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
গতকাল রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং সাত পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার উপজেলার কালীনাথ রায় বাজার এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহিম বিএনপির কর্মী।
বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে দলের নেতাকর্মীরা তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তারা গুলি ছুড়েন এবং কাঁদনে গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং একজন নিহত হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপান বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়েছেন।’
ঝামেলা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ২৬ জুলাই সারাদেশে তিনদিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ভোলায় নিউমোনিয়া ৪ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০০
ভোলায় নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগ শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার পর্যন্ত গত এক মাসে মোট ৪০০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় তিন এবং চরফ্যাসন উপজেলার এক শিশু মারা গেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত এক মাসে জেলায় কমপক্ষে চার শিশু মারা গেছে এবং আরও ৪০০ ও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জোরদার প্রচেষ্টা নিউমোনিয়ায় মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারে ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে: ইউনিসেফ
ভোলা সিভিল সার্জন দপ্তর জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মৃত চার শিশুর মধ্যে তিন ভোলা সদরে ও ১ জন চরফ্যাসন উপজেলার।
স্বাস্থ্য বিভাগ শিশু মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম এবং পরে প্রচুর বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছে।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বাধ্য এক একটি বেডে একাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালের ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার ১০ জন নতুন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে অর্ধ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শয্যা স্বল্পতার কারণে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে কিছু রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া, ফুসফুস জটিলতায় নটরডেম কলেজের শিক্ষকের মৃত্যু
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনালের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তামান্নায়ে হাবিবা জানান, নিউমোনিয়ায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয় এবং আবহাওয়া জনিত কারনে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বাড়তে পারে। চিকিৎসক ও নার্সের সংকট থাকা স্বত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
ভোলায় প্রতিবন্ধীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
ভোলায় এক প্রতিবন্ধীকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- লালমোহন উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের নোমো গ্রামের তাপস মৃধা, প্রমিলা ও রিনা।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
ভিডিওতে দেখা যায়, নম গ্রামের একটি মন্দিরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জয় চন্দ্র মেস্তুরীকে তিনজন মিলে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করছে।
স্থানীয়রা জানায়, জয়কে তার বাবা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া আগ পর্যন্ত নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। কারণ তার একটাই অপরাধ ছিল যে বৃহস্পতিবার সকালে তর্কের জেরে তাপসের এক আত্মীয়কে চড় মেরেছিলেন।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি যুবকের বাবা বাদী হয় পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
জয়ের বাবা শ্যামল চন্দ্র মিস্ত্রী বলেন, আমার ছেলে প্রতিবন্ধী এবং এর আগেও তারা বহুবার তাকে নির্যাতন করেছে। আমরা গরীব বলে প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমি আমার ছেলের বিচার চাই।
মনপুরায় হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ২
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই শিকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরপিয়ালের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার ২নং হাজির হাট ইউনিয়নের দাসের হাট গ্রামের মো. আরিফ ও মো. শাকিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সুন্দরবন থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
পঁচা কোড়ালিয়া বনবিভাগের বিটকর্মকর্তা মো. আব্বাস আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরপিয়ালের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জবাই করা ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ দুই হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মনপুরা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসে এনে মামলা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৮শ’ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মনপুরা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার দুই শিকারির বিরুদ্ধে বন্য প্রাণীসংরক্ষণ ও নিধন আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভোলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ভোলা সদর উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার আলী নগর ইউনিয়নের রুইতা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত ওবায়দুর রহমান (১৭) আলী নগর ইউনিয়নের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে এবং ভোলা পশ্চিম রুহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতো।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ওবায়দুল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ১২ টা বাজার পরও সে বাড়ি না ফেরায়, স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাননি। বুধবার সকালে নিহতের বাড়ির পাশের একটি সুপারি বাগানে গলাকাটা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ওবায়দুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফরহাদ সরদার জানান,‘প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান জানান, ‘ওবায়দুল নিহতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে পুলিশ তা এখনও জানতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: বরিশালে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার
পাবনায় পদ্মা নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার