হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে প্রাণের চিপস ফ্যাক্টরিতে আগুনে নিহত ১, আহত ৩০
প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আগুনে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আগুনের ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পার্কের অভ্যন্তরে "প্রাণ রিয়েল চিপস লাইন" নামে ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন শ্রমিক মতিন মিয়া জানান, ঘটনার সময় একদল শ্রমিক কাজ শেষে বের হচ্ছিল। অপর দল কাজের জন্য প্রবেশ করছিল। এ সময় দেখা যায়, বহুতল ভবনের ফ্যাক্টরিতে আগুন ছড়িয়ে যাচ্ছে।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মাধবপুর চুনারুঘাটের ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বলে জানান শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিটের প্রধান মো. ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৪০টি টিনশেড ঘর
প্রাণের জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার দেব অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা থেকে আসছেন। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোছা জিলুফা সুলতানা ও পুলিশ সুপার আকতার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, এ একজন নারী শ্রমিক উপর থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে মারা যান ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার ব্রিগেড আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
হবিগঞ্জে ৩১ কেজি গাজা জব্দ, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৩১ কেজি গাজা বহন করার অভিযোগে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তাশরিফ বাউরি উপজেলার জগদীশপুর চা বাগানের বাউরি টিলার মৃত রমেশ বাউরির ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ; আটক ১
রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাশরিফ বাউরিকে আটক করে। তবে দুই মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে গেছেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩১ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৭ কেজি গাঁজা বহনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে লাখাইয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে হিরাজ মিয়া নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় জনতার হাতে আব্বাছ মিয়া নামে আরও এক ডাকাত আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলায় লোকড়া-মাদনা সড়কের ঝনঝনিয়া সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
নিহত ডাকাত হিরাজ সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে এবং আব্বাছ একই গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে।
লাখাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হায়দার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত লুকড়া-মাদনা সড়কের গোয়াখাড়া গ্রামের ঝনঝনিয়া ব্রীজের পাশে অবস্থান নেয়। ডাকাতদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে এলাকার লোকজন ডাকাতদেরকে ধাওয়া করে হিরাজ মিয়া ও আব্বাছ মিয়াকে আটক করে গণপিটুনী দেয়।
খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঐদিন রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক হিরাজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হিরাজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে সংঘর্ষ: ৭ পুলিশসহ আহত ২৫
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখালে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এই সংঘর্ষের সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ ভ্যানসহ বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবক নিহত
বৃহস্পতিবার রাতে ধুলিয়াখাল এলাকার এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবকের মধ্যে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে দুই যুবকের লোকজন জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হার, আধিপত্য শ্রীলঙ্কার
হবিগঞ্জে আলেয়া আক্তার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আলেয়া আক্তার ৫৬৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোড়া প্রতীকে আলমগীর চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০১ ভোট।
নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
অপর দুই প্রার্থীরা হলেন- মো. ফরিদ উদ্দিন তালুকদার (মোটর সাইলে) পেয়েছেন ছয় ভোট এবং আইনজীবী মো. নূরুল হক (চশমা) পেয়েছেন পাঁচ ভোট।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ভোটার ছিলেন- এক হাজার ১০৪ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭৬ জন ভোট দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণার গেজেট স্থগিত
হবিগঞ্জে খতনা করতে গিয়ে শিশুর আশঙ্কাজনক অবস্থা
হবিগঞ্জে খতনা করার সময় অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় অধিক রক্তক্ষরণে এক শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওইদিন রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
শিশুটির স্বজনরা জানান, বুধবার ১২ বছর বয়সী ছেলে তোফায়েল আহমদ তামিমকে খতনা করাতে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে যান নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী রোকসানা পারভীন। ক্লিনিকের চিকিৎসক জাহিরুল ইসলাম জয় খতনা করার সময় জননাঙ্গের অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এরপর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কয়েক দফা চেষ্টার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তামিমকে সিলেটে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু তামিমের মা রোকসানা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে কয়েক দফায় চেষ্টার পরও অবস্থা বেগতিক দেখে আমাদের সিলেটে পাঠায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এখানে ভর্তির পর আরও এক ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন রক্তক্ষরণ কিছুটা বন্ধ হলেও শিশুর অবস্থা ভালো নেই।
নবীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোর্শেদ সরকার জানান, তামিমের পরিবারের পক্ষে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এসআই গৌতম ওই ক্লিনিকে গিয়ে তালাবদ্ধ পেয়েছেন। বর্তমানে তামিম কিছুটা সুস্থ বলে জানতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আউশকান্দি এলাকার মিঠাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালক নিহত, আহত ৮
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কাকুয়া গ্রামের মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে আকিব মিয়া, চর কাটকাল গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে সুরচাঁন বেগম।
শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব জানান, সিএনজি অটোরিকশাযোগে মৌলভীবাজার থেকে নবীগঞ্জ যাচ্ছিলেন আকিব মিয়াসহ পাঁচজন। মিঠাপুর পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। আহত হন তিনজন। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সিএনজি-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে আছিয়া খাতুন নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ফুল জাহান বেগম নামে অপর আরেক নারীর লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় একটি ব্রীজের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে আছিয়া খাতুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ভোরে হয়তো ওই নারীকে খুন করা হয়। নারীর লাশেহের পাশে রক্ত ও তার গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত নারী আছিয়া খাতুন চানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর ছেলে আব্দুল মজিদকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে একটি পুকুর থেকে ফুল জাহান বেগম নামে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী জিরুন্ডা গ্রামের মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের পশ্চিম ব্রিজের নিচ থেকে আড়াই বছরের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, স্থানীয় এক কৃষক প্রথমে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে দ্বিতীয় বারের মতো শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
তাকে আজ মঙ্গলবারের (২ জানুয়ারি) মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আসনটিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল সোমবার শোকজ নোটিশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
কমিটির সহকারী শরীফ খন্দকার রুবেল জানান, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে উক্ত প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত লিফলেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নির্বাচনী সভা করার জন্য গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তাকে শোকজ করা হয়েছিল। যথাসময়ে তিনি এর জবাব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফরিদপুর-৪ আসনের কাজী জাফর উল্লাহকে শোকজ
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় চুরির মামলার আসামি গোলাম রাব্বানীর (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন কমিটিকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মৃত গোলাম রাব্বানী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নন্দিপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। রাব্বানীর বড় ভাই মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন তার ভাইয়ের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্নের একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ভাই হত্যার বিচার চান।
গ্রেপ্তারের পর রাব্বানীকে হাজতে রাখার কথা, কেন তাকে অন্য কক্ষে রাখা হবে বা পুলিশ কোথায় ছিল- এ প্রশ্ন তুলে তিনি তার ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
মঈন উদ্দিন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা পরিবারের কেউ বিষয়টি জানতাম না। সন্ধ্যা ৭টায় আমরা জানতে পারি সে বানিয়াচং থানায় আছে। তখন আমার মা থানায় যান। থানা থেকে আমার মাকে জানানো হয় রাব্বানীর বুকে ব্যথা, তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাত ১০টার পর বানিয়াচং থানা থেকে জানানো হয়, রাব্বানী থানার রেস্টরুমে তার স্যান্ডো গেঞ্জি ও কোমরের বেল্ট খুলে ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’
মুঠোফোনে উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি পরে ফোন দিয়ে জানাবেন বলে কল কেটে দেন।
মঙ্গলবার রাতেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোলাম রাব্বানীর সুরতহাল হয়। বুধবার হবিগঞ্জ মর্গে গোলাম রাব্বানীর ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ময়নাতদন্ত সম্পর্কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. নাজমা আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে গোলাম রাব্বানীকে একটি টমটম চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করেন এসআই মনিরুল ইসলাম। তাকে হাজতে না রেখে পাশের একটি কক্ষে রাখা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
ওসি বলেন, সন্ধ্যায় রাব্বানীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গেঞ্জির ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
রাব্বানীর বিরুদ্ধে ৭/৮টি চুরি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ কারাগারে আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির