হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে আগুনে পুড়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
হবিগঞ্জ শহরে ২নং পুল এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রুবেল আহমেদ (২৫) হবিগঞ্জ ট্রাফিক অফিসে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট যশপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।তার এক বছর বয়েসী একটি সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাসার দুই ঘরের একটিতে রুবেল থাকতেন। পাশের ঘরে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভোরে রুবেলের ঘরে আগুন দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা ঘর থেকে বের হয়ে কান্নকাটি শুরু করেন। রুবেলের ঘরের সিটকানি লাগানো থাকায় তাৎক্ষণিক তারা ওই ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা জানান পাশের ঘরে রুবেল রয়েছেন। এদিকে আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভায় ও রুবেলের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের কানে মোবাইলের হেডফোন লাগোনো ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতে তিনি বিশ্বকাপ খেলা দেখে মোবাইল চার্জিং থাকা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েন রুবেল।
আরও পড়ুন: ছিটকিনি খুলতে না পেরে আগুন পুড়ল ২ শিশু
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মর্তুজা জানান, মৃত রুবেল আহমেদ হবিগঞ্জ ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন খানের একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকতেন। সোমবার একজন ছুটিতে বাড়ি চলে যান। রাতে বিশ্বকাপ খেলা দেখে চার পুলিশ সদস্য ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে তাদের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
নিহতের লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্য অতীন্ত্র কুমার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আহতবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বোতাম কারখানায় আগুন
আসাদগেটে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে আহত ২
হবিগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার দীর্ঘ বক্তৃতা, ১৮ ছাত্রী অসুস্থ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের একটি স্কুলে জেলা শিক্ষা অফিসারের দীর্ঘ বক্তৃতা চলাকালে গণহারে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার সকালে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল্লাহ বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। সকালে ওই স্কুল মাঠে এসেম্বলি চলাকালীন তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোদে দাঁড়িয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তব্য শোনার সময় একে একে ১৮ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারা শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে।
এমতাবস্থায় তাদেরকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮ম শ্রেণির ঝুমা আক্তার, বৈশাখী চন্দ, ও ৯ম শ্রেণির রিনা আক্তার গুরুতর অসুস্থ হলে তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠনো হয়।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার খানম জানান, সাধারণত এসেম্বলী ১৫ মিনিট চলে। বুধবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের স্কুলে পরিদর্শনে আসার পর তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দীর্ঘক্ষণ পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। এ সময় হঠাৎ ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে অনেক শিক্ষার্থীই না খেয়ে আসে। চিকিৎসা দেয়ার পর বর্তমানে সবাই সুস্থ রয়েছে। অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন ৯ম শ্রেণির নিপা আক্তার, শ্রাবনী আক্তার, শামীমা, অপি আক্তার, রিনা আক্তার, তানিয়া রহমান, তাহমিনা, মারিয়া আক্তার, ৮ম শ্রেণির হেলেনা আক্তার, মিতু আক্তার, বৈশাখী চন্দ, উষা আক্তার, ঝুমা আক্তার, ষষ্ট শ্রেণির রূপালী, প্রমি শীল। বাকি তিনজনের নাম জানাতে পারেনি শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মুকুল।
হবিগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মমিন উদ্দিন বলেন, ছাত্রীরা মাস সাইকোলজিক্যাল ইলনেসে আক্রান্ত হয়েছিল। চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে যাওযায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
ধান মজুতের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী
হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জ বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
এদিন বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের দুই ঘন্টা আলোচনার পর পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সধারণ সম্পাদক মো. সজীব আলী জানান, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরিবহন মালিক শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলা প্রশাসক দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। ফলপ্রসু আলোচনার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান বিকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। উল্লেখ্য, বিগত ৪ সেপ্টেম্বর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের যৌথ সভায় নবীগঞ্জ উপজেলার সালামতপুর বাস টার্মিনালে হবিগঞ্জ -এর বাসগুলোকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে হবিগঞ্জ থেকে কোন বাস ঐ টার্মিনালে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়। অপর দিকে সিলেটে বিএনপির সমাবেশের আগে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলার সঙ্গে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
বরগুনায় পরিবহন শ্রমিকের ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
হবিগঞ্জ বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট ৪র্থ দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
ধর্মঘট চলাকালে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সোমবারও পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে থাকে।
রুট গুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ-–মাধবপুর, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ- আউশকান্দি, হবিগঞ্জ-বাহুবল, হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট ও হবিগঞ্জ ভায়া চুনরুঘাট-মাধবপুর, এছাড়া হবিগঞ্জ-ঢাকা পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে।
ধর্মঘট চলাকালে দূরপাল্লার যাত্রীরাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
হবিগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জ ট্রাকের ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু নাদিম হোসেন (৬) ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নাদিম ঘটনার সময় বাড়ি সংলগ্ন ইকরাম - হবিগঞ্জ রাস্তা পারাপারের সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশু নিহত
মাগুরায় অটোরিকশাচাপায় শিশু নিহত
ট্রলির ধাক্কায় পাঁচ বছরের শিশু নিহত
হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নবীগঞ্জে বাস চলাচলে প্রশাসনের বাধা দেয়ার প্রতিবাদ ও অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জের সকল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
বাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
জানা গেছে,ধর্মঘট চলাকালে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে।
রুট গুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ–মাধবপুর, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ- আউশকান্দি, হবিগঞ্জ- বাহুবল, হবিগঞ্জ- মৌলভীবাজার- সিলেট ও হবিগঞ্জ ভায়া চুনরুঘাট-মাধবপুর।
এছাড়াও, হবিগঞ্জ-ঢাকা পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে। ধর্মঘট চলাকালে দুরপাল্লার যাত্রীরাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যান। অনেকের জরুরি প্রয়োজন থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা ও হালকা যানবাহনে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
আজ সরকারি ছুটি থাকায় তাদের চাকুরীজীবীদের তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।
হবিগঞ্জ বাস টার্মিনালে আসা যাত্রী ক্ষুদে কাপড় ব্যবসায়ী সুবোধ চন্দ্র দাস জানান, ব্যবসার মাল আনার জন্য ঢাকা যেতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কোনও বাস পাননি। নিয়মিতভাবে তিনি শুক্র শনিবার ঢাকায় মালামাল ক্রয় করেন। আগামী সপ্তাহেও মাল আনতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।
সিলেট এর ছাত্র নাজমুল হুদা জানান, তার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস রয়েছে কিন্ত যেতে পাড়ছেন না।
হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ রায় জানান, বিগত ৪ সেপ্টেম্বর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের যৌথ সভায় নবীগঞ্জ উপজেলার সালামতপুর বাস টার্মিনালকে হবিগঞ্জের বাস গুলোকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে হবিগঞ্জ থেকে কোন বাস ঐ টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অপর দিকে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধেও কোন ব্যবস্থা নেননি। তাই অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিলেটে বিএনপির সামাবেশের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১টায় হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান হবিগঞ্জের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘সিলেটের গণসমাবেশকে উদ্দেশ্য করে আমরা এই ধর্মঘট ডাকিনি। নবীগঞ্জের সালামতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আমাদের কয়েকটি বাস বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে আমরা মালিক-শ্রমিক মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জের প্রশাসন ও পৌরসভা আমাদের বাস-মিনিবাস চলাচলে বাঁধা দেয়া হচ্ছিল। তাই আরও আগে থেকে ধর্মঘট ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী, হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের
হবিগঞ্জে হাওরে নৌকাডুবি: ৪ নারী নিহত
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে লাখাই থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ও অজ্ঞাত আরও ২৫০ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিকে গাউসকেও আসামি করা হয় মামলায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
এর আগে, বুধবার সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বামই বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন।
পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এদিকে বানিয়াচং থানায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এছাড়া জেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমদ জানান, সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন, সিলেটের সমাবেশ বন্ধের উদ্দেশ্যে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছে।
আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট জেলায় বিভাগীয় সরকারবিরোধী গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
হবিগঞ্জে পুলিশের হামলায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের জন্য প্রস্তুতি সভায় পুলিশের হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপির। বুধবার (১৬ নভেম্বর)উপজেলার বামৈ বাজারের ফরিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিকে গউছ। মাগরিবের নামাজের পর সভা শুরু হওয়ামাত্র পুলিশ সভাস্থলে এসে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। এতে জিকে গউছসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সভাস্থলে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত ৮টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সভাস্থল থেকে বের হন।
এসময় পুলিশ লাখাই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে বলেও জানান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
জালাল আহমেদ রাত ৮টায় জানান, তারা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে বামৈ বাজারে সভা করছেন।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি বিএনপির হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দামসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আহত পুলিশদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
তবে তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পেয়ে বামৈ বাজারে এক সভা করে বিএনপি।
সেখানে জিকে গউছ বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ সভায় হামলা চালিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ গুলিতে আমাদের নেতাকর্মীদের শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই পুলিশদের; দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে।
এসময় জিকে গউছ আরও বলেন, পুলিশের হামলার ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন। আমরা কোনভাবেই পিছপা হব না। যেকোন মূল্যে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করা হবে। কোন অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
সিলেটে ৭ম বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ বোনের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে শিমলা আক্তার (৯) ও পার্শ্ববর্তী আব্দবখাই গ্রামের সিদ্দিক আলীর মেয়ে রোজিনা আক্তার (৭)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
শিমলা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি ও রোজিনা ২য় শ্রেণির ছাত্রী।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, ঘটনার আগে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল দুই বোন।
এক পর্যায়ে তারা ঘরের টিনের চালের মধ্যে উঠে এবং বাড়ির ওপরে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
এরা একে অপরের মামাতো ও ফুফাতো বোন। দুইবোনকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান দুইবোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু