লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নারী নিহত, শিশুসহ আহত ৩
লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর এক নারী ও শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
রবিবার (২৮ মে) সকালে দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের সুতার গোপ্টা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিহত সুমি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ এলাকার সালেহ আহম্মেদ রুবেলের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
আহতরা হলেন- অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী-শিশু ও লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী জুয়েল হোসেন।
এরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কমলনগরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক রামগতি থেকে ছেড়ে আসা মায়ের দোয়া নামে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সুমি মারা যান। এ সময় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকালে পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি গ্রামের বাইশমারা এলাকার আবদুল মজিদ খন্দকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গাছ ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন এবং অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন উভয়েই ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের ২ চালক নিহত
নিহত শাহাদাতের স্ত্রী রোকসানা ইয়াসমিন জানান, বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে তার স্বামী শাহাদাতের সঙ্গে দেবর মুরাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মুরাদ তার বড় ভাই শাহাদাতকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শাহাদাতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন আত্মগোপনে রয়েছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, ‘হাসপাতাল আনার আগেই শাহাদাত মারা গেছেন। তবে কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
মহাখালী রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আমেনা বেগমকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে তার ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি নিজেই তার মাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন রামগনক উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন রাগান্বিত হয়ে তার মা আমেনাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে কাপড় ও কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টার দিকে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা তাদের বাসার গ্লাস ভেঙে দেখতে পায় মেঝেতে আগুন জ্বলছে। পরে দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে সবাই মেঝেতে আমেনার লাশ দেখতে পায়। আগুনে আমেনার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিলনকে আটক করে। একইদিন ভুক্তভোগী আমেনার ভাই টিপু সুলতান বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য মিলনকে দুই থেকে তিনজন ডাক্তার দেখায় তার মা আমেনা। এ নিয়েই তিনি মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ফজরের আযানের আগ মুহূর্তে মিলন তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ কাপড় ও কম্বল মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
২০২২ সালের ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. অলিউল্লাহ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ নোয়াখালীর সিপিসি ক্যাম্পের ১১ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তার জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগমের মধ্যে বিয়ের শুরু থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিল।
জামাল ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। গত ১৫ এপ্রিল বিরোধের জের ধরে রওশনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
একপর্যায়ে তিনি তার এক বছরের মেয়েকেও ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশ দিয়ে মেরে ফেলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
হত্যাকাণ্ডের পর জামাল একটি পিকআপে লাশগুলো আলমারিতে ভরে নোয়াখালীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। একপর্যায়ে নোয়াখালীর রামগঞ্জের একটি খালে লাশগুলো ফেলে দেন।
১৯ এপ্রিল, পুলিশ রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পাশে খালের হনুবাইশ সেতুর নীচে এক বছরের এক কিশোরীর এবং পাশের আলিপুর এসপি বাড়ির সামনে সেতুর নীচে এক মহিলার গলিত লাশ দেখতে পায়। ওইদিন রাতেই রামগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন জামাল। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার হত্যার ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক যুবলীগ নেতা নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিহত একজনের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
আসামিদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম জিহাদি।
এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় গত ২৫ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৫) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহত নোমান জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে, অপর নিহত রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রফিক উল্যাহর ছেলে এবং বশিকপুর ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাতে মোটরসাইকেলযোগে পোদ্দারহাট থেকে নাগেরহাটে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দু’জন মাটিতে লুটে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ রাকিবকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান বলে জানান স্বজনরা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিহতদের পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর লালিত সন্ত্রাসী শরীফ কালু ও সবুজ তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে সড়ক বিভাগের আবাসিক এলাকা থেকে এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন মমতাজ। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বড় ছেলে মাস্টার রুলে কাজ করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করতো মমতাজ বেগম। রাতে তার বড় ছেলে বাপ্পি বাসায় ফিরে দেখে তার মায়ের কয়েক খণ্ড লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে ভেতরে এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
লক্ষ্মীপুরে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি চালকের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের পশ্চিম পাশে কাশিবাড়ির এলাকার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সিএনজি চালক মোহাম্মদ ইয়াছিন (৫০) লক্ষ্মীপুর সদরের হাজির পাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা কাজি বাড়ি মুজিবুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় হাজিরপাড়া বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে ইয়াসিন মান্দারী বাজারে আসছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে লক্ষ্মীপুর থেকে যাওয়া একটি বালুবাহী ট্রাক সামনের দিক থেকে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ইয়াসিন সড়কে ছিটকে পড়েন।
স্থানীয়রা ইয়াসিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম মৃত্যর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করা সম্ভব হয়নি।আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে কাজী সোলায়মান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
আহতদের মধ্যে রয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আবদুর রহিম ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন এবং ছাত্রলীগ কর্মী আকবর হোসেন।
আকবর চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমানের ভাই।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এ সময় হামলার নেতৃত্ব দেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
মাসুদ চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক কাজী সোলায়মানের অনুসারী বলে জানা গেছে। এছাড়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার এম মাহফুজ্জান আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পিস্তল ঠেকানো বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে শিশুকে হত্যা করলেন বাবা!
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কন্যা শিশুকে হত্যা করলেন বাবা। তবে স্থানীয়রা বলছেন যে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়কের হাজী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
শিশু রুবেনা রহিম মিঝির মেয়ে। তিনি চর কালকিনি ইউনিয়নের ওয়ার্ডের শাহাব উদ্দিন মিঝির ছেলে।
জানা গেছে, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাবা রহিম মিঝিকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আটক ১
স্থানীয় মো. রাশেদ বিল্লাহ জানান, রাত ৮টার দিকে ওই বাবা তার এক বছর বয়সী শিশুটিকে রাস্তায় এনে আছাড় দেয়। এতে শিশুর চিকৎকার স্থানীয়দের কানে গেলে অনেকে আশপাশ থেকে ছুটে আসলে বাবা দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ওঠে যায়। পরে লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাবাকে আটক করে নিয়ে আসে।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা রহিম মিঝিকে অপ্রকৃতস্থ বলে জানিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুসারে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্যদিকে সন্তান হত্যার দায়ে বাবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে