অভিযোগ
চট্টগ্রামে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি ভাড়া বাসায় ঢুকে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চান্দগাঁও থানা সানোয়ারা আবাসিক সংলগ্ন চান্দার বাপের বাড়ি দিদার কলোনি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম মুন্না নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাবা মার অনুপস্থিতিতে খালি বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আটক রাকিব কক্সবাজার সদর উপজেলার কক্সশাহীর টিকা পল্লী এলাকার মৃত ইউসুফের ছেলে এবং নিহত শিশু প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানায়, সকালে মেয়েকে বাসায় একা রেখে প্রতিদিনের মতো তারা কাজে চলে যায়। অভিযুক্ত রাকিব বাসায় প্রবেশ করে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মতলবে মামাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ ভাগ্নের বিরুদ্ধে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ছুরিকাঘাতে মামাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমাছুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী আহত
নিহত মামা মানিক একই গ্রামের পূর্বপাড়ার আরশাদ আলীর ছেলে। এদিকে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ভাগ্নে আরিফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাগ্নে আরিফ ছুরি দিয়ে মামা মানিকের বুকে আঘাত করেন। এরপর মানিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান।
এ সময় মানিককে উদ্ধার করে দ্রুত মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, রাতে থানায় নিহতের স্ত্রী কামরুন্নাহার সাথী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ঘাতক আরিফকে পুলিশ আটক করেছেন। থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে বাসচালকের সহকারী খুন
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী-শ্বশুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৪ শিক্ষার্থীকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর থেকে শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া ৪ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের ছাত্র। তবে তাদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল হাসান লিমন বলেন, বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হলের সামনের একটি মেসে (ছাত্রাবাস) অভিযান চালিয়ে তাদেরকে মাদক সেবনের প্রস্তুতির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পরে বৃহস্পতিবার শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওই ৪ জনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অভিভাবকদের জরুরি তলব এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক জবাব দিলে শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। ৪ জনের মধ্যে তিনজন নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
মাগুরায় দুই শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে আত্মহত্যা
মাগুরার শ্রীপুরে জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে নন্দিতা (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মিথিলা (১৩) নামের আরেক কিশোরী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নন্দিতার মৃত্যু হয়।
নিহত নন্দিতা (১০) উপজেলার আমতৈল গ্রামের গোপাল সরকারের মেয়ে। নন্দিতা আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
নন্দিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ির ভিতরে ৪ বোন আড্ডা দিচ্ছিল। আড্ডার এক পর্যায়ে নন্দিতা জানালার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যাকারী মিথিলা (১৩) উপজেলার আমতৈল গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের মেয়ে। সে সারাঙ্গদিয়া গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
মিথিলার চাচাতো ভাই স্বাধীন বিশ্বাস ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, মিথিলা সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে ঘরে যায়। মিথিলার মা ঘরের দরজা বন্ধ দেখে মিথিলাকে ডাকতে থাকে। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মিথিলাকে ঝুলতে দেখে। মিথিলাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে ডা. শাহনাজ পারভীন মিথিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, দু’টি পৃথক ঘটনার ব্যাপারেই থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
এসময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আসার পর বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মধ্যে যারা বিরোধী দলের সদস্য তাদের দেশের বাইরে যাওয়া ও আসা দুই সময়ই হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটা এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য যাওয়া সত্ত্বেও আমাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর বিষয়ে সাংবাদিকের মন্তব্য জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ ধরনের নোংরা বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
তিনি আরও বলেন, সরকার এমন একটি সমাজ তৈরি করেছে যেখানে নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নেই। এটা দুঃখের বিষয় যে আমাদের মত রাজনীতিবিদ যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের নোংরা বিষয় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর উত্তর দেওয়া আমার জন্য বিব্রতকর।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সম্ভব নয়: ফখরুল
ভারতের যশোদা হাসপাতালে 'ভুল চিকিৎসায়' নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ঘটনা তদন্তের দাবি জানিযেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফারহানা আক্তার ওরফে ডিনার পরিবারের সদস্যরা এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নিহতের স্বামী আমিন আল মামুন বলেন, তার স্ত্রী বাম কাঁধে ব্যথায় ভুগছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও পরিত্রাণ পাননি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ২০ জুলাই তাকে ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭০ হাজার রুপি মূল্যের বিভিন্ন ল্যাব টেস্ট করা হয়। অর্থোপেডিক ডাক্তার সুনীল দাচেপল্লী তাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রীর জয়েন্টের হাড় বেড়ে গেছে এবং তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
আমিন আল মামুন বলেন, ‘আমি তখন ডাক্তারকে বললাম, আমার স্ত্রীর অ্যানেস্থেসিয়ায় অ্যালার্জি আছে। ওষুধে অ্যালার্জির কারণে সে দু'বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেসময় আমার স্ত্রী যেসব ওষুধ খেয়েছিলেন ডাক্তার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ভুল চিকিৎসায়' কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ৩
তিনি আরও বলেন, ‘২৮ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আধা ঘন্টা পরে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমার স্ত্রীর অ্যানেস্থেসিয়ায় অ্যালার্জি আছে কি না। আমি তখন তাদের বলি যে আমি এই বিষয়ে তাদের (ডাক্তারদের) বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছি।’
ফারহানা আক্তারের স্বামী বলেন, হাসপাতালের ডা. সুনীল ও ডা. এস প্রশান্ত রেড্ডি তখন বলেন যে তারা তাকে ওষুধ প্রয়োগ করার পর তার শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলে সেখানে ১ আগস্ট ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি ভুল চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক ও অন্যান্যদের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওই দম্পতির ২ মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বেনাপোলে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের বেনাপোলে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেশমা খাতুনের (৩০) স্বামী আব্দুস সালাম (৩৫) পেশায় ভ্যানচালক। তাদের তামিম নামে এক ছেলে ও তামান্না নামে এক মেয়ে রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে আব্দুস সালাম পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেশমা সালামের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেইে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে রেশমা তার সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে সালাম বাড়িতে এসে তার সন্তানেদের অন্য ঘরে রেখে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি সালাম তার স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতো। আজ রাতে ুঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোরে পাঠানো হয়েছে। পলাতক সালামকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
পাবনায় গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, নিহত ১
পাবনার ঈশ্বরদীতে গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোরে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া পূর্ব পাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত বাবু (৪৫) জেলার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গণপিটুনিতে আহত হাজতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মুলাডালী ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের একটি গোয়ালঘর থেকে গরু খামারি ইদ্রিস আলী চিৎকার করে বলেন, কেউ তার গরু নিয়ে যাচ্ছে। এ কথা শুনে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাবুকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশটি তাদের হেফাজতে রয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
সিলেটে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
মাদারীপুর সদর উপজেলায় মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবার নাম জলিল বয়রা (৬০) ও তার ছেলের নাম ইউসুফ (২৬)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ দীর্ঘদিন থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সোমবার সকালে হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে ইউসুফ তার বাবাকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাওলিন আফরোজ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, মিয়ারচর পুকুরপাড় স্কুলের পাশে জলিল বয়রাকে তার মাদকাসক্ত ছেলে ইউসুফ কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে মাদাদরীপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ছেলের হাতে বাবা খুনের খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার