ফেসবুক
বিলাইছড়িতে গুলিতে ৩ গ্রামবাসী নিহত, ফেসবুকে কেএনএফ এর দায় স্বীকার
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা পাড়ায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন গ্রামবাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় অন্য চারজন পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নে সাইজাম নতুন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা এবং ধনরা ত্রিপুরা। এদের মধ্যে সুভাষ এবং ধনরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আতুমং মারমা।
এদিকে ‘কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামের সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
হতাহতের ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ইউনিয়নের সভাপতি আতুমং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই দাবি করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়েইবার ত্রিপুরা।
তবে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আতুমং মারমার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ‘কুকিচীন পার্টি’ নামের একটি নতুন সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও বুধবার (২২ জুন) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থলে যাননি।’ ঠিক কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিনদিন, পার্শ্ববর্তী বান্দরবান রুমা উপজেলা থেকে যেতেও দুদিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনও নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।
নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের রাজনীতিবিদ ও বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় নড়াইল সদরের মির্জাপুর আদর্শ কলেজের অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে। রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, মির্জাপুর আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় গত তিন দিন আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে মন্তব্য করেন, “প্রনাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রী রাম”।
শনিবার সকালে রাহুল কলেজে আসার পর তার বন্ধুরা এ পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে তা করেনি। তখন ছাত্ররা বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কাছে নালিশ জানায়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের ডেকে এনে রাহুলকে স্থানীয় বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েক’শ ছাত্র ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে কলেজ ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকাল ৪টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-জনতা কলেজের গ্যারেজে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় একজন কলেজ শিক্ষকসহ ১০ জন ছাত্র-জনতা ও ২ পুলিশ সামান্য আহত হয়। পরে পুলিশ সুপার এবং ডিসি আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় অভিযুক্ত রাহুলকে পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে তীব্র নিন্দা
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পরদিন রবিবার বেলা ১১টার দিকে মির্জাপুর কলেজের হলরুমে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি স্থানীয়দের সঙ্গে এক বৈঠকে দোষীর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজ বন্ধ এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য এক শিক্ষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, মির্জাপুর কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী, নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আক্তার হোসেন টিংকু, সদর থানার ওসি শওকত কবির, স্থানীয় বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত ফকির প্রমুখ।
সদর থানার ওসি শওকত কবীর জানান, এ ঘটনায় এলাকায় শান্তি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। মামলা লেখার কাজ চলছে।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: সারাদেশে বিক্ষোভ-মিছিল
সুনামগঞ্জে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে নসরুল হামিদের সতর্কবার্তা
ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড সাবস্টেশন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সুনামগঞ্জ জেলা ও এর আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
কুমারগাঁও গ্রিড সাবস্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডও প্লাবিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
ছাতকে বন্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, এর ওপর অনেকটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: জয়
পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, এর ওপর অনেকটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই মেগা প্রজেক্টের ওপর একটি ভিডিও শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি এখন বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রতিটি বাঙালির, আপনার-আমার-আমাদের সবার।’
জয় লিখেছেন, ‘এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। পদ্মাসেতু যেমন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে, তেমনি কমপক্ষে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। ফলে লাভবান হবে পুরো দেশের মানুষ। প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে এই সেতুর প্রভাব অনেক।’
আরও পড়ুন: ৪১৫ ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত পদ্মা সেতু
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে নান্দনিক একটি সেতু- পদ্মা সেতু। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আপনার-আমার-আমাদের নিজেদের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এই সেতুটি।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার কোনো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যে নিজেদের উদ্যোগে এরকম দৃষ্টিনন্দন ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে, তা এক সময় ভাবতেও পারতো না বিশ্ব। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় এবং বাঙালি জাতির অদম্য প্রচেষ্টায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে স্যালুট দিচ্ছে সবাই। ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মাসেতু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমার টাকায় আমার সেতু, দেশের জন্য পদ্মা সেতু’।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
মৌসুমীর বক্তব্যের পর লাইভে ওমর সানি
চিত্রনায়ক ওমর সানি ও জায়েদ খানের দ্বন্দ্ব নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে। গতকাল (১২ জুন) জায়েদের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতিতে ওমর সানির লিখিত অভিযোগের পর আজ (১৩ জুন) গণমাধ্যমে তা অস্বীকার করেন মৌসুমী। যাকে নিয়েই এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।মৌসুমী জানান, জায়েদের বিরুদ্ধে আনা ওমর সানির সকল অভিযোগ মিথ্যা। এরপর থেকেই গত দুইদিন ধরে চলমান আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। সন্দেহের তীর এবার ওমর সানির দিকে।গণমাধ্যমে মৌসুমীর দেয়া ব্ক্তব্যের পর ওমর সানি এবার ফেসবুক লাইভে আসেন। তিনি বলেন, 'আমার ৩২ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে আজ পর্যন্ত কেউ আঙুল তুলে কথা বলতে পারবে না। বিশেষ করে আমার স্ত্রীকে (মৌসুমী) আমি বিয়ে করেছি ২৭ বছর। আমার দুটি ছেলে-মেয়ে আছে। আমি গতকাল জায়েদ খানের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে একটি অভিযোগ করেছি। সেই অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনো অটল।'
আরও পড়ুন: জায়েদের পক্ষে বললেন মৌসুমীওমর সানি আরও বলেন, 'মৌসুমী কী ভেবে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে আমি জানি না। এই ঘটনাটি সামনে আমার অভিভাবক হিসেবে আমার ছেলে ফারদিন সবাইকে পরিষ্কার করবে। আমি চাইনা সংসার জীবনের এই ২৭ বছরে এসে পরিবারের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবোঝি হোক। কিন্তু একজন বাইরের মানুষ এসে আমাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। আপনারা নিজেরাই জানেন সে মানুষটি কে। আপনার দয়া করে মৌসুমীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। আপনারা সবাই জানেন জায়েদ খান কী।'এর আগে গণমাধ্যমে মৌসুমী বলেন, ‘আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি ও আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটি খুবই ভালো একটা সম্পর্ক। সেখানে ও আমাকে অসম্মান করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আর ওর মধ্যে গুণ ছাড়া এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে এমন কিছুই আমি দেখিনি। তারপর বলব ও অনেক ভালো ছেলে। সে কখনই আমাকে অসম্মান করেনি।’
আরও পড়ুন: জায়েদ খানের বিরুদ্ধে জিডি করবেন ওমর সানি
ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
জায়েদ খানের বিরুদ্ধে জিডি করবেন ওমর সানি
জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ শেষে এবার জিডি করবেন বলে জানিয়েছেন ওমর সানি।জানা যায় অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানি। তার স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য এমনটা ঘটে। তবে গণমাধ্যমে বিষয়টি অস্বীকার করেছন ডিপজল ও জায়েদ খান। কিন্তু এ নিয়ে চুপ বসে নেই ওমর সানি।ডিপজল ও জায়েদ ঘটনা অস্বীকার করলেও ওমর সানি নিজেই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন ঘটনাটি সত্য। এমনকি তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করবেন বলে জানান। তবে এর আগে শিল্পী সমিতিতে আজ হাজির হন ওমর সানি। সেখানে জায়েদ খানের নামে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানেরওমর সানি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রি আমার দীর্ঘদিনের পরিবার। যেকোনো সংকটে বড়রা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আজও আমি তাদের প্রতি আস্থা রেখেই শিল্পী সমিতির দ্বারস্থ হয়েছি। পরবর্তীতে সবাইকে নিয়ে আমি অন্যান্য পদক্ষেপ নেব।’শিল্পী সমিতিতে অভিযোগের পরে ওমর সানি আরও জানান, ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়ে তিনি থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করবেন। ওমর সানি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেছেন, ‘আমি ততক্ষণ নীরব থাকি, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার আত্মসম্মানে আঘাত না লাগে।’ওমর সানি জায়েদ খান প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘জায়েদ খানের বেয়াদবি অনেকদিন ধরেই বেড়ে যাছিল। এরপর আবার মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এসব কারণে তাকে চড় মেরেছি। এরপর আমাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। ইন্ডাস্ট্রিতে জায়েদের সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমিই প্রতিবাদ শুরু করলাম।’
আরও পড়ুন: প্রচারণার জন্য টক শো সাজিয়ে মারামারি
ফেসবুকে লাইভ করতে গিয়ে প্রাণ গেল অলিউরের
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী অলিউর রহমান। ফেসবুক লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন অলিউর রহমান।এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউর রহমানের। সেই লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। কিন্তু মুহূর্তে সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় বিস্ফোণের চিত্র।আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অসংখ্য লাশের স্তুপ থেকে সহকর্মীরা শনাক্ত করে অলিউরকে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল।রুয়েল জানান, অলিউর ফেসবুকে লাইভ করতে করতেই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়বিএম কন্টেইনার ডিপোর শ্রমিক রুয়েল বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন রাতের খাবারের সময় ছিল। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি আমরা। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যান।’তিনি আরও বলেন, ‘অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা মেডিকেলে যাচ্ছেন।’এদিকে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।জানা গেছে, নিহত অলিউরের বাড়ী সিলেট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
যে কারণে ফণিভূষণের বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
৬৭ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের শেষ ছিলনা। ফেসবুকে ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ফণিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক।
গত বছর করোনায় তাঁর স্ত্রী আলো রানী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আবদার রাখতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন, এমনটাই জানান, ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
কনে শিউলি রানী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। কনের বয়স ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয় স্বজনরা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে আসলে নব বধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত আবাল বৃদ্ধ বণিতা ভিড় জমাচ্ছেন আজও।
এদিকে বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
তাঁর এক নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুরমা’র মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একা হয়ে পড়ি, ঘর ফাঁকা ফাঁকা। মা ও বাবা চিকিৎসক হওয়ায় তারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা ফার্মেসি নিয়ে বাজারে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহা খুশি।
আরও পড়ুন: ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
এসআই স্বামী-এএসপি স্ত্রীর ছবি ভাইরাল
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনন্ত-বর্ষা
বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। যার ৭৫তম আসর বসবে ১৭ মে (মঙ্গলবার)। প্রতিবারের আয়োজনেই বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের তারকা বা সিনেমার অংশগ্রহণ থাকে এই আসরে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এই চলচ্চিত্র উৎসবে থাকবেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের খবর অনন্ত জলিল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে জানান।
তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘আমরা কান উৎসবে যাচ্ছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। সেখানে আমরা ‘দিন- দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী -দ্যা লিডার’ সিনেমার ট্রেলার প্রদর্শন করব। এছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রযোজক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। আমাদের ‘দিন -দ্য ডে’ সিনেমা কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে।’
ভিডিওতে বর্ষা বলেন, ‘এবারের কান উৎসবে আমরা দুজনই যাচ্ছি। ‘দিন- দ্য ডে’ নিয়ে আমাদের অনেক আশা। অনেককিছু করতে চাই সিনেমাটি নিয়ে। সবাই দোয়া করবেন।’
কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসর চলবে ২৮ মে পর্যন্ত। এবারের আসরের উদ্বোধনী সিনেমা মিশেল আজানাভিসুস পরিচালিত ‘ফাইনাল কাট’।
আরও পড়ুন: ‘শান’ দেখতে তারার মেলা
শুরুতে ভয় লাগছিল, এখন আনন্দ হচ্ছে: পূজা চেরি
ঈদে জার্মান জামাই প্যাট্রিককে পেয়ে মুগ্ধ লালমনিরহাটবাসী
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সুদূর জার্মানি থেকে লালমনিরহাটে ছুটে এসেছেন জার্মান-বাংলাদেশি দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে পেরে দারুণ খুশি ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় এই দম্পতি।
জানা গেছে, জার্মানি নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলার ও বাংলাদেশের মৌসুমি আক্তার ইভার দাম্পত্য জীবনের শুরুটা সিনেমার গল্পের মতই। ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে যান ইভা। সেখানে গিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। ওই সময় রেস্টুরেন্টে আসা যাওয়া ছিল অর্থনীতিতে পিএইচডি করা ড. প্যাট্রিক মুলার নামে জার্মানির নাগরিকের। এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এভাবেই ভালোলাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসাতে রূপ নেয়। ছয় মাস প্রেমের পর ইভার পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন জার্মান-বাংলাদেশি দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্রসন্তান ইউহান। প্যাট্রিক বর্তমানে বার্লিনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী