তথ্যমন্ত্রী
পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
আগুনসন্ত্রাস রোধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড় তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার তাদেরই গ্রেপ্তার করছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, হুমুকদাতা-অর্থদাতা-নির্দেশদাতা আয়োজনকারী। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত পোড়ায়নি, এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল, আজকে এদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসীরা আসলে রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। তার বাড়িতে হামলার অর্থ বিচার বিভাগের ওপর হামলা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। এখানে কেন হামলা চালাল এটি আমার বোধগম্য নয়।’
হাছান বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্ররা পরামর্শ দিতে পারে কিন্তু এমন পরামর্শ না যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো।
বিএনপির সঙ্গে বিদেশিদের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই পালিয়ে যায় তাদের কেউ আর বাতাস দেবে না।’
আরও পড়ুন: শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরাইলি বাহিনী যখন পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, শিশু হত্যা করছে, গতকালও ৬০০ জনকে হত্যা করেছে, এর বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদ হচ্ছে। শুধু বিএনপি-জামাত একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের কথোপকথনে ফখরুল সাহেব বলছেন, ‘গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে তাতে কিছু বলার দরকার।’ আর তারেক রহমান পরামর্শ দিচ্ছে ‘গাজা অনেক দূরে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে আছি, এটা নিয়ে বলার দরকার নেই, কারণ কেউ নাখোশ হবে।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের সেতু এবং মেগাপ্রকল্পগুলোসহ অবকাঠামোগত যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে যারা মাঠে কাজ করেন তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় দফা সরকার গঠনের পর আজ পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পাশে থেকেছে। দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি পোড়ায়, মানুষের উপর আক্রমণ করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদেরকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। তাই শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে।
ড. হাছান বলেন, গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে, তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর মায়াকান্না করে, তাদের কাছে প্রশ্ন হলো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি হতে পারে!
তিনি আরও বলেন, গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করল; পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালাল; ১৯টি অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো; শতাধিক পুলিশ আহত হরো; সাংবাদিকদের উপর হামলা করল এবং ৩২ জন সাংবাদিক আহত হলো। এগুলো যারা করে তারা তো জঘন্য সন্ত্রাসী। হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিগেড ৭১’কে অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণকে আরও সচেতন করে তুলুন।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সারাদেশে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে, এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই। অথচ আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছিল।
তিনি জানান, আমার শরীরে এখনও ৪০-৪২টি স্প্রিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্রিন্টার, কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছে। বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিল, কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এখনও তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাক-র্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অবস্থান বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি বলেছে, তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ যে স্বপ্ন দেখছে, সেটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে করা হচ্ছে। যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে টেলিফোন করে বিএনপি নেতারা, বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলছেন আগুন সন্ত্রাস চালাতে। সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।
তিনি বলেন, তারা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে। এটি কোনো রাজনীতি না, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না। যারা এ কাজ করছেন, এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কেবল সরকার না, জনগণও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে তাতে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা এতদিন সবকিছু করেছেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও পুলিশ হত্যা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কয়েক লাখ নেতা-কর্মী দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন। একজনও তাদের সমাবেশের দিকে যাননি।
বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য আর কাউকে লাগবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
পরিবেশ ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী জানান, পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়েছে, এ বছর আরও বাড়বে। একই সঙ্গে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা যেটি দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বন্যা হতো না সেখানেও বন্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতি আমাদের সচেতনতা যে পর্যায়ে থাকার কথা ছিল সেটি হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। সেটি যদি হতো তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধতো না, যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ হতো না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের রাজনীতি অস্ত্রবাজদের খপ্পরে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতি যারা অস্ত্রের ব্যবসায়ী তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই অস্ত্র ব্যবসায়ীদের অস্ত্র বিক্রি করার স্বার্থে কিছু-কিছু দেশের, বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ লাগাতে হয়, যাতে অস্ত্র বিক্রি হয়।
এ সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশ এবং জনসচেতনতা তৈরির জন্য আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে জানানোর ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সে কারণে এ ফোরামের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং ফোরাম সে লক্ষ্য সেই নিয়ে কাজ করছে, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামিক স্টেট ও তালেবানের কায়দায় বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সামসময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে কর্মসূচি ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলন করা হতো। এখন দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণার সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির ঘোষণার কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন থাকে, তারা যেরকম কর্মসূচি ঘোষণা করে, সেই আদলে অর্থাৎ তালেবানি কায়দায় কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন তারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করত কিংবা ইসলামিক স্টেট যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঠিক একই কায়দায় অনলাইনে তারা এখন কর্মসূচি ঘোষণা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের কর্মসূচি বলতে কার্যত অবরোধের নামে গাড়িঘোড়া, মানুষের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ করা। আমরা বহু বছর বিরোধী দলে ছিলাম, কলেজে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, ১৬ বছর বয়স থেকে। আমরা পিকেটিং করতাম, রাস্তায় বড়োজোর রিকশার পাম্প ছেড়ে দিতাম, মানুষকে বোঝাতাম, মিছিল করতাম—এর বেশি কিছু না। তাও পুলিশের লাঠিপেটা খেতাম।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেন, কিন্তু বিএনপি সেটা করছে না। ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে যেমন হাসপাতাল, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স রেহাই পাচ্ছে না, বিএনপির হাত থেকে কোনো কিছু রেহাই পাচ্ছে না। শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেমন ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী দলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে আইনে আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। তারা ভেবেছে, একের পর এক অবরোধ ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করবে।
তিনি বলেন, তারা দেখতে পাবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, সরকারের কিছু করতে হবে না। আমরা জনগণের সঙ্গে থাকব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে বসে গুজব রটনানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা নানা ধরনের গুজবও রটাচ্ছে। দেশ ও বিদেশ থেকে। যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ ভেবেছে, বিদেশে বসে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে, যেখান থেকে বসে গুজব রটানো হচ্ছে, আমরা সেই দেশে বসে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিদেশ থেকে যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটি আছে। এরআগেও বাংলাদেশি অভিবাসীরা গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের অনেককে আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা হবে। পাশাপাশি আমাদের মিশনও সেখানকার সরকারকে বিষয়টি জানাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পর্দার আড়াল থেকে যারা অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে,তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতারা এখন ‘জনগণের শত্রুতে’ পরিণত হয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা যানবাহনে আগুন দিয়েছে এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ২৮ অক্টোবর ফাইনাল হবে, কিন্তু ম্যাচের আগেই তারা মাঠ ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ একটি গুলিও ছোড়েনি। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের কারণে মির্জা ফখরুলসহ সবাই মঞ্চ ছেড়ে চলে যান এবং নেতাকর্মীরাও তা অনুসরণ করেন। অর্থাৎ খেলা শুরুর আগেই মাঠ ছেড়েছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
একইসঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চলছে এবং গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা শহরে বিএনপির সমাবেশের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। কার্যত রাষ্ট্রের উপর হামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, হাসপাতালে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা আগে কখনো ঘটেনি। রাষ্ট্রের উপর এই হামলাকারীরা চিহ্নিত, তারা বিএনপি জামাতের নেতা-কর্মী। এটাকে নিছক রাজনীতি বলে এর দায় আমরা এড়াতে পারব না, ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান বলেন, ‘বিএনপির হামলায় ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছে এবং তাদের ওপর হামলার ভয়াবহতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা কি রকম ছিল সেটি সারাদেশের জনগণ জানে না। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এর ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার যে এতজন সাংবাদিক এই ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে এটা হারিয়ে গেছে। সে কারণে এই রিপোটিংটা ধারাবাহিকভাবে হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি যে, কথায় কথায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়, এখন তাদের কোনো বিবৃতি দেখি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার- তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন। সেই চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার।’
হাছান এ সময় বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছে, যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়, সংশ্লিষ্ট হাউজ থেকে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি কোনো হাউজ যদি চায়, আহত সাংবাদিকদের তালিকা দিলে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্য সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর মতো পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানোর পর অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ১৯টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
হামলার সময় ডেমরায় ঘুমন্ত বাসের হেলপারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা করেন তিনি।
সভায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মোহম্মদ আলীসহ অন্যান্য দৈনিকের সম্পাদকেরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর বিরুদ্ধে তাদের লেখনি অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিক, পুলিশ, সাধারণ মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।'
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির ডাকা অবরোধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ও জামায়াত সমগ্র বাংলাদেশে অবরোধ যখন ডেকেছে তখন আমরা এই আশঙ্কাই করেছিলাম যে ঢাকা শহরে তারা ২৮ তারিখ যে নৈরাজ্য তাণ্ডব চালিয়েছে, সেটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে অবরোধ ডেকেছে। তাদের আগুন সন্ত্রাসীদের তারা মাঠে নামিয়েছে। তাদের এই আগুনসন্ত্রাস থেকে স্কুলগামী বাস, বরযাত্রীবাহী বাস, এম্বুলেন্স, সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি, সাধারণ মানুষের গাড়ি কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না।'
হাছান বলেন, 'বিএনপির এরা আসলে রাজনৈতিক দল নয়, এরা সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী। দেশের মানুষকে অনুরোধ জানাব এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার জন্য। আমরা সরকার এই দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। একটু অপেক্ষা করুন, সমস্ত দুস্কৃতিকারীকে আইনের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।'
এ সময় বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক ক্যাম্পেইনার ইয়াসামিন কাভিরত্নের বিবৃতিকে একপেশে বলে নাকচ করে দেন ড. হাছান মাহমুদ।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি সমাবেশের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ সদস্য মারা গেছে এবং শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। ২৫-৩০ জন আনসার আহত হয়েছে, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মারা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কই তাদের বিবৃতিতে একটি শব্দও তো হতাহতদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নাই।'
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এবং আর কারা কারা যে বিবৃতি দেয়, যারা বিবৃতি নিয়ে ব্যবসা করে এবং বিবৃতি বিক্রি করে, তাদেরকে তো এ নিয়ে বিবৃতি দিতে দেখছি না।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, কিন্তু ইসরাইল যখন গাজায় হাজার হাজার শিশু ও নারী হত্যা করে তখন নিশ্চুপ থাকে, সেটি আর মানবাধিকার সংগঠনে নাই একপেশে রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তারা কি বলল, না বলল এতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা আজকে যে বিবৃতি দিয়েছে সেটিও একপেশে বিবৃতি।'
এর আগে বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে পোমরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়ি অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, যারা হাসপাতালে হামলা, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো, পুলিশ হত্যা করে, তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাই বিএনপি এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খণ্ড’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাজনৈতিক সংলাপ বিষয়ে প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনা হবে অবশ্যই আওয়ামী লীগ যে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে পারে রাজনৈতিক দল হিসেবে। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা দেশের সংবিধান মানে, আইন ব্যবস্থাকে মানে, বিচার ব্যবস্থাকে মানে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি সারাদেশে হরতাল ডেকে সেই হরতালকে সফল করার জন্যে সেই আগের পুরোনো ঘৃণ্য আগুন সন্ত্রাসের তাণ্ডবে ফিরে গেছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৩-১৪-১৫ সালে কীভাবে গাড়ি চালকদের হত্যা করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৮ অক্টোবর সারাদেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলাম। ঢাকা শহরে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে আমাদের, সবাই আমাদের নেতা-কর্মী।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নারীকর্মী থেকে শুরু করে অনেককে মারধর করেছে, নারীদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাটে আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ করছিল, সেখানে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে তারা হত্যা করেছে। আবার ঢাকায় মোহাম্মদপুর বাসে আগুন দিতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির কর্মী একটি বিল্ডিংয়ে উঠে সেখান থেকে লাফ দিতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ একজন দুষ্কৃতিকারী মারা গেছে, আর বিএনপির ভাষায় ‘শহীদ’ হয়েছে। এই হচ্ছে বিএনপি।
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির তিন দিনের অবরোধ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা স্পষ্টত এই নৈরাজ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তিন দিনের অবরোধ ডেকেছে। তাদের উদ্দেশ্য অবরোধ করা নয়, তারা জানে তাদের পক্ষে দেশে অবরোধ কার্যকর করা সম্ভবপর নয়। কিন্তু চোরাগোপ্তা হামলা, নৈরাজ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তারা অবরোধ ডেকেছে।
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ‘ভার্চুয়ালি’ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতারা কত ভীতু। ২৮ তারিখ কর্মীরা যাওয়ার আগে নেতারা পালিয়ে গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার নিন্দা জানানো প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এই নিন্দা সহিংসতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভিসা নীতি নিয়েও ভাববে।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব তাদের (অগ্নিসংযোগ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত) বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) গ্রহণ করবে, আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং বিদেশি চিকিৎসকরা ফিরে গেছেন এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল যে, খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি, তাকে রক্ষা করা যাবে না। আমেরিকান চিকিৎসকরা এসে এখন বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি আগের তুলনায় ভালো আছেন। এ জন্য আমিও স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং প্রার্থনা করি তিনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন চিকিৎসকদের আসার ব্যবস্থা সরকারই করে দিয়েছে। বিএনপির বক্তব্যে প্রমাণিত হয় তারা খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গুটি বানিয়েছে এবং তার স্বাস্থ্যকে নিয়ে রাজনীতিটাই করে, মিথ্যাচার করে, আসলে স্বাস্থ্য ভালো করার চেষ্টাটা করে না।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শনিবার তারা এক ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে সেই ব্যক্তি ইসরায়েলের একজন এজেন্ট।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হঠাৎ নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতা ইশরাক হোসেনসহ কয়েকজন। সেখানে একজন বিদেশি নাগরিকও বক্তব্য রাখেন। মিয়ান আরাফি নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার তারা একজন ব্যক্তিকে ধরে এনে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে তাকে দিয়ে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে দিয়েছে, কথা বলেছেন। পাশে আবার তাদের বড় বড় নেতারা বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিনি সরকারের কেউ নন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু এখানে স্পষ্টতো বিএনপি একটি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সূত্র বলছে- আমাদের কাছে যে খবর আছে সেই ব্যক্তি হচ্ছেন ইসরাইলের একজন এজেন্ট। এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে। ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কিছু বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য ইসরায়েল বিএনপির ওপর সন্তুষ্ট। তো অনেকে বলছে একজন ইসরায়েলি এজেন্টকে তারা পাঠিয়েছে, যাকে নিয়ে কালকে তারা সভা করেছে, এটি বিভিন্ন সূত্র বলছে।
গতকালের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভিসানীতিটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবার ভিসানীতি আরোপ হতে পারে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সহিংসতার নিন্দা তো সবাই জানাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আশা করব যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, আমরা সেটা বিশ্বাস করি।
একটি দল সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, শনিবার বিএনপি-জামায়াত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাই। কোনো দলের পক্ষ হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে যাননি। তারা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তার মানে এটি গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এগুলোর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিচার হবে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশর ডাক দিয়েছিল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে তারা সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের প্রধান। তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে হাজার হাজার মিছিল সেই বাসভবনের সামনে দিয়ে গেছে সরকারি দল, বিরোধী দল। কাকরাইলার মোড়ে অনেক সময় অনেক গণ্ডগোল হয়েছে, কিন্তু কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ের দরজায়, প্রধান বিচারপতির খাস খামারার দরজায় লাথি মেরেছে। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠানকে তোয়াক্কা করে না। সেটি প্রমাণ হচ্ছে গতকালের ঘটনা। সবচেয়ে নেককারজনক হচ্ছে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অ্যাম্বুলেন্সসহ।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখানে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়। একশোর বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুজনের অবস্থা গুরুতর এবং আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও গেছি। সেখানে বহু পুলিশ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় তারা আঘাত করেছে, যাতে মৃত্যু হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা সেই জায়গা দেখেননি, আমি লাশ দেখেছি। পেছনে কোপ দিয়ে নামিয়ে ফেলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী দলের কাজ। বিএনপির জামায়াত যে আবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের অবস্থায় ফিরে এসেছে শনিবার আপনারা দেখেছেন।
তিনি বলেন, যারা করেছে শুধু তাদের নয়, এটির দায় এটির নির্দেশ দাতাদের। কারণ তারা এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। তারা বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবারের সংঘর্ষে শামীম মিয়া নামের যে যুবদল নেতা মারা গেছে বলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বলেছেন, তাদের রাজনীতি তো মিথ্যাচারের উপর। তার পরিবার বলছে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
হাসপাতাল বলছে- তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ কী রকম মিথ্যাচার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার দায় এড়ানোর জন্য একজন সাধারণ মানুষ তাদের এই অপকর্মের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে, সেটিকে যুবদল বলে পরিচয় দিচ্ছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশ, জনগণ, সরকার বরদাশত করতে পারে না এবং আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না। যারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, জনগণের স্বস্তি স্থাপন করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণই প্রমাণ করে বিশ্ব নেতারা তার সঙ্গে আছেন।’
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সম্মেলনের বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি প্রকাশ্যে সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে: কাদের
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন-অগ্রগতি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার নেতারা প্রতিটি বৈঠক ও সভায় সেটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গ্লোবাল গেটওয়ে সম্মেলনের প্ল্যানারি সেশনের ‘ফোকাস’ বা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও বারবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই ছুটে গেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু তাই নয়, প্ল্যানারি সেশনে যত বক্তৃতা হয়েছে সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী ও বিষয়ধর্মী বক্তৃতাটি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে যখন মাত্র দু’মাস সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এই সময়ে তাকে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং বিশ্বনেতারা যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন সেই সাক্ষ্যই বহন করে।’
উল্লেখ্য, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশন আয়োজিত ২৫-২৬ অক্টোবরের গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সারা বিশ্ব থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ও নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদরা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী
নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ করতে হবে: রিজভী