তাজুল ইসলাম
ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।
তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
তাজুল ইসলাম এ সময় ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাজধানী ঢাকাতে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে এগুলোর নাব্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলোর সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: ১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় এবং সরকার বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৪০০-৩৬০০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২১৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট সিটি করপোরেশনে ৩৭৫ মেট্রিক টন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৫০০ মেট্রিক টন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১ হাজার মেট্রিক টন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩৫০ মেট্রিক টন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১২০ মেট্রিক টন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১০০০ মেট্রিক টন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১০ মেট্রিক টন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪০০০ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
মন্ত্রী বলেন, মোট বর্জ্যের প্রায় ৩৯ শতাংশ আসে ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন: দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের অর্থায়নে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি চারটি কোম্পানির প্রস্তাবনা নির্বাচন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে।’
এছাড়া মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেডিকেল ইনসিনারেশন স্থাপনের জন্য 'ওয়েস্ট কনসার্ন'-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক কাজ বন্ধ হয়ে গেছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদাররা সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদারের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-প্রতিষ্ঠানসহ অনেক নির্মাণকাজ অর্ধেক শেষ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এখন অবস্থা এমন, কাজ শুরু না হলে ভালো হতো। কাজ বন্ধ থাকায় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার অনুরোধ করেও কাজ করা হচ্ছে না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির জন্য সংসদ সদস্যরা অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগে যে রড প্রতি মেট্রিক টন ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন প্রতি মেট্রিক টন রড এক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যে সিমেন্ট প্রতি বস্তা ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হতো তা হয়ে গেছে ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব কাজে ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছেন, সবগুলোতেই দাম বাড়ার কারণে ঠিকাদাররা কাজে অনীহা প্রকাশ করেছেন।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসব সামগ্রীর দাম বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যে ঠিকাদাররা আগে কাজ করেছিলেন তারা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ায় তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ আমাদের যে কাজগুলো করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র জারি করা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’
এই প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকাসহ অনেক এলাকায় ঠিকাদাররা কাজ পেলেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাদের সব কাজ বাতিল করে তা বাস্তবায়নের জন্য নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা হাতের নাগালে পায় সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
পরিবর্তীত বাংলাদেশে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উত্তরোত্তর পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে।
এ সময় নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে ঢাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিএনপি শাসনামলের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হত মাত্র ১১০০ মেগাওয়াট। মানুষ তখন লোডশেডিং এর জ্বালায় অস্থির হয়ে বলতো বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে।
তিনি আরও বলেন, দেশের শিল্প উৎপাদন কৃষি উৎপাদন প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। কৃষক বিদ্যুৎ ও সারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোন কৃষক বিদ্যুৎ বা সারের দাবিতে আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়েনি।
আজকের বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ যা এক সময় কল্পনাও করা যেত না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক আয়তনে ছোট্ট ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সতের কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন ও খাবারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়লে আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের এখানে কোনো খাদ্য সংকট তৈরি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ভালো উদ্যোগ নস্যাৎ করার উদাহরণ টেনে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষ যাতে চিকিৎসা সেবার আওতায় আসতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। অথচ বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
সংকীর্ণ দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে বিএনপি কখনো যেতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অথচ কমিউনিটি ক্লিনিক আজ শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে জাতিসংঘ দ্বারা স্বীকৃত এবং সারা বিশ্বে প্রশংসিত একটি উদ্যোগ।
মন্ত্রী এ সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের অনেকের চিন্তাভাবনায় নেতিবাচকতা রয়েছে। এই নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচকতায় আসতে হলে মনোজাগতিক একটি পরিবর্তন দরকার।
মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন একদিনে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। সমাজ ব্যবস্থা মানুষের চিন্তা-ভাবনার জগতে প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নেতিবাচকতার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃশ্যমান শত শত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখেও অনেকে তা অস্বীকার করে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল এর মত বড় প্রকল্পের কথা না হয় বাদই দিলাম, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এবং পানির সুবিধা নিশ্চিত করার কৃতিত্বটুকুও অনেকে সরকারকে দিতে চায় না।
ভালো কাজে উৎসাহ ও উদ্দীপনার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাহলে মানুষ আরও বেশি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রক্ষায় জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক বিষয় হচ্ছে জাতির পিতার খুনিদের আইন করে অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেরকম সারাজীবন সংগ্রাম করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নানা রকমের চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বিএনপি জামাতের বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সুশাসন ও সুবিচারের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার কাজ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনকল্যাণে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্নফুলি পানি শোধনাগার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এক সময় চট্টগ্রামে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পানি সরবরাহ নিয়ে ওয়াসার অবস্থা ছিল নাজুক। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রামে এখন পানির সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার চট্টগ্রামে পানি সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। রাস্তায় রাস্তায় পানির জন্য কলসি মিছিল করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। আর এখন পানির জন্য চট্টগ্রামে হাহাকার নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি। এর ফাঁক দিয়ে অজগর সাপ ঢুকে সব খেয়ে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। সারা পৃথিবীতে কেউ এতে সম্মতি দেয় না।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কুমিল্লার টাউন হল মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) চান যে, একটা দুর্যোগপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। আপনারা ক্ষমতা চান, দেশের উন্নয়নের জন্য?
কিন্তু দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে কী কী করেছেন আর আওয়ামী লীগ কী কী করেছে তা দেখেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ শান্তিপূর্ণ দেশ। এ দেশটাকে নষ্ট করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে শিকার করতে চায়। বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির নৈরাজ্য ও অরাজকতা প্রতিরোধে লাকসামের প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে লাকসামে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। যার ফলে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনিককে নির্মমভাবে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তাই শান্তিপ্রিয় লাকসামের জনগণের জীবনে যাতে কোনো প্রকার সন্ত্রাসের কালো ছায়া না পড়ে সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
শুক্রবার (২১ জুলাই) লাকসাম পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে লাকসাম আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রথমে সকালে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে ও বিকালে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বর্তমান সরকারের আমলে লাকসাম উপজেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলের কর্মকাণ্ড ও বর্তমান সরকারের সময় লাকসামের উন্নয়নের ফলে যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে বিএনপি-জামায়াত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ পাবে।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সরকারের কারণে হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের সব জায়গায় মূল্যস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব অঞ্চলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে এ বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে।
লাকসাম উপজেলায় বিভিন্ন অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ অতি দ্রুতই সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণসামগ্রীর (রড, সিমেন্ট, ইটা ও বালু) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কাজের রেট রিশিডিউল করার ফলে এখন ঠিকাদাররা উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে বহিরাগতরা অনুপ্রবেশ করে যাতে কোনো প্রকার অনাসৃষ্টি বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করতে না পারে সেজন্য লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও জাতীয় সংসদের এ আসনটি আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে যাতে অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সকল আয়োজন রাখা হবে।
ছাদ বাগান বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, এখন থেকে সারাবছর অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিলিপিন্সে ১৯ হাজার ৪০৪ জন, জানুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিয়েতনামে ১৫ হাজার ১২৯ জন, জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় ১৪ হাজার ৯৮৯ জন, মালয়েশিয়ায় জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩৮৮ জন, সিঙ্গাপুরে জানুয়ারি থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। শহুরের এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আমাদের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। এখান থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়, তা বাস্তবায়ন করতে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। যে কারণে অন্য দেশগুলোর চেয়ে আমরা তুলনামূলক ভালো আছি।
চলতি বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গত বছরেও সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো ছিল। কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। সে জন্য আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি আছে কিনা; আরও কিছু করণীয় আছি কিনা; তা খতিয়ে দেখতে এই সভা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে আমরা মৌসুমী পরিকল্পনা নিতাম। এখন বছরজুড়ে পরিকল্পনা নিচ্ছি।
তাজুল ইসলাম জানান, আগে আমরা কয়েক মাস, এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধের কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। এখন আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত করছি। আগের সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা করবো। তবে এই সময়গুলোতে পিক সিজন ও লিন সিজন ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ এডিসের জন্য একটি উর্বর সময়, অন্যটি অনুর্বর মৌসুম। আমরা সেই অনুসারে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
এ সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, গত বছর যেহেতু আমরা দেখেছি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে আশ্বিন মাস এবং শীতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এ জন্য আমাদের কর্মপরিকল্পনা বছরব্যাপী করেছি।
তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গুপ্রতিরোধী কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে যেমন করা হতো, আষাঢ়,শ্রাবণ ও ভাদ্র পর্যন্ত। এখন আমরা আশ্বিন মাস পর্যন্ত এটি বাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভোলায় সরিষা আবাদে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক
কৃষি কাজ করেই চলে মো. তাজুল ইসলামের সংসার। তিনি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তার দিগন্তজোড়া সরিষাখেতে দুলছে থোকায় থোকায় সরিষা। আর কিছুদিন পরই খেতের সরিষা ঘরে তুলবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে দুই কেজি বীজ পেয়েছেন এবং আরও দুই কেজি কিনে এ বছর দেড় একর জমিতে অগ্রহায়ণ মাসে সরিষা আবাদ করেন।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
এতে তার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার আশা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার হাজির হাট বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কৃষক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত বছর সরিষা আবাদ করে খুব অল্প সময়ে তার ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর আবারও সরিষার আবাদ করেছেন। আগামী বছর তিনি আশা করছেন দুই একর জমিতে আবাদ করবেন। তার মতো এলাকার আবদুল খালেকসহ বহু কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। কাঁচা সরিষা ফুলের মন জুড়ানো দৃশ্যে যেমন হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখে, তেমনি ভালো ফলন আসায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার দুইশ’কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার আট শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল আট হাজার ১২০ মেট্রিকটন।
লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার কৃষক সরিষা আবাদ করেছে। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার আটশ’হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানায়, ভোলা জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয় না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভোলার পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারভেজ মিজি তার সরিষা খেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, তিনি গত ৮/১০ বছর ধরে সরিষা আবাদ করছেন। এ বছর ৬ গন্ডা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাঁচ মণ সরিষা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছেন। তার ১০/১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।