গ্রেপ্তার
যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে বিপুল পরিমাণ রাইফেলের গুলি, দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও প্রাইভেটকার জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় দুইজন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানারে কিসমত নওয়াপাড়া এলাকায় যশোর-মাগুরা রোডের পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
গ্রেপ্তাররা হলেন- যশোর জেলার বাঘারপাড়ার ভবানীপুর পাঠানপাইকপাড়ার জুলফিকার মতিনের ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ ও মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া পূর্ব গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লা।
যশোর জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মতিন এলপিজি ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, ফিলিং স্টেশনের ক্যাশ কাউন্টারের পেছনে ইসতিয়াক আহমেদের ঘর থেকে সর্বমোট ১৬৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, দুটি চাকু, গাজা, একটি আইডি কার্ড ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করে ডিবি।
তিনি জানান, ডিবি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নিরীহ কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে। কোনোভাবেই বিএনপির কোনো শান্তিপ্রিয় নিরীহ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। টাঙ্গাইলের কোনো উপজেলার বিএনপির একজন নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য ধরপাকড় করা হচ্ছে না। বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের আগুনসন্ত্রাস ও সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করছে, উস্কানি দিচ্ছে। গ্রেপ্তার করা ছাড়া তাদের নিবৃত্ত করা যাবে না। মানুষের জানমাল, গাড়ি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা এবং দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায় খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানকাটা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ( বিএআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
বিএনপি আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে পরিচালনায় সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
বিএআরসির 'খামারি' মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিনে দেখে মন্ত্রী বলেন, দেশের যেকোনো মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার,বীজ লাগবে- সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ ১ হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের চাষিরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয় না। যতটুক দরকার, ততটুকু সার দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সহায়তা করবে।
ব্রিধান ১০৩ এর নমুনা কাটা শেষে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, নমুনা কর্তনে ব্রি ধান ১০৩ এর বিঘাপ্রতি প্রায় ২৫ মণ ফলন পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একইরকম ফলন পাওয়া গেছে। ব্রি ধান১০৩ জাতের গড় জীবন কাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বৈশিষ্ট্য হলো, ব্রি ধান১০৩ এর কাণ্ড শক্ত, পাতা হালকা সবুজ এবং ডিগ পাতা খাড়া, লম্বা ও চওড়া।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধনবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাক্তার সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না আ. লীগ: কৃষিমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের তিন জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাশকতার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায়ও তাদের আসামি করা হতে পারে।
আইজিপি বলেন, চলমান তদন্তে উসকানিমূলক হামলার পেছনে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে 'বঙ্গবন্ধু ২য় সাউথ এশিয়া সাম্বো-কুরাশ প্রতিযোগিতা ২০২৩' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯
তিনি বলেন, হত্যা ও নাশকতার মামলা তদন্তাধীন। তাদের (বিএনপির তিন নেতা) নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
তিনি বলেন, হামলা বা হুমকি সত্ত্বেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘আমরা সেসব অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের দায়িত্ব পালন থেকে পিছপা হব না এবং যেকোনো ধরনের উসকানির মুখেও আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমাদের এমন প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি পুলিশ সদস্যের মনোবল দৃঢ়।’
আইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এবং যারা এ ধরনের কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে মানুষ, সম্পত্তি ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হলেও পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, 'আমরা ওই সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে তাদের (বিএনপি নেতাদের) গ্রেপ্তার করেছি।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ সলিমপুর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে জঙ্গল সলিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম সোহেল সলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, সোহেল অনেক মামলার আসামি। দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আব্বাস ও আলালের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আইনজীবী রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই অবৈধ শাসক গোষ্ঠী বিএনপি'র সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশব্যাপী সকলপর্যায়ের নেতা-কর্মীকে ব্যাপকহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে। ক্ষমতালোভের পাশাপাশি চলমান গণআন্দোলনে ভীত হয়ে নিশিরাতের সরকার বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গুলি চালিয়ে মানুষ হতাহতের নৃশংসতায় মেতে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বলতে চাই- এভাবে গ্রেপ্তার ও নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণআন্দোলনকে দমন করা যাবে না। জনগণ বুঝে গেছে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষারোপ আওয়ামী লীগের নোংরা রাজনীতি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- বিশ্বের বড় বড় স্বৈরাচারেরাও জনগণের নিকট পরাজিত হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী দখলবাজ সরকারকেও জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে বিদায় নিতে হবে।’
রিজভী মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান এবং দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিরও আহ্বান জানান।
এ ছাড়া তাদের মুক্তির আহ্বানে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল শাজাহানপুরের শহীদবাগ মসজিদ লেনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে ভয়াবহ সহিংসতার পর রবিবার সকালে দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় আব্বাস ও আলালকে আসামি করা হয়।
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
কুষ্টিয়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন জনকে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এবং দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, নাশকতার মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্বের করা একটি নাশকতা মামলায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার বাসভবন থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে শনিবার দলের মহাসমাবেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পরে তিনি জানান, রাত ৮টার দিকে ফখরুলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির হরতালের মধ্যেই ডিবি ফখরুলের গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে আটক করে।
পরে তাকে ডিবির মিন্টু রোড কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের বাড়িতে এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে তাদের বাড়ির ভবন থেকে সব সিসিটিভি ক্যামেরা ডিভাইস ও ফুটেজ নিয়ে যায়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার ফিরে এসে তাকে (ফখরুল) তুলে নিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।’
রাহাত আরা বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করি জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেবে।’
শনিবার নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়ার পর এ আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হওয়ার পর হঠাৎ করে সমাবেশ স্থগিত করে ফখরুল হরতাল ঘোষণা করেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা।
নয়াপল্টনের চারপাশে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি হঠাৎ করে সমাবেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
সিলেট বিএনপির নেতা পংকী ও আশফাক গ্রেপ্তার
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরের ভাতালীস্থ নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কনস্টেবল আমিরুল হত্যা: যুবদল কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২
অপরদিকে, সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা থেকে আশফাক আহমদ নামের এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে মোমিনখলাস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ সুরমা ও কতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার আশফাক আহমদ ওই এলাকার সামছুদ্দিন খলকু মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসোদ্দোহা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে দক্ষিণ সুরমা ও কতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৩১টি বোমা জব্দ, জামাত-বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
বেনাপোলে ৩১টি বোমা জব্দ, জামাত-বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বেনাপোল ও শার্শা উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে সেসব স্থান থেকে ৩১টি বোমা জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুটি পৃথক অভিযানে বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে অস্ত্রসহ ২ চরমপন্থী আটক
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, গোপন খবরের মাধ্যমে জানা যায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে কেন্দ্র করে নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতা-কর্মী বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুরে গোপন বৈঠক করছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক ও ১৫টি তাজা বোমা জব্দ করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আটকরা হলেন- বিএনপি নেতা বেনাপোল পৌর কমিশনার আমিরুল ইসলাম, আহাদুজ্জামান আহাদ, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ওসমান গনিসহ আরও অনেকে।
অপরদিকে, শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬টি পেট্রোলবোমা ও হাতবোমাসহ ১১ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আটক সবাইকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ