গ্রেপ্তার
স্বপ্নপুরীতে সংঘর্ষ: জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রের কর্মচারীদের সংঘর্ষে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় স্বপ্নপুরীর আট স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষাসফরে (ফিল্ডওয়ার্কে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৩ শিক্ষার্থীসহ ৮১ সদস্যের একটি টিম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এসেছিল। ঢাকায় ফিরতি পথে বিকালে তারা নবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর বিভিন্ন রাইডে আনন্দ বিনোদন করছিল।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এসময় বেখেয়ালে রাইডের মধ্যে একটি ব্যাগ ফেলে রেখে যায় জনৈক শিক্ষার্থী। ফেরত নিতে এসে রাইড অপারেটরদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এসময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং লোহার রড ও লাঠির আঘাতে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন। ফুলবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত তিন ছাত্রকে রেফার্ড করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে আরাফাত হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম তালকা নামে দুই ছাত্রকে রাতে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মারামারির ঘটনায় রাতেই জবির একজন ছাত্র বাদী হয়ে স্বপ্নপুরির আট স্টাফকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত আটজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর সংবাদ সম্মেলনে এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের রেজিয়াগো বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের অজি উল্যাহ পাটোয়ারী বাড়ির শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগর বাড়ির আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাহফুজের বাপের বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের দোকান বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭) এবং পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমের শক্রতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। পরিকল্পনাকারী শক্রতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজি অটোরিকশার মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়।
ঘটনার দিন রবিববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করে। মহিন আব্দুল হাকিমকে অটোরিকশা রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।
তিনি আরও জানান, এরপর হাকিম অটোরিকশা জমা দেয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে তার মুখ বেঁধে ফেলে।
পরবর্তীতে সব আসামিরা হাকিমকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের ডগির ভেতরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের পর সব আসামিরা মিলে হাকিমের লাশ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে হত্যঅয় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামি মহিমের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
এছাড়া তিনি জানান, আসামি রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার ও রবিবার বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
মাগুরায় পাসপোর্ট অফিস থেকে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
মাগুরায় পাসপোর্ট অফিস থেকে এক ভারতীয় নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সবিতা রাণি বিশ্বাস জেলার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের শিরিশ চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ও নাগরিকত্বের সনদপত্র উপস্থাপন করেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাটবাহিরগাছি গ্রামের অধীর ঘোষের স্ত্রী সবিতা রাণি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট তৈরির জন্য রবিবার মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওয়াগন ট্রেনকে ধাক্কা দেয়া বাসের সেই চালক গ্রেপ্তার
আবেদনের সঙ্গে তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের শিরিশ চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ও নাগরিকত্বের সনদপত্র সংযুক্ত করেন। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই বাছাইকালে সবিতা রাণির ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি ধরা পড়লে তাকে মাগুরা সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভিন নুপুর বলেন, তিনি যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও ওই কাগজপত্রের মধ্যে তার নামে ভারত সরকারের দেয়া ‘আধার কার্ড’ পাওয়া যায়। যা ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
চট্টগ্রামে ওয়াগন ট্রেনকে ধাক্কা দেয়া বাসের সেই চালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে বাস উল্টে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় পলাতক সেই বাসচালক খোরশেদ আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ির ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়ন থেকে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়ন থেকে অভিযান পরিচালনা করে বাস চালক খোরশেদ আলম খোকনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর ইপিজেড থানা নিউমুরিং রেলক্রসিংয়ে তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে শহর এলাকার বাসটি উল্টে গেলে এক রেল কর্মীসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
তারা হলেন-রেলের পয়েন্টস ম্যান আজিজুল হক (৩০) যাত্রী আসাদুজ্জামান (৩০) ও লিটন কান্তি দে (৩০)।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটের মোগলাবাজারে মাদরাসায় যাওয়ার পথে (১৭) বছরের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সকালে থানাধীন জালালপুর ইউনিয়নের নিজ জালালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম রাসেল ওরফে শাহ রাসেল (৩৫) ওই একই গ্রামের মৃত ইছুব আলী মাষ্টারের ছেলে।
এছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি)-তে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শাহ রাসেল স্থানীয় জালালপুর মাদরাসা শাখা সিএনজি স্ট্যান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জালালপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা। সে গত এক বছর যাবত ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করে আসছিলো। মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় শালিশ বৈঠক হয়েছে।
রবিবার সকালে ওই মাদরাসা ছাত্রী তার মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। দুপুর ২টার দিকে ভুক্তভোগী বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে তার দিনমজুর পিতা তাৎক্ষনিক মাদরাসা কর্তৃপক্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজির আলীকে অবগত করেন। পরে তাদের পরামর্শে তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মোগলাবাজার থানা পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
(ওসি) জানান, খবর পেয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
আরও পড়ুন: যশোরে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যুবকের ফাঁসির আদেশ
বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় অর্ধশত জেলেকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় হিজলা থানায় মামলা করেছেন নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে দিনভর অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি আট জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ গ্রেপ্তার ১৪
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- হিজলা উপজেলার চর মেমানিয়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলী মাঝির ছেলে আ. রাজ্জাক মাঝি (৫৮), একই এলাকার আমির হোসেন দর্জির ছেলে বশির হোসেন দর্জি (১৯), চর কুশরিয়ার জাকির রাঢ়ির ছেলে ইসমাইল রাঢ়ি (১৯), একই এলাকার ইউসুফ সর্দারের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯), গঙ্গাপুরের রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাকিব সর্দার (১৯), একই এলাকার আ. রাজ্জাক চৌকিদারের ছেলে পারভেজ চৌকিদার (৫০), হিজলার চরজানপুর এলাকার আ. মন্নান মাতবরের ছেলে শাহীন মাতবর (২১) ও গোসাইরহাটের নান্নুমুন্সীকান্দি এলাকার আজারুল ঢালীর ছেলে রুবেল ঢালী (২৮)।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা বলেন, নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় সরকারি কাজে বাঁধা দেয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত ও সাধারণ জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া মামলায় নামধারী ২৭ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ৭নং ঘাট এলাকায় জেলেদের অবৈধভাবে ফেলা জাল উত্তোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা করে জেলেরা।
এতে হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিকাশ চন্দ্রসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সংঘর্ষ: মামলা বেড়ে ১৬, গ্রেপ্তার ১৭৩
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
পটুয়াখলীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নৌকা মার্কার প্রচারণার নামে বাড়ি ঢুকে ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দেলোয়ার তালুকদার (৫৫) নামে একজনের বিরুদ্ধে।
শিশুটির মা মহিপুর থানায় অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ' করায় সংঘর্ষ, আহত ১০
শনিবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দেলোয়ার তালুকদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকা মার্কার প্রচারণা চালাতে অভিযুক্ত দেলোয়ার তালুকদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী বরকুতিয়া গ্রামে যান। সঙ্গে থাকা অন্য কর্মীরা একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসলে অভিযুক্ত দেলোয়ার প্রচারণার নামে ওই শিশুটির বাড়িতে যায়। বাসায় কেউ নেই জেনে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে শিশুটির ওপর যৌন নিপীড়নের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শিশুটি মা আসছে বলে চিৎকার দিলে অভিযুক্ত দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর মাস্টার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
শিশুটির মা বলেন, আমি কাজের জন্য কৃষি খেতে যাই। এই ফাঁকে বাসা খালি পেয়ে প্রচারণার নামে ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে যৌন নিপীড়ন করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
শিশুটির দাদি বলেন, আমরা খেতে কাজ করছিলাম। আমার নাতনি এখনো কান্না করছে। আমরা এর বিচার চাই।
মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, শিশুটির মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কলাগাড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ইভটিজিংয়ের শিকার চবি ছাত্রী, ৩ বহিরাগত আটক
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সংঘর্ষ: মামলা বেড়ে ১৬, গ্রেপ্তার ১৭৩
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আরও তিনটি মামলা করেছে।
এ নিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টিতে। এসব মামলায় নামসহ অজ্ঞাতনামা ১১/১২ হাজার আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনসহ মোট ১৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাশকতায় অংশগ্রহণকারী দুস্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো সাধারণ নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ তাই শহরে ও কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের আবাসস্থলের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও আহমদিয়াদের দুটি মসজিদের আশে পাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার নামাজের পর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়াসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি
৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাট: দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে বরিশালে নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পলাতক ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করে পুলিশের একটি দল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে মো. এমদাদুল হককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান (এটিইউ-এর মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছর পর সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার সার্কিট হাউস এলাকা থেকে এমদাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন এবং ২০১০ সালে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে অবৈধভাবে চার বছর অবস্থান করেন।
২০১৪ সালে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়ার পরও আত্মগোপনে ছিলেন এমদাদুল।
আসলাম জানান, তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষাদান এবং মসজিদে দৈনিক নামাজের নেতৃত্ব দেয়ার ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: ভবন মালিকদের ৩ জন গ্রেপ্তার
সিদ্দিক বাজারের ৫ তলা ভবনের মালিকসহ তিন জনকে বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই ভবনে মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২১ জন নিহত হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমান(৪৬), ওয়াহিদুরের ভাই মতিউর রহমান(৩৬) ও মোতালেব মিন্টু (৩৬)।
মঙ্গলবার দুই ভাইকে রাজধানীর ফুলবড়িয়া এলাকা থেকে আটক করা হয় এবং একই রাতে মোতালেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) ড. কে. মহিউদ্দিন বলেন, ভবন মালিকের অবহেলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কুইন্স স্যানিটারি মার্কেটের বেজমেন্টে বিস্ফোরণ ঘটে। রাজউকের নিয়মানুযায়ী বেজমেন্টটি যথেষ্ট প্রশস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সহজ হতো।’
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
ডিএমপি কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবন মালিকরা একসময় বেজমেন্টটিকে রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করে। তারপর রান্নাঘরের গ্যাস লাইন ঠিকমতো না সরিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নির্মাণ সামগ্রীর বাজার তৈরি করে শ্রমিক ও গ্রাহকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
এর আগে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১