গ্রেপ্তার
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কারাগারে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি।
প্রিন্স বলেন, এমনকি তাদের দলের অসুস্থ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালামকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘জেলে তাদের (গ্রেপ্তার দলের নেতাদের) কাছে প্রয়োজনীয় পোশাক পৌঁছানো যাচ্ছে না। বন্দিদের পরিবার বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জেলগেটে নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেগুলো ফেরত দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
প্রিন্স আরও অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ কারাবন্দি নেতাদের এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে জেলে গেলেও তাদের সঙ্গে কুখ্যাত খুনি ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে, যা জেলবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি এমন জঘন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জেলকোড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
ভাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত কিবরিয়া ফকির (৫৫)ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর সদরদী গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত নাঈম ফকির (১৯) নিহতের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৮ টার দিকে বাবা কিবরিয়া ফকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার ছেলে নাঈম ফকির। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ছেলে নাঈম আত্মগোপন করে।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় কুপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত বিচ্ছিন্নের অভিযোগ
শহিদুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প বাবার হত্যাকারী ছেলে নাঈমকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে নাঈমকে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে আনা হয়। এরপর নাঈমকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর নিহত কিবরিয়া ফকিরের ভাই মো. দেলোয়ার ফকির বাদী হয়ে নাঈমকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর থেকেই ছেলে নাঈম পলাতক ছিল। সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব এর একটি দল। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে তাস নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহে শশুর বাড়িতে জামাইকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার ও অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম এক বিবৃতিতে দাবি করেন, রাজধানীর তার বাসা থেকে রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তিনি গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এটিএম মাসুম আরও জানান, এ ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার দেশে চলমান রাজনৈতিক বিক্ষোভ থামাতে পারবে না। ভয়ভীতি সৃষ্টি, হামলা ও মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
মাসুম অবিলম্বে শফিকুরসহ গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১১ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন, যা মূলত বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে যায় এবং বিএনপির ঘোষণার ঠিক পরেই ২৪ ডিসেম্বর একটি গণসমাবেশ ঘোষণা করে।
জামায়াতে ইসলামী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী একযোগে গণমিছিল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন যে আজ (শুক্রবার) তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হারুন অর রশিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচণা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি ও জীবনমাল ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকাল ৩টায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় অন্য কোনো নেতা নজরদারিতে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সবকিছুর ওপর নজর রাখছি।’
বিএনপির সমাবেশস্থল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি এখন গোলাপবাগ মাঠের জন্য প্রস্তাব করছে, কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
ফখরুল ও আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হয়নি: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, ভোরে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাদের (ফখরুল ও আব্বাস) গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা এখনও ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি তাহলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি। দুই দিন আগে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেসময় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিল। আমরা তাদের সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকালের আলোচনায় বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু আমরা বাংলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কারণ ক্রিকেট ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামে কৃত্রিম ঘাস বিছানো রয়েছে, যা নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, ‘বাংলা কলেজ মাঠ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন নেতা এখন গোলাপবাগ মাঠের কথা বলছেন, যা বৈঠকে আলোচনা হয়নি।’
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপি দাবি করে যে, সাদা পোশাকের পুলিশ রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শনিবারের সমাবেশের বিষয়ে তাদের দলের সিদ্ধান্ত সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, ভোররাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের চার সদস্য তাদের বাড়ির ওপরের তলায় আসেন এবং বাকিরা নিচে অবস্থান করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের শেষ রাতে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা তাকে (ফখরুল) নিয়ে যেতে এখানে এসেছেন।’
রাহাত আরা বলেন, তাদের কাছে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কি না জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গতকাল দায়ের করা নতুন দুই বা তিনটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম যখন আব্বাস আমাকে ডেকে জাগান এবং বলেন যে তারা (ডিবি সদস্যরা) আমাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। আমি প্রথমে (একথা) বিশ্বাস করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, তারা (ডিবি সদস্যরা) বলেছে যে তার (আব্বাসের) সঙ্গে আলোচনার পর তাকে ফিরিয়ে দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে। যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি পাহারা অব্যাহত
নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে তাদের দলের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
পুলিশের অভিযানের সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রায় ৬০০ নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয় ও নয়াপল্টন এলাকা থেকে ‘নৃশংসভাবে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের অভিযানে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নেয়া ফখরুল রাত ৮টার দিকে এলাকা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসে থাকা বিএনপি নেতাকে দেখা গেছে অফিসের ভেতর থেকে দলের অন্য নেতাদের কীভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা অসহায়ভাবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই: ফখরুল
সিলেটের ছাত্রদল নেতা রাজন গ্রেপ্তার
সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জ্বালাও-পোড়াওয়ের একটি মামলায় আলী আকবর রাজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
চবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে নতুন করে চাপে পড়েছে খুলনা বিএনপি। গত চারদিনে দলটির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিরাতেই বাড়ি বাড়ি অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে মামলা।
সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা জানান, অভিযানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, এমন আশংকা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু অভিযান এতো জোরালো হবে সেটি তারা বুঝতে পারেননি।
এছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা এখন এলাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার থানায় গেলে দেখা যায়, গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা শরিফুল ইসলাম টিপুকে।
আরও পড়ুন: এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
কোন থানায় কে আটক রয়েছে-এই তথ্যও কেউ জানাতে পারছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হকসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরের দুই দিনে আরও ২৫ জন আটক হয়েছেন।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছে পুলিশ।
ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহম্মেদ, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঢাকায় সমাবেশ অংশ নিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, তিনদিনে অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঢাকায় চলে গেছে। সমাবেশ শেষ করে সবাই খুলনায় ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দল থেকে ঢাকায় যাওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীরা দল বেধে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আটক
জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডুতে মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামি সজীব আহমেদ অপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজীব আহমেদ অপু হরিণাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ছাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে অপুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. রাসেল জানান, জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা বাজারে নিহত জনির মোবাইলের দোকান আছে। অপু কয়েকদিন আগে ওই দোকান থেকে ৬১ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল বাকিতে ক্রয় করে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে আসামি অপু দোকানে ঢুকে জনিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার পর থেকেই র্যাব আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে অপু কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি গ্রামে অবস্থান করছে।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সাকিব (২০) নামে এক পিকআপ চালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়াম (২২)।
এর আগে ২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় র্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেলের) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানায়, শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইমুল ও মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ি চালকের হত্যার চাঞ্চাল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি জানান, ৬ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার বুড়িগঙ্গা শাখা নদীর পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখ স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় গাড়িচালক সাকিবের লাশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় তার চাচা মো. জামাল অজ্ঞাতদের আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এঘটনায় গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নাইমুল হোসেন সিয়ামকে আটক করা হয়। তাকে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাইমুল একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তিনি বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজ করতেন।
এই ছিনতাইয়ের টাকায় তার সংসার চলছিল না। তখন তিনি ও তার বন্ধু মিজানুর রহমান মিলে পরিকল্পনা করে একটি গাড়ি ছিনতাই করে সেটি বিক্রি করে যে টাকা আসবে সেই টাকা দিয়ে তারা একটি ব্যবসা করবেন। গাড়ির চালক সাকিবকে মোবাইলে কল করে আরশি নগর আসতে বলেন। সাকিব সেখানে গেলে তারা বলে আমরা মুন্সীগঞ্জ যাবো। সাকিব মুন্সিগঞ্জ যেতে রাজি না হলে তারা তাদের রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলে। এরপর রাতে তারা তাকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে সাকিবের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দু’জনের দেয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার নাইমুলকে রবিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার