গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ একই পরিবারের তিন জন নিহত ও অলৌকিকভাবে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনায় ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, আটক মো. রাজু আহমেদ শিপন (৪২) রাজশাহীর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
র্যাব কমান্ডার জানান, অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে তিনজনকে ট্রাকচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা ট্রাকটি থামালে অভিযুক্ত চালক ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে পালিয়ে যান এবং এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
শনিবার ত্রিশাল উপজেলার কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়, এই সময় বাবা-মাসহ পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও তাদের মেয়ে জান্নাত আরা (৩)।
জাহাঙ্গীর আলম তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আসেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকটি তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী রত্না বেগম ও তার মেয়ে জান্নাত মারা যায়। অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের পেটে থাকা নবজাতক শিশু চাপ খেয়ে রাস্তায় প্রসব হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পরে শিশুটি বাম হাত ও গলার হাড় ভেঙে যাওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ লাবিব হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরের বাবা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা করে।
আটকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
নড়াইলে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন রিমান্ডে
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোরশেদুল আলমের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানী শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাদেকুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩২), আমিনউদ্দিনের ছেলে সাইদ শেখ (২৫), বারিক শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০), এসহাক শেখের ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮) ও আজিজুল গাজীর ছেলে কবীর গাজী (৪০)।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ‘অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভাংচুর ঘটনায় ১৭ জুলাই লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সাহা পাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার।
এরপর এদিন রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ জুলাই বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: ২ ছেলেসহ মা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলের সাত বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি দুই ছেলে ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শিশু মাহমুদা খাতুন মহিষাহাটা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সদর উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের একই গ্রামের ফরিদ শেখের দুই ছেলে সাগর (২১) ও শাকিল (১৯) এবং তার স্ত্রী রেখা খাতুন (৫০)।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু মাহমুদা নিখোঁজ হওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বিকালে লাশের সুরুতহালের প্রতিবেদন করে পরে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
ওসি জানান, শুক্রবার রাত ১২টার পর শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পর রাতেই ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচির মোড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মামলার ২ নম্বর আসামি আফছার গাজী (৪০) এবং ৫ নম্বর আসামি আখফর হোসেন গাজী।
শনিবার সন্ধ্যায় কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে আসামি আফছার গাজী ও আখফর হোসেন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
এর আগে ঘটনার চারদিন পরে ভিকটিমের বাবা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নড়াইলে ভাঙচুর: ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে সেই যুবক গ্রেপ্তার
ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে শনিবার রাতে খুলনা থেকে নড়াইল কলেজের ছাত্র আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেসবুকে পোস্টের পর শুক্রবার নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় বিক্ষুব্ধ জনতা দিঘলিয়া বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত দুটি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান চন্দ্র পাল জানান, শুক্রবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই কলেজ ছাত্র ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে একটি পোস্ট দেন।
ওসি বলেন, খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে স্থানীয় একদল লোকজন দিঘলিয়া বাজারে ভিড় করে এবং দুটি বাড়ি ও ছয়টি দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তারা একটি বাড়িতে আগুন দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহাপাড়া মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ড বক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের ছাদ ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় রবিবার বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
খুলনায় নারী নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
খুলনার কয়রা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের চারদিন পর শনিবার এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএসএম দোহা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমান।
ওসি বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল খালেক গাজী, আকফর হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভুক্তভোগীর বাবা এবং তাদের প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ১১ জুলাই হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে প্রতিবেশী ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী শামীমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করলে শামীমা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জরুরি হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শামীমা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
জয়পুরহাটে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
জয়পুরহাটে বিয়ের আশ্বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার রায়হান কবির (৩৯) জয়পুরাহাট সদর উপজেলার কদমগাছী এলাকার মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মাসুদ রানা জানান, অভিযুক্ত রায়হান কবির দুইবছর আগে ধারন করা ছবি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ব্লাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করা হলেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করায় বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগের কপি নিয়ে ভুক্তভোগীর বাবা জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে (৩৫) বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বন্দরের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১২ সালে আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস (২২) হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আযহা উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। শুক্রবার রাতেই তার বর্তমান কর্মস্থল কক্সবাজারের টেকনাফে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলা বন্দরের বাসিন্দা তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, আলাউদ্দিন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) লেখাপড়া করতেন এবং তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা হরতালের সময় বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস। কোন কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিৎকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজিৎ এর ভাই উত্তম দাস ঢাকার সুত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ জন আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।
২১ জন আসামির মধ্যে আট জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে আপিল করা হলে হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা এবং দুই জনকে খালাস প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪ নং আসামি ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রামে ইয়াবা উদ্ধার, পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৪
নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক পোশাকশ্রমিককে (১৯) ধর্ষণ মামলায় আমজাত হোসেন নামে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বারপাড়া বাকসরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার আমজাত হোসেন ঢাকার জুরাইন রেললাইন এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ পোদ্দার জানান, আমজাত হোসেন দীর্ঘ দিন উপজেলার মুছাপুর ইউপি বারপাড়া বাকসরাইল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে নিজেকে পীর দাবি করে একাধিক ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে এবং এক পোশাকশ্রমিককে নিজের আয়ত্বে এনে পার্শ্ববর্তী ধামগড় ইউনিয়নে নিয়ে সপ্তাহ যাবত আটক রেখে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় গত বুধবার ভণ্ডপীর আমজাদ হোসেনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় দম্পতিসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-লিটন দেব, তার স্ত্রী মনি রানী দেব ও সহযোগী মাইনুল ইসলাম। তারা নবীনগর পৌরসভার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবা ক্রয়, নারী আটক
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী লিটন দেবের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে তিনজনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
ওসি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক ব্যবসার একাধিক মামলা রয়েছে।