গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মেহেরুল হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার কালু (৪৫) নয়াদিয়াড়ি এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের উপ অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নয়াদিয়াড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। কালু ২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর গোমস্তাপুর থানায় দায়ের করা মেহেরুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর সকালে গোমস্তাপুর বেগমনগর মহিলা মাদরাসার পেছনে একটি আম বাগান থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেহেরুল গোমস্তাপুর উপজেলার রাজারামপুর বালুগ্রাম এলাকার মৃত কবিরুলের ছেলে।
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭০
নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে রবিবার রাজধানী থেকে ৭০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির সদরদপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়েন্দা পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ শহরজুড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: চোরাই মোবাইল সেট বিক্রিকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে: ডিএমপি
আসামিদের কাছ থেকে প্রায় এক হাজার ১৫৩ পিস ইয়াবা, ১১৯ দশমিক ৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন এবং ৩৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৯টি মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসটির চালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরের দিকে অক্সিজেন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাসের চালক বাঁশখালী বানিগ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩০), চালকের সহকারী ভুজপুর থানা নতুনপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউল (২৩), বাসের সুপারভাইজার ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজু (২৬) এবং ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহাদাত (২২)।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছে, সেসময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপড়ার কারণে তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। প্রায় একঘন্টা পর বৃষ্টি থেমে গেলে তিনি চিৎকার করতে থাকায়, তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।সোমবার বিকালে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বায়েজিদ ছিন্নমূলে তার চাচার বাসা থেকে রিকশাযোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছান। সেসময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই নারী অক্সিজেন রেলবিটের পাশে একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে পার্ক করে রাখা একটি বাসের চালক ও সহকারীরা নারীকে দেখে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ওই নারী কোর্ট বিল্ডিং যাওয়ার কথা বলেন। বাসটি কোর্ট বিল্ডিং যাবে বলে ওই নারীকে বাসে তোলেন তারা। এরপরই ওই নারী অভিযুক্ত চারজনের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।’তিনি আরও জানান, ‘এরপর ভুক্তভোগী নারী তাৎক্ষণিক অক্সিজেন পুলিশ বক্সে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি জব্দ এবং শাহাদাত নামে একজনকে আটক করে।পরে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক নুরুল আলম ও সুপারভাইজার রাজু এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে।’এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
চট্টগ্রামে দুই সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
লোহাগাড়ায় বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত, চালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাসচাপায় মারুফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত বাসচালক সুজন দে (৩৮) রাউজান থানার ইয়াছিন নগরের মৃত বিমল দে’র ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি বাজার এলাকায় বাসচাপায় মারুফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। মারুফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায় আসার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঘটনার পরপরই বাসের চালক সুজন আত্মগোপন করে এবং হেলপার সাজ্জাদ হোসেনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে।
এতে বলা হয়, পরবর্তীতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মারুফের মা ঘাতক বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক বাসচালক রাউজান থানাধীন ডাবুয়া জগন্নাথহাট বাজার এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সুজন দেকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার সুজনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক ব্যক্তি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমন আলী (২৬) নিমতলা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
গ্রেপ্তার সানাউল্লাহ (৪৫) একই এলাকার মৃত মহসিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, উপজেলার কলাদিয়ার এলাকায় একটি আম বাগানে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে; এমন খবর পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবক সুমন লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে সানাউল্লাহ একটি বিশেষ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সুমন আলীর কাছ থেকে আট লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। এরপর চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চায় সুমন। কিন্তু সানাউল্লাহ টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকায় হতাশায় সুমন আলী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ১৩ মামলার এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে উপজেলার মরদানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার রাব্বানী (৪০) সদর উপজেলার বহরমপুর হটাৎপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
শনিবার সকালে র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকিরের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মরদানা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পরিত্যক্ত টিনসেড একটি বাড়ির সামনে থেকে ৩টি ওয়ান শুটারগান, ককটেল ও ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৮টি, অস্ত্র আইনে ২টি ও মারামারির ঘটনায় ৩টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে ৭টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন তিনি। নতুন করে শিবগঞ্জ থানায় আরও একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
খুলনায় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে স্বদেশ বালা নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়েরের পর বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বদেশ বালা আড়ংঘাটা থানায় পুলিশ কনস্টেবল (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, স্বদেশ বালা নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে যুবতীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্বদেশ বালা অস্বীকৃতি জানায় ও গত ১৫ জুন খানজাহান আলী থানা থেকে আড়ংঘাটা থানায় বদলি হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজোয়ানুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক স্বদেশ বালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদী থেকে অপহৃত কিশোরী বগুড়ায় উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
রাজধানীর উত্তরা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি এবং ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেপ্তার শামীম হোসেন মৃধা (৩২) পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ১১ জুন মৃধা এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
এই ঘটনায় বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরাও অপরাধীর বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন।
আরও পড়ুন: ১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা ও র্যাব-৮ এর একটি দল রাজধানী থেকে মৃধাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করে বলেছে যে মেয়েটিকে তার স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মৃধা মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এবং ঢাকায় আত্মগোপন করে।
র্যাব জানায়, মৃধা একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। তিনি ২০১৫ সালে ২৬ জানুয়ারি রাতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তিনি এক মাদরাসা ছাত্রীকে রামদা দেখি ধর্ষণ করে। ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর মৃধা আরও একজন মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে।
মৃধা ঢাকা বাবু বাজার ও গাবতলী এলাকায় সিএনজি এবং প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েন।
বিভিন্ন এলাকায় তিনি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যেত। এমনকি সে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মেয়েদের ধর্ষণ করত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫৩ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
মৃধার বিরুদ্ধে ভাণ্ডারিয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা ও মাদকের মামলা রয়েছে। এছাড়াও মৃধার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আসামি মৃধার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব সদস্যরা।
রাজধানীতে দন্ত চিকিৎসক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দন্ত্য চিকিৎসককে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রিপন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার (সাইবার ও বিশেষ অপরাধ ও ডিবি-উত্তর) মো. হারুন অর রশীদ জানান, বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ভোরে ডেন্টিস্ট আহমেদ মাহি বুলবুল একটি অটোরিকশায় করে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। কাজীপাড়া বেগম রোকেয়া সরণি রোডে পৌঁছালে পাঁচজন ছিনতাইকারী গাড়িটি আটকে তার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুলবুলের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
গত ৩০ মার্চ ডিবির মিরপুর জোনের টিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- রায়হান সোহেল ওরফে আপন (২৭), রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান রিদয় (২৩) ও সোলায়মান (২৩)।
তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন বুলবুলকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আহমেদ মাহি বুলবুল মগবাজারের একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। তিনি তার এলাকায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে সুপরিচিত ছিলেন।
রাজশাহীতে প্রেমিককে ডেকে হত্যা, প্রেমিকাসহ ২ নারী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে বাড়িতে ডেকে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে নিহতের প্রেমিকা ও তার বান্ধবীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের পর নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত রশিদুল মন্ডল (২৪) নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) এবং ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।
আরও পড়ুন: থানায় গিয়ে তিনি বললেন, স্ত্রীকে হত্যা করে এসেছেন!
পুলিশ জানায়, সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে কাজের সুবাদে প্রায় এক বছর আগে মেরিনা খাতুনের সাথে নিহত রশিদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেরিনা খাতুন বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। গত মঙ্গলবার রাতে বুলবুলের বাড়িতে রশিদুল মেরিনার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানে মেরিনা রশিদুলকে বিয়ে করার জন্য বলে। কিন্তু রশিদুল পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায়। রাত ১১টার দিকে রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাধা দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন রশিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই ভোরে মেরিনা তার বান্ধবী নেশা খাতুনকে ডেকে নিয়ে এসে দুজন মিলে লাশ বাড়ির ছাদের স্টোর-রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার এসআই
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম বুধবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করে। মেরিনার দেয়া তথ্যমতে বাড়ির ছাদের স্টোর-রুম থেকে রশিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপর আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত রশিদুলের বাবা জহির মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা