গ্রেপ্তার
গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ সদস্য পারভেজ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার কারণে আত্মগোপনে থাকা বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ(জিএমপি)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির আমতলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, সদস্য মো. ইমরান, মো. মনির হোসেন ও বাদল দাস।
বুধবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন লক্ষীপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আত্নগোপনে থাকা অভিযুক্ত ইমরানকে গ্রেপ্তার করে জিএমপির ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ও রাজারবাগে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদলনেতা গ্রেপ্তার: ডিএমপি
পরে গ্রেপ্তার ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যার পর তিনিসহ অন্যান্যরা গ্রেপ্তারের ভয়ে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় আত্নগোপনে আছেন।
ইমরানের দেওয়া তথ্যের আলোকে তথ্য প্রযুক্তি ও ঘটনার সময় প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ-ছবি এবং তাদের মোবাইল বিশ্লেষণ করে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত বাবুল মিয়া, মনির হোসেন ও বাদলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সাভার জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে ৬১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ও রাজারবাগে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদলনেতা গ্রেপ্তার: ডিএমপি
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ঢালী গ্রেপ্তার: র্যাব
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ঢালী গ্রেপ্তার: র্যাব
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ইউনিট ২।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বসিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে ৬১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মোহাম্মদপুরে বিএনপির ব্যানারে আতাউর রহমান ঢালী ও তার সহযোগীদের দ্বারা সংগঠিত একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তার নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় মোহাম্মদপুর এলাকায় সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন হরতাল-অবরোধের কারণে যানবাহনে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও বিঘ্ন ঘটানো।
তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ২৯ অক্টোবর পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিহাব বলেন, এছাড়া আতাউরের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
রাজধানীর মিরপুরে ১৮ নভেম্বর বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সোমবার ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আল মোহাম্মদ চাঁন (২৭), মো. সাগর (২৫), মো. আল আমিন ওরফে রুবেল (২৯) এবং মো. খোরশেদ আলম (৩৪)।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- গতকাল রাতে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তারা একটি বিরোধী দলের কর্মী। তাদের মধ্যে একজন তাদের দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করেছিল।’
১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত অবমাননার মামলায় আজ ভোরে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
এর আগে, ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে আদালতে হাজির হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে হাবিবুর একটি ভিডিওতে বলেন, ‘শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে আপিল বিভাগে তলব
আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ মোট ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এলিট ফোর্স।
সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে রাজধানীতে মোট ১৪৫টি ও সারা দেশে ৪ শতাধিক র্যাবের টহল দল মোতায়েন করা হয়।
এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাবের শক্তিশালী টহল দল মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল: সারা দেশে র্যাবের ৪৬০ টহল দল মোতায়েন
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আদাবর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব শেখসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন- মো. মাসুম (৩২), মো. আলমগীর (৩৮), মো. রাসেল (৩৮) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৫)।
এদের মধ্যে রাকিব ও জাহাঙ্গীরকে কেরাণীগঞ্জ এবং বাকিদের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া উইং) শিহাব করিমের সই করা র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রাকিব। ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকাসহ ঢাকার কয়েকটি থানায় আটটি মামলার আসামি তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
এ ছাড়া, গত কয়েকদিন ধরে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে যুবদল নেতা রাকিবের নেতৃত্বে মাসুম, আলমগীর, রাসেল, জাহাঙ্গীর রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলিট ফোর্সের সদস্যরা রবিবার মোহাম্মদপুর ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার মামলায় শ্রমিকদল নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: র্যাব
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দল ও যুবদলের চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র ্যাব)।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ ৬২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবর (৪৪) ও ৬২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মো. জিয়াউল হাসান খান ( ৪০), শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. শুক্কুর আলী (৫২), শ্রমিক দলের ৪৮ নং ওয়ার্ড শাখার আহ্বায়ক, শ্রমিক দলের ৬৩ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মো. আবু বকর (৫৭)।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগে গত ২২ দিনে প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র ্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময় নাশকতার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ধোলাইপাড়, গোলাপবাগ, ডেমরা ও দানিয়াসহ আশপাশের এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও বাসে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।
তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের সহকারী পরিচালক।
আরও পড়ুন: হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজির বাসায় র্যাবের অভিযান
নাশকতার অভিযোগে গত ২২ দিনে প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিএনপির নেতা-কর্মীসহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত মোট ৪৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পুকুরপাড় থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার
গত ১৮ নভেম্বর কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তালেব মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়ামঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে ৬১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরনবী পাশা সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় জেলা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম (৩৭) এবং তার সহকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়া (৩৯)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। মহাসড়ক অবরোধ করে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা চালায় তারা। এসব নাশকতা ও সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: ১২ জন গ্রেপ্তার
এরই ধারাবাহিকতায়, শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতা ও ১৫টি মামলার পলাতক আসামি আবু তালেব মাসুম ও তার সহযোগী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন তাদের দলীয় নেতাদের নির্দেশনায় ও মাসুমের পরিকল্পনা রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। মাসুম ২৮ অক্টোবর পল্টনে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসে। পরে তারা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়।
তিনি বলেন, মাসুম ও তার অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সর্বশেষ কক্সবাজারে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার জজ মিয়া ছাত্রদল নেতা মাসুমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটির বেশি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার