আদালত
আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নরসিংদী আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদের জন্মদিন পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে নাহিদকে। এ নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
এ ঘটনার একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ হাজতখানায় আসার পর একাধিক ছাত্রদল নেতা জন্মদিন পালন করতে সেখানে কেক নিয়ে হাজির হন। পরে তারা হাজতখানার ভেতরে বসে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।
এদিকে জন্মদিন পালনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে হাজতখানায় জন্মদিন পালনের বিষয়টি।
নরসিংদী আদালতের হাজতখানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জমান জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে নির্বাচন বর্জনের প্রচারণায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
চট্টগ্রামে নারী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মঞ্জু সেন নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক যুবককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪)। খালাস পেয়েছেন আসামি ফরহাদ হোসেন জাকি (৩৭)।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, ভুক্তভোগীর শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে আসামিরা মঞ্জু সেনকে হত্যা করেছিল। আদালতে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় অন্য ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের ঝোপে মঞ্জু সেনের লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল মঞ্জু সেনের বাড়ির দারোয়ান ছিলেন বলেও জানা যায়।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নাটোরের আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলায় নাটোরের আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম ২৪ মার্চ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ সময় চাঁদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সিএনজি ও মোটরসেইকেলের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
চাঁদের আইনজীবী রুহুল আমিন টগর জানান, শুনানি শেষে বিচারক ২৪ মার্চ পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত চাদেঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ অভিযোগে ওই বছরের ২২ মে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বাদি হয়ে আবু সাঈদ চাদেঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯
২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে। কারণ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চোরাচালানকারী হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে স্থানীয় মনু বাজার থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ বাংলাদেশি হলেন- সাইমুম হোসেন, রাইসুল ইসলাম, সামিন, হারুন, লিটন, মাঈন উদ্দিন, মহসিন, কাজী রিপন, তাজুল ইসলাম সাকিল, হানিফ, আবুল হাসান, ইমরান, রুবেল, জাফর ইমাম মজুমদার, ওবায়দুল হক, জামাল উদ্দিন, আরিফ হোসেন, করিম, খোরশেদ, আজাদ হোসেন, মাহিম, হারুন ও ইমাম হোসেন। তাদের সবার বাড়ি সীমান্ত ঘেঁষা প‚র্ব ছাগলনাইয়া, মটুয়া ও রাধানগর এলাকায়।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার মনুবাজার পুলিশ স্টেশনে তাদের হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা।
ওই ২৩ বাংলাদেশিদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, বিএসএফ বিজিবির কাছে স্বীকার করেছে চোরাকারবারী হিসেবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছে তারা। ফলে পতাকা বৈঠকে আর কিছু করার সুযোগ নেই। সে দেশের আদালত তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসএফ। ছাগলনাইয়ার মধুগ্রাম বিওপির আওতায় ২১৯৫ মেইন পিলারে এ পতাকা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মধুগ্রাম বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জুলফিকার আলী এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফের মাদারগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর মুক্তা মাজলী।
পূর্ব ছাগলনাইয়া বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আবদুর রশীদ পতাকা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভারতীয় বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার ২৩ বাংলাদেশিকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছে। বিষয়টি নিচের লেভেলের হাতে নেই। এটি উচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তারা ফেরত আসবে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ধরে নেওয়ার দুই দিন পরও গ্রেপ্তারদের কারো পরিবার কিংবা স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম।
এদিকে বেলাল হোসেন নামে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির বাবা জানান, ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে পূর্ব ছাগলনাইয়া ফাঁড়িতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের কপি জমা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেছেন, চোরাকারবারীর অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পতাকা বৈঠকে দাবি করে বিএসএফ।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে আটককৃতদের একটি তালিকাও দিয়েছে বাহিনীটি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজনের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনুসসহ অন্য আসামিরা। একই সঙ্গে জামিন চান। পরে শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
পরে এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
দেশের কোন কোন আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবী গত ২৩ জানুয়ারি ওই রিট করেন।
আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়, তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে ৮৪টি আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার মধ্যে সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।
শিশির আরও বলেন, এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫ (৫)–এ বলা আছে কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করা যাবে না, অথচ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে সাইফুল করিম খান নামে এক দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল করিম নগরীর হালিশহর থানাধীন রামপুর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
জানা গেছে, একটি চেকের মামলায় রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ পরে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার গাড়িতে তোলার সময় আসামি সাইফুল করিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা বলেন, আসামিকে একটি মামলায় ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান। তবে আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর পাহাড়লী সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. ওবায়দুল হক বলেন, আদালত থেকে পালিয়েছিল সাইফুল। পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ড. ইউনূসকে আদালত সাজা দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে তার দল কোনোভাবেই দায়ী নয়।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসের সাজা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব শ্রমিক তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা মামলা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা হচ্ছে কেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, কিন্তু বিএনপি ও তার মিত্ররা একতরফাভাবে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, লিফলেট বিতরণ বিএনপির একটি 'রহস্যময়' কর্মসূচি এবং তারা হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
তিনি ‘কিন্তু তারা যতই নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করুক না কেন, নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না।’
জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টির দুই-একজন প্রার্থী ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা দল হিসেবে নির্বাচন থেকে সরে যাবে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
বরিশালে দ্বিতীয় দিনের মতো বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালত বর্জন
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারের নামে অবিচার বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল আইনজীবী সমিতি ও জেলা জজ কম্পাউন্ড চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল জেলা ইউনিটের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচন দাবি সুপ্রিম কোর্ট বারের বিএনপিপন্থীদের
সংগঠনটির জেলা সভাপতি মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলী হায়দার বাবুল, এনায়েত হোসেন বাচ্চুসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশ থেকে আইনের শাসন দূর করে দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ আজ দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে।’
এ অবস্থান থেকে পরিত্রাণে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে ৭ দিনের সব আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে অঙ্গ সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা